
আজকাল কলহ নেই আর ,
সেই কবে থেকে পাশের বাড়ির বৌ-দী
আমাকে দেখলেই আর মুচকি হাসে না মিটি মিটি ।
সামনের ঘরের চাচা ডেকে বলেনা-
আর কত জ্বালাবি ছোকড়িটাকে ?
এবার ওকে একটু সুখের নিঃশ্বাস নিতে দে ।
কাজের বুয়া অবাক চোখে তাকায়না আমার দিকে ,
ওর কাছে ঘেঁষে ফিসফিসিয়ে বলেনা প্রিয়া দিদি-
যে মানুষটা ঘরে এলে তোমার সাথে সারাক্ষণ ঝগড়া করে,
তার জন্য তুমি সারা দিন ধরে
একটার পর একটা খাবারে লবন দেখো দুইবার করে ।
যে মানুষটার বাঁকা চোখা কথায়
তোমার সুন্দর চোখে শুধু কান্না ঝড়ে-
তার রেখে যাওয়া কাপড়গুলি পরম যত্নে নিজের হাতে ধুয়ে রাখো ভাঁজ করে ।
যে মানুষটা শুধু নিজের বই আর কাজ নিয়ে পড়ে থাকে সারাক্ষণ-
তুমি তার পছন্দের শাড়ি পড়ো,
তার পছন্দের রংয়ে ঘর সাজাও ॥
আমার অলক্ষ্যে ;
মিষ্টি হেসে প্রিয়া পাশ কাটিয়ে যায় না কোন জবাব ।
আমি তেমনি দেখতে চাই আজও !
আগে যেমন টা দেখতাম ,
ঘরে ফেরার আগে জানালার পর্দা সরিয়ে চুপিসারে,
তুমি আয়নায়, নিজেকে রাঙাচ্ছো আমার পছন্দের রংয়ে।
দরজার সামনে চুপটি করে কান পেতে শুনতাম গুনগুন ।
আমি আজও চাই ঝগড়াটা হউক,
পিসি টা হটাৎ শাটডাউন করে, মাউসটা ছুঁড়ে ফেলে দাও ।
গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়া লোনা জলে, বিষাক্ত নেশা আমার।
মিছেমিছি বালিশ নিয়ে বারান্দায় যাওয়ার ভান দেখে-
অনেক কাঁদো তুমি,
আর আমি দুহাতের তালুয়-
তোমার দুচোখের জল মুছে দিয়ে,
কপালে ছোট্ট একটা চুমু দিতে দিতে
মিছে মিছি করে বলবো-
আজ শেষ-
অফিসের কাজ অফিসে- আর আসবে না বাসায়।
তোমার চোখে গল্প রেখে আর পড়বো না শরৎচন্দ্র ।
কেন লিখবো কবিতা, যা বলার তা তোমার কানেই বলবো সরাসরি।
সত্যি বলছি ;
আর রাগাবোনা তোমায় কোনদিন ।
তুমি বলবে- তবে আমার মাথায় হাত রেখে বলো-
তিন সত্যি !!
আমি আমার মাথায় হাত রেখে বলবো-
সত্যি সত্যি সত্যি ॥
-০-
১৫টি মন্তব্য
সাবিনা ইয়াসমিন
তিন সত্যিটা বেশ ভালো লাগলো,
কিন্তু প্রিয়া নিরুদ্দেশ কেন?
এস.জেড বাবু
মনে হয় না নিরুদ্দেশ ;
মনে হচ্ছে নিশ্চুপ ।
আজকাল প্রিয় হিন্দি গানের গুনগুন শোনা যায় না বাতাসে।
রাতভর পিসি অন থাকলেও কেউ বন্ধ করে না।
ঝগড়া কি আর একা একা এমনি এমনি করা যায় ?
