নেমকহারাম শব্দটির সাথে সবাই আমরা পরিচিত।কিন্তু এই শব্দটি কিভাবে প্রচলিত হয়েছিল তা আমরা অনেকেই অবগত নই।
শব্দের উৎপত্তি ও প্রসারঃ
আজ হতে ঠিক ২২৭ বছর পুর্বে যখন এই দেশে আয়োডিন যুক্ত লবণের প্রসার ছিলনা। মহেশখালীর লবণ চাষিরা বঙ্গোপসাগরের বিস্তীর্ণ তীরে লবণ চাষ করতো,জমিতে মাটি দিয়ে ছোট ছোট আল দিয়ে রাখত,জোয়ারের পানি এসে সে জমিতে উঠত।আবার ভাটায় শুকিয়ে যাবার পরে দেখা যেত লবণের হালকা একটি স্তর পরেছে।এমনি ভাবে অনেক বার জোয়ারের পানি জমিতে ওঠা নামার ফলে এক সময় বড় একটি স্তর হত লবণের। ঐ লবণ বস্তায় ভরে গরুর গাড়ি করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হত।ক্রেতারা বাজার হতে এই লবণ ক্রয় করে বাড়িতে নিয়ে মাটির হাড়িতে আচ্ছা মত ধুয়ে নিত।কারন এতে মাটি থাকতো।ধোয়ার পরে এটি একটু কাঠের ঢোল মত পাত্রে নিয়ে অন্য একটি কাঠের মুগুর দিয়ে দ্রুম দ্রুম করে আঘাত করে চুর্ন করে খাবার উপযোগী করা হত। রান্নার কাজে ব্যবহার করা হত এবং খাবার টেবিলেও কাচা লবণ হিসেবে বিভিন্ন লবণ দানিতেও পরিবেশন করা হত। লবণ দানীর ডিজাইন এবং সৌন্দর্য দিয়ে পরিবারের বনেদী পনাও বুঝা যেত।
দুইশত সাতাশ পছর পুর্বে আমাদের লীলাবতী আপুর দাদির দাদি আর শুন্য শুন্যালয় আপুর নানীর নানী ছিলেন সই। যোগাই মাধব নামের এক লোক ছিলেন লীলাবতী আপুর দাদির দাদি বাড়ির কর্মচারী।একসাথে এক কেজি চালের ভাত লাগতো তার।মাছ,তরিতকারী,ডাল দিয়ে বেশ আয়েশ করে ভাত খেত এই জগাই।ভাতের সাথে কাচা লবণ নিত একগাদা। কিন্তু এত খেলে কি হবে,সে বিভিন্ন লোকের কাছে তাকে খেতে দেয়না,আধা প্লেট ভাত দেয়, অথচ কাজ করতে করতে সে জীবন শেষ করে দিচ্ছে এমন কথা বলে বেড়াত।বলতে বলতে একদিন সে শুন্য শুন্যালয় আপুর নানীর নানীর কাছেও বলে ফেললো। আর যায় কোথায়, সই এর নামে দুর্নাম? নিজের চোখে দেখেছেন তিনি কতদিন একবাটি লবণ লাগে প্রায় জগাইর খাবার সময়।
* তুই এত্তবড় নেমকহারাম হয়েছিস,দাড়া আজ তোর চাকরীই শেষ করে দিচ্ছি।
= কাকী মা আপনার পায়ে পরি,আমার সব্বোনাস কইর্যেন না 🙁
* তোর মত নেমকহারাম এর কোন ক্ষমা নেই
সই এর বাড়ি গিয়ে
* ওলো সই গেলা কই,আজ শুনো এক নেমকহারাম এর কথা কই
– নেমকহারাম আবার কি জিনিস সই
* তোমার জগা রোজ লবণ খায় এক বাটি, আর আজ বলে তুমি নাকি খাবারে দাও ফাকি। [পাঠক শুন্য শুন্যালয় আপুর সাহিত্য চর্চা বংশ গত ]
নেমক খেয়ে যে লোক স্বীকার করে না সেই তো নেমকহারাম।
