
ফেসবুকের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেলাম করোনা ভাইরাস এর কবলে পড়ে। হঠাৎ সবকিছু বন্ধ।কলেজ,আড্ডা,বন্ধু-বান্ধব,ঘোরাঘুরি। কিরকম দমবন্ধ করা একটা পরিবেশ। মুক্তির উপায় হিসেবে বেছে নিলাম ফেসবুক। আগের আইডিটা নস্ট হওয়ায় বেশ খুশিই হয়েছিলাম।হঠাৎই কস্ট হতে লাগলো। আমার আগের বন্ধু-বান্ধব ছিল খুবই কম,মাত্র সতেরজন। যাদের সাথে অনেকবছর পড়াশোনা করেছি,মধুর সময় পার করেছি, আড্ডাবাজ গ্রুপ একটা আমরা।
যা যাওয়ার তা নিয়ে কস্ট না বাড়িয়ে ভাবলাম আবার নতুন করে শুরু করা যাক । রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করতে গিয়ে তেমন কাউকে পাওয়া গেলনা। আছে আমার অবোধ স্টুডেন্টরা যাদের আমি গায়েই লাগাইনি,অবহেলা করেছি। তারাসহ কিছু অপরিচিত মোটামুটি প্রোফাইল দেখেটেখে এড করলাম। যাত্রা খুব একটা ভালো হলনা।আলু,বেগুন,পটল আর ওমুক তমুকের ছবি দেখে আর কত?
এরপর বাঘা বাঘা একেবারে প্রথম শ্রেনীর কিছু মানুষের ছবি,নাম সামনে জ্বল জ্বল করে ভাসতে লাগল। এ শ্রেনীর আশপাশ দিয়ে ঘুরলেও মনে হয় জীবন স্বার্থক হয়ে গেল। লজ্জা,সঙ্কোচ দ্বিধা হতে হতেই কিছু রিকোয়েস্ট মেরে দিলাম। সাথে এড করলাম কলিগ,পরিবার,পরিজন,আত্মীয়এনাদের। কেউ কেউ একসেপ্ট করল কেউ করলনা। বেশ পেটমোটা একটা তালিকা তৈরী হয়ে গেল।
কাজ যেহেতু নাই তাই ফেসবুক ঘাঁটাঘাটি করাই কাজ।এতে দেখা গেল,কিছু মানুষ আছেন তারা হাগু করার ছবিটাও পারলে পোস্ট করেন। ইরে বাস্ হাজারও লাইক।
কমেন্ট-ভাই ক্লিয়ার হয়েছে তো?
-হ্যাঁ ভাই,হয়েছে ধন্যবাদ।
কেউ কেউ গল্প,কবিতাও লেখেন। আমার মনটাও কেমন লকলকিয়ে উঠল। অনেকদিন লেখালেখি হয়না। জুতমত একখান কবিতা লিখতে পারলে কেল্লা ফতে। সবাই পড়ে বাহবা,লাইক,কমেন্ট করে ভাসিয়ে দেবে। লিখলাম একখান॥ যুগের আলোর “বনলতাসেন”দেখি কি পায়।রুই,কাতলা,বোয়াল একটাও নাই। যা দুএকজন চুনোপুঁটি আমার সেই অবোধ স্টুডেন্ট আর অপরিচিত ম্যাসেঞ্জার বন্ধু। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো কলিগ,বন্ধু-বান্ধবরা বিরহের কবিতায় ভাবতে শুরু করল আমি ভীষন কস্টে আছি। স্বান্তনা দিলেন কেউ কেউ। প্রেমের হলে জানতে চায় দোস্ত,এটা আবার কে? কিংবা খাইছে এতভালো একটা জামাই থাকতে বুড়ি আবার কারও প্রেমের পড়ল নাকি?
