
বর্তমানে প্রত্যেক জেলা শহরে অনেক ভিক্ষুক দেখা যায়। যাঁদের সংসার চলে ভিক্ষায়, তাঁদেরই আমরা ভিক্ষুক বলে থাকি। এঁদের মধ্যে শহরে থাকা ভিক্ষুকদের ভিক্ষা বা খয়রাত করার স্টাইল একরকম, আর গ্রামগঞ্জের ভিক্ষুকদের ভিক্ষা করার সিস্টেম ভিন্নরকম। শহরে ভিক্ষা করা অনেক ভিক্ষুক নিজস্ব পদ্ধতিতে বানানো বিশেষ ধরনের তিনচাকা বিশিষ্ট গাড়ি চড়ে ভিক্ষা করে। কেউ কেউ আবার পাঁচ-সাতজন মিলে দলবেঁধে নির্দিষ্ট এক জায়গায় বসে গানের সুর তুলে ভিক্ষা করে। দলীয় ভিক্ষুকদের গানের সুর হলো–
‘আমার আল্লা রসূলের নাম
দিলে পরে সার,
আমার আল্লা রসূলের নাম।
কত টেকা কত পইসা হারাইয়া যে যা-য়-য়-য়,
অসহায়রে দান করিলে আখেরাতে পা-য়-য়।
আমার আল্লা রসূলের নাম।’
এমন আরও অনেকরকমের গানের সুর তুলে শহরের দলীয় ভিক্ষুকরা ভিক্ষা করে থাকে। কেউ কেউ চিৎপটাং হয়ে শুয়ে শুয়ে আল্লা আল্লা করতে থাকে। আবার কোনও কোনও ভিক্ষুকরা তিন-চারজন একসাথে লাইন ধরে হেঁটে হেঁটে আল্লা রসূলের নামে ভিক্ষা করতে দেখা যায়। কেউ কেউ আবার দলবল না করে একা একাই প্রতিদিন পায়ে হেঁটে ভিক্ষা করে। এঁদের মধ্য আছে কিছু মহিলা ভিক্ষুক। এঁরা প্রতি শুক্রবার সকাল হতে-না-হতে ঘর থেকে বের হয়। এঁরা প্রত্যেক দোকানে, আর হাঁটাচলার মাঝে মানুষের কাছে হাত পেতে ভিক্ষা চায়। এসব মহিলা ভিক্ষুকরা এখন বাসাবাড়িতে বেশি যায় না। গেলেও, বাসাবাড়ির গৃহিণীদের দেওয়া চালডাল আগের মতো নিতে চায় না। এঁরা এখন চায় নগদনারায়ণ টাকা। যে যা-ই দিক, তা-ই নিবে, কিন্তু তাঁরা চালডালের বোঝা বইতে নারাজ।
আর গ্রামের ভিক্ষুকরা কষ্ট করে পায়ে হেঁটে গ্রামের বাড়ি বাড়ি আর হাট বাজারে ঘুরে ঘুরে ভিক্ষা করে। এসব গ্রাম্য ভিক্ষুকরা মানুষের কাছে হাত পাতার আগে বলে থাকে– ‘ভিক্ষা দেন গো মা লক্ষ্মীরা,
খারা কইরা রাইখেন না।’
তখন যে যা দেয়, তা-ই তাঁরা নিয়ে নেয়। তাঁদের কোনও আপত্তি থাকে না, নামমাত্র ভিক্ষা পেলেই মহাখুশি!
