নামাজ পড়া প্রত্যেক মুসলমানদের জন্য ফরজ। তাই মুসলমান মাত্রই দল-মত-নির্বিশেষে নামাজ পড়তেই হবে। গভীর বিশ্বাস-আস্থা-বিনয়, সুরার অর্থ বুঝে, মানুষের কল্যানের জন্য কমিটমেন্ট নিয়ে মহান আল্লাহর সামনে ৫ বার দাঁড়ালে মনটাই একটা অনাবিল শান্তিতে ভরে ওঠে।
আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের উপর ঈমান আনা এবং তাওহীদ ও রেসালাতের সাক্ষ্য দান করার পর ইসলামে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নামায। এটা আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকে খাস একটি ইবাদত।
কেউ আল্লাহর ওপর ঈমান আনলে, কালেমা পাঠ করলে, তার জন্য নামাজ ফরজ হয়ে যায়। নামাজের আধ্যাত্মিক গুরুত্ব অপরিসীম। আজানের মধ্যে নামাজের আহবান জানানো হয় এই বলে: ‘নামাজের জন্য এসো।’ এরপরই বলা হয়, ‘কল্যানের জন্য এসো।’ এ থেকে বোঝা যায় যে নামাজের মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত কল্যান।
নামাজ ইসলামের মূল পঞ্চ স্তম্ভের অন্যতম। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘ইসলাম পাঁচটি খুঁটির ওপর প্রতিষ্ঠিত। আল্লাহ ছাড়া ইলাহ্ নেই এবং নিশ্চয় মুহাম্মদ (স) আল্লাহ রাসুল এ কথার সাক্ষ্য দান, নামাজ কায়েম করা, জাকাত দেওয়া, হজ করা ও রমাদান এর সিয়াম পালন করা।’ (বুখারি শরিফ, প্রথম খণ্ড, ইমান অধ্যায়, পৃষ্ঠা: ১৬, হাদিস: ৭)।
নামাজ বিষয়ে পবিত্র কোরআনে নির্দেশনা রয়েছে ৮২ বার। নামাজের উদ্দেশ্য হলো আল্লাহকে স্মরণ করা। আল্লাহ তাআলা কোরআন কারিমে বলেন, ‘আমিই আল্লাহ আমি ব্যতিত কোন ইলাহ নেই। অতএব আমার এবাদত কর এবং আমার স্মরণার্থে নামায কামে কর।’ (সুরা-২০ ত্বোয়াহ, আয়াত: ১৪)।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘ আপনি আপনার প্রতি প্রত্যাদিষ্ট কিতাব পাঠ করুন এবং নামায কায়েম করুন । নিশ্চয় নামাজ অশ্লীল ও গির্হিত কাজ থেকে বিরত রাখে। আল্লাহর স্মরণ সর্বশ্রেষ্ঠ। আল্লাহ জানেন তোমরা যা কর।’ (সুরা-২৯ আনকাবুত, আয়াত: ৪৫)।
আল্লাহ তাআলার যে বান্দা দৈনিক পাঁচবার আল্লাহ তাআলার সামনে হাত জোড় করে দাঁড়ায়, তাঁর প্রশংসা ও স্তুতি গায়, তাঁর সামনে ঝোঁকে ও সিজদাবনত হয় এবং দুআয় নিমগ্ন হয়, সে বান্দা আল্লাহ তাআলার বিশেষ রহমত ও মুহাব্বতের অধিকারী হয়ে যায়। তাঁর গোনাহখাতা ঝরে যেতে থাকে, পাপের পঙ্কিলতা থেকে জীবন শুদ্ধ হতে থাকে, অন্তর আল্লাহ তাআলার নূরে নূরান্বিত হয়ে ওঠে। হাদীস শরীফে নবীজী বড় সুন্দর উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়েছেন-
বলো তো, তোমাদের কারো ঘরের পাশেই যদি নহরনালা বহমান থাকে, আর সে তাতে দিনে পাঁচবার গোসল করে, তাহলে কি তার শরীরে কোনো ময়লা থাকতে পারে? সাহাবারা বললেন, ইয়া রাসুল ! কোনো ময়লা থাকতে পারে না। নবীজী বললেন, পাঁচ ওয়াক্ত নামাযেরও উদাহরণ তেমন। এর বরকতে বান্দার গোনাহখাতা মাফ হয়ে যায়। সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৬৬৭