আর আমার কিছু পারিবারিক শুভাকাঙ্ক্ষী রীতিমত ভড় কে গিয়ে মাকে এসে বলল,বুবুমেয়ের বয়স এখনও তো শেষ হয়নাই। জামাই দিয়েছ সে তো সারা বছর নদীতে পরে থাকে আর মেয়ে কিসব কথা লেখে টেখে আমার মেয়ে জামাই বলছিল। দেখে রেখ শেষে মুখে চুনকালি না দেয়। মা তো অজ্ঞান হয় হয় অবস্থা। এরপর ল্যাপটপ নিয়ে বসলে কিংবা কারো সাথে ফোনে হাসলেই বিপদ!তিনি আবার কানেও কম শোনেন। কি না কি ভেবে বসেন। আমি রীতিমত লজ্জায় পড়ে গেলাম।
আমার ও আর একবার স্টোক হবার অবস্থা জামাই এর ফোনে।
ফেসবুকের ব্যাপারটা তিনি জানেন কিন্ত আমরা কেউ কারও সাথে এড না। হয়ত তিনি কারও কাছে শুনেছেন তাই আকারে ইঙ্গিতে বললেন তোমার কবিতার খবর টবর কি? বুকের ভেতরটা ধড়াস করে উঠল।
আমাদের বিয়েটা হঠাৎ করেই হয়েছে। কেউ কারও নামও জানিনা।
আমাদের প্রথম কথা হল -আমার নাম জানেন?
-জানার অনেক সময় আছে। তারপরও বল কি নাম?
-এই ধরেন,কবিতা!
মানুষটা তাই ধরেও নিয়েছিল। আমি কবিতা শুনতে চাইলে তিনি বললেন,জীবনে এটা কোন বিষয় না। আর তার এসব পছন্দ না। মনোযোগ দিয়ে পড়াশুনা করেছেন তাই আজ এত ভালো অবস্থানে। মেয়েদের দিকে তাকানো, প্রেম এসবের সময় ছিলনা। কবিতা তো অনেক পরের ব্যাপার। আর কবিতা টবিতার লোকজন আধা পাগল হয়। তার এসব মানুষ পছন্দ না। আমি হতাশ হলাম। জীবনের শুরুটা আর কবিতা দিয়ে হল না। সেদিন থেকেই কবিতার ইতি। যা ছিল লুকিয়ে ফেললাম।
আমি ছেড়ে দেবার পাত্রি না। ভাবলাম হয়ত খুবই খারাপ লিখি তার চেয়ে বরং দুচারখানা ছবিই দেই। পড়ার চেয়ে দেখা সহজ। ছবি পোস্ট করে নিজে টুকুস করে একটা লাইক মেরে পালিয়ে গেলাম। কবিতার কপালে তাও ছিল । সেলফির কপাল বড্ড খারাপ। না তোলার টেকনিক,নাকি চেহারা খারাপ তাই তেমন কিছুই জুটলনা।
অতঃপর
আমার ফেভারিট রাজন আসিফ সোহরাওয়ার্দী স্যার আমার ফেইসবুকে আছেন। স্যার ছবি,কবিতা দেন দেখি, পড়ি। আমাদের এলাকার স্বনামধন্য পরিবারের মানুষ। তার সুবাদেই বোধহয় একটা নাম বারবার চলে আসে “Sabina Yeasmin”। কেমন মায়া মায়া মিস্টি মিস্টি বাচ্চা একটা ছবি। ছবিটার আকর্ষন কেমন ? একঘন্টা কেডস পড়ে দৌড়ানোর পর,একপোয়া ওজন কমিয়ে,বগুড়া দইঘর এর সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় যেমন অনুভূতি কাজ করে তেমন। তখন দুচারটে রসমালাই আর পাটিসাপটার জন্য আপনাকে ভেতরে ঢুকতেই হবে। আর সান্ত্বনা স্বরুপ,হোকনা বিকেলে নাহয় একঘন্টা রুমেই নাচানাচি করে ওজন কমাবো।
সেই রসমালাই আর পাটিসাপটার লোভে ঢুকে পড়লাম সাবিনা ম্যাম এর প্রফাইলে। কিছক্ষনের মধ্যেই মাথা ঘোরা শুরু হয়ে গেল। এ মা,এ তো দেখি দুর্দান্ত লেখিকা এবং ব্লগার। বিসমিল্লাহ বলে রিকোয়েস্ট দিয়ে দুদিন ঘুমাতে পারিনি। লেখিকা কখন একসেপ্ট করবে। আশাবাদী মানুষ আমি তারপরও হতাশ হয়ে গেলাম। তিনদিন পর সকালবেলা অভ্যাসবশত ফেসবুকে ঢুকেছি।হায় আল্লাহ! সাবিনা ইয়াসমিন এর লেখা তারমানে একসেপ্ট করেছে।
