দ্যায়নি কেউ ভাবতে-দেবেও না কেউ কখনো
আগল যা কিছু পোক্ত করে নিতে হয়;
নিরাপত্তা বা আশ্রয় দুর্বলের মত খুঁজে মরতে হয়, নির্লজ্জ্বতার সাইনবোর্ড টেনে। বিপরীতের বেড়া আজন্মাবধি নিয়মতান্ত্রিক সিলমোহরে যুক্তিবাদী পকেটে ঠাঁসা: প্রয়োজন-অপ্রোয়জনের যথেচ্ছাচারিত ব্যাবহারে পৃথিবী আজ ভারাক্রান্ত।
খুব সাহজিক শব্দগাঁথা ছুঁড়ে দিলেই দাম্ভিক অহংকার পরিস্ফুট ;
প্রকাশ্য পৌরষত্বের দাবিদাওয়ায় শ্রেষ্ঠত্বের জারিজুড়ি প্রতিষ্ঠিত।
দ্যায়নি কেউ
দেবে না কেউ
সুনয়নী,সুশ্রী, তটিনী ,ষোড়শী, প্রৌঢ়,মধ্যাহ্ন পেরোনো সবুজাভ প্রতিকী জয়িতা আমি: অজস্র ভুলের দাবিদার আত্মপরিচিতায় ন্যুব্জ পিঠে হাজার অযুতের ভারবাহী বোঝা নিয়ে সামলে চলেছি মহা ধরাধামের নদী সমুদ্রের পুল সিরাত। স্যাঁতস্যাঁতে সাঁকোতে টালমাটাল পায়ের বেসামাল পদক্ষেপে হরদম জীবনমৃত্যুর খড়গ ঝুলে থাকে নিঃশ্বাসের নাকের ডগায়।
এক আজন্ম জন্মখতিয়ানে অদৃশ্য দস্তখত রেখে রেখে সামলে যাচ্ছি গোটা একটা জীবনের পাওয়া না পাওয়ার হাড়ি বাসনের পঞ্চব্যাঞ্জন।
রোগ শোক জড়া অবসাদ বিষন্নতা মনখারাপের ফর্দ ! অন্যকারো:
সময় ব্যাতিরেকে ভুলে যেতে হয়….. কখনো মানুষ ছিলো কি এ জয়িতা?
দ্যায়নি কেউ ভাবতে
দেবে না কেউ ভাবতে……
তবু বেগুণী ফুলের উৎসব হয় বাৎসরিক ক্যালেন্ডারে….
১৭টি মন্তব্য
পপি তালুকদার
“সময় ব্যাতিরেকে ভুলে যেতে হয়.. …. কখনো মানুষ ছিলা কি জয়িতা”
এই উক্তি টুকু যথেষ্ট আমাদের পরিচয় টা বুঝানোর জন্য!!! এ বড়োই আক্ষেপর বিষয় যে, এই সভ্যতায় দাঁড়িয়েও আমাকে চিৎকার করে বলতে হয় আমিও মানুষ!!!! জানিনা কবে নারী তার মুক্ত বিহঙ্গ পাখা মেলে উড়বে!
নারী দিবসের শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো।
ভালো থাকুন সবসময়।
বন্যা লিপি
আমি মানিনা এই বিতর্কিত নারী দিবস। তাই আমাকে কেউ এই দিবসের শুভেচ্ছা দিক, আমি নিইনা। মহা প্রহসনের অপর নাম এই নারী দিবস। নারী আদতেই কখনো তথাকথিত মুক্তি পাবেনা কখনো। তাহলে এই দিবসের তাৎপর্য কি?
মতামত প্রদানের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।@ পপি তালুকদার।
পপি তালুকদার
এই দিবস টি আমার ও ভালো লাগেনা। কারন তা নারীকে দুর্বল ও হীন ভাবে প্রকাশ করে। আদতে যে স্বাধীনতা আমাদের নেই শুধু দিবস নিয়ে মাতামাতি করে লাভ কি?