হাহাহা
শুভেচ্ছা আপু।
নিতাই বাবু
কথা যেন ঠিক থাকে, শ্রদ্ধেয় কবি। কথা কাজে মিল না থাকলে কিন্তু মিথ্যেবাদী হয়ে যাবেন। তা যেন না হয়! সাথে থাকলো শুভকামনা সারাক্ষণ। ভালোবাসা থাকবে আজীবন।
আরজু মুক্তা
ভালো লাগলো। প্রিয়া নিচ্চুপ কারণ সে ফিরবে কথার ঝুড়ি নিয়ে।
তিন সত্যি।
এস.জেড বাবু
মুক্তা আপু
আসুক কথার তুফান নিয়ে, পিনপতন নিরবতায় আমার এলার্জি আছে।
ধন্যবাদ প্রিয় আপু
এস.জেড বাবু
ভাইজান-
সবাই কথা নষ্ট করে না,
সবাই মিথ্যেবাদী হয়না।
আর আমি ?
আমার সে দিন তো সেই কবে গত হয়েছে। আজকাল পরবর্তি প্রজন্মের সত্যিমিথ্যার যত্ন নিই।
নিজের মাথায় হাত রেখে প্রিয়জনকে মিথ্যে বললে পাপ খুব একটা হওয়ার সম্ভাবনা নেই প্রিয় ভাইজান।
ধন্যবাদ আপনাকে
প্রদীপ চক্রবর্তী
আমি আমার মাথায় হাত রেখে বলবো-
সত্যি সত্যি সত্যি ॥
তিন সত্যি অটুট থাক দাদা।
শুভকামনা রইলো।
এস.জেড বাবু
খুনশুটি আর ঝগড়া কমবে না-
কথা বলা বন্ধ করা যাবে না-
এই শর্তে তিন সত্যি হাজার বার বলবো।
ধন্যবাদ ভাইজান।
ছাইরাছ হেলাল
তবুও থেকে যায় কিছু চোখ, না দেখায়,
থেকে যায় কিছু কথা, না বলায়;
সত্যি গুলো তিন সত্যি হয়ে ঝুলে থাকুক বারান্দায়,
এ-বেলা থেকে ও-বেলায়।
একদিন আমিও লিখে ফেলব জ্বল-জ্বলে এমন কিছু
শোরগোল তুলে চুপিসারে আপনার পিছু পিছু!
এস.জেড বাবু
কি দারুন !
মুহুর্তে লিখে ফেলেন।
রোমাঞ্চকর রোমান্টিক লিখবেন আপনি, আমরা পড়বো।
ধন্যবাদ ভাইজান সুন্দর কয়েকটি লাইনের জন্য।
থাকুক বারান্দায় ঝুলে।
সঞ্জয় মালাকার
তুমি বলবে- তবে আমার মাথায় হাত রেখে বলো-
তিন সত্যি !!
আমি আমার মাথায় হাত রেখে বলবো-
সত্যি সত্যি সত্যি ॥
কথা কাজে মিল না থাকলে কিন্তু মিথ্যেবাদী হয়ে যাবেন। তা যেন না হয়! সাথে থাকলো শুভকামনা সারাক্ষণ। ভালোবাসা থাকবে আজীবন।
এস.জেড বাবু
এই মিথ্যে ধরা খেলে আবারও তিন সত্যি বলা হবে,
আবার ও নিজের মাথায় হাত রেখে হা হা হা ।
ধন্যবাদ ভাইজান
জিসান শা ইকরাম
মিলে মিসে আনন্দে দিন যাপনই ভালো,
তিন সত্যি বলতে বললো তার মাথায় হাত রেখে,
নিজের মাথায় হাত রেখে বললে হবে?!
স্বপ্ন মনে হচ্ছে 🙂
ভালো লেগেছে খুব,
শুভ কামনা।
এস.জেড বাবু
তার মাথায় হাত রেখে তিন সত্যি বললে তো ঝগড়া বন্ধ হয়ে যাবে। সময় কাটবে কেমনে ?
খুনশুটি আর তিন সত্যি চলতে থাকুক-
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ফাঁকি টা ধরেছেন।
এস.জেড বাবু
তার মাথায় হাত রেখে তিন সত্যি বললে তো ঝগড়া বন্ধ হয়ে যাবে। সময় কাটবে কেমনে ?
খুনশুটি আর তিন সত্যি চলতে থাকুক-
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ফাঁকি টা ধরেছেন।