খুব সাহস করে ম্যাসেঞ্জার এ নক দিলাম, নিজের মনের কথা জানালাম। ছোট্ট পরিচয় হল। জিসান ভাই এর সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন। পদার্পণ হল নতুন এক পৃথিবীতে। তারকারাজীতে ভরপুর সে পৃথিবী। আমার কেবলি মনে হতে লাগলো-
“দেখিতে গিয়াছি পর্বত মালা
দেখিতে গিয়াছি সিন্ধু,
দেখা হয়নাই চক্ষুমেলিয়া
ঘরহতে শুধু দুই পা ফেলিয়া
একটি ধানের শিশের উপরে একটি শিশির বিন্দু”।
এত ভালো লাগে ইচ্ছে করে সব ফেলে পড়ে থাকি। এত ভালো ভালো লেখা। মুগ্ধ হয়ে পড়ি। নিজেও চেষ্টা করছি।তাদের এত সুন্দর সুন্দর মন্তব্যের কোন জবাব খুঁজে পাই না। বুঝে উঠতে সময় লাগবে এবং আমিও একদিন সোনেলা পরিবারে বড় হব। আর কাউকে ভয় পাবনা।পাগল ছাগল যাই হইনা কেন সম্মান নিয়ে বাঁচাই বড় কথা। আর অনেক কৃতজ্ঞতা সাবিনা ইয়াসমিন আপুকে।
স্বল্প সময়ে ফেসবুক অনেকদিল। তবে ফেসবুকবাসি নিয়ে যা হোক মোটামুটি একটা অভিজ্ঞতা হয়েছে । শেয়ার করলে কি হবে জানিনা। তবে বন্ধু তালিকা অতিব ছোট হবে এটা কনফার্ম। মানে আমারে আজই সব ব্লক মারবে।মারুক,কি আর করা। দুস্টু গরুর চেয়ে শুন্য গোয়াল অনেক ভালো।কি বলেন?
১.অতি উচচ শ্রেনীর মানুষরা আপনাকে চেনেন বলে ফরমালি রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করেন। কিন্তু আপনার লেখা টেখা কোন কিছুই দেখতে তাদের আগ্রহ নেই কিংবা দেখলেও মন্তব্য করেন না। কেউ কেউ কেন একসেপ্ট করেন নিজেই জানেন না। কারন সারাদিন অনলাইন থাকেন কিন্ত কোন পোষ্ট দেন না এবং লাইক কমেন্ট করেন শুধু তাদের লেভেল এর মানুষজনদের। হয়ত এটা উচ্চমার্গীয় ব্যাপার স্যাপার। আমার সাধারনের বোঝার বাইরে।
২.এক শ্রেনীর কোন কাম নাই সারাদিন নিজের হাগু,মুতু,ছুচুর ছবি তোলেন আর পোস্ট করেন। এবং হাজার হাজার লাইক কমেন্ট পান। আমি খুঁজে পাই না ক্যামনে?
৩.একশ্রেনী হঠাৎ হঠাৎ কিছু পোষ্ট করেন। কাউকে যেহেতু লাইক কমেন্ট করেন না তাই বিষয় যতই ইম্পর্টেন্ট হোক দশ বিশের বেশি লাইক পান না। প্রথম শ্রেনীর মানুষ তো তাই তার শ্রেনীর দু একজন আর বাকিসব আমার মত তেলবাজ লাইক মারে। আপনি হয়ত কোন কারনে শুধু লাইক না দিয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করে বসলেন। মতামত যতই গ্রহণযোগ্য হোক না কেন তিনি মেনে নিতে নারাজ এবং আপনাকে ব্লক মেরে দিলেন।
৪.এনারা রিকোয়েস্ট দেন। আপনি চেহারা ভদ্র দেখলেন কিংবা প্রোফাইল চেক করে একসেপ্ট করলেন। এক মিনিটের মধ্যেই আপনাকে ভিডিও কল দেবে। আপনি হয়ত জরুরী কোন সংবাদ পড়ছেন তাই কেটে দিলেন আবার দিবে,দিতেই থাকবে। রিসিভ করে পরিচয়ের কিছু পরেই বলবে যদি জুনিয়র হন তাহলে জটিল বন্ধু আর সিনিয়র হলে সে বলবে, অনেকদিন থেকেই একজন এক্সপেরিয়েনস সিনিয়র বান্ধবী খুঁজছিলো।