সেসব গ্রাম্য ভিক্ষুকদের মধ্যে আনোয়ার নামের একজন গ্রাম্য অন্ধ ভিক্ষুক ছিল। ভিক্ষুক আনোয়ার জন্ম থেকেই ছিলো অন্ধ। ভিক্ষুক আনোয়ার যখন রাস্তায় বের হয়, তখন তাঁর হাতে একটা লাঠি থাকে। তাঁর হাতে থাকা লাঠিটা জাতিসংঘ থেকে দেওয়া বিশেষ ধরনের এক লাঠি। সেই লাঠি দিয়ে ঠুকে ঠুকে আনোয়ার গ্রামের হাটবাজার-সহ বাড়িতে বাড়িতে হেঁটে হেঁটে ভিক্ষা করে। ভিক্ষুক আনোয়ার যখন ঠুক ঠুক করে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যায়, তখন ভিক্ষুক আনোয়ার আল্লাহ রাসূলের নাম ধরে সুর তোলে–
‘হায় আল্লা তুই ছোবাহান
হায়াতের মালিক।
হায় আল্লা তুই ছোবাহান
হায়াতের মালিক।’
ভিক্ষুক আনোয়ার’র মুখে সেই মধুর সুর শুনে মানুষ তাঁর হাতে টাকা দেয়, পয়সা দেয়। কেউ কেউ রুটি কলা খাবারও কিনে দেয়। একদিন আনোয়ার বাড়ি থেকে ভিক্ষা করতে বের হলো। সকাল থেকে ভিক্ষা করতে করতে দুপুর হয়ে গেলো। দুপুরের খাওয়া-দাওয়া ভিক্ষা করার মাঝে পরের বাড়িতেই হয়। দুপুরের পর বিকাল হতে লাগলো। এখন তো ভিক্ষুক আনোয়ার’র বাড়ি ফেরার পালা। তাই ভিক্ষুক আনোয়ার বাড়ি আসার পথ ধরে ঠুক ঠুক করে হেঁটে আসছিল, “হায় আল্লা তুই ছোবাহান হায়াতের মালিক” বলতে বলতে।
যেই রাস্তা দিয়ে ভিক্ষুক আনোয়ার হেঁটে যাচ্ছিল, সেই রাস্তার দুইপাশে গাছ-গাছালি, একটু পরপর খাল-বিল, ডোবা-নালা। রাস্তার পাশে যা-ই থাকুক, রাস্তা কিন্তু ভিক্ষুক আনোয়ার’র খুবই পরিচিত ছিল। কারণ, এই রাস্তা দিয়েই সবসময় ভিক্ষুক আনোয়ার হাঁটা-চলা করে থাকে, তাই রাস্তাটি তাঁর চেনা-জানা। ভিক্ষুক আনোয়ার হেঁটে যাচ্ছে নিজের মতে। সেই রাস্তা দিয়েই পাশের গ্রামের এক অন্ধ ভিক্ষুক বিপরীত দিক দিয়ে হেঁটে আসছে। সেও সারাদিন ভিক্ষা করে তাঁর বাড়ি ফিরছিলো।
পাশের গ্রামের ভিক্ষুক ভিক্ষা করার সময় আল্লাহ রাসূলের নামে মুখে কোনও সুর তোলে না। এই ভিক্ষুক শুধু জিকিরের সুরে বলতে থাকে–
‘দেইখেনও ভাই আমি ভাসানী,
দেইখেনও ভাই আমি ভাসানী।’
এছাড়া আর কিছুই সে বলতো না। এতেই মানুষ বুঝে নিতো অন্ধ ভিক্ষুকটা ভিক্ষা করতে এসেছে। তারপর কেউ ভিক্ষা দিতো, কেউ মাপ চেয়ে নিতো। এখন এই দুইজন অন্ধ ভিক্ষুক যার যার ভাবে একই রাস্তা দিয়ে দুইদিক থেকে হেঁটে আসছে। পাশের গ্রামের ভিক্ষুক বলছে–
‘দেইখেনও ভাই আমি ভাসানী,
দেইখেনও ভাই আমি ভাসানী।’