-তোমার কত বুদ্ধি,আজ আবার একটা নতুন শব্দ বানালে। মাঝে মাঝে টাসকি খাই তোমার বুদ্ধি দেখে।
এরপরের কাহিনী তো ইতিহাস।ধীরে ধীরে এই শব্দটি অকৃতজ্ঞ,বেইমান শব্দের পরিবর্তেও ব্যবহৃত হয়ে গেলো। এই ইতিহাসের তথ্য সুত্রঃ সজীবপিডিয়া ডট কম।
এত সমৃদ্ধ ইতিহাস থাকতেও এই নেমকহারাম শব্দটি আজ হুমকির মুখে। এটি গোয়ালে আছে বাস্তবে নেই এমন হতে চলেছে। মানুষ উচ্চ রক্তচাপ এড়াতে আজকাল কাচা লবণ খাওয়া প্রায় বাদ দিয়ে দিচ্ছে। এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে বাজারে লবনদানী বিক্রির পরিমাণ গত দশ বছরে ৮০% কমে গিয়েছে। বুঝুন অবস্থা।একদিন হয়ত টেবিলে আর কাচা লবণ স্থানই পাবেনা। তখন নেমকহারাম শব্দটির কি হবে?বলতে পারেন তরকারীতে,মাছ মাংসে লবণ তো দেয়া হয়। দেয়া হলেও তা সবজী,মাছ,মাংশ,ভর্তা হিসেবে পরিবেশন করা হয়,লবন হিসেবে নয়। সেদিন বেশী দূরে নয় যখন লবণ না খেয়েও মানুষকে নেমকহারাম বলা হবে,কিন্তু তা হবে অত্যন্ত ভুল।
পাঠকরা চাইলে নেমক নিয়ে আরো পোষ্ট দিতে পারি 🙂
৫৫টি মন্তব্য
স্বপ্ন
সজীবপিডিয়াতে তো দারুন সব তথ্য আছে।
ব্লগার সজীব
আরো কত কি যে আছে তা আমি নিজেও জানি না :p
সীমান্ত উন্মাদ
অসাম সজীব ভাই। শুন্য শুন্যালয়ের নানী লীলাবতী আপু দাদী সই ছিল। হা হা সেটা বুঝলাম কিন্তু আপনে এই যুগে জানলেন কেমনে??!! আপনার দাদা কি শুন্যের নানী আর লীলাবতী আপুর দাদির ফলোয়ার আছিল? হা হা, বেপক বিনোদন পাইলাম।
অনেক অনেক শুভকামনা নিরন্তর জানিবেন।
ব্লগার সজীব
আমি কিভাবে জানলাম? এটি জানতে হলে আপনাকে আমার *পান* { https://sonelablog.com/archives/17076 } পোষ্ট পড়তে হবে।আমার দাদুর দাদুকে পান কারা খাওয়াতো আশাকরি বুঝতে পারবেন :p
আপনার জন্যও শুভ কামনা।
সীমান্ত উন্মাদ
আপনার দাদুর দাদু কি এখনও বেঁচে আছেন, থাকলে আমি পায়ে ধরে সালাম করে আসতে চাই। জানতে কোন সিষ্টেম এ তিনি এদের দাদীদের পটিয়ে ছিলেন। ডিজিটাল পদ্ধতি আমার কাজে দিচ্ছেনা বলে আমি এখনও জীবন সাথী পাইলাম না। তাই এনালগ সিষ্টেমটা আমার জানা জরুরী। :p
ব্লগার সজীব
টপ সিক্রেট।বলা যাবে না :p
শুন্য শুন্যালয়
আমার নানীর নানী ছিল এত্তো গুনী
আর আমি কিনা তা অন্যের মুখে শুনি!!
প্রশ্ন তো আমারও সজু ভাইজানের পূর্বপুরুষ থেকেই আমার পূর্বকন্যাদের পিছনে লাগছে? তাইতো কই সজু ক্যান ইনবক্সে নকানকি করে :p
লীলাবতী রে যেদিন প্রথম দেখছি সেদিন ই ভাবছি এতো চেনা চেনা লাগে কেন? কাহিনী তাইলে এই?