আপনি হবেন কিনা এটা জানার দরকার নেই। আপনার পার্সোনাল টাইমেও ভিডিও কল দেবে॥আপনি না করে দেবার ৩ দিনের মাথায় দেখবেন তার হলুদ সন্ধ্যা কিংবা বিয়ের ছবি দিয়েছে।
৭.এনারা আপনাকে অনলাইন দেখলেই ম্যাসে্নজারে চলে আসবে এবং সেটা মধ্য রাতও হতে পারে। নিজে অনলাইন থেকে আপনাকে বলবে এতরাত জাগলে শরীর খারাপ করবে। কিংবা কেমন আছেন। জামাই ছাড়া ক্যামনে থাকেন কস্ট হয় না? কাল কফি খাওয়া যায় কিনা ইত্যাদি।
৮.এনারা হলেন M N এই টাইপ কেউ। এনারা কাউকে রিকোয়েস্ট দেনও না আবার একসেপট ও করেন না। কিন্তু নিয়মিত খোঁজ খবর নেন। একরকম কাছের মানুষও বলা যায়।
জানতে চাইলে খুব সুন্দর উওর-কি দরকার জরুরী হলে ফোন তো আছেই।
ফাইনালি অভিজ্ঞতার ব্যাপারে লেখা মজা বলতে পারেন।আর আমার ভিআইপি লিস্ট টা অনেক পছন্দের। কস্ট দেবার জন্য নয়।
ভালো থাকবেন।
২৫টি মন্তব্য
ইঞ্জা
আপনার লেখার সাথে কিছু যোগ করি, সোনেলা পরিবার এমন এক পরিবার যে কারো ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে মাথা ঘামায়না কিন্তু ঠিকই খেয়াল রাখে আপনার মন মেজাজ, দুঃসময়ে খবর নেয়, “ঠিক আছেন তো”?
ব্লগ এমন একটা জায়গা যেখানে পাঠকরা এসে শিখতে চাই, জানতে চাই, বুঝতে চাই, এ জন্যই আমরা ব্লগাররা লিখি বিভিন্ন ধরণের লেখা, এক ঘেয়েমি পছন্দ নয় লেখকদের, এ জন্য বিভিন্ন বিষয়ে ওরা পারদর্শী।
সুতরাং ইঞ্জয় করুন ব্লগিং।
হ্যাপি ব্লগিং।
রোকসানা খন্দকার রুকু।
এ জন্যই তো এত ভালো লাগে॥সুখ দুখ সবটাতেই পাশে পাওয়া যায় সমালোচনা ছাড়া। ভাইয়া লেখার সমালোচনা কিন্তু চাই।শুধরে নেব। ভালো লাগবে।অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকবেন।
ইঞ্জা
আপু অন্য কিছু পান আর না পান, পজিটিভ আলোচনা, সমালোচনা এই ব্লগে পাবেন আপনি সহ সকল ব্লগার। 😊
রেজওয়ানা কবির
ভালো লিখেছো।
রোকসানা খন্দকার রুকু।
হ।
সাবিনা ইয়াসমিন
** দেখা গেল,কিছু মানুষ আছেন তারা হাগু করার ছবিটাও পারলে পোস্ট করেন। ইরে বাস্ হাজারও লাইক।
কমেন্ট- ভাই ক্লিয়ার হয়েছে তো?
-হ্যাঁ ভাই,হয়েছে ধন্যবাদ।*****
হাহাহাহা, হাসতে হাসতেই শেষ! তবে ফেসবুকে এমনটাই দেখছি আজকাল।
অনলাইনে লেখা-লেখির আনন্দ আর ঝক্কিঝামেলা গুলো দারুণ ভাবে লিখেছেন। আনন্দ লাগে যখন পরিচিত/ অপরিচিতরা লেখাটি পড়ে সুন্দর কমেন্ট দেয় বা উৎসাহী আলোচনা করেন। আবার মন খারাপ-ভয় লাগে যখন পরিচিতরা ধরেই নেন লেখাটি নিজের জীবন থেকে লিখেছি ভেবে নিলে। একজন লেখকের ভাবনা/কল্পনার জগৎ যত বিস্তৃত হবে, তার লেখার বিষয়বস্তু তেমনই ব্যতিক্রমী হতে থাকবে। এটা স্বাভাবিক। কিন্তু আমরা যখন লেখার গভীরে পূর্ণমাত্রায় ঢুকে পড়তে চাই তখনই এসব প্রশ্ন আমাদের শুনতে হয়। যেমন, কষ্টের পোস্ট কেন দিয়েছো? ছ্যাঁকা খেয়েছো? ফ্যামিলি প্রবলেম? মেন্টালি ডিস্টার্ব?