বে-নামাযীর লাঞ্চনাকর অবস্থা:
কেয়ামতের দিন বেনামাযী সর্ব প্রথম যে অপদস্থতা ও লাঞ্ছনার শিকার হবে তা কোরআন শরীফের আয়াতে তার বিবরণ এসেছে–
”গোছা পর্যন্ত পা খোলার দিনের কথা স্মরণ কর, সিদিন তাদেরকে সেজদা করতে আহবান জানানো হবে, অতঃপর তারা সক্ষম হবে না “। সূরা ৬৮, আয়াত ৪২
তাদের দৃষ্টি অবনত থাকবে; তারা সুস্থ্য ও স্বাভাবিক অবস্থায় ছিল, তখন তাদেরকে সেজদা করতে আহবান জানানো হতো “। সূরা ৬৮, আয়াত – ৪৩
কেয়ামতের সেই কঠিন দিনে যখন আল্লাহ তাআলার বিশেষ নূর প্রকাশ পাবে এবং সকল মানুষকে সিজদায় পড়ে যেতে বলা হবে, তখন (যে খোশনসীব দুনিয়াতে নামায পড়তো, সে তো সিজদায় পড়ে যাবে। কিন্তু) যারা নামায পড়তো না, তারা সিজদার জন্য ঝুঁকতেই পারবে না। (কারণ তাদের কোমরকে কাঠের মতো শক্ত করে দেওয়া হবে।) ভয় ও লজ্জার কারণে তাদের চক্ষু অবনমিত থাকবে। লাঞ্ছনা ও গঞ্জনার আযাব তাদেরকে ঘিরে ফেলবে। এ শাস্তি এই জন্য যে, দুনিয়াতে তাদেরকে সিজদার প্রতি আহ্বান করা হতো, যখন তারা সুস্থ সবল ছিলো। তা সত্ত্বেও তারা সিজদায় ঝুঁকে পড়তো না।
আসুন আমরা সবাই ইবরাহীম আলাইহিস সালামের ভাষায় দুআ করি,
رَبِّ اجْعَلْنِي مُقِيمَ الصَّلَاةِ وَمِنْ ذُرِّيَّتِي رَبَّنَا وَتَقَبَّلْ دُعَاءِ. رَبَّنَا اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ يَقُومُ الْحِسَابُ
হে আমার আল্লাহ! আমাকে এবং আমার বংশধরদেরকে নামাযী বানিয়ে দাও। হে আমাদের মালিক! আমাদের এ দুআ তুমি কবুল করে নাও। ওহে আমাদের প্রভু! আমাকে, আমার মাতাপিতাকে এবং সকল ঈমানদারকে কেয়ামতের দিন তুমি ক্ষমা করে দিও। সূরা ১৪, আয়াত ৪০-৪১
নামায সম্পর্কে আমার ব্যক্তিগত অনুভূতি:
আমি নামাজ এবং ইসলাম ধর্মের অন্যান্য বিষয়ের অনেকের সাথে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। দেখেছি যে অনেকে নামাজ পড়ছে আবার ইসলাম কর্তৃক নিষিদ্ধ কাজগুলিও নিয়মিত চর্চা করছে, আবার অনেকে নামাজ পড়ছে দুই একটি বড় ধরণের অন্যায় কাজ হেলেদুলে ঠিকই করছে। তখন খুবই দ্বিধায় পড়ে যাই। আবার কিছু মানুষকে দেখেছি তারা নামাজও পড়ছে এবং অন্যান্য নির্দেশিত হুকুমগুলো চর্চা করার চেষ্টা করছে। নামাজ বিষয়ে আমার কিছু একান্ত ব্যক্তিগত অনুভূতি তুলে ধরার চেষ্টা করছি—
– যখন কেউ নামাজ পড়ে তখন বুঝতে হবে যে সর্বশক্তিমান আল্লাহ আমাকে দেখছেন। আর আমিই তার কাছেই নিজেকে নিবেদন করছি।
– প্রকৃত নামাজী কোরআন এবং সুন্নাহ’র আলোকে নিজের জীবন পরিচালিত করে।
– যে প্রকৃতপক্ষে নামাজের মা্ধ্যমে আল্লাহর কাছে নিজেকে সমর্পন করে সে কখনোই অপর ধর্মের কারো ক্ষতি করতে পারে না। যদি ক্ষতি করে তবে সে আসলেই ভন্ড ধার্মিক এবং সে লোক দেখানোর জন্যই নামাজ পড়ছে।
-যে প্রকৃতপক্ষে নামাজ পড়ে সে মানুষের কল্যানে নিজেকে নিবেদন করে। বিপদে-আপদে অপরের পাশে দাঁড়ায়।
