লেখাটিতে কিছু দৃষ্টিকটু শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। আসলে অনেকটা বাধ্য হয়েই ব্যবহার করা হয়েছে।
বেশ কিছুদিন আগে জিপিএ-৫ পাওয়া ছেলে মেয়েদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল প্রথম আলো এবং টেলিটকের পক্ষ থেকে। ঢাকার ছাত্র ছাত্রীদেরকে এক সাথে নন্দন পার্কে সংবর্ধনাটি দেয়া হয়েছিল। আমি ঢাকা বোর্ডের নাহ,তাই যাই নি।
সংবর্ধনার পরের দিন,কলেজে একটা গাছের নিচে দাড়িয়ে আছি। মর্নিং শিফটের মেয়েদের ছুটির অপেক্ষায় দাড়িয়ে আছি…তাদের ছুটি হলে ক্লাশে ঢুকব। এর মধ্যেই একজন এসে গতকালকের সংবর্ধনার গল্প করা আরম্ভ করল। গল্পের সারমর্ম,
” তোরা না গিয়ে অনেক কিছু মিস করলি। মাম্মা কী জোশ জোশ মেয়েগুলাই না আসছিল। আমি আর আমার সাথের কয়েকজন ইচ্ছে মতোন মাইয়া টিপছি…!!! কাদার মধ্যে ইচ্ছা কইরা ধাক্কা দিয়া ফালাইয়া যা করছি রে মাম্মা!! ঢাকা কলেজের কয়েকটা পুলা এক মাইয়ারে টিপ দিছিল। যেই মাইয়ারে দিছিল সেই মাইয়াটা পুলাগুলারে ধমক দেওয়ায় পরে চান্সে কাদার মধ্যে শোয়াইয়া…!! আর সবচেয়ে মজার ব্যাপার কি ছিল জানছ? কোনো মাইয়ারে গায়ে টাচ করলেও কিছু কয় নাই ”
এতোটুকু শোনার পর আর দাড়িয়ে থাকতে পারি নি। তখন ভীষন লজ্জা লাগছিল এই ভেবে যে, আমি এইসব ছেলেগুলোর ব্যাচমেট,সহপাঠী!!
এখন ভাবতেই খারাপ লাগে যে, এরাই আমাদের নতুন প্রজন্ম। এদেরকে নিয়ে কিছু মানুষ দারুন একটা বাংলাদেশ গড়তে চায়। জানি না ভবিষ্যতে ঠিক কী হবে…তবে এতটুকুই বলতে পারি যে, প্রজন্ম সাংঘাতিক গতিতে এগিয়ে চলছে…এতোটাই গতিতে এগিয়ে চলছে যে, গতির চোটে শরীরের আগে যে মন আর পশুত্বের আগে মনুষত্ব্য আছে সেটাই ভুলে গেছে…
ধীরে প্রজন্ম ধীরে…!!!
১২টি মন্তব্য
জি.মাওলা
খুব বাজে আরণ
জিএম শুভ
🙁
শিশির কনা
এসব ছেলেরা অসভ্য , ছোটলোক , নীচ , ইতর , মানসিকতায় জংলি । বই মুখস্থ করেই মেধাবী হওয়া যায় না । শুধু বই পড়লেই হয়না , পারিবারিক শিক্ষা , কালচার এসব একজন মানুষের পরিচয়। জুতানো দরকার এইসব প্রজন্মকে।
অতিরিক্ত একখান কথা : আপনার লেখা পড়বো যদি আপনি আমার লেখা পড়েন। আমার লেখা পড়ে ভালো খারাপ যা কিছু বলবেন । নইলে এখানেই ইতি :p
জিএম শুভ
চেষ্টা করব ভাইয়া 😀
শুন্য শুন্যালয়
কিছু বলার নাই… 🙁
জিএম শুভ
হুম 🙁
নীহারিকা
সময়পযোগী লেখা। খুব ভালোভাবে আমাদের সমাজের এই অন্ধকার দিকটি ফুটিয়ে তুলেছেন। তবে এসবের জন্য সমাজ ও পরিবার সমান দায়ী। পারিবারিক শিক্ষা ভালো হলে কোন মানুষ এমন আচরণ করতে পারে না।
জিএম শুভ
কিছুটা সহমত পোষন করছি 🙂
খসড়া
কিছু বলতে পারছি না।
ছাইরাছ হেলাল
কঠিন বাস্তবতা তুলে ধরেছেন ।
অবশ্যই ধীরে প্রজন্ম ধীরে ।
জিসান শা ইকরাম
ধীরেও এইসব অসভ্যতাকে প্রশ্রয় দেয়া যাবে না ।
এটি প্রগতির কোন কথা নয়
এটি কুশিক্ষা ।
জিএম শুভ
সহমত পোষন করছি