সজীবপিডিয়া ডট কমে ক্লিক করে এই লেখাতেই ফিরে আসতেছি বারবার, ওরে চালু। তথ্য তাহলে এই পোস্ট ই? নেমক না থাকলে নেমকহারাম শব্দ তুলে দেয়া. হবে। চিন্তা কি? শুন্য শুন্যায়ের নানীর নানী নাই, তার নাত্নীর নাত্নী তো আছে। 🙂
সীমান্ত উন্মাদ
নাত্নির নাত্নির লগে সিরিয়াল তো আমি আগে দিছি, এইহানে সজীব ভাই হানা দিছে নাকি। ভাই আমি কলাম লাইনের এক্কেবারে সামনে খাড়াই আছি। \|/ আবার নাচতেও আছি সেই তখন থেইকাই।
ব্লগার সজীব
কুন লাভ হবেনা উম্মাদ ভাইজান.২২৭ বছর পুর্বেই আমার দাদুর দাদুকে পান খাইয়ে জন্ম জন্মান্তরের রিস্তা পাকা করে গিয়েছেন সবাই।নেচে নেচে হাত পা ই শুধু ব্যাথা হবে :D)
সীমান্ত উন্মাদ
তাইলে আর আমার এনালগ পদ্ধতী শিখা হল না। ;(
ব্লগার সজীব
🙂
ব্লগার সজীব
এই যে ছন্দ বের হয়ে গেলো। এ গুন এসেছে বংশ পরম্পরায়।
কোন ঘোরাঘুরি করেননি আমার দাদুর দাদু।পিছনেও লেগে ছিলেন না। অত্যন্ত যত্ন সহকারে মশলা দিয়ে পান খাওয়াতেন আমার দাদুর দাদুকে দুজনেই। ইতিহাস তাই বলে 🙂 সজীব পিডিয়ায় আরো তথ্য আছে,যথাসময়ে তা প্রকাশ করা হবে।
ঠিক ঠিক, শুন্য শুন্যালয়ের নাত্নীর নাত্নী আছে :D)
নীলাঞ্জনা নীলা
আমি প্রচুর লবণ খাই। তো নেমক নিয়ে আরোও পোষ্ট দিলে আপত্তি নাই।
তবে পেট ফেঁটে গেলে সার্জারির খরচও কিন্তু দিতে হবে। যে পরিমাণ \|/ :D) :D) :D) :D) \|/
ব্লগার সজীব
বেশী করে লবণ খেয়ে শব্দটিকে বাঁচিয়ে রাখুন নীলাদি 🙂 সার্জারীর ব্যাপারটা দেখবোনে পরে :p
অরণ্য
ভ্রমনে পড়া আমি পছন্দ করি না। তবুও আপনার লেখাটি অফিস বাসে বসেই পড়লাম। একা একা হাসলামও আপনার লেখা এবং মন্তব্যগুলো পড়ে। একটা শব্দ এমনিতে ভিতরে উচ্চারিত হলো “চাল্লু!” 😀
নুন একটু হলেও থেকে যাবে। কি যেন একটা কথা আছে না “নুনের মত ভালোবাসা”?
নেমকহারাম শব্দও থাকবে। আর আমরা বাঙালিরা গালাগালি একটু বেশি ভালও বাসি! 🙂
ব্লগার সজীব
নুনের মত ভালোবাসা লেখাটিও এই পোষ্টে এনেছিলাম।আরো কিছু প্রসঙ্গ এসেছিল।বড় হয়ে যায় বলে কাট করেছি। পরে কোন একদিন দেবো ভাবছি।
‘ আর আমরা বাঙালিরা গালাগালি একটু বেশি ভালও বাসি! ‘— তা আর বলতে :D)
মোঃ মজিবর রহমান
সজিব ভাই, আপনি কি আগত স্বপ্ন না দেখে বিগত স্বপ্ন দেখা শুরু করলেন।
বর্তমানের রাজনিতিরবিদ্দের মত।
না ফোনে জেনে নিলেন, শুন্য শুন্যালেয়ের নানী আর লীলাবতি আপুর দাদীর নিকট থেকে!