– প্রকৃত নামাজী কখনোই অপরকে বিদ্রুপ, উপহাস করে না, কখনোই কাউকেই ছোট করে না। রাগকে নিয়ন্ত্রন করে। তার দ্বারা কখনোই মারামারি হানাহানি, খুনাখুনি হয় না।
-প্রকৃত নামাজী ধনী দরিদ্রদের মাঝে ভেধাভেদ করে না। সবাইকে সমানভাবে মূল্যায়ন করে।
– প্রকৃত নামাজী নারীদেরকে সম্মান করে এবং চোখ এবং মনের পর্দা রক্ষা করে। তার দ্বারা কোন নারী নির্যাতিত, ধর্ষিত হয় না। দ্বাম্ভিকতা পরিহার করে এবং বিনয়ী হয়।
– পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখে এবং অন্যান্যদেরকে পরিচ্ছন্ন থাকতে উৎসাহিত করে।
– সুদ, ঘুষসহ অন্যান্য হারাম কাজ, শিরক ইত্যাদি হতে সে হাজার মাইল দূরে থাকে
-প্রকৃত নামাজী যাকাত ঠিকমত দেয় এবং তার যাকাতে অন্যান্যরা উপকৃত হয়। আগামীতে যাকাত গ্রহীতা নিজেই যাকাত দিতে সক্ষম হয়।
-প্রকৃত নামাজী কখনোই ঠক, প্রতারনা, জালিয়াতি, দুর্নীতি করে না এবং ২ নম্বরী জিনিস ১ নম্বরী করে বিক্রি করে না, অতি মুনাফা আদায় করে না, ক্রেতাকে হয়রানী করে না
– প্রকৃত নামাজী কখনোই এতিমদের ঠকায় না, তাদেরকে হেফাজত করে, তাদের মালামাল আমানত রাখে এবং পরে তা ফেরত দেয়।
– যে কোন ধর্মের কেউ তার কাছে আমানত রাখলে পরে তা ফেরত দেয়, ধার নিলে কমিটমেন্ট অনুযায়ী উক্ত ধার পরিশোধ করে।
-স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা মেনে চলে এবং কমিটমেন্ট রক্ষা করে।
– প্রকৃত নামাজী আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করে চলে, ধনী গরীব ভেদাভেদ করে না, পরিবার, প্রতিবেশী ও গরিবের হক পালন করে।
-প্রকৃত নামাজী স্ত্রী-স্বামী পরষ্পরকে সম্মান করে, মা-বাবাসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সম্মান করে এবং দায়িত্ব পালন করে, উত্তরাধিকার আইন অনুযায়ী সম্পত্তির সঠিক বন্টন করে, কখনোই অন্যের সম্পত্তি নিজের বলে চালিয়ে দেয় না।
– সন্তানদেরকে প্রকৃত শিক্ষায় মানুষ করে গড়ে তোলে।
– পরিবার, প্রতিবেশীদের কেউ অসুস্থ্য/বিপদ হলে তাদের খোঁজ নেয় এবং প্রয়োজনে সাধ্যমত সেবা / সহযোগিতা করে।
– নেতিবাচক সমালোচনা করে সময় কাটায় না, সমালোচনা পরিহার করে এবং অন্যদের সমালোচনা পরিহার করতে উৎসাহী করে।
– প্রকৃত নামাজী সব সময়ই মোনাফেকী করা হতে বিরত থাকে।
– প্রকৃত নামাজদারী সব সময় বিনয়ী হয়, তার আচরণ দ্বারা অন্য কেউই কষ্ট পায় না।
– বিলাসিতার ভেতর গা ভাসিয়ে অবৈধভাবে সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলে না। বৈধভাবে উপার্জনের কিছু অর্থ/সম্পদ দরিদ্র মানুষদের কল্যানে দান করে।
-সৎ, চিরত্রবান হয়। জোর করে কারো উপর কোন কিছুই চাপিয়ে দেয় না ।
– অন্যায়কে ন্যায় বলে কখনোই কোন অবস্থাতেই মেনে নেয় না এবং অন্যায়ের প্রতিবাদ করে।
