জীবন একটা চোরাবালির মত। এখানে সেখানে ফাঁদ পাতা। দূর থেকে দেখে মনে হবে সুখের চাদরে ঢাকা। কিন্তু কাছে গিয়ে চাদরটা খুললেই দেখা যাবে ভেতরে একটা বিশাল উঁচু রুক্ষ, বন্ধুর পাহাড়ের চূড়া!
অবাক হবার কিচ্ছু নেই, এটাই সত্য, নির্মম সত্য। আপনার সামনে একটি অতি উঁচু পাহাড় দিয়ে বলা হবে এটাকে ডিঙোতে পারলে জয় অনিবার্য। আপনি সারা জীবনের সকল হাসি, খেলা, তামাশা সব ভুলে ওটার পেছনেই ছুটবেন। একবার এ পথ ধরবেন, তো আরেকবার ও পথ ধরবেন। পাহাড় ডিঙানোর কী আপ্রাণ চেষ্টাটাই না করবেন। প্রথমে অনেক উৎসাহ থাকবে, না জানি কত সুখ ও পাড়ে! ধীরে ধীরে শক্তি, ধৈর্য্য, মনোবল সব ফুড়িয়ে আসবে। তখনো অনেকটা পথ বাকি। ওপরের দিকে তাকিয়ে দেখবেন, এ তো দুঃসাধ্য। “আমার ক্ষুদ্র পা কি পারে অত উঁচু পাহাড় ডিঙাতে?” হাঁপিয়ে উঠবেন আর একথা বলতে থাকবেন মনে মনে। এরই মাঝে কিছু লোক উড়ো জাহাজ ব্যবহার করে, কেউ বা ডানায় ভর করে পৌঁছে যাবে ও পড়ে।আপনি তাকিয়ে দেখবেন, আর ভাববেন, “আমার না অাছে ডানা, না আছে জাহাজ!” ও পাড়ে আর পৌঁছা হবে না!
তবুও জীবন থেমে থাকবে না। আপন গতিতে চলতে থাকবে। কালক্রমে এ পাড়েই আপনি মানিয়ে নেবেন একটা সময়। পাহাড়ের কোল ঘেঁষে সূর্যি উঁকি দেবে, অস্ত যাবে। পাহাড়ের চূড়ায় রাত নেমে আসবে, চাঁদ উঠবে। ও পাড়ের কথা এক সময় ভুলেই যাবেন।
ভাবতে বসবেন, এবার হলো না। পরের বার যদি আরেকটা কাল, মহাকাল পাই, চেষ্টা করবো, আরো চেষ্টা করবো। এই ভেবেই শান্তির ঘুম নামবে দুচোখে।
১০টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
জীবন সম্পর্কে অত্যন্ত সত্যি কথা বললে উদাহরন দিয়ে।
হ্যা মানুষ এক সময় অভ্যস্থ হয়ে যায়, মানিয়ে নেয়।
তারপরেও থেমে থাকেনা, এগিয়ে চলতে হয়।
অনেক দিন পরে লিখলে,
তোমার লেখা সত্যি মিস করি, তোমাকেও।
শুভ কামনা,
নীরা সাদীয়া
এগিয়ে চলুক সকলের জীবন।
শুভ কামনা।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
জীবনের বাস্তব রূপ।অতি আশা করা বোকামী যা হবার বা পাওয়ার তাই পাবো সবিই হবে কর্ম ফল আর ভাগ্যের দরবারের।মাষ্টার আফা হইয়া এতোটা ভুলে গেলে চলবে!আমরা আপনার লেখা মিস করি। -{@
নীরা সাদীয়া
ঠিক বলেছেন। অতি আশা করা ঠিক না। আবার, “মানুষ তার আশার সমান বড়”
মাস্টারী ছেড়ে দিছি ভাই। এখন চাকরীর চেষ্টা আর অধ্যাবসায় চলছে।
দোয়া করবেন।
মাহমুদ আল মেহেদী
বাস্তব জীবনচিত্র বাস্তবভাবেই বুঝালেন। ধন্যবাদ।
নীরা সাদীয়া
অনেক শুভ কামনা রইলো।
নীলাঞ্জনা নীলা
“আশা” ছোট্ট একটি শব্দ, যা আমাদেরকে স্বপ্ন দেখায়, এবং চলার জন্যে পথে নামায়। ভেঙ্গে যাই, নুয়ে পড়ি, একদিক বন্ধ হয় তো আরেকদিক খুলে যায়। জীবনের সৌন্দর্য খুঁজে পাই আবার অসুন্দরও স্পর্শ করি। যতোদিন বেঁচে থাকা, আশা পাশে পাশে থাকেই। “শ্বাস” এবং “আশ” দুজন দুজনার আজীবনের সঙ্গী।
ভালো লিখেছো আপুনি।
নীরা সাদীয়া
“আশা” নিয়েই বেঁচে থাকা। যদি কোনদিন তা পূরণ হয়!
শুভকামনা রইলো দি।
নীলাঞ্জনা নীলা
“আশা নিয়ে ঘর করি
আশায় পকেট ভরি…”
ভালো থেকো আপুনি।
নীরা সাদীয়া
আপনিও খুব ভালো থাকবেন নীলাদি।