এই বলতে বলতে ভিক্ষুক তাঁর হাতের লাঠি দিয়ে ঠুকে ঠুকে এগিয়ে আসছে, ভিক্ষুক আনোয়ার’র দিকে।
ভিক্ষুক আনোয়ার বাঁশ আনি বাঁশ আনি শুনে মনে করলো কেউ হয়তো লম্বা বাঁশ কাঁধে করে রাস্তা দিয়ে হেঁটে আসছে। এই ভেবে ভিক্ষুক আনোয়ার আস্তে আস্তে রাস্তার কিনারে চাপতে লাগলো। যাতে বাঁশের খোঁচা-খাঁচি শরীরে না লাগে। তাই ভিক্ষুক আনোয়ার রাস্তার কিনারে চাপতেই থাকলো, চাপতেই থাকলো। আর পাশের গ্রামের ভিক্ষুকও জিকিরের সুরে বলতে লাগলো–
‘দেইখেনও ভাই আমি ভাসানী,
দেইখেনও ভাই আমি ভাসানী।’
ভিক্ষুক আনোয়ার এবার চিন্তা করতে লাগলো, শালার বাঁশ মনে হয় লম্বালম্বি করে না এনে আড়াআড়িভাবে নিয়ে আসছে। তাই হয়তো জোরে জোরে চিল্লাচ্ছে, বাঁশ আনি, বাঁশ আনি। এই ভেবে ভিক্ষুক আনোয়ার তাঁর গায়ে বাঁশ লাগার ভয়ে তাড়াতাড়ি রাস্তার ঢালে নামতে শুরু করলো। নামতে নামতে একেবারে খালের পানিতে গিয়ে নামলো। তারপরও পাশের গ্রামের ভিক্ষুক বলছে–
‘দেইখেনও ভাই আমি ভাসানী,
দেইখেনও ভাই আমি ভাসানী।’
এভাবে ভিক্ষুক আনোয়ার পাশের গ্রামের ভিক্ষুককে সাইট দিতে দিতে যখন খালের মাঝামাঝি গেল, তখনও পাশের গ্রামের ভিক্ষুক বলছে–
‘দেইখেনও ভাই আমি ভাসানী,
দেইখেনও আমি ভাসানী।’
এবার অন্ধ ভিক্ষুক আনোয়ার ভীষণ ক্ষেপে গেল! রেগেও গেল! আনোয়ার রেগে-মেগে বললো–
‘আরে মিয়া আম্নের কান্দের বাঁশখান কত লম্বা হে? আমি হালায় অন্ধ মানুষ। চোক্ষে দেখি না। শল্লের মাধ্যে বাঁশের খোঁচ-খাঁচি লাগবো দেইখ্যা, রাস্তা তুনে নাইমতে নাইমতে খালের মধ্যখানে যাইয়া খারাইয়া রইছি। হের পরেও কইতাছেন দেইখেনও ভাই বাঁশ আনি, দেইখেনও ভাই বাঁশ আনি? আমি কি অখনে খাল হাতরাইয়া হেপাড় যাইয়া বইয়া থাকুম?’
আনোয়ার’র মুখে বাঁশের কথা শুনে পাশের গ্রামের ভিক্ষুকও বাঁশের ভয়ে কাঁপছে! শালার বাঁশ! কোনদিক দিয়ে যে আসছে! আবার শরীরে বাঁশ লাগে কিনা, সেই ভয়েও পাশের গ্রামের ভিক্ষুক রাস্তার কিনারে চাপতে লাগলো। কাঁপতে কাঁপতে আর চাপতে চাপতে আনোয়ার’র সামনা-সামনি রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে জোরে জোরে বলতে লাগলো–
‘দেইখা যাইয়েনও ভাই আমি ভাসানী।
দেইখা যাইয়েনও ভাই আমি ভাসানী।’
এভাবে পাশের গ্রামের ভিক্ষুকও শরীরে বাঁশ লাগার ভয়ে ভিক্ষুক আনোয়ার’র কাছাকাছি চলে গেলো। এবার খালের মাঝখান থেকে ভিক্ষুক আনোয়ার বলছে–
‘আরে ভাই আপ্নের বাঁশ নেওয়া অইছেনি ও?’