আমরা বিশ্বাস করি: লা~ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু মুহাম্মাদুর রসূলুল্ল-হ্ । অর্থ- আল্লাহ্ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নাই, মুহাম্মাদ (সা:) তার প্রেরিত রসূল।
নামাজ কিভাবে পড়তে হবে সে সম্পর্কে অনেক বই বাজারে আছে। তবে নামাজ পড়ার সময় অবশ্যই সহীহভাবে নামাজ পড়তে হবে। আসুন ! আমরা নিজেরা সহীহভাবে নামাজ পড়ি এবং অন্যদেরকে নামাজ পড়তে উৎসাহিত করি এবং সেইসাথে নিজেদেরকে পরিপুর্ণভাবে মানুষের কল্যানে নিজেদেরকে নিয়োজিত করি।
নোট: পবিত্র কোরআনের অর্থ বুঝে পড়লে প্রত্যেকটা বিষয়সূহ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারনা পাওয়া যায়। সেইসাথে সহীহ হাদিসগুলো পড়াও জরুরী । তাই আর দেরী নয়, আসুন ! কোরআন এবং হাদিসসূহ পড়ি এবং নিজের জীবনে প্রয়োগ করি এবং অন্যদেরকে সেই আলোকিত পথ অনুসরন করার জন্য উৎসাহিত করি।
২২টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
নামাজ কায়েম রাখতে পারেন কজন? একই সাথে নামাজ পড়েন, আবার অন্যায়ও করে যান। এমন মানুষের সংখ্যাই আমাদের দেশে বেশি। একটি ধারনা প্রচলিত আছে- আল্লাহ দয়ালু, বান্দার সমস্ত অন্যায় মাফ করে দেন। এই ধারনার ফলেই মুসলিমরা অন্যায় করে, এরপর নামাজে গিয়ে মোনাজাতে আল্লাহর কাছে মাফ চান, আবার অন্যায় করেন।
প্রকৃত নামাজী সব সময়ই শুদ্ধ একজন মানুষ হন।
এমন পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
দুই বছরের বেশি সময় পরে পোষ্ট দিলেন। সোনেলার সিনিয়র ব্লগারদের একজন আপনি। একসময় নিয়মিত ব্লগার ছিলেন এবং সবার পোষ্টে মন্তব্য দিয়ে সহ ব্লগারদের উৎসাহ দিয়েছেন। সোনেলায় নিয়মিত লিখুন আবার।
* প্রফাইলে গিয়ে এডিট করে একটি প্রফাইল পিকচার দিন।
শুভ কামনা।
স্বপ্ন নীলা
জিসান ভাই ! আন্তুরিক শুভেচ্ছা গ্রহন করবেন। আপনার মন্তব্য পেয়ে ভীষণ খুশি হয়েছি
বেশির ভাগ মানুষ নামাজ পড়ে আবার অনেক অন্যায় করেন এবং কিছু মানুষ ভয়ংকর ধরনের অপরাধ কার্যক্রম করে। ইসলামের নামে বোমা বুকে বেধে নিজেকে মেরে ফেলে। চিলে কান নিয়ে গেল বলে কিছু মানুষ দৌড় দেয়। অথচ তারা কোরআনের অর্থ বুঝে পড়ে না এবং হাদিসগুলোও পড়ে এর ভাবার্থ বোঝে না। এসকল মানুষের কারণেই মানুষ মুসলমানদেরকে খারাপ চোখে দেখছে–যা আমাকে প্রতিনিয়ত কষ্ট দেয়—
যাইহোক ভীষণ ভাল লাগছে এই ভেবে যে ব্লগের চেহারাই অনেক পাল্টে গিয়েছে। অনেক ভাল লেখা দেখছি। তাছাড়া অপশনগুলোও অনেক ইজি আর ব্যবহার উপযোগী করা হয়েছে। এক কথায় অসাধারণ—
জিসান শা ইকরাম
সোনেলার ইউজারদের বিষয়ে সার্ভে করে দেখা হয়েছে যে ৮৩% ইউজার মোবাইলে সোনেলায় আসেন। তাই সমস্ত অপশনগুলো মোবাইল বান্ধব করা হয়েছে। গতবছর সোনেলার নতুন ভার্সন লাঞ্চ করা হয়েছে। এতে মোবাইল এবং কম্পিউটার উভয় ডিভাইস দিয়ে ব্যবহার করা অত্যন্ত সহজ হয়েছে। সাইটের স্পিড বৃদ্ধি করা হয়েছে।
নতুন সোনেলা আপনার ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত আমরা।
