জিবনবোধ (পোশাক পরিচ্ছেদ।)

মোঃ মজিবর রহমান ১ ডিসেম্বর ২০১৯, রবিবার, ০৬:২২:৪২অপরাহ্ন পরিবেশ ১৭ মন্তব্য

মানুষ জন্মগতভাবেই বর্তমানে পরিবার, সামাজ ও রাষ্ট্রীয় আইন কানুনের মাঝে জীবন অতিবাহিত করে।  ধর্ম ও তন্ত্রভেদে শাসন কানুন আলাদা আলাদা। আছে সুন্দর পরিবেশ, চকচকে , ঝকঝকে পরিপাটী।

আমরা কেউ দেশের আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন কেউ কেউ ধর্মকেও অবজ্ঞা করে চলি।  একই রাষ্ট্রে দুই নিতি বা তন্ত্রে শাসন কারয পরিচালনা খুব কঠিনি না,  অতিশই কঠিন।

আমরা যদি একেঅপরকে কম্প্রমাইশ করেই চলতে না পারি, তবে দেশ প্রেম কেমনে প্রতিষ্ঠিত হবে??? দেশের সমাজের ও পরিবারের স্বার্থে যদি কেউ কাউকে মানে মনখোলা সহজ মননে না করতে পারি তবে কি  আমরা মানুষ হিসেবেই পরিচিত হওয়া সম্ভব না,  অসম্ভব।

আজ ভাই ভাইকে অসন্মান করে, সমাজে মুরুব্বিদের অসন্মান হয় সেখানে দেশের সভ্য কিভাবে আসে???

“পোশাক / সাজগোজের বেলায় নারী, পুরুষের কারোরই কোন বাধ্যবাধকতা নেই। যে যেমন পোশাকে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে সে তাই পরবে। নিজেকে সবাই সুন্দর রাখতে, দেখতে চায়। তবে পোশাক/সাজগোজ আর উগ্রতা এক নয়। উগ্রতা মানুষের ব্যাক্তিত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করে, হাস্যকর বানিয়ে ফেলে।“

পোশাকে স্বাছন্দ্যবোধ বলতে কি বুঝায় তাহা আমার জানা অতিব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সৌন্দর্য রাখার খুব প্রয়োজন তা আমার বোধগম্য আছে। তাঁর মানে এই নইযে আমার শারিরীক সৌন্দয্য সবার জন্য উম্মুক্ত, না সব চাহিদাও উম্মুক্ত হবে!!! তাহলে কোনটা চাই!!!

তোমার বুকের শিখর চুড়ায় যে রঙ আছে উজ্জলি

সেই রঙ দিয়ে খুচাও আমার মনে“তো র ধুকধুকানি।“ কাচুলি।

কবিতাঁর লাইন্টি আমার পুরা বা সঠিক মনে নাই তবে কিছুটা আছে তা তুলে ধরলাম। এখানে এক কবি তাঁর মনের ইচ্ছা তাঁর প্রিয়ার নিকট আবদার করেছে। এই চাওয়া তাঁর প্রিয়ার নিকট কিন্তু যখন এক জন পুরুষ ও মহিলা একই বন্ধনে আবদ্ধ হই তখন মনে হই দৌহিক বা শারিরীক সৌন্দর্য্য তাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকা বাঞ্চনীয়। এটা শুধুই আমার নিজস্ব মত। আর তাতে কারও পক্ষে কারর উপর কোন আকর্ষণ আসা সম্ভব নই। এক জনের স্ত্রীর প্রতি বা অন্য কোন মহিলার প্রতি একজন পুরুষের আসক্তি বা চাহিদা আসে তখনও, যখন তাঁর স্ত্রী না থাকে বা কোন সোন্দর্য্যে আসক্ত হই। সেখানে আমি ও বিরত নয়। বা কোন পুরুষ নাই কোণ সৌন্দর্য্যে মহিত হইনা। এই আসক্ত যদি কেউ কন্ট্রোল করতে পারে তারা মহৎ আর যারা পারেনা তারা অতি কামুকভাবে কোন অবৈধ্য সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এখানে দুইজন যদি মিলিত হই তবে সমাজ, ধর্ম বাধা, এই বাধা কি সমাজের জন্য প্রয়োজন নই???