না হেসে থাকায় দায় যে ভাই।
নীলা আপুর মত খরচ পাথায়েন।
ব্লগার সজীব
এসব তথ্য সজীবপিডিয়ায় আছে ভাই 🙂 খরচের বিষয়টা বাকী থাকুক ভাই।
মোঃ মজিবর রহমান
সজিব ভাই কখন মরি ঠিক নাই, বাকীর ব্যাবসা করিনা। \|/ \|/ \|/ \|/
ব্লগার সজীব
একমাত্র আমিই না হয় বাকী রাখলাম ভাইয়া 🙂
মোঃ মজিবর রহমান
-{@
ব্লগার সজীব
-{@
ছাইরাছ হেলাল
এ দেখছি জন্ম-জন্মান্তরের নুনা-নুনি।
চলুক।
ব্লগার সজীব
হু, জন্ম-জন্মান্তরের নুনা-নুনি 🙂 চলিবেক 😀
ইমন
বাহ ! ধীরে ধীরে ব্লগ হয়ে উঠছে ব্যাক্তিগত খোশ গল্পের এবং মজা করার জায়গা। 🙂
ব্লগার সজীব
আমার ফেইসবুকে কোন ব্লগার এড নাই।তাই এখানে খোশ গল্পাই,মজা লই 🙂
ইমন
🙂
ব্লগার সজীব
🙂
অলিভার
বস টাইম মেশিনটা কই!
না মানে ঐ যে ঐ জামানার ঘটনার এত বিস্তারিত বর্ণনা (ইনক্লুডিং সাবটাইটেল :p ) যখন আছে তখন ভাবতে বাধ্য হইলাম যে আপনি অলরেডি সেই জামানা থেকে ঘুরে এসেছেন। আর এই ঘুরে ঘুরে তথ্য সংগ্রহ (ইনক্লুডিং সাবটাইটেল :p ) করার মাধ্যম তো টাইম মেশিন ছাড়া আর কিছু হইতে পারে বলিয়া ভাবতে পারতেছি না 😀
কিন্তু একটা প্রশ্ন আছে বস। এত কিছু থাকতে, মানে ভাত তরকারি ভত্তা সহ এত কিছু থাকতে কেনু যে মানুষ “লবণ” এর পিছনে ষড়যন্ত্র করে “হারাম” লাগিয়ে দিল তা আজ অব্ধি আমার এন্টেনায় ক্যাচ করলো না। যদি এই ব্যাপার নিয়াও একটু টাইম ট্রাভেল করিয়া তথ্য সংগ্রহ (ইনক্লুডিং সাবটাইটেল :p ) করিতেন তাহলে বান্দা বড়ই উপকৃত হইতো 😀 😀
পোষ্টে ডাবল ত্রিপল ক্রিপল লাইক দিতে চাইছিলাম, কিন্তু মডুরা ঐরকম সুবিধা রাখে নাই, বিধায় লাইক মনে মনে বুঝিয়া লওয়ার আবেদন রহিল।
ব্লগার সজীব
টাইম মেশিন অবশ্য আছে, একটা পোষ্ট দিয়ে দেবো কিনা ভাবছি।লবনের আর একটা পোষ্ট দেয়ার ইচ্ছে আছে। আসলে আমাকে এই ঝাতি চিনলো না।আপনি কেবল চেনা আরম্ভ করলেন :p সব কিছুই পাওয়া যাবে সজীবপিডিয়াতে 🙂
ধন্যবাদ অলিভার ভাইয়া।এত প্রশংসায় লজ্জায় আরক্ত হলাম -{@
অলিভার
অবশ্যই! অবশ্যই!!
