
কেউ বলেছিল সেদিন,
কবিতার মত স্নিগ্ধ সুষমায় ভরা তুমি।
খুব আপ্লূত হয়েছিলাম, নয়টার ফুলের মত ফুটেছিলাম তার আঙিনায়।
মনে মনে ভাবলাম, বাহ!
আমায় ছুঁতে সে কত উদগ্রীব!
গল্পের প্লট ও পেয়েছিলাম অবসরের কাটতে না চাওয়া দিনগুলোর জন্য।
তারপর আর কি?
দিন যায়, মাস যায়, বছর গড়ায়, আমি ধূলিমলিন হতে থাকি সেলফের কোণটায়।
বাবু কিন্তু রোজ পড়াশোনা করেন, মিস্টার পড়ুয়া বললেও ভুল হবেনা।
আশার সুতো কাটে বাজপাখি।
আমি ও নৈরাশ্যবাদী এখন।
ধীরে ধীরে বুঝতে পেরেছি, পাঠ্যবই আর কবিতার বইয়ের সূক্ষ্ম ফারাক।
কবিতা পড়ার জন্য অবসর আবশ্যক।
একান্ত নিরালা নাহলে ঠিক ভাব আসেনা।
আর নৈমিত্তিক হওয়ার জন্য প্রয়োজন সিলেবাস।
বারংবার ঝালাই করে নিতে হয় পাচে ভুলচুক না হয়ে যায়। এইত আমাদের নস্টালজিয়া এ পর্যন্তই।
সে কবিতা ভালোবাসে, আমি গল্প।
শুধু অবসর মিলেনা দুদণ্ড বসিবার।
২টি মন্তব্য
বন্যা লিপি
নস্টালজিয়া, সময় ধরে এগোতে এগোতে… আমরাই এক সময়ে পেছনের সময়ের নাম দেই…নস্টালজিয়া
কবিতা আর গল্পের দ্বন্দ্ব চিরকাল একটা দেয়াল হয়েই থেকে যায় পরস্পরের মাঝখানে।
শুভেচ্ছা রেখে গেলাম।
হালিমা আক্তার
মন্দ কি! সে গল্প আমি কবিতা। অথবা আমি উপন্যাস সে শেষের কবিতা। তবু কিছু টা ভালোবাসা জমে উঠুক। চমৎকার লিখেছো। শুভ রাত্রি।