পাশের গ্রামের ভিক্ষুক বলছে–
‘দেইখা যাইয়েনও ভাই আমি ভাসানী।’
ভিক্ষুক আনোয়ার এবার আরও ভয় পেয়ে গেল! কারণ, বাঁশ আনি বাঁশ আনি কথাটা খুবই সামনা-সামনি শোনা যাচ্ছে। তাই ভিক্ষুক আনোয়ার খালের আরও গভীরে যেতে যেতে বললো–
‘হালার আজগা যে কোন অলক্ষ্মীর মুখ দেইখা ঘরের তুন বাইর অইছি, কইতে পাইল্লাম না। আইজগা কি আল্লা আমারে বাঁশেই পাইছে? এই হালার বাঁশ কতক্ষণে যাইবো রে, মাবুদ?’
ভিক্ষুক আনোয়ার’র এই কথা পাশের গ্রামের ভিক্ষুক শুনে বললো–
‘ভাই, মনে অইতাছে আরও অনেক সময় লাগবো।’ ভিক্ষুক আনোয়ার বললো–
‘ভাই তাড়াতাড়ি আম্নেগো বাঁশ সরান। আমারে বাইত যাইতে দেন। রাইত অইয়া গেলে ক্যামনে যামু গো ভাই!’
এবার পাশের গ্রামের ভিক্ষুক এখন আনোয়ার’র সামানা-সামনি এসে জিজ্ঞেস করলো–
‘ভাইসাব বাঁশ আনতাছে কেডা ও? আপ্নে কি তাগো চিনেন? এই রাস্তা দিয়াই কি বাঁশ আনতাছে? নাকি নৌকা কইরা খাল দিয়া বাঁশ নিতাছে?’
ভিক্ষুক আনোয়ার’ রেগে-মেগে বললো–
‘ও-ই মিয়া, এতক্ষণ বাঁশ আনি বাঁশ আনি কইরা চিল্লাইছে কেডা ও?’
পাশের গ্রামের ভিক্ষুক নরম সুরে বললো–
‘আমিই ত ভাসানী ভাসানী কইয়া আইতাছিলাম। তয় ভাই সাব, আমার লগে ত কোনও বাঁশ টাস নাই। আম্নে বাঁশের ডরে খালে নাইম্মা রইছেন কিল্লাইগা?’
ভিক্ষুক আনোয়ার বললো–
‘আরে মিয়া আম্নে না কইলেই বাঁশ আনি বাঁশ আনি? ইল্লাইগা আমি হালায় আম্নেরে সাইড দেওনের লাইগা রাস্তার তুনে নাইমতে নাইমতে খালের মধ্যে যাইয়া খারাইয়া রইছি। এহনে কইতাছেন আম্নের গলে বাঁশ টাস নাই। ফাইজলামি করনের আর জাগা পান না মিয়া? আমি অন্ধ দেইখা আমার লগে ইয়ার্কি করেন? আল্লায় বিচার করবো মিয়া। আল্লায় বিচার করবো। এক দিনকা আম্নেও কানা অইবেন, কইয়া দিলাম।’
ভিক্ষুক আনোয়ার’র কথা শেষ হতে-না-হতে পাশের গ্রামের ভিক্ষুক বললো–
‘আরে ভাইসাব আমি হারাদিন ভইরা ভিক্ষা টিক্কা কইরা খাই। বাঁশ টাস পামু কই? আমিতো বাঁশের কথা কিচ্ছু কই নাইক্কা। আম্নে হুদাহুদি কিল্লাইগা খালে যাইয়া নাইমছেন? আম্নের মুহে বাঁশের কথা হুইন্না আমিও হালায় খালের কিনারে আইয়া খারাইছি।’
এবার ভিক্ষুক আনোয়ার ভিজা কাপড়ে খাল থেকে আস্তে আস্তে উপরের দিকে উঠছে আর বলছে–
‘ও-ই মিয়া আম্নে কই? হাতের লাডি দিয়া আম্নেরে লাগুর পামু নি? কই আম্নে, কই?’
