নাসির নগরের সংখ্যা লঘুদের উপর হামলার ঘটনা এখন মৃত বলা চলে ফিরে আসতে শুরু করেছে জীবনের স্বাভাবিক অবস্থা।ইতি মধ্যেই সূর্য সেনা ক্লাবের সদস্যরা পরিদর্শন করে এসেছেন ধ্বংসাজ্ঞ গ্রামটি,এরই মধ্যে বাংলাদেশের সীমান্ত বেদ করে প্রবেশ করছেন মায়ানমারের অসংখ্য রোহিঙ্গা জন গোষ্টি।মায়ানমারের এক নামধারী গণতন্ত্রের মানষ কন্যা,অশান্তির রাজ কন্যা শান্তিতে নোবেল পান অং সাং সূচী।ক্ষমতাসীন এই অতি মানবতা কন্যার সেনারা নির্বিচারে গুম হত্যা ধর্ষণ করছে রোহিঙ্গাদের।তাদের স্থায়ী বসতি হতে উচ্ছেদ করছেন অনবরত।নিজ জন্ম ভুমিতে কেবল মাত্র মুসলমান বলে তাদের থাকার কোন অধিকার নেই। তারই প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশে।যা জাতিসর্ঘ গণহত্যা নামে অভিহত করেছেন।
সে দিকে সূর্যের তেমন একটা নজর নেই কেননা ওটা তার মতে সরকারের সমস্যা সরকারই পরাষ্ট্রনীতে তা সামাল দিবেন।তাই সূর্যের এখন ফ্রি সময় তবে যে কোন সময় আবারো ব্যাস্ত হয়ে পড়তে পারেন তাই মায়ের চিন্তা এবার ছেলেকে ঘর বন্দী করবেন যে করে হউক।
কাল ১৬ই ডিসেম্ভর বিজয় দিবস।কালই আড্ডার অজুহাতে ওর বন্ধুদের সাথে কথা বলবেন।সুতরাং আজই একটু আওয়াজ দেয়া যাক ওর বন্ধু সমর অভিকে,তারা যেনো কালকে সময় করে বাসায় আসে।হোম ফোনে রিসিভার তুলে নম্বর টিপলনেন।
সূর্য পাশের খাটেই ঘুমাচ্ছিলেন।টেলিফোনে মায়ের কথপোকথনের আওয়াজ পেয়ে জাগলেন না ভাঙ্গা ঘুমে মায়ের সব কথাই শুনলেন।মা ফোনে কথা শেষ করার পরই সে উঠে পড়েন তাতে মায়ের মনে প্রশ্ন জাগে।
-কি উঠে পড়লা যে,এখন কোথাও যাবে নাকি?
-হ মা একটু ক্লাব থেকে ঘুড়ে আসতে হবে।
-এই না এলি আবার….একটু বিশ্রাম করো কালতো সারাদিনও তোমাকে পাবো না।১৬ই ডিসেম্ভর বিজয় দিবস নিয়ে মেতে থাকবে।
-কেনো,তোমার দাওয়াতি মেহমানরা আসবে না?
মা মুখের অপরাধের চিহ্ন,,,,যাই হোক সূর্যকে আগেই বলা উচিত ছিলো।
-ওরা আসবে,তুমি থাকবে না?
-আমি থেকে লাভ নেই,ওরাই যা বলার বলবে।আমি গেলাম,ফিরতে দেরী হলে রাত জেগো না।
-সে ভাগ্য কি আর আমার আছে!ঘরে বউ এনে নেই তারপর আচ্ছা মতো রেষ্ট নিবে।
এরই মধ্যে সূর্য ঘর থেকে বের হয়ে মোড়ে চায়ের দোকানে চায়ের অর্ডার দিলেন।টেবিলে বসে মোবাইলটি বের করে সূর্য ফোন করেন সমরকে।
-এই শুন.মা কালকে তোদের সাথে যখন কথা বলবে তখন তাকে যেনো নন্দিনীর সত্যিটি বলে না দিস।
অপর প্রান্ত হতে হ্যা উত্তর পেয়ে ফোনের কলটি কেটে পকেটে রেখে দিয়ে চায়ে চুমুক দিলেন।হাতের বেনসনস সিগারেটটি দোকানে ঝুলানো লাইটে ধরালেন।চা শেষ করা মাত্র মোবাইলে রিং আসে।সূর্য নম্ভরটি দেখে অবাক হলেন।এতো রাতে নন্দিনীর ফোন!রিসিভ করলেন।
-হেলো,
-বলো?
