আগের পর্বেই কইছি আমি ছিলাম এক পোলা। মানে একলা নাতি। একলা ভাগিনা ও ভাতিজা। তাই আব্বুর শাসন তেমন একটা কাজে লাগতনা, দাদা দাদি, নানা নানি আর ফুপি খালা মামা চাচাদের (ছোট চাচু বাদে) কারনে।আমি পেয়েছিলাম সীমাহীন স্বাধীনতা। আর চেহারাটার মধ্যে একটা গুডি গুডি ভাব ছিল(আম্মা বলে),বিধায় অনেক আকাম কইরাও সাইরা গেসি।
আর অভিনয় প্রতিভা
যাই হোক নানা বাড়ি বেরাতে গেলেই নানু ম্যাচ গুলা তালা দিয়া রাখত। আমার সমবয়সী মামা কামলাদের জন্য বিড়ির প্যাকেট আর ম্যাচ নিয়া যাইতে ছিল, ওরে বললাম তুই জাম গাছে ওঠ জাম পার, আমি বিড়ি দিয়া আহি।বিড়ি নিয়া ক্ষেতে যাইয়া দেখি তাদের কাছে ম্যাচ আছে, তাই ম্যাচ টা আর না দিয়া খালি বিড়ি দিয়াই চলে আসলাম।( তখন সদ্য আব্বুর মতো করে ম্যাচ ধরাতে শিখছি ।আম্মুর আর চাচির রান্না ঘরের সব ম্যাচ প্রাকটিসে শেষ কইরা।
আর চাচাতো বইনেরে কেবল দেখাইতেসি দ্যাখ আমিও আব্বু হইসি, হের মতো ম্যাচ জালাইতে পারি, কয়দিন পর আমিও সিরগেট খামু অমনি পিছন থেকে কানের ওপর ধাম ধুম———-ছোট চাচু) 🙁
আইজকা চান্স পাইসি মনের সুখে ম্যাচ জালামু রে এ এ এ এ এ। আব্বুর মত ফট শব্দ সহকারে ম্যাচ জ্বালাই আর ভাবী এই আগুন তো নিভভা যায়, বেশিক্ষণ কি জ্বলব? ইউরেকা খাইরুল মামাদের খরের গাদা। তারপর হাউ কাউ পানি কলসি বালতি ইত্যাদি ইত্যাদি। ঘণ্টা খানেক পর বিচার। নানা ভাই কয়, ভাই ম্যাচ পাইলা কই? আমি গোবেচারা মুখ করে বলি হেলাল(ছোট মামা) দিছে।
কি মাইরটাই না দিল বড় মামায়।
হেলাল রে।
নৌকা দিয়ে বিলে ঘোরার সময় মনে হল ঠিক জুইত হইতাসে না। কি করি , বাদসারে কইলাম দেন আমি বাঁই, বাদসা তো দিলই না উল্টা ধমক, জুত কইরা বইসা থাক নাইলে কিন্তু নামায়া দিমু। আমি মনে মনে কই রাখ দেখাইতাসি। বাদসা মিয়া কাজ করে নানা বাড়িতে আর থাকে কাচারি(বাংলা) ঘড়ে, খায় বিজলি বিড়ি। ধান কাঁটা কামলারাও খায় । তাদের কাছে গিয়া বাদসা মামায় বিড়ি চায় বলতেই ২/৩ টা দিয়া দিল। তারা মামার ম্যাচ চুরি কইরা বারুদ খুইলা, কি যত্ন কইরা যে বিড়ির মধ্যে ঢুকাইছি আমিই জানি। বাদসা মিয়া গোসল করতে গেসে এই ফাকে তার প্যাকেট থিকা ২টা বিরি সরাইয়া আমার ২টা রাইখা দিছি।
পরদিন সকালে বাদসায় মুখ ধইরা হাটে, মুখ ধইরা কথা কয়। নানায় কয় তুই কি নতুন জামাই? মুখের তে হাত সরাস না কেন? হাত সরা। হাত কি আর সরে? ২/৩ বার বলার পর হাত সরাতেই হা হা হা হা।
অর্ধেক মোচ আছে
২২টি মন্তব্য
হৃদয়ের স্পন্দন
হা হা হা চরম বান্দর তো আপনে
সাইদ মিলটন
😀 😀 :p
প্রহেলিকা
বেচারা আপনার খপ্পরে পইরা কি মাইরটাই না খাইলো হেলাল!!! পিচ্চি বান্দর বড় হইয়া কি করলো ঐডাও হুনতাম চাই।
সাইদ মিলটন
পিচ্চি বান্দর বড় হইয়া বুইড়া বান্দর হইছে 😀
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
হা হা হা কষ্টের মাঝে হাসালেন। -{@
সাইদ মিলটন
😀 \|/
ব্লগার সজীব
ভাই,আপনি দেখি দুষ্ট সম্রাট ছিলেন।দুষ্টামি আমিও করেছি,শুনেছি তবে আপনার এই দুষ্টামি সেরা হয়ে থাকবে আমার কাছে। :D)
সাইদ মিলটন
আমার স্কুলের স্যারেরা পুলাপাইনে বেশী বান্দ্রামি করলে আমার নাম নিয়া এখনো কয় এইটা সাইদ্যা টাইপ বান্দর :p
ব্লগার সজীব
হা হা হা হা হা , বলবেই তো।সাঈদ তো একপিচই হয় :p
সাইদ মিলটন
:p
প্রজন্ম ৭১
গতরাতে পড়লাম।পিসি না থাকায় মন্তব্য দেয়া হয়নি।মোচের উপর থেকে গিয়েছে,মুখ পোড়া উপাধী পায়নি মনে হয় 🙂
সাইদ মিলটন
ম্যাচের বারুদ ধপ কইরা একবারে জ্বইলা উঠেতো দাদা, বেশীর ভাগ মোছের উপ্রে দিয়াই যায় 😀 কারণ সবাই আগুন জ্বইলা উঠলেই বিরি ছুইরা ফালায়া দেয় 😀
ছাইরাছ হেলাল
পিচ্ছি এখন ভাল হয়ে গেছে।
আবার একটি কথাও চালু আছে, বানরেরা বড় হয়ে গেলেও গাছ বেয়ে ওঠা নাকি ভুলে যায় না।
সাইদ মিলটন
হাহাহাহাহা বান্দর বুড়া হয়না ভাই :p
জিসান শা ইকরাম
হা হা হা হা, হাসিই একমাত্র মন্তব্য দেয়া যায় এখানে 🙂
সাইদ মিলটন
😀 😀 😀
শুন্য শুন্যালয়
আপনি তো তাহলে ব্র্যান্ড হইয়া গেছেন, সাইদ্যা টাইপ বান্দর 😀
বান্দর দেখছি, শুনছি আপনার মতো জলজ্যান্ত শুনিনাই। :D)
সাইদ মিলটন
😀 :p
মিথুন
বান্দর দেখেই ঢুকে পড়লাম লেখায়, বাঁদরামি দেখার মজাই আলাদা, তাই বলে এতো? আর এতো পিচ্চিকালে? —————
সাইদ মিলটন
বান্দরের আবার বুড়া পিচ্চি কি ;? 😀
খেয়ালী মেয়ে
এরেই বুঝি কয় বাঁন্দর ;?
সাইদ মিলটন
জ্বি জ্বি 😀 বান্দর এরেই কয় :p