এই বলেই ভিক্ষুক আনোয়ার হাতে থাকা জাতিসংঘের লাঠি এদিক সেদিক ঘোরাচ্ছে।
আর বলছে, ‘আম্নেরে আগে দুইখান বাড়ি মাইরা লই। হালা মিত্থুক! এতক্ষণ বাঁশ আনি বাঁশ আনি কইরা চিল্লান নাই? আমি চোক্ষে দেখি না দেইখা কী অইছে? কানেও কি আর কম হুনি?’
পাশের গ্রামের ভিক্ষুক বললো–
‘আরে ভাই আম্নে এতো চেত্তাছেন কে হুনি? এনো চেতনের কী অইলো? চেইতেন না ভাইসাব, চেইতেন না! আমার নামই ত ভাসানী। আমিও আম্নের মতন অন্ধ ভাইসাব। অন্ধ দেইখা রাস্তায় আঁডাচলার মাধ্যে এই কথা কইয়াই চলি। যাতে মাইনষে বুঝবার পারে আমি ভাসানী আইতাছি।’
এবার অন্ধ ভিক্ষুক আনোয়ার নিজের কপালে নিজে থাপ্পড় মারতে মারতে বলতে লাগলো–
‘হায়রে কয়াল আমার! যেই বাঁশের ডরে নাইমতে নাইমতে খালে যাইয়া নামছি। হেই বাঁশ অইছে ভাসানী। আবার এই হালাও নাকি আমার মতো কানা। হালার নামও নাকি ভাসানী। অন সেনা বুঝলাম বাঁশ টাশ কিছুই না, আসলে এই হালার নাম ভাসানী। আর আমি হালায় কোন আহাম্মকের আহাম্মক! হালার বাঁশ আনি বাঁশ আনি হুইন্না বাঁশের ডরে নামছি খালে।’ এইডা কি একটা কাম অইলো? হালার দুই কানার কারবার! এই কারবার মাইনষে হুনলে কি কইবো?’
এই বলেই অন্ধ ভিক্ষুক আনোয়ার
‘হায় আল্লা তুই ছোবাহান হায়াতের মালিক,
হায় আল্লা তুই ছোবাহান হায়াতের মালিক।’
বলতে বলতে বাড়ি রওনা হলেন। পাশের গ্রামের অন্ধ ভিক্ষুকও বাড়ি রওনা হলেন।
লেখক: নিতাই বাবু নারায়ণগঞ্জ থেকে।
২০টি মন্তব্য
সাবিনা ইয়াসমিন
ভিক্ষুকদের নিয়ে কৌতুকময় লেখাটি পড়ে হাসি পাচ্ছে। একজন ভাসানী নিজের নামেই গান গায়, আরেকজনের গানে অপর ভিক্ষুকের নাম ছিলো! কিন্তু ভাসানী ভিক্ষুককে বেশ সহনশীল মনে হলো। সে শুধু নিজের কৈফিয়তটাই দিয়েছে। ভাগ্যিস অন্যজনের গানের ভিন্ন অর্থ ভাবেনি। 🙂
শুভ কামনা দাদা 🌹🌹
নিতাই বাবু
হ্যাঁ, ঠিক তা-ই দিদি। পাশের গ্রামের ভিক্ষুকটা ধৈর্যের সাথে সব পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন। বারাবাড়ি বেশি একটা করেনি। তাই গল্পটাও খুব শর্ট টাইমেই শেষ হয়েছে। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
এস.জেড বাবু
হাসির মহাজজ্ঞ, দারুন উপভোগ্য ।
তবে একটা মেসেজ ছিলো- আনোয়ার নিজে কানা, যদি সে ভেবেই থাকে যে কেউ সত্যি বাঁশ নিয়ে আসছে- তবে বাঁশ বহনকারীকে অন্ধ ভাবা ঠিক হয় নাই।
সত্যি সত্যি বাঁশ হইলে বাঁশওয়ালা অনোয়ারের গা বাঁচাইয়া নিজের রাস্তা মাপতো।
নিতাই বাবু
