বর্ণের সমাহারে এঁকে যাই অক্ষরের আঁকিবুঁকি- একদিন হয়ত সত্যিই কিছু লিখতে পারব….আশা রাখি, আশাতেই বাঁচি”
৩ বছর ১১ মাস ১৭ দিনে প্রমান করেছেন প্রতিটি লেখায়- তিনি কতটা লিখতে পেরেছেন/ লিখছেন। শুধু লেখা? তাঁকে যাদুর কাঠি বললেও কম বলা হবে। তিনি অন্যকে দিয়ে লিখিয়ে নিতেও পারঙ্গম সফল ভাবে। কাকতালীয় বলে বাংলায় যে বিষয়টাকে আমরা সাধারণত জোড়াতালি দিয়ে বুঝি! আর ইংরেজীকে বাংলিশে রূপান্তর করে যদি বলি! কোইন্সিডেন্স! তাহলে বুঝবেন, আমাদের পদার্পণ একই সময়ে, একই অঙ্গনে এই এখানে। কেউ কাউকে চিনি না। জানি না। পাঠকের আগ্রহ কতটা তীব্র হলে ফেলে দেয়া কাগজের ঠোঙাকে খুব সাবধানে আঠা ছাড়িয়ে পড়তে চায়?* এখানেও অজান্তেই মনের আচরনের মিল আমাদের দুজনায়। সোনেলা গ্রুপে যিনি আমার লেখা কন্টেন্ট ফেইলের কারনে পড়তে পারেননি জানিয়ে মন্তব্য করেছিলেন প্রথম- ‘ আমি লেখাটা দেখতে পাচ্ছি না কেন ‘প্রশ্ন করে! জবাবে আমি কি বলেছিলাম মনে নেই,এটুকু বলেছিলাম স্পষ্ট মনে আছে- আপনার পড়ার আগ্রহ হলে, আমার ওয়াল থেকেও পড়তে পারেন কষ্ট করে। তিনি আমার স্যোসাল মিডিয়ার বন্ধু  হয়ে এলেন আমার ফেসবুক আইডিতে। কয়েকটা লেখায় তার বিচক্ষণ মন্তব্য দিয়ে আমাকে ধাঁধায় ফেলছেন বিরতিহীন রকম। স্বল্পবাক্য,বাক্যের কাঠিন্য, আমাকে দোদুল্যমান ভাবনায় লোভী এবং দুঃসাহসী করে তুলতে যথেষ্ঠ।  তিনিও পাঠক, আমিও পাঠক। ব্লগবাড়িতে আনাগোণা শুধু পড়ুয়া পাঠকের পরিচয়ে। তিনি প্রথম পোষ্ট নিয়ে এলেন -২০১৮ এ ৪ অক্টোবর, ৩:২:৩৮ সেকেন্ডে। –

“অতপর সোনেলায়”-
পাঠকের জন্য তার প্রথম লেখাটির পুরোটাই দিয়ে দিলাম.

*হা হা হা, সোনেলায় লিখতে অনেক সাহস থাকতে হবে।

# আরে, কিছুই লাগবে না। সব আমরাই , নিজেদের ব্লগ,এর চেয়ে বড় সাহস আর আছে কি?

* ঠিক আছে দেন আইডি খুলে,,

# কি করবো বলুন,

* আপনি নিজের মনের মত করে দিন। আমাকে শুধু ইউজার নেম আর পাসওয়ার্ড দিলেই হবে।

# হুম, হয়ে গেছে এই নেন আপনার আইডির লিংক।

* থ্যাংকু ভেরি মাচ!!

# স্বাগতম

*ইয়েস, সব ঠিক আছে, আমি বুঝাতে পারবোনা, অনেক খুশি হয়েছি, এখন থেকে আপনাদের লেখাগুলো ভালো করে পড়তে পারবো। থ্যাংক্স এগেইন।

# মাথার মধ্যে কিছু কথা গেথে নিন,

* বলুন,,

# সোনেলায় লেখা মানে কোনো নোবেল পুরস্কারের জন্য নয়,

* আর??