মাছুম হাবিবী
খুব ভালো লিখেছেন
বন্যা লিপি
আপনার এই মন্তব্যের জবাবে, আমার ধন্যবাদ শব্দটাও ব্যাবহার করতে ইচ্ছে করেনা এই ব্লগ ঘরে। এটা ফেসবুক পেজ হলে মানাত সবচে বেশি। তবু আপনার ” খুব ভালো লিখেছেন” মন্তব্যের জন্য এত্তগুলো শব্দ আমি ব্যাবহার করে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ভালো থাকবেন।
রোকসানা খন্দকার রুকু
জয়িতাদের মানুষ হতে হলে সাইনবোর্ড লাগে বিলবোর্ড লাগে। কিন্তু কেন? যে অধিকার সমান সমান, জন্মগত তাতে এত জারিজুডির বাহার আমার অপছন্দ। আর তাই নারী দিবসে আমি কারও শুভ্চ্ছা নেই নি। লিখেছি পোষ্ট করিনি। নারী দিবস শেষে করব। কারণ বাঁকা হয়েই চলব।
অসাধারণ লিখেছেন আপু।
বন্যা লিপি
‘জয়িতা’ উপমাটা ব্যাবহার করেছি এজন্যই, সবকিছু সহ্য করো যাওয়ার অপর নাম ‘জয়িতা’ বলে। যত বিতন্ডাই করিনা কেন, দিন শেষে ফিরতেই হয় সাইনবোর্ডের নীচে। তা না হলে জয়িতারা বদনামী হয়। সমঅধিকারের ভুল ব্যাখ্যায় আমি নেই কোথাও। সহানুভূতির ছোঁয়াটুকু থাকলেই জয় নিশ্চিত। নারী দিবস উৎযাপন করে বুঝিয়ে দেয়া হয় জয়িতাদের ক্ষেত্র সিমীত। তাই আমারও আপত্তি আছে এই দিবস পালনে। কোনো দরকার নেই এই দিবসের।
শামীনুল হক হীরা
আপ্লুত হলাম লেখাটি পড়ে।।অভিনন্দন প্রিয় চমৎকার লেখাটির জন্য।
বন্যা লিপি
পড়ে মন্তব্য করেছেন বলে ধন্যবাদ।
ছাইরাছ হেলাল
পাল্টানো দিনে কে আর কাকে আটকায়!
এখন তো পেল্লাই কাঁঠাল ছুড়ে মারার দিন, মোক্ষম নিশানায়।
বন্যা লিপি
আসলেই বদলেছে দিন? কাঁঠাল ছুঁড়ে মারার মত সুযোগ পায় কেন কেউ? বিভাজনে বিতর্ক আজন্মকাল বিরাজমান ও থাকবেই।
প্রদীপ চক্রবর্তী
প্রথমে বলি জয়িতা নামটা আমার বেশ পছন্দের।
এমনকি এই নামেও একটা কবিতা আছে আমার।
.
এ নারীদিবস জানান দেয় ঐ দিন নারীকে শুভেচ্ছা জানানো ও শ্রদ্ধা জানানো!
যা আমার কাছে এই দিবসটি অযৌক্তিক বলে মনে হয়। কেননা আমরা পশ্চিমা সংস্কৃতি বয়ে আনতে ভালোবাসি।
সারাবছর অবহেলা, অবজ্ঞা করে আর বছরের একদিন সম্মান জানানো তা হাস্যকর।
যে জাতি নারীকে সম্মান দিতে জানেনা সে জাতি কখনো নিজেকে মানুষ বলে দাবী করতে পারেনা।
.
ভালো লাগলো লেখাটি পড়ে।
সময়োপযোগী লেখনী, দিদি।
বন্যা লিপি
আসলে এ দিনটা পালন করা হয় কি উদ্দেশ্যে আমার সেটাই বোধগম্য নয়। তোমার মন্তব্য ভালো লাগলো।
আরজু মুক্তা
জয়িতারা নিজ গুণে গুণান্বিত। কেউ বলুক আর নাই বলুক। পুরুষরা তো বলবেই না। সমাজের কারণে ওরাও মুখে কলুপ এঁটে রেখেছেন।
নারীরা বীরদর্পে এগিয়ে চলুক।
বন্যা লিপি
তবে আর নারী দিবসের ঘটা কেন? চলুকনা নারী বা জয়িতারা নিজের মত করেই!
আরজু মুক্তা
কিছু কিছু নারী পুরুষদের কার্যকলাপ মুখ বুঝে সহ্য করে। নারী দিবস তাদের সচপতন করার জন্য
বন্যা লিপি
কিছু দেখা নারীদের কাহিনী বর্ননা করার ইচ্ছা জাগলো মনে। দেখা যাক কি করি।