আবার বানিয়ে বানিয়ে প্রেমের গল্প/ কবিতা লিখবো, তাতেও সমস্যা। প্রেম করছি কিনা, বাড়ির মানুষ কিছু বলে কিনা, ইত্যাদি ইত্যাদি। মোট কথা চাইলেও অনেক কিছু লেখায় প্রকাশের অবকাশ থাকে না।
ফেসবুকে নানা টাইপের মানুষ আছে, থাকবে। ভি আইপি, আত্মমগ্ন, ছ্যাঁচড়া, বাচাল, সব ধরনের ক্যারাক্টার পাওয়া যায় এই খানে। যারযার পছন্দ আর চাহিদা মোতাবেক এক একজনের সাথে এ্যাড হয়।
সোনেলাকে নিয়ে আপনার ভাবনা, অনুভূতি পড়ে অত্যন্ত খুশি হয়েছি। আপনি আমাদের মাঝে আমাদেরই একজন পরিবারের সদস্য হয়ে থাকুন, আমরাও তাই চাই।
ভালো থাকুন, শুভ কামনা নিরন্তর 🌹🌹
রোকসানা খন্দকার রুকু।
অনেক সুন্দর করে বললেন।আমিও এগুলোই বলতে চেয়েছি কিন্তু আপনার মত করে পারিনি। অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ভালোবাসা সব।
ফয়জুল মহী
ফেসবুক এর জন্য রুটিন কাজের এলোমেলো
রোকসানা খন্দকার রুকু।
জী ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে।
সুপায়ন বড়ুয়া
ফেইস বুক নিয়ে ভালই গবেষনা হলো
লেখা পড়ে অনেক ভাবনা মনে এলো।
সময়োপযোগী, পড়তে লাগলো ভাল।
শুভ কামনা।
রোকসানা খন্দকার রুকু।
ধন্যবাদ ভাইয়া। ভালো থাকবেন।
আলমগীর সরকার লিটন
ফেসবুক না থাকলে পুরাতন বন্ধু কে খুজে পাওয়া যেত না ——-ভাল মন্দ দুটই থাকবে
রোকসানা খন্দকার রুকু।
ধন্যবাদ ভাইয়া। ভালো মন্দ তো থাকবেই। কিন্তু যে বন্ধুর কথা বলা হয় সেটা আসলে কতটুকু সত্য?
সুপর্ণা ফাল্গুনী
দারুন অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন। ফেসবুকে থাকি শুধু কিছু যোগাযোগ রক্ষার্থে, বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে।কারণ কিছু কিছু মানুষ আছে এইসব হাগুমুতুর ছবি দিয়ে ফেসবুক ভরে রাখে। এজন্যই আমার বন্ধু সংখ্যা একশোর নিচে এতো বছর পরও। সোনেলার উঠোনে নিজের ভালো লাগাটা খুঁজে পেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। সাবিনা আপুর তুলনা সাবিনা আপুর। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন শুভকামনা অবিরাম
রোকসানা খন্দকার রুকু।
সবটুকুই বলে দিলেন। ধন্যবাদ ও ভালোবাসা রইল।
নিতাই বাবু
আপনার ফেসবুক পোস্টে আমি একটা মন্তব্য করেছিলাম, মনে হয়! লিখেছিলাম মনে হয় এরকম, “দিদি আমার প্রোফাইলে ঘুরে আসার নেমন্তন্ন রইল”, তো দেখেছেন কিনা জানি না। না দেখলে আবারও দেখার নেমন্তন্ন রইল। আর হ্যাঁ, ফেসবুক আর অনলাইন দিনলিপি কিন্তু এক নয়। যা নিয়ে নিজেও একেক সময় ভাবনায় পড়ে যাই। আবার অনেক সময় দুই-তিন দিন ধরে ছাটাইও করতে থাকি। তারপরও আবার ছাটাই করা লোকগুলো ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট পাঠাতেই থাকে। আবার শুরু হয় মেসেঞ্জারে ভিডিও কল-সহ বার্তা। তখন জেদ করে মেসেঞ্জার অ্যাপটি আন-ইনস্টল করে ফেলি।
শুভকামনা থাকলো দিদি।
রোকসানা খন্দকার রুকু।
হ্যাঁ দাদা ঘুরে আসব অবশ্যই।আর খুব বাস্তব কথা বললেন॥ ধন্যবাদ আপনাকে।
উর্বশী
ভাল লাগলো আপনার উপস্থাপনা আপু। নেগেটিভ ও পজেটিভ নিয়েই কিন্তু আমাদের জীবনের গতি, এবং তা ঠিক রাখা আমাদের নিজেদের উপর ই নির্ভর করে। সেটা বুঝেই পথ চলি, চলতে হয় আমাদের সবার। ভাল কে গ্রহন আর মন্দ বা খারাপ কে বর্জন করা। সোনেলা পরিবার তো পরিচ্ছন্ন স্থান। সেখানে আমরা সবকিছু পজেটিভ ই আশা করতে পারি তাইনা আপু?
