আর তুমি মোটে নও বালিকা
তুমি হলে আজ নারী।
দ্বিধা, ভয় সব মাড়িয়ে দুপায়ে
বলে ওঠো – আমি পারি।
ঋতু, লালে মিছে ভয় কেন আর!
জানো ও জানাও সবে।
স্বাস্থ্য ও জীবন তবেই না তোমার!
হাসিটি সবার রবে।
আসুন আমরা ঋতুকালীন স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে সোচ্চার হই,
গুঁড়িয়ে দেই সামাজিক জড়তা আর