-গাড়ীর শব্দ পাচ্ছি তুমি কি বাহিরে?
-হ্যা,
-এতো রাতে বাহিরে কি করছো?
-আজ হিমু হবো,
-বলো কি! হঠাৎ এ মতিভ্রম?
-মাঝে মাঝে হতে হয়. জীবনকে উলব্দি করতে হলে নিজেকে ছেড়ে দিতে হয় নিস্তব্ধ রাতের অন্ধকারে।
-এ সব ভাব মনে ধারণ করলেতো সংসারি হওয়া যায় না,তুমি কি সেই লাইনেই যাচ্ছো?
-তা কি হবে যেখানে এক পায়ে দাড়িয়ে তুমি আছো মা আছেন কোন মতে দায়ীত্বটা বুঝিয়ে দেবার অপেক্ষায় সেখানে আমি কি আর না করতে পারি।এই মায়ের জন্য জগতে আজ আমি,তাছাড়া স্বামী হারা মা অনেক কষ্ট করেছেন আমাকে লেখা পড়া শিখিয়ে মানুষ করতে তার কথা কেমনে ফেলবো বলো?
-সত্যিটা বলে দাও দেখবে মা পিছু হটেছেন।
-না তুমি মাকে চেনো না সে একবার যাকে বুকে নিয়েছেন তাকে মরে গেলেও ছুটতে দেন না।মা ঠিকই মেনে যাবেন।
-কোন মাই চাইবে না তার সন্তানের জীবন নষ্ট হউক।আর আমিই বা তোমার জীবন নষ্ট করব কেনো।আমিতো ধীরে ধীরে মৃত্যুর প্রহর গুণছি।
-ও ভাবে বলো না আমিতো সব মেনেই নিয়েছি।এখন ভাবছি মাকে বলবো কি না।
-আমার মনে হয় মায়ের নিকট কোন কিছু লুকানো আমাদের ঠিক হবে না।
-হুম দেখি কাল কি কথা হয়।
-মানে?
-কালকে আমাদের বিয়ের পিড়িতে বসতে বড় ধরণের একটা চাপ আসবে।
-কি ভাবে?
-তা কালকেই বলবো অথবা জানবে।আজ রাখছি…।
-কেনো তোমার তাড়া আছে কোন?
-না,
-তবে?
-কি বলব?
-কথা বলবে!প্রেমিক প্রেমিকেরা রাত জেগে কত কথা বলে।
-আচ্ছা ভালো কথা, ওরা দীর্ঘ ক্ষণ কি এমন কথা বলে যেখানে রাত পেড়িয়ে যায়।আমার খুব জানতে ইচ্ছে করছিলো বেশ।
-জানি না,যাক অনেক রাত হয়েছে তুমি সোজা বাড়ীতে যাবে,রেষ্ট নিবে।
-বাপরে বিয়ের আগেই এতো কড়া শাসন আর বিয়ের পর এর মাত্রা কৈ গিয়া দাড়ায় আল্লাহ মাবুদই জানেন হা হা হা…আচ্ছা রাখছি তাহলে।
আজ বেশ সকালেই ঘুম থেকে উঠলেন সমর।আজ তার অনেক কাজ প্রথমে স্বর্ণাকে সাথে নিয়ে সূর্যদের বাসায় যেতে হবে সেখানে আসবেন বন্ধু অভি।গত রাতে যে ইঙ্গিত পেয়েছিলেন তার একটি সমাধান করতে হবে তাই বউকে নিয়ে একটি স্কুটারে উঠলেন সমর।কিছু দূর যেতেই ড্রাইভার গাড়ী ঘুড়িয়ে ফেললেন।। সমর আশ্চর্য হলেও ভাবলেন হয়তো রাস্তা বন্ধ।ড্রাইভার অন্য রাস্তায় কিছু ক্ষণ যেতেই আবারো ট্রাফিক ম্যান থেকে বাধা এলো এ রাস্তাটিও বন্ধ।ড্রাইভার জিদ করে গাড়ীর স্টার্ড বন্ধ করে নিজেকে নিজেই বকছেন।
-সালার কপাল!
উৎসুক সমর জানতে চাইলেন।
-কি হয়েছে?
-আর কইয়েন না ভাই,গাড়ী চালিয়ে শান্তি নেই এই… এই মাত্র দেখলাম রাস্তা খোলা এখন আবার বন্ধ।প্রতিদিন এ ভাবে রাস্তা খোলা বন্ধের নাটক দেখতে দেখতে হাফিয়ে উঠেছি।
-এ রাস্তা বন্ধ কেনো?
