
একদা হেঁটে যাচ্ছিলাম মরণপাখা হাতে,
একটি বৃক্ষ এগিয়ে এলো ছায়া হাতে, বললো খানিক জিরোতে,
কেমন ঘুমঘুম চোখে দেখলুম তাকে আদর করতে চাইছে ঝুঁকে!
তন্দ্রাঘোরেই ঝটিকায় সরিয়ে দিলাম, বললাম অনুমোদন আছে?
সে কিছু বলেনি, আহত হয়েছে হয়তো।
ব্যস আমাদের হবে হবে করে প্রণয় হলোনা যা হলো তা ও সুখকর নয়।
অতঃপর লাইসেন্সধারী আগন্তুকের অপেক্ষা প্রতীক্ষায়…
আদরের উপবাসে আমি ভুভূক্ষ প্রায়!
প্রেম, বিরহ, বিসর্জন সব বুকের সমুদ্রে ধারণ করতে না পেরে উছলে পড়ছিল শরীরী ভাগাড়ে।
কী জঘন্য বিচ্ছিরি অভিজ্ঞতা হয়েছিল পাঁচকান আর চৌরাস্তার মোড়ে।
কোলাহল ছেড়ে হাঁটছিলাম আবার আনমনে, একটা নদী এগিয়ে এলো, বললো বসোতো দুদণ্ড
কথা আছে অনেক, বেলা গড়ায় কথা ফুরায় না।
মনে হলো তরঙ্গায়িত নদী আমার দুঃখগুলো নিতে চায় কি?
জিজ্ঞেস করতেই তার চোখে রক্তের মশাল জ্বেলে দিল,
ভয় পেয়ে গেলাম, ওতো আমার চেয়ে ও গভীর অনল!
বললো পুড়বার অনুমতি পাবো কি?
ভাবলাম, আমি? আমার কাছে কারুর প্রয়োজন থাকতে পারে এখনো!
এ আমি কি শুনছি?
চোখদুটো শান্ত অথচ আমায় নেশায় মদির করে তুললো!
শাস্ত্র, গ্রন্থ, প্রথা, প্রাচীন, বিলুপ্ত, প্রচলিত ভিন্ন নামের বেড়িগুলো ভাঙবো আমি তার জন্য।
৬টি মন্তব্য
সাবিনা ইয়াসমিন
গভীরে যে যায় সেই বোঝে গভীরতার মাপ,
শান্ত স্রোতস্বিনীর বুকে জমানো শতাব্দীর অনল-উত্তাপ
রক্তাক্ত ক্ষতের জ্বলন-দহন!
নিরাময়ে নয় , কেবল বয়ে চলা সমুদ্র পানে..
বাঁধ দিয়ে দেয়ার পর নদী আর নদী থাকে না,
বহতায় নদী, গতিতেই ছন্দ।
সাবিনা ইয়াসমিন
শিরোনাম টা দারুন!
কিছু শিরোনাম পুরো লেখার চাইতেও কাব্যিক হয়।
বন্যা লিপি
যুতসই মন্তব্য করতে মাথাটা আগের মত আর নেই। এটুকু বলে যাই….. তুমি থেমো না কখনো। লিখে যাও বাঁধা সময়ের নিয়ম মেনে।
শুভ কামনায় ভালবাসা।
প্রদীপ চক্রবর্তী
কবিতাটার ভাবার্থ গভীর!
নদীর জন্য বেড়িবাঁধ নয়,
মানুষের প্রয়োজন ফুরালে তার কথার ধরণ ভিন্ন হয়।
তাকে আর কোনকিছুতে আটকানো যায় না।
.
..
যথার্থ লেখনী, দিদি।
রোকসানা খন্দকার রুকু
বাঁধের যে আপন হতে চায় না তারই কেবল এমনটি মানায়। এরাই আবার বাঁধের আহ্বায়ক।
শুভ কামনা রইলো কবি।।
হালিমা আক্তার
নদীকে তার আপন গতিতে ছুটতে দেয়া উচিত। আধুনিক সভ্যতার নাম করে প্রকৃতি ধ্বংস করে দিচ্ছি। শুভ কামনা রইলো।