
গোটা পৃথিবী জুড়ে যখন অস্থিরতা বিরাজ করছে তখন ঘরের কোণে নিজেকে আবদ্ধ রেখে কি ভালো থাকা যায় ? ভালো থাকা যায় না। মনের কোণে কোথাও যেন থেকে থেকে সমুদ্রের উত্তাল জোয়ারে আছড়ে পড়ছে, ভাঙছে না তবে সবকিছু ধ্বংস করে দিয়ে যাচ্ছে।
বিপর্যয় শব্দটা বড় কঠিন । যাকে কিনা অনেকগুলো শব্দ একত্রিত করে বাঁধ তৈরি করেও মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। তার কাছে অসহায়ত্ব প্রকাশ করা ছাড়া কোন উপায় থাকে না ।
কথাগুলো যখন লিখছিলাম তখন গোটা পৃথিবী এক করোনা বিপর্যয়ে বিপর্যস্ত। প্রতিদিন কেউ না কেউ, কোথাও না কোথাও মারা যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত অসংখ্য মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে ।মহামারী আকার ধারণ করছে। সবকিছু থমকে দাঁড়িয়েছে।
পৃথিবীর এই বিপর্যয় সব কিছুকে ভাবিয়ে তুলেছে ।
সারা দুনিয়া যখন এই বিপর্যয় মোকাবেলায় হিমশিম খাচ্ছে তখন আমরা পড়ে আছি ধর্মের পিছনে, জাতির পিছনে, ব্যক্তিগত উদাসীনতায়। কোন ধর্মের জন্য গজব আর কোন ধর্মের জন্য পরীক্ষা, প্রাকৃতিক বিপর্যয় এই দুইটার কোনটাই নয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগ পৃথিবীবাসীর জন্য ।
মানুষ যেভাবে সভ্যতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে পৃথিবী ততবেশি ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে ।মানুষ যত আধুনিক হচ্ছে পৃথিবীর সৃষ্টি, স্রষ্টা সম্পর্কে ততবেশি উদাসীন হচ্ছে। তাইতো পৃথিবীর অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য স্রষ্টার পক্ষ থেকে প্রাকৃতিক বিপর্যয় নেমে আসা ।
পৃথিবীর এই কঠিন সময়ে আমরা উদাসীন হলে চলবেনা, ধর্মান্ধ হয়েগেলে চলবেনা, বিবেকহীন হয়ে পড়লে চলবেনা ।
নিজেদেরকে সচেতন হতে হবে, সচেতনতা বাড়াতে হবে। আমাদের মানবিক হতে হবে ,মানবতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে তবে। তবেই হয়তো বেঁচে যাওয়া সম্ভব এই রকম বিপর্যয় থেকে।
প্রতিকার করা যখন সম্ভব নয় তখন প্রতিরোধ গড়তে হবে ।সকলকেই একাত্ম প্রকাশ করতে হবে ।
ভাবতে অবাক লাগে সমস্ত পৃথিবী যখন নিমগ্ন ভাবনায়, ভাবনা-চিন্তায় হাবুডুবু খাচ্ছে তখন কিছু স্বার্থন্বেষী, কিছু পুঁজিবাদী, কিছু ধর্ম ব্যবসায়ী এই অসহায়ত্বকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে। মানুষের বিবেক কত নিচে নামলে মানুষ এরকমটা করতে পারে তা আমার জানা নেই । মানুষ কেন জানি তার মনুষত্বকে নষ্ট করে দিচ্ছে এমন গহিত কাজ দ্বারা।
মানুষ দিন দিন জ্ঞানহীন হয়ে পড়ছে, ভালোমন্দের তোয়াক্কা করছে না, বিচার বিবেচনা করছে না। আদেশ-নিষেধের কোন মূল্যায়ন করছে না।
সর্বোপরি একটা কথা বলতে পারি মানুষ তার অস্তিত্ব পৃথিবীতে রাখতে চাইলে এই বিপর্যয় মোকাবেলা করতে হলে স্রষ্টার অনুগত এবং প্রকৃতির নিয়ম কানুন বিধি-নিষেধ প্রতিষ্ঠা করেই বেঁচে থাকতে হবে।
১৩টি মন্তব্য
সুপায়ন বড়ুয়া
“সারা দুনিয়া যখন এই বিপর্যয় মোকাবেলায় হিমশিম খাচ্ছে তখন আমরা পড়ে আছি ধর্মের পিছনে, “
সহমত , ভালো লাগলো।
নিজে বাঁচুন, অন্যকে বাঁচতে দিন
নিজে নিরাপদে থাকলে , অন্যরা নিরাপদ।
শিষ্টাচার মেনে চলুন।
শুভ কামনা।
নিরব সাগর
ধন্যবাদ প্রিয় সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ।আমরা সকলেই ভালোভাবে বাঁচি । নিজে বাঁচি অন্যকে বাঁচতে সহায়তা করি।
সুপায়ন বড়ুয়া
ঠিক তাই।
সবার মঙল কামনা করি।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
সহমত আপনার সাথে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
নিরব সাগর
ধন্যবাদ প্রিয় পাশে থাকার জন্য
ফয়জুল মহী
হে করুণাময় । এই মরণ ব্যাধি থেকে আমাদের সকলকে নিরাপদ রাখো,
নিরব সাগর
আল্লাহ সকলকে রক্ষা করুন। আমিন
সাবিনা ইয়াসমিন
ধর্ম/ বিশ্বাস/ যুক্তি দিয়ে অসাধু স্বার্থপরদের নির্নয় করা যায় না। সমগ্র মানব জাতির মাঝেই তারাও সেইম মানুষের মতোই দেখতে, শুধু মানসিক/ মানবিক দিক গুলো অন্য সাধারণ মানুষদের সাথে মিলে না।
নিজের অস্তিত্ব রক্ষায় নিজেকেই সক্রিয় হতে হয়। মানুষ মানুষের বিলুপ্তির কারণ যেন নাহয়, সেদিকে মনোযোগ দেয়ার সময় হয়েছে গোটা বিশ্বের মানব সমাজে।
সুন্দর লিখেছেন,
অন্যদের পোস্টেও যেতে চেষ্টা করুন নিরব।
শুভ কামনা 🌹🌹
নিরব সাগর
অনেক সুন্দর কথা বলেছেন প্রিয় ।
জিসান শা ইকরাম
” পৃথিবীর এই কঠিন সময়ে আমরা উদাসীন হলে চলবেনা, ধর্মান্ধ হয়েগেলে চলবেনা, বিবেকহীন হয়ে পড়লে চলবেনা। ” – একমত আপনার সাথে।
সচেতনতাকে বৃদ্ধি করে মানবজাতিকে বেঁচে থাকতে হবে।
ভালো লিখেছেন ভাই।
শুভ কামনা।
নিরব সাগর
ধন্যবাদ প্রিয়
হালিম নজরুল
সময়োপযোগী লেখা।
নিরব সাগর
ধন্যবাদ প্রিয়