ভালো থাকবেন। নতুন লেখা দিন।
শুভ কামনা, শুভ ব্লগিং।
স্বপ্ন নীলা
জিসান ভাই ! এখন বেশির ভাগ মানুষের হাতে মোবাইল থাকে। তারা মোবাইল দিয়েই ব্লগসহ অন্যান্য ওয়েবসাইটে কাজ করে–তাই বলবো আপনি সময় উপযোগী পদক্ষেপ নিয়েছেন। আমি বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ল্যাপটপ ব্যবহার করি, আর ল্যাপটপেও স্পিড পরিলক্ষিত হচ্ছে সুন্দরভাবে– ব্লগের ইতিবাচক পরিবর্তন আমাকে অভিভূত করেছে — আপনার সৃজনশীল চিন্তাকে স্যালুট—–শুভকামনা রইল
স্বপ্ন গোধূলি
নামাযে আত্মার পরিশুদ্ধি আসে। লোক দেখানো কোন ইবাদতই কারো কাজে আসে না। সত্যিকার ইমানদার হয়ে জীবন কাটানোর মাঝেই ইহকাল পরকালের শান্তি।
স্বপ্ন নীলা
আপনার সুন্দর মন্তব্য দেখে মনের ভেতর এক ধরনের শান্তি পেলাম। আপনি ঠিক বলেছেন লোক দেখানো কোন ইবাদতই আল্লাহ কবুল করবেন না। অনেক অনেক শুভকামনা রইল
সাখাওয়াত হোসেন
নামাজ সকল পাপ কাজ থেকে দূরে রাখে।
আল্লাহ সবাইকে সঠিকভাবে নামাজ পড়ার তৌফিক দান করুক। আমিন।
স্বপ্ন নীলা
নামাজ পাপসমূহকে ধুয়ে দেয়। যে প্রকৃত নামাজী তার দ্বার কোন অন্যায় কাজ হতে পারে না—আমার পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। নিরন্তর শুভকামনা রইল
রোকসানা খন্দকার রুকু
শেষ জামানায় লোক দেখানো নামাজী বেড়ে যাবে। কিন্তু নামাজ যে আত্নার পরিশুদ্ধি সেটা কখোনোই হয়না। নামাজ পড়ে আবার সকল অপকর্ম চালায়।
সুন্দর পোস্ট। শুভ কামনা রইলো।🥰🥰
স্বপ্ন নীলা
বেশির ভাগ মানুষ নামাজ পড়ে আবার অপকর্ম ঠিকই চালায়। কিন্তু আল্লাহর সামনে যদি কেউ ৫ বার নামাযের উদ্দেশ্য নিয়ে দাঁড়ায়, অর্থ বুঝে সঠিক নিয়মে কমিটমেন্ট নিয়ে দাঁড়ায় তবে সেই ব্যক্তির দ্বারা পাপ কাজ সংগঠিত হতে পারেনা। আমরা উল্টো দেখি ঘুষ খায়, সুদ খায়, মারামারি করে, অপরকে ঠকায় আবার মনের ভেতর লোভ লালসা রেখেই নামায পড়ে মাফ চায়, আবার সেই ব্যক্তি পুনরায় ঐ একই ধরণের কাজে লিপ্ত হয়। তাহলে আল্লাহ কি করে তাকে মাফ করবে। ঐ ব্যক্তির দ্বারা কিভাবে মানুষ উপকৃত হবে—
বেশির ভাগ মানুষই কোরআন অর্থসহ পড়ে না, হাদিসগুলোও পড়ে না। তারা মনে করে তাদের এসব পড়ে অযথা সময় নষ্ট করবে না। এখানেই তারা ভুল করে। —আমার ব্লক বাড়িতে আসার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ, শুভকামনা নিরন্তর
মোঃ মজিবর রহমান
নামাজে মানুষ প্রকৃত নামাজি হোক এই কামনা করি। ইনশাল্লাহ আল্লাহ পাক তা করে দিবেন। আপনার লিখায় মুগ্ধ হলাম সুন্দর উপস্থাপন।
স্বপ্ন নীলা
দীর্ঘ সময় পর ব্লগে এসে আপনার মন্তব্য পেলাম। ভীষণ খুশি হলাম মজিবর ভাই। আল্লাহ আপনাকে সুস্থ্য রাখুন, নিরাপদে রাখুন, দীর্ঘ আয়ু দান করুন
মনির হোসেন মমি
নামটি দেখেই চমকে গেলাম-এ কে! চেনা চেনা লাগে….আসলে ব্লগে পুরনো সহব্লগারদের আগমন ঘটলে মন খুশিতে ভরে উঠে।যাক কেমন আছেন আপনি?
