প্রশান্তির খোঁজে

মুহম্মদ মাসুদ ৫ নভেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, ১১:৫৩:৫১পূর্বাহ্ন গল্প ১৯ মন্তব্য

চায়ের টোংঘরে বসে আড্ডা দিচ্ছিলো শ্যামল আর সুকান্ত। ইতিমধ্যে সৃজিত এসে বলে উঠলো – থো তোদের প্যাঁচাল। তোদের প্যাঁচাল শুনতে আর ভালো লাগে না। জীবনটা হাওয়াই মিঠাইয়ের মতো হয়ে গেলো। জিভে দিলেই নিমেষেই ফুরিয়ে যায়।
শ্যামল বললো – তোর আবার কি হলো? সাধু হয়ে গেলি কবে?
সৃজিত বললো – সাধু হওয়ার কি কোনকিছু বাকি আছে? সালার জীবনটা তেজপাতার মতো হয়ে গেলো। কোনকিছুতেই কিছু হলো না।
সৃজিত আর শ্যামলের কথাগুলো চুপ করে শুনছিলো সুকান্ত। ইতিমধ্যে শ্যামল বললো – কিরে সুকান্ত তোর আবার কি হলো? কোন কথা বলছিস না? শুধু সিগারেট টেনে যাচ্ছিস।
সুকান্ত – আমি আর কি বলবো? আমারতো বলার কিছু নেই। তোরা আগে শেষ কর তারপর না হয়…।
মামা, সৃজিতকে চা সিগারেট দেন তো। আগে মাথা ঠান্ডা করুক।
সুকান্তের কথা শেষ হতে না হতেই শ্যামল বললো – আসল কথা বলতো কি হয়েছে?
সৃজিত বললো – তেমন কিছু না। ওই! বউয়ের প্যানপ্যানানি ঘ্যানঘ্যানানি শুনতে আর ভালো লাগে না। তুই বল সারাদিন অফিস করে এসে এসব ভালো লাগে?
মিষ্টি হেসে সুকান্ত বলতে লাগলো – ও, এই কথা। এর একটা সুন্দর সমাধান আছে।
সৃজিত বললো – কি কথা বলতো?
সুকান্ত বলতে শুরু করলো – বউয়ের সঙ্গে বেশি কথা বলার উপকারিতা –
(১) মাথা ঠান্ডা থাকে,
(২) মানসিক চাপ কমায়,
(৩) ঘুম ভালো হয়,
(৪) হার্ট এট্যাকের সম্ভাবনা ৯৫ শতাংশ কমে যায়,
(৫) মন ভালো থাকে,
(৬) কাজেকর্মে মনোযোগী হওয়া যায়,
(৭) চিন্তামুক্ত হওয়া যায় ইত্যাদি।
তবে একটা বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে – “বউটা যেন নিজের বউ না হয়”।

৫৮৯জন ৪৮৫জন
0 Shares

১৯টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