আমি তো শয়নে, স্বপনে, আধো ঘুম, আধো জাগরণে শুধুই টাইম মেশিনের স্বপ্ন দেখি। আপনি যদি ইতোমধ্যে সেইটা আবিষ্কার করে ফেলেন তাহলে একটু সবিস্তরে বর্ণনা করিলে বান্দা বড়ই উপকৃত হইবে। আপনার সূত্রের উপর ভিত্তি করে মরিবার পূর্বেই একবার টাইম ট্রাভেল করিয়া নিজের ওমিক্রন বংশধরদের দেখিয়া অন্তরের সুপ্ত খায়েশ মিটাইয়্যা নিতে পারতাম :p
ব্লগার সজীব
আচ্ছা আচ্ছা অপেক্ষাইয়েন।জীবনে একবার চড়িবার ইচ্ছে পুর্ন হইবেক 🙂
অলিভার
😀 অনেক ভরসা পাইলাম আপনার প্রতিশ্রুতি পাইয়্যা, নয়তো আমি তো ইচ্ছাপূরণের কোন আলামতই দেখিতে পাইতেছিলাম না :p
ব্লগার সজীব
🙂 -{@
আবু খায়ের আনিছ
পড়ে আনন্দ পাইছি।
নিচের লাইনগুলো আপনার লেখার।
মাছ,তরিতকারী,ডাল দিয়ে বেশ আয়েশ করে ভাত খেত এই জগাই।ভাতের সাথে কাচা লবণ নিত একগাদা। কিন্তু এত খেলে কি হবে,সে বিভিন্ন লোকের কাছে তাকে খেতে দেয়না,আধা প্লেট ভাত দেয়, অথচ কাজ করতে করতে সে জীবন শেষ করে দিচ্ছে এমন কথা বলে বেড়াত।
এখানে লক্ষ্য করুন, সে বিভিন্ন লোকের কাছে তাকে খেতে দেয়না। এই লাইনটা কোন অর্থ কি প্রকাশ করছে??
আমার মনে হয় কোন লেখক খেয়াল করেন নি।
ব্লগার সজীব
সে বিভিন্ন লোকের কাছে তাকে খেতে দেয়না,আধা প্লেট ভাত দেয়, অথচ কাজ করতে করতে সে জীবন শেষ করে দিচ্ছে এমন কথা বলে বেড়াত। বাক্যটি এখানে শেষ। খেতে দেয়নার পরে কমা দেয়া।
পুরোটা মনযোগ দিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
খেয়ালী মেয়ে
তার মানে নেমকহারাম শব্দটার স্রষ্টা আমাদের শুন্য আপুর নানীর নানী 😮
নানীর নানীকে জানি কি বলে ডাকে ;?
এখন কথা হচ্ছে দুইশত সাতাশ পছর পুর্বে আমাদের লীলাবতী আপুর দাদির দাদি আর শুন্য শুন্যালয় আপুর নানীর নানী যখন সই ছিলো, তখন তাদের সাথে আপনার যোগসূত্রটা কোনদিক থেকে ছিলো?????????
সজীব ভাইয়া অনেক ভালো লেগেছেএএএএএএএএএএএএ 🙂 নেমক নিয়ে আরো আরো পোস্ট চাই……..
সবশেষে একটা কথা না বলে থাকতে পারছি না, এই সজীবপিডিয়া ডট কম সাইটটাকেও আমার নেমকহারাম টাইপের সাইট মনে হচ্ছে :p
ব্লগার সজীব
নানীর নানীকে নানীর নানী বলা হয় :p মাত্র দুইশত বছর,মানুষ তো হাজার হাজার বছরের ইতিহাস জানে।আমরা কি ঐতিহাসিক চরিত্র হতে পারি না? সজীবপিডিয়ার উপর আস্থা রাখুন পরী আপু।আমি কিন্তু আপনার ভবিষ্যতও বলে দিতে পারি 🙂 -{@
খেয়ালী মেয়ে
নানীর নানীকে নানীর নানী বলা হয় 😮
ইতিহাস জানা এবং চরিত্র হওয়া দুটোই কি আলাদা না ;? কি জানি আমি আবার কম বুঝি 🙁
আস্থা, তাও আবার সজীবপিডিয়ার উপর :@
আপনি ভবিষ্যতও বলতে জানেন?..কত্তো গুণ আপনার..বলেন দেখি আমার ভবিষ্যত কি ;?