-হুনলাম সামনে কোন এক বাড়ীতে জঙ্গি দমনে রেভ পুলিশের অপারেসনস চলছে।
সমর স্বর্ণা দুজনেই স্কুটার হতে নেমে পড়ে এদিক সে দিক দৃষ্টি ফেলে অবস্থার পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করছেন।তাদের পাশ দিয়ে কয়েকজন কলেজ ছাত্রকে যেতে দেখে সমর তাদের একজনকে জিজ্ঞাসা করলেন।
-এই যে ছোট ভাই এই রাস্তাটি বন্ধ কেনো কিছু জানো তোমরা?
-হ্যা ঐ যে দক্ষিণখানের একটি বাড়ীতে জঙ্গি হামলা হয়েছে।সেখানে মা শিশু সহ আত্বঘাতী বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে।সম্ভবতঃ মা মারা গেছেন।যে শিশুটিকে মা ডাল হিসাবে ব্যাবহার করেছেন তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
ছেলেগুলো চলে যাবার পর সমর খুব চিন্তিত ভাব ধরলেন।স্বর্ণা তা অনুমান করে সমরকে স্কুটারের ভাড়া চুকিয়ে হেটে যেতে বললেন।
-ভাড়া দিয়ে দাও…হেটেই যাবো।যে অবস্থা তাতে হেটে গেলেই আগে যেতে পারব।
-চলো,
ভাড়া চুকিয়ে ওরা নীরব রাজপথ দিয়ে হাটছেন।
-বুঝলে স্বর্ণা জঙ্গিরা এমন মগজ ধোলাই করেছেন যে সন্ত্রাসী কাজে তার নিজ শিশু সন্তানদেরকেও পরকালে বেহস্ত লাভের আশায় নিয়োজিত করেন।আজ কাল মায়ের বুকেও শিশুরা নিরাপদ নয়।অবাক কান্ড!
সূর্য্যদের বাড়ীতে আজ অনেক মেহমান।অভি স্বর্ণা সমর সহ নন্দিনীর মামীও এসেছেন কেবল নন্দিনী আসেননি।মা সকাল থেকেই কাজের বোয়ার সাথে রান্নায় ব্যাস্ততা শেষ করে তাদের সাথে বৈঠক ঘরে বসলেন।সেখানে সবাই টিভিতে খবর দেখছেন। জঙ্গি হামলার ঘটনাগুলো লাইভ দেখাচ্ছেন।পাশাপাশি সদ্য শেষ হওয়া নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেসনের নির্বাচন নিয়ে একটি প্রতিবেদন দেখাচ্ছিল।
২০১৬ সালের নাসিক নির্বাচনটি ছিলো বাংলাদেশের জাতীয় রাজনিতীর নির্বাচনের জন্য একটি মডেল রোল।এতো শত স্ফুর্ত মানুষের অংশগ্রহণ এবং নির্ভেজাল সন্ত্রাসহীন এমন উৎসব মুখর নির্বাচন দেশের কোথাও আর হয়নি।নারায়ণগঞ্জ যেমন এক সময়কার প্রাচ্যের ডান্ডি থেকে সরে গিয়ে সন্ত্রাস আর মাদকতায় নোবেল নিতে চলছিলো ঠিক এমন সময় এমন একটি সুষ্ঠু একটি নির্বাচন মানুষের ধ্যান ধারণাকে পাল্টে দেয়।
টিভি দেখার আসর থেকে মা স্বর্ণা অভি সমর নন্দিনীর মামীকে নিয়ে পাশের রুমে গিয়ে সোফায় বসলেন।সূর্য্য টিভির সামনেই টিভি দেখছেন তবে মাকে অবলোকন করছেন আড় চোখে।মায়ের মুখ ভারাক্রান্ত হয়তো তার শেষ ইচ্ছেটি পূরণের অপেক্ষায় স্রষ্টা তাকে জীবিত রেখেছেন।
-আমি তোমাদের আজ ডেকেছি একটি মাত্র কারনে যা অনেক দিন যাবৎ তোমরা ঝুলিয়ে রেখেছো।
-কি বলুন?
-নন্দিনী সূর্য্যের বিয়ের ব্যাপারে,তুমি কি বলো?তুমিতো ওর মামী তোমাকেইতো আগে মত দিতে হবে,কি বলো অভি?