# এখানে কোনো পরীক্ষা নয় যে,কারো লেখার ভালো খারাপে পাশ ফেলের কিছু নেই।

* তারপর?

# এটি আপনার বাড়ির উঠোন, যেমন ইচ্ছা তেমন করবেন, লাফাবেন, এক্কা দোক্কা খেলবেন, জোরে গান গাইবেন, মনে যা চায় তাই করবেন। সর্বোপরি এটি আপনার নিজেরও ব্লগ। যা মন চায় তাই লিখবেন।

* হা হা হা, শুনছি বলে যান,

# আমি নেইলকাটার দিয়ে নখ কাটতে পারিনা এটাও কিন্তু লিখেছি, ছোটবেলায় মুরগি ভয় পেতাম, এটাও শেয়ার করেছি। তাই যেমন খুশি তা লিখুন। বলা শেষ।
ও আর একটি কথা আছে,

* কি??

# আপনি আপনার নিজের আনন্দের জন্যে লিখবেন, অন্যের জন্যে নয়।

* আমি নখ কাটতে পারি আর মুরগিকেও ভয় পাই না। সময় ও সুযোগ মতো লিখবো ওকে।”…

তিনি নদী আর ফাগুণের একজন বিদগ্ধ প্রেমিকা। অসংখ্য অ-কবিতা( তার ভাষ্যমতে) লিখেছেন নদী আর ফাগুণকে নিয়ে। নেল কাটারে নখ কাটতে কাটতে তিনি কেটে ফেলেছেন এ যাবৎ যাবতীয় সব সংশয়হীনতা।  অপরিহার্য হয়ে গেছেন এই সোনেলা ব্লগের সমৃদ্ধির মূল সঞ্চালন পর্ষদের কার্যবিধির ছকে। কখনো কখনো ভীষণ ক্লান্তিতে গ্রাস করে আদ্যোপান্ত অবয়ব। তবু….. তরী বাইতে আবার হাল ধরতে তিনি ক্লান্তি বোধ করেননি কখনো।  নিজেকে অপ্রতিরোধ্য, ইর্ষনীয় পর্যায়ে তুলে নিতে কোনো নষ্ট প্রতিযোগিতায় কখনোই নাম লেখাতে হয়না। যার যতটুকু প্রাপ্য, তা ঠিকঠাক এসে সঞ্চয়ের পাত্রে ভরে যায়।
অদেখা, অ-চেনা এই মানুষটা দিনে দিনে আমার মস্তিষ্কে গেঁথে গেছে এক অপরিমেয় বন্ধু সঙ্গায়। আমি তাকে কতক বুঝি আমার নিজের ভাষায়-

দিনের প্রতাপ কমে এলে ঘাসেদের কাছে ফিরি -ফিরতে চাইলাম বলে; ।
কড়া ছেড়ে অবসন্ন হাত ঝুলে থাকে বড় অসহায় হওয়ার অজুহাতে। পেছনে- সামনে- ডানে- বাঁয়ে আমার চতুর্দিক আস্ফালন করতেই থাকে বিপজ্জনক হরেক রঙা সবুজ; দম্ভের মত চোখদুটো খোলা রাখি কেবল শুন্যের মধ্যিখান চিরে ফেরে পথ বের করে করে হেঁটে যাবার রাস্তা বানাবার জন্যে।
ঝাড়জঙ্গল সাফ করতে করতে কখন যেন চোরকাঁটাদের সঙ্গে সখ্য গড়ে নিয়ে চলছিলাম; সেখান থেকে বেরোতে এসে দেখি ঘরের বাতাস অভিযোগ রেখেছে লম্বা ফর্দে। পায়চারি করতে করতে এগোচ্ছি ছেঁড়া রোদ্দুর তালি দেব বলে…..
আমার ডান পাশে জ্বলে সবুজের হাতছানী, বাঁ’পাশে কর্তব্য।
পানির পিপাসা আমার কন্ঠতালু রোধ করে রাখে- আমি হাতড়ে বেড়াই একা একলা পাঁচ আঙুলের কড়ায় সমান হিসেব গুণব বলে….!!”

