
রির্টানে পাশ করে যখন
ভাইভার কার্ড পেলাম
তখন “ চলো দিল্লী যাই ” বলে কলকাতায় গেলাম ।
রাজপুতের বাচ্চারা বসে আছেন-
আমাদের জড়িপ করতে
সেখানে অনেকেই ছিলেন ,
মহাশয় , মহাদয় , মাননীয় , মাননীয়া
এমন কি ইংরাজী শব্দার্থের স্যারও
আমি তাদের সামনে গিয়ে
ওভেশন দিলাম ,
জড়াগ্রস্ত হয়ে আছে মন,
অনুভব করলাম
আমার দগ্ধ মন কোটেশন হয়ে গেছে ,
ভাবলাম
আমার অতিরিক্ত সাধনা কি আজ
ওভ্যারিতে ওভ্যাল হয়ে যাবে !
নটির মত নাট্যমঞ্চেই নাচবে !!
না-কি
পিরীত করে অসতীত্বের সিঁড়ি গুনবে !
হে গড !
তুমি তারচে আমায় মুক্তি দাও ।
এই বলতেই ,
ঈশ্বর দু’হাত বাড়িয়ে মৃত্যু যন্ত্রণা পাঠিয়ে দিলেন ।
সঙ্গে এক বোতল ফিনাইল ,
ঈশ্বর যে অবিনয়ী লম্পট, ইতর
তা আমি অনেক আগেই জেনেছিলাম ,
একাত্তুরের যুদ্ধে তিন লাখ মহিলার শরীরের-
ঈশ্বর ছিলেন দর্শক আর পাকিস্তানীরা ছিলেন খেলোয়ার ।
আমি গুছিয়ে উঠতেই
আধাপাকা ভদ্র গোছের
এক স্যার জিজ্ঞেস করলেন ,
“ এদেশের অর্থ মন্ত্রী কে ?”
আমি গলা চুলকিয়ে উত্তর দিলাম ,
ডিনামাইট;
ডাইন্যাস্টি ।
পড়ুয়া জীবনে তোমার সাবজেক্ট কি ছিল ?
এথনলজি ;
এথিকস্ ।
ভাইবা আমার চাঙ্গা । ভাবতেই ।
বুকের মধ্যে জয়ের ভূড়ভূড়ি চমক দিলো,
অন্য একটা চমক আমাকে জানালো ,
ইকোনোমিক্স নিয়ে আমার
কিছু জানা উচিৎ ছিল
তবেই না-কি
আমার চাকরিটা হতো..।
৭টি মন্তব্য
সুপায়ন বড়ুয়া
ইন্টারভিও নিয়ে কবিতা
ভালো তো হলো
শুভ কামনা।
দেবজ্যোতি কাজল
সব দিয়েই কবিতা হয়
ইসিয়াক
ভালো লাগলো্
শুভকামনা।
দেবজ্যোতি কাজল
আপনাকেও
ফয়জুল মহী
নান্দনিক লেখনী ,ভালো লাগলো ।
দেবজ্যোতি কাজল
ঠিকাছে ।
তোমার বাড়ি কোথায়??????
সুপর্ণা ফাল্গুনী
একাত্তুরের যুদ্ধে তিন লাখ মহিলার শরীরের-
ঈশ্বর ছিলেন দর্শক আর পাকিস্তানীরা ছিলেন খেলোয়ার । ইউনিক ভাবনা আপনার লেখনীতেই শুধু খেলা করে। ইন্টারভিউ নিয়ে সত্যিটাকেই তুলে ধরলেন। ধন্যবাদ দাদা। শুভ কামনা রইলো