প্রথমত সে তাকে অন্ধ ভাবেনি তো! পাশের গ্রামের অন্ধ ভিক্ষুক নিজেই আনোয়ার’র কাছে বলেছে আমিও অন্ধ। তাই আনোয়ার জানতে পেরেছে। এর আগে আনোয়ার সত্যিই ভেবেছিল কেউ হয়তো বাঁশ নিয়েই আসছে।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ছাইরাছ হেলাল
রম্য হলেও পুরোটা বানিয়ে লেখা মনে হচ্ছে না।
দিন কে দিক আপনি নিজেকে ভিন্ন মাত্রায় নিয়ে যাচ্ছেন।
অনেক ধন্যবাদ।
নিতাই বাবু
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি, শ্রদ্ধেয় ছাইরাছ দাদা।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
অনেক পরিশ্রম করে লিখেছেন।
নিতাই বাবু
লেখতে বসলে তো একটু আধটু পরিশ্রম হবেই দাদা। মন্তব্য করেছেন বলে আমি খুবই খুশি হলাম, শ্রদ্ধেয় দাদা।
সুরাইয়া পারভিন
হা হা হা ,,, হাসতে হাসতে মরে যাচ্ছি আপনার ভিক্ষুক রম্য রচনা পড়ে,,কেমনে লিখেছেন দাদা?আপনার হাসি পানি,,,, দুর্দান্ত লিখেছেন 👏👏👏
নিতাই বাবু
নিজেও হাসতে হাসতেই লিখেছি, শ্রদ্ধেয় কবি দিদি। সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদের সাথে শুভকামনা।
জিসান শা ইকরাম
হা হা হা হা,
হাসতে হাসতে গাল ব্যাথা হয়ে গেলো দাদা।
অনেক দিন পরে দারুন একটা রম্য পড়লাম।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভ কামনা।
নিতাই বাবু
পড়েছেন জেনে খুবই খুশি হলাম শ্রদ্ধেয় দাদা। আশা করি ভালো থাকবেন সবসময়।
জিসান শা ইকরাম
আপনাকে নিয়মিত পেয়ে ভালো লাগছে খুব।
আপনিও ভালো থাকবেন দাদা।
তৌহিদ
লেখাটি পড়ে হাসি পেলেও শিক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে নিজে কানা হয়ে অন্যকে কানা বলতে নেই। একজন অন্যদের স্তুতি গাইছে অথচ সেখানে সহমর্মিতা নেই। সমাজে এটা প্রকট আকার ধারন করেছে আমাদের মাঝে।
লেখাটি কল্পনায় লিখিত বলে মনে হলোনা দাদা। নিজের মেধা এবং লেখকীয় কৌশলই পারে এমন রম্য পাঠকদের উপহার দিতে।
ভালো লাগলো দাদাভাই। শুভকামনা জানবেন।
নিতাই বাবু
সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করি ভালো থাকবেন।
আরজু মুক্তা
দাদা, দারুণ হাসালেন। বাঁশ আনি।।
নিতাই বাবু
দুই ভিক্ষুকের আলাপচারিতা পড়েছেন শুনে খুবই খুশি হলাম, শ্রদ্ধেয় দিদিমণি।
শাহরিন
হা হা হা, অনেক দিন পরে এত্ত হাসির একটি গল্প শুনলাম। দাদা আরো গল্প শুনতে চাই।
আকবর হোসেন রবিন
অনেক হাসালেন দাদা।
আপনার সাথে দেখা করতে ইচ্ছে করছে। মনে হচ্ছে বাস্তব জীবনে আপনি অনেক রসিক মানুষ। অনেক মজা করে কথা বলেন।
নিতাই বাবু
আসলে ঠিক তা-ই দাদা। সারাদিন আমার হাসিখুশিতেই সময় কেটে যায়।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করি ভালো থাকবেন, শ্রদ্ধেয় দাদা।