ব্লগার সজীব
আপনার ভবিষ্যৎ সজীবপিডিয়া হতে জেনে বলে দিচ্ছি 🙂
খেয়ালী মেয়ে
সজীবপিডিয়া 😮 আবার সেই নেমকহারাম সাইট :@
ব্লগার সজীব
এত সমৃদ্ধ সাইট আপনি পাবেন কোথায়? :@
লীলাবতী
সজীব ভাইয়া,এইটা আপনি কি শুনাইলেন?আমি তো ইতিহাস শুনে মমি হয়ে গেলাম।আমাদের তাহলে জনম জনমের রিশতা? নিমকহারাম শব্দটি টিকে থাকবে কেবল অভিধানে,ধারণাটি মন্দ না।সজীব পিডিয়ায় আর কি কি তথ্য আছে জাতি জানতে চায়। পোষ্টে +++++++++
ব্লগার সজীব
এটুকুতেই মমি?আরো আছে তো সামনে।পোষ্ট আসবে আপু 🙂
জিসান শা ইকরাম
এটাকে কি ঐতিহাসিক পোষ্ট বলা যায়?
ব্লগার সজীব
কেন বলা যাবে না? ২২৭ বছর পুর্বের ইতিহাস :p
মিথুন
সজীবপিডিয়া ডট কম আমাদের সাথে এইভাবে নেমকহারামি করলো? লিঙ্ক গুতাইলেই এই পোস্ট। তারেক জিয়া আমাদের দেশে সব ঐতিহাসিকের জন্ম দিতাছে দেখি :p
ব্লগার সজীব
লিংকে সজীবপিডিয়ার ঠিকানাতেই নিয়ে যাচ্ছে আপনাকে 🙂 তারেক জিয়া ইতিহাসবিদ হতে পারলে আমি কেন পারবো না?
মিথুন
পাতে নেমক না খেলেও নেমক আছে, থাকবে। আপনার পোস্ট পড়ে মনে হলো লবনের বাটি থাকবেনা, এটাই বেশি চিন্তার। তাই নেমকবাটি হারাম শব্দের উৎপত্তি করা যেতে পারে। এবার লীলাবতীর দাদির দাদিকে এই আইডিয়াটা দিয়ে আসুন।
ব্লগার সজীব
আমি মনে হচ্ছে আমার লেখা বুঝাতে পারিনি আপনাদের। নেমকহারাম শব্দটি এসেছে লবণ খেয়ে গুন না গাওয়ার কারনে। মানুষ যদি লবণই না খায় তাহলে এই শব্দের কি হবে?নেমকহারামের পরিবর্তে তখন কি তরকারীহারাম বা সবজীহারাম বলা হবে?
নীতেশ বড়ুয়া
;? ^:^
এইসব দাদী নানীর পরে নেমক নিয়ে কি হলো তা না বলে চুপ করে গেলেন কেন :@
ব্লগার সজীব
কেউ জানতেই চাইলো না বর্তমান ইতিহাস।তবে শুন্য আপু আর লীলাবতী আপু উত্তরাধীকার সূত্রেই সই হয়েছে, যদিও শুন্য আপু তার সই কে ঢংগি বলেন :D)
নীতেশ বড়ুয়া
আরে আপনি শেখড়ে নিয়ে গেলেন, শেখর হতে কান্ড, এর পরে না হয় লতায় পাতায় বর্তমান 😀
ঢংগি, ভত্তাবতী, ভত্তাবউ, মারদাংগা কত্তকিসু এই সই… অবশ্য শুন্যাপু উনার দাদীর নানীর মতই মাস্টারনি :p
ব্লগার সজীব
শুন্য আপুর অনেক মায়া 🙂
নীতেশ বড়ুয়া
আমাদের মাত্র একটি মায়া, অরুনি মায়া 🙁