ছেলেটা সব সময় চুপ চাপ, বেশিই, নাহ বড্ড বেশি। প্রতিদিন ক্লাস করে, তবে কেউ বুঝেই না সে ক্লাসের একজন, কারন প্রতিদিন সে চুপ করে আসে,ক্লাস শেষ করে চুপ করে চলে যায়।শুধু ক্লাসেই নয় সকল ক্ষেত্রেই ছেলেটি এরকম।
ছেলেটি নিজ থেকে অনুভব করতে পারে বিষয়গুলো, উপলব্ধি করতে পারে এ ধরনের জীবন সে কখনই চায় নি।সে চায় সবার সাথে চলতে, সবার সাথে মিলে মিশে একেবারে লেপ্টে থাকে,হই হুল্লু করতে কিন্তু সে পারে না। নিজের কাছে নিজেকে আশ্চর্য লাগে তার, সব কিছু এমন ভাবে কেন চলছে, তাকে যেন পুরণো কোন বেদনা প্রতিনিয়ত গ্রাস করছে, যেন সে হারিয়ে যাচ্ছে অতলে। যেখান থেকে বেরুবার কোন সুযোগ নেই।
ছেলেটি প্রতিদিন আকাশ দেখে,মনের অজান্তে হাজার লুকানো প্রশ্ন ছুরে মারে তাতে, কে জানে হয়ত আকাশ ঈ তার চিরচেনা বন্ধু। মাঝে মাঝে সে তাকে বলে আকাশ তুমি কি আমার কথা শুনছ, আচ্ছা বলত মানুষ যা চায় তা পায় না কেন, অথচ যেটা না চায় সেটা কেন হয়। এই যে দেখ আমি, আমি কি চেয়েছিলাম এরকম জীবন কিন্তু দেখ ভাগ্যর কি পরিহাস। যখন কাউকে হাসতে দেখি তখন নিজের মাঝের বেদনাটা হিংস্র রুপ ধারন করে, আমিও তো তাদের মত হাসতে চাই,আনন্দ টা ভাগাভাগি করতে চাই,কিন্তু পারি না কেন! আচ্ছা আমি হয়ত চলে যাব কিছুদিন পর তাই বলে কি আমার হাসতে মানা!
৬টি মন্তব্য
আবু খায়ের আনিছ
চাওয়া পাওয়ার হিসাব কষলে জীবনে দুঃখ সাগরে ঢেউ ছাড়া কিছু মিলবে না।
তামিম রুহুল
হু, জীবন সে তো আলো -আধারের খেলা..
অরুনি মায়া
কখনো কি ভেবে দেখেছি যা চেয়েছি তা পাবার কতটুকু ছিলাম যোগ্য
তাই বুঝি আজও হল না আমাদের জীবন নামক ব্যাধির আরোগ্য,,,
তামিম রুহুল
হুম…
নীলাঞ্জনা নীলা
হাসিটুকু কখনো কোনো দুঃখের অধীনে ফেলতে নেই। তাতে জয়ী হয় দুঃখ।
হেরে যেতে আসিনি আমি
ফেলে দিয়ে হাসিটুকু চলে যেতে দেবো না আমার জয়
না-পাওয়াকে সঙ্গী করে চলবো,
পাওয়ার দিকেই।
ছেলেটি সব পাবে। সময় এনে দেবে। (y) 🙂
তামিম রুহুল
হুম ঠিক বলেছেন 🙂