যেমন ধরুন আমি একটু উচুতে লম্বা। যখন কোন মহিলা বা মেয়ে সামনে দিয়ে যায় যদি তাঁর বক্ষদেশ সুঠোল উন্নত থাকে ভিতর এমনিতেই চক্ষু পড়ে এটা কি আমার দোষ??? হইতো আমারই। একদিন আমি আমার বন্ধু রাস্তায় হাটছি পাশ দিয়ে একটি মেয়ে যায়। তাঁর বুকের ভিতর নাহলেও তিন ইঞ্জি ভিতর প্রদর্শিত হই। যা চক্ষু এড়াইনা। এটা কার দোষ। হইত পুরুষের। এই সৌন্দর্য্য বাহিরের মানুষকে রাস্তাঘাটে দেখান কি খুবই জরুরি?? না এই সুন্দর সবার জন্য উম্মুক্ত??? আমি মনে করি সৌন্দরয্য মাত্র ঘরে বাইরেই সীমাবদ্ধ রাখা উচিত।

অনেক আগে বিটিভিতে বিজ্ঞাপন হত। “ ঘরের কথা পরে জানল কেমনে? এই দেখেন এমনে।“

আজ আর দীর্ঘায়ু করবনা। একটু আমাদের মানে ইসলাম ধর্মের কানুন পড়ি।

হে নবী! আপনি আপনার স্ত্রীগণকে, কন্যাগণকে মুমিনদের নারীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে দেয়। এতে তাদের চেনা সহজ হবে। ফলে তাদের উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সূরা আহযাব : ৫৯)

স্বামীর উদ্দেশ্য সাজসজ্জা গ্রহণ করা একটি সওয়াবের কাজ। স্বামীর উদ্দেশ্য সাজসজ্জায় থাকার জন্য স্ত্রীর প্রতি শরীয়তে নির্দেশ রয়েছে। বর্তমানে নারীদের অবস্থা হলো, স্বামীর সামনে তারা নোংরা অপরিছন্ন ও ময়লা কাপড়-চোপড় পরে থাকে। আর বাইরে বেড়াতে যাওয়ার সময় আপাদমস্তক সুসজ্জিত হয়ে যায়। কেউ স্বামীর উদ্দেশ্য সাজ-সজ্জা গ্রহণ করলে সমালোচনা শুরু হয়ে যায় যে, মেয়েটির লাজ-লজ্জা বলতে কিছুই নেই- স্বামীর সামনে সে কেমন রূপচর্চা করছে!

পরিতাপের বিষয়! যেখানে সাজসজ্জা গ্রহণ করা উচিত সেখানে তা নিন্দনীয়। আর যেখানে

সাজসজ্জা গ্রহণ করা উচিত নয় সেখানে তা প্রশংসনীয়। স্বামী যখন স্ত্রীর সাজ-সজ্জা কামনা করে তখন তা গ্রহণ না করার কি যুক্তি থাকতে পারে?

আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, মহিলারা স্বগৃহে তো বাদী-দাসী ও গৃহপরিচালিকার ন্যায় অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্ন থাকে। আর যখন কোন বিশেষ অতিথির আগমন ঘটে তখন বিভিন্ন সাজ-সজ্জায় সজ্জিত হয়ে সম্পূর্ণ নববধূ বনে যায়।

প্রতিটি জিনিসের একটি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য থাকে। আমার প্রশ্ন, ভাল কাপড়-চোপড় পরিধানের উদ্দেশ্য কি শুধু অন্যদেরকে দেখানো? অদ্ভুত কা-! যাকে দেখানের জন্য এই কাপড়-চোপড়ও সাজ পোশাক তৈরি হয়েছে, যার টাকায় তৈরি বা কেনা হয়েছে, তার সামনে তা পরিধান না করে অন্যদের সামনে পরিধান করা হয়। বিষয়টা কিছুটা লজ্জাজনক হলে ও সংশোধনের প্রয়োজনের বলতে হচ্ছে।

 আগামী পর্বে অন্য বিষয় নিয়ে আজ এখানেই সমাপ্তি। আসব ।

১০২০জন ৯১০জন

১৭টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