মাঝে মাঝে আমাদের কথা হয় প্রযুক্তির এই মহা সুযোগের মাধ্যমে। আমরা বিনিময় করি অনুভূতির। শব্দ আদান প্রদানের মাধ্যমেই আমরা একে অপরকে বুঝে নিই কে? কতটুকু? কি? শান্ত অথচ দৃঢ় গাম্ভীর্যের আদলে শব্দের ব্যাবহার, আমি স্পষ্ট দেখতে /শুনতে পাই তার কন্ঠস্বরের ওঠানামাটুকুও। বেশি বলে ফেলছি বোধহয়! হোক…..
তাকে নিয়ে লিখব বলে অপেক্ষায় ছিলাম। জানি… যেভাবে তাকে উপস্থাপন করা সম্ভব,,,, তার কিছুই আমার দ্বারা সম্ভব হয়নি। ৩ বছর ১১ মাস ১৭ দিনে তিনি দুইশততম পোষ্ট আপলোড করেছেন ভোররাত ৩-১৬-৩৮ সেকেন্ডে……..

স্বপ্ন প্রসবণ/

ইচ্ছে করে,
স্বপ্ন গুলো উড়িয়ে দেই পাখির ডানায়
টুকরো টুকরো হয়ে ছড়িয়ে পরুক সবুজের প্রান্তরে

কিছু লেপ্টে থাকবে আকাশের নীলে
কিছু গিয়ে আছড়ে পড়বে দুরন্ত নদীর বুকে
কিছু স্বপ্ন তপ্ত হয়ে ফুটতে থাকবে আগ্নেয়গিরির লাভায় প্রবল আক্রোশে কিছু স্বপ্ন নেমে যাবে পাহাড়ি ঢলে।”

এতক্ষণ তিনি/তার বলে বলে যাকে অভিহিত করলাম! আপনাদের কারো বুঝতে বাকি নেই নিশ্চিত, তিনি কে? তিনি সোনেলা ব্লগের অপরিহার্য এক নাম- সাবিনা ইয়াসমিন যাকে এই সোনেলা ব্লগই অভিষিক্ত করেছে “সোনেলা ইয়াসমিন ” নামে।  তোমার সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনায় পুরো ব্লগ টিম এবং পাঠক লেখকের পক্ষ থেকে জানাই অকৃত্রিম ভালবাসা, শুভেচ্ছা🌹🌹🌹🌹❤️❤️❤️❤️ তোমাকে ইর্ষনীয় পর্যায়ে ভালবাসে এই সোনেলা ব্লগের সকল পাঠক/লেখক সব্বাই। ছাড়িয়ে যাও স্বপ্ন থেকে আরো স্বপ্নের উচ্চতায়।

সাবিনা ইয়াসমিনঃ

নিবন্ধন করেছেন- ৩বছর ১১ মাস ১৭ দিন।
পোষ্টঃ ২০০
মন্তব্য করেছেনঃ ৬৯২১
মন্তব্য পেয়েছেনঃ ৬৩৮৩টি
মন্তব্য দেয়া নেয়ায় বোঝা যায় সাবিনা ইয়াসমিন কতটা ব্লগ নিবেদিত প্রাণ!” তুমি না থাকলে সকালটা এত মিস্টি হতনা” তুমি সোনেলার কান্ডারী… ভুলে গিয়ে বাঁচতে যেও না কখনো। ভালবাসা❤️❤️❤️❤️

৭৭৭জন ৪৭৪জন

৩২টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