আপনার লেখা সম্পর্কে আর কী বলব বরাবর গুরুত্বপূর্ণ লেখা লিখেন আপনি। এ লেখাটিও তাাই। আসলে নামাজ হল একজন মুুসলমানের আসল পরিচয়।পৃথবীতে বিভিন্ন ধর্মের লোকদের মধ্য হতে মুসলমান বা ইসলামধর্মের লোকদের বেছে নিতেও নামাজ অপরিহার্য।আপনার বক্তব্যগুলোর সাথে একটু যোগ করব এই করোনা কাল যাতে দেখা যাচ্ছে নামাজের জন্য দৈনিক পাচ ওয়াক্ত ওজু করলে করোনা প্রতিরোধে মুল কাজটি তাহল পয়পরিস্কার থাকা তা হয়ে যায়। আর নামাজ পড়ে কেউ যদি অপরাধ করে তবে তার চরিত্রের বংশগত দোষ। কায়মনে নামাজ কখনো অপরাধী বানায়না বরং নিজের আত্মাকে শুদ্ধি করে।
লিখুন আরো নিয়মিত চাইই।
সুস্থ থাকুন।ভাল থাকুন।
স্বপ্ন নীলা
দীর্ঘ সময় পরে ব্লগে এলাম।এসেই পুরাতন ব্লগারদের খোঁজ করছিলাম। আপনার অসাধারণ মন্তব্য পেয়ে ভীষণ ভীষণ আনন্দিত হয়েছি। ব্লগের চেহারাটাই পাল্টে গিয়েছে। দীর্ঘদিন বাপের বাড়িতে এলে যে অনুভূতি হয় আমারও সেই ধরণের আনন্দ লাগছে——আপনি অসাধারণ লিখেন। আপনার লেখার গভীরতা অনেক ব্যাপক–আসলে ইন ভেপথ এবং তাৎপর্যপূর্ণ লেখার সংখ্যা দিন দিন কমে আসছে– মানুষ এখন যে কোন একটা বিষয় নিয়ে টেনে হিচড়ে বড় করে যা পড়ে তরুনরা তেমন কিছুই শিখতে পারে না– আপনার মত লেখকের সংখ্যা আরো বাড়ুক —-
আল্লাহ আপনাকে সব সময়ই সুস্থ্য রাখুন——-
মনির হোসেন মমি
আমীন।অসংখ্য ধন্যবাদ।
স্বপ্ন নীলা
প্রিয় লেখক ! সব সময়ের জন্য দোয়া রইল
বোরহানুল ইসলাম লিটন
নামাজ সকল পাপ কর্ম থেকে দূরে রাখে।
যদি কেউ নামাজও পড়ে আবার অন্যায়ও করে
তবে সে নামাজের পবিত্রতা থেকে অনেক দূরে।
সীমা লঙ্ঘনকারীকে আল্লাহ তায়ালা কখনোই পছন্দ করেন না।
মূল্যবান উপস্থাপনা মুগ্ধতা ও ভালোলাগা অন্তহীণ।
আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা জানবেন সতত।
স্বপ্ন নীলা
লিটন ভাই ! এত সুন্দর করে মন্তব্য করেছেন যে আমি সত্যিই মুগ্ধ হয়ে গেলাম। ঠিক বলেছেন প্রিয় ব্লগার- “সীমা লঙ্ঘনকারীকে আল্লাহ পছন্দ করেন না।” —
আল্লাহ আপনাকে সব সময় সুস্থ্য রাখুন এবং দীর্ঘ আয়ু দান করুন
আরজু মুক্তা
নামাজ প্রশান্তি আনে মনে
স্বপ্ন নীলা
আপু ! আমার পোস্টটি পড়েছিন যেনে ভীষণ ভাল লাগলো–, শুভকামনা রইল নিরন্তর
শামীনুল হক হীরা
দারুণ।। আর কিছু বলার নেই। শুভকামনা অনন্ত।
স্বপ্ন নীলা
সবাইকে আল্লাহ প্রকৃত নামাজী করার তৌফিক দান করুন- প্রাণভারা দোয়া রইল ভাই