ধর্মের এত চর্চার পরও সমাজের সর্বত্র পশুত্বই প্রবলভাবে বিরাজ করছে। মনুষ্যত্বের পরিবর্তে চতুর্দিকে শুধু ভন্ড লোকের আনাগোনা।

পহেলা বৈশাখের মত একটি বর্ষপূর্তি উৎসব নিয়ে দেশের কিছু ইসলাম ধর্মাবলম্বী উগ্র সাম্প্রদায়িক রক্ষণশীল মানুষ বাংলা নববর্ষ পালনের সঙ্গে বিধর্মীয় উপাদান আবিষ্কার করে এর বিপক্ষে অপপ্রচার করছে।

তারা নব-বর্ষবরণ অনুষ্ঠানকে হিন্দু সংস্কৃতি বলে সমাজকে বিভ্রান্ত করছে। তারা জানে না- প্রতিটি জাতিরই নিজস্ব ইতিহাস-ঐতিহ্য থাকে। যার সঙ্গে কোনো ধর্মেরই বিরোধ থাকে না।

এ-সব গুজব রটানো ভানকারী ধূর্ত ব্যক্তি থেকে দূরে থাকতে হবে।

তাদের ভেতর সম্পূর্ণ আধ্যাত্মিকভাবে ফাঁপা।


ওদের চিনার উপায় হচ্ছে; কথায় কথায় প্রচুর ধর্মের দোহাই দিবে। সবকিছুতে ধর্মকে টেনে তালগোল পাকিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে। সূক্ষ্ম উপায়ে নিজেদের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে চাইবে।

এমন নয় যে; আইন কানুন বিচার পুলিশ নেই। সবই আছে। প্রত্যেকে কাজও করছে কিন্তু কেন যেন সমাজটাকে মানুষের বাসযোগ্য করা যাচ্ছে না।

এসবের মূলে রয়েছে ওয়াজ মাহফিলের মাধ্যমে সত্য, মিথ্যা, জানা এবং অজানা তথ্য ঢুকিয়ে দিনে দুপুরে তা প্রচার করা।

আমরা দিব্যি তা শুনছি, জানছি এবং অন্যকে জানাচ্ছি।

এখন প্রশ্ন, আমরা কি শুনছি আর বলছি, তা কি সবসময় খেয়াল করি? কখনও করি কখনও করিনা। যার কারণে ধর্মের কল বাতাসে নড়ছে, কিংবা চোরে না শুনছে ধর্মের কাহিনী।

৫২৬জন ৪৫৫জন
0 Shares

৪টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