-হ্যা তাতো ঠিক তবে,
অভির এমন প্রশ্নবোধক শব্দে মা আশ্চর্য হন।
-তবে কি অভি?
অভি তাকাচ্ছে সমরের দিকে আবার দুজনেই তাকাচ্ছেন মামীর দিকে।তাদের এমন তাকানো কি যেনো লুকাচ্ছেন মাকে মা তা বুঝতে পেরে হঠাৎ নন্দিনীর মামীর ডান হাতটি তার মাথায় চেপে ধরেন।
-আমার মাথার দিব্যি লাগে আজ তোমরা আমার কাছে কিছুই লুকাবে না।বলো সব খুলে বলো।নন্দিনী কি রাজি নয়!নাকি সূর্য্য, না অন্য কোন কারন আছে।বলো আজ সব বলবে।
মা যেনো নাছোর বান্দা এবার সত্য না জেনে মাথা হতে হাত নামাবেনই না।সূর্য্যের মন কেমন আনচান করছে, মা ওদের রুমে নিয়ে গেছেন না জানি সব ফাস হয়ে গেলো।সে টিভি রুম থেকে উঠে রুমটির দরজার পাশে আড় পাতলেন।উপায়ন্তর না পেয়ে নন্দিনীর মামী মাকে আশস্ত করলেন।মা তার মাথা হতে হাটি নামালেন।
-দেখুন,নন্দিনী সম্পর্কেতো আপনি সবই জানেন ওর জন্মের কোন পরিচয় নেই,আমাদের সমাজে জন্ম পরিচয়হীন একজন মেয়েকে কেউ পুত্র বধু হিসাবে মেনে নিবেন না।
-আমিতো মেনে নিয়েছি,ওযে ‘৭১ যুদ্ধে দত্তক নেয়া শিশু,বেড়ে উঠেছে বিদেশের মাটিতে…আমি সব জানি।
-না আপনি সব জানেন না,
-মানে!
-একটু শক্ত হন আপনি জানলে হয়তো সহ্য করতে পারবেন না।
-বলো কি এই মেয়ে এই….আমি কিন্তু ‘৭১ এর বীরাঙ্গনা।আমার সব ছিলো,ছিলো সুখী এক পরিবার,আমি কিন্তু আমার স্বামীর সাথে সংসার করেছি কেবল বাসর রাতটি।তারপর যুদ্ধে স্বামী শহীদ হন বাবা নিখোজ…যুদ্ধ শিশু এই সূর্যকে নিয়ে আমাকে বাচতে হয়েছে,সমাজের অনেক কটু কথা শুনে ঘাত প্রতিঘাতের মাঝে যুদ্ধ করে এ পর্যন্ত এসেছি।আমার ধৈর্য শক্তি অনেক,তুমি বলো.. কি এমন বাধা ওদের দুজনের মাঝে ,বলো।
-না মানে,
-মানে মানে করছো কেনো?
-কোন মা বাবাই চাইবেন সন্তানের জীবনটা নষ্ট হউক।
-নন্দিনীকে পুত্র বধূ করলে যদি ভাবো সূর্যের জীবন নষ্ট হয় তাতেও আমার দুঃখ নেই তবুও ভাববো আমার বাবা,আমার স্বামী সহ লক্ষ লক্ষ ভাই বোনের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এ স্বাধীনতা পরবর্তী বীরাঙ্গনাদের যে অমানবিক পরিস্থিতির সামাল দিতে হয়েছে,স্বাধীন দেশের মুক্তিযোদ্ধারাও যখন ঐ সকল গর্ভিত পোয়াতি বীরাঙ্গনার ভুমিষ্ট শিশুদের দেশে রাখার অস্বীকৃতি জানিয়ে বিভিন্ন দেশে দত্তক পাঠিয়েছেন,কেউ কেউ ভুমিষ্ট জারজ সন্তান রেখেই,সামাজিক ভাবে তিরস্কারের ভাষা শুনে শুনে নিজেই আত্ব হত্যা করেছেন সেই সব বীরাঙ্গনাদের….নন্দিনীর মা একজন।আমার বিশ্বাস এ প্রজন্মের আমার ছেলেও আমার মতে মত দিবেন তার নমুনা এই তোমরাই।পূর্ব পূরুষদের রক্তে অর্জিত এ স্বাধীনতার ঋণের মান তোমরা তোমাদের সামাজিক কর্ম কান্ডে রাখছো রেখে যাবে।
এরই মধ্যে সূর্য্য চোখের কোণে জমে থাকা কষ্টের নোনা জল হাত দিয়ে মুছে রুমের ভিতরে প্রবেশ করেন।সমর অভিকে হাত দিয়ে ইশারা করে মায়ে পাশে মায়ের দু হাতটি চেপে ধরে বসেন পড়েন।অশ্রু নয়নে সূর্য মাকে কথা দিলেন আজ এই বিজয় দিবসে মা যা বলবেন তা সে মাথা পেতে নেবেন।