অনেক শুভ কামনা ও ভালোবাসা।
রোকসানা খন্দকার রুকু।
হ্যাঁ অবশ্যই পজিটিভ আশা করতে পারি। ভালো থাকবেন। ভালোবাসা রইল।
আরজু মুক্তা
আমি আমার পছন্দমতো চলবো। যেটা ভালো লাগে না, তা এড়িয়ে চলবো। কারও ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কথা বলার কি দরকার। যে যার মতো চলুক
রোকসানা খন্দকার রুকু।
পুরোটাই কি ব্যক্তিগত।একজন মানুষ আর একজনের কাছে গঠনমূলক কিছু আশা করতেই পারে।কারো প্রশংসা, ইন্সপায়ার করা এটা সবার মাঝে নেই। ধন্যবাদ আপু।
তৌহিদ
ফেসবুক আসলে মনের দর্পণ। এখানে যার দৃষ্টিভঙ্গি যেরকম সে সেরকম লেখাই লেখেন, পোস্ট করেন। পছন্দটাও সেরকম। আপনি আপনার মতই থাকুন, নানাজনে নানান কথা বলবে এটাই স্বাভাবিক।
সাবিনা আপু ব্লগের সবার প্রিয়, জিসান ভাইও তাই। তার মত হেল্পফুল ব্যক্তি আছেন বলেই ব্লগে আমরা সহজভাবে বিচরণ করতে পারি।
চমৎকার অনুভাবী লেখার জন্য ধন্যবাদ আপনার প্রাপ্য। ভালো থাকুন আপু। শুভকামনা রইলো।
রোকসানা খন্দকার রুকু।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনিও ভালো থাকবেন॥
জিসান শা ইকরাম
লেখা লেখিতে নারীদের একটি সমস্যা আছে আমাদের সমাজে। প্রায় সবাই ধরে নেয় এটি তার নিজের কথা যা কবিতা বা গল্পের মাধ্যমে প্রকাশ করেন। তাই নারী লেখকদের অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়।
ফেইসবুবেকের আপনার অভিজ্ঞতা গুলো অত্যন্ত সঠিক ভাবে লিখেছেন এখানে। এমন অভিজ্ঞতা লেখার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সোনেলায় পদার্পনের ইতিহাস ছোট করে হলেও বর্ণনা করলেন।
আপনি খুবই চমৎকার ভাবে গদ্য লিখতে পারেন,
লেখার স্টাইলটি অত্যন্ত ভালো এবং আকর্ষনীয়,
একবারে কোনো বিরতি না দিয়েই পড়ে ফেললাম।
গদ্য, বা সমসাময়িক বিষয় নিয়ে বেশী বেশী লিখুন।
শুভ কামনা।
রোকসানা খন্দকার রুকু।
কিছু মানুষের উৎসাহ উদ্দীপনা সবসময়ই সামনে যেতে সাহায্য করে। ভালো লাগলো যে আপনার লেখা পড়ে ভালো লেগেছে।এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কিইবা থাকতে পারে। কিছু মানুষ আছে নিজেই বিরাট জায়গা দখল করে থাকতে চায় আর সোনেলার মানুষ গুলো চাপাচাপি হলেও অন্যকে জায়গা করে দিয়ে খুশি হয়।
আমি সত্যিই আপ্লুত আপনাদের সাথে আসতে পেরে।দোয়া করবেন ও পাশে থাকবেন এই কাম্য।
শুভ কামনা ও ভালোবাসা রইল।