-মা এখন আর তোমার কাছে কোন কিছু লোকাবো না।আমরা দুজনেই রাজি আছি আবার দুজনেই দূরে সরে যাই, এই ভেবে যে তা বললে তুমি সইতে পারবে না।
-তবুও বলতে হবে।
-ওর ব্রেন ক্যান্সার হয়েছে।ডাক্তারদের রিপোর্ট অনুযায়ী ওর দিন ফুরিয়ে আসছে।
১৩টি মন্তব্য
মোঃ মজিবর রহমান
-বলো কি এই মেয়ে এই….আমি কিন্তু ‘৭১ এর বীরাঙ্গনা।আমার সব ছিলো,ছিলো সুখী এক পরিবার,আমি কিন্তু আমার স্বামীর সাথে সংসার করেছি কেবল বাসর রাতটি।তারপর যুদ্ধে স্বামী শহীদ হন বাবা নিখোজ…যুদ্ধ শিশু এই সূর্যকে নিয়ে আমাকে বাচতে হয়েছে,সমাজের অনেক কটু কথা শুনে ঘাত প্রতিঘাতের মাঝে যুদ্ধ করে এ পর্যন্ত এসেছি।আমার ধৈর্য শক্তি অনেক,তুমি বলো.. কি এমন বাধা ওদের দুজনের মাঝে ,বলো।
এমন সৃতি আকড়ে আছে কতজন কতদিন।
ভাল লাগলো মনির ভাই।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
ধন্যবাদ মজিবর ভাই।বিজয়ের শেষ দিকে আমার এ পোষ্ট ।শ্রদ্ধা সকল বীরাঙ্গনাদের প্রতি। -{@
ইঞ্জা
কিছু সময় বুক ফুলে দুই হাত হলো আর শেষে এসে বেদনাহত হলাম, অসাধারণ একটা লেখা পড়লাম ভাই।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
এটাই বাস্তবতা।ধন্যবাদ। -{@
ইঞ্জা
শুভেচ্ছা -{@
ছাইরাছ হেলাল
এ বিজয়ানন্দকে যতক্ষণ পর্যন্ত সবার কাছে পৌঁছে দিতে না পারি
ততক্ষণ স্বস্তি নেই।
এ সময়ের দারুণ একটি লেখা।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
হ্যা ঠিক তাই এটা যে আনন্দাশ্রু -{@ ধন্যবাদ।
নীলাঞ্জনা নীলা
দারুণ লিখেছেন মনির ভাই। অসাধারণ!
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
ধন্যবাদ দিদি।ভাল থাকবেন। -{@
মৌনতা রিতু
“নিজেকে উপলব্ধি করতে হলে ছেড়ে দিতে হয় নিস্তব্দ রাতের অন্ধকারে” লাইনটি বেশ লেগেছে আমার।
বর্তমানে বিশ্বে যা হচ্ছে তাতে শুধু মনে হচ্ছে, এই সভ্যতার বিনাশ শুরু হইছে।
সত্যি মনির ভাই, আসলে কিছু বলার নেই। আমি তো বিশ্বাস করেন, এখন দেখিও না এসব খবর।
কেন যেন অসুস্থ হয়ে পড়ি। মন থেকে ঝেড়ে ফেলি, তবুও মনে ওটাই ভাসে। তখন ভাবি, কি দরকার এগুলো দেখার! যা হচ্ছে তাতে আমার কি! এই যে মিথ্যে শান্তনা দেই নিজেকে, তাও এক সময় ভোঁতা হয়ে যায়।
ভালথাকুন।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
না দেখতে চাইলেও আপনি দেখবেন যাদের মন ভালো যাদের মনে অন্যের প্রতি সামান্য দরদ থাকে তারা চোখে নয় মনের চোখ দিয়ে দেখেন অনুধাপন করেন।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
জিসান শা ইকরাম
বেশ কিছু প্রসংগ এসেছে লেখায়,শেষ অংশটুকুই লেখার চুম্বক অংশ।
এমন লেখার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
আপনে ব্লগে আসতে পেরেছেন বলে আল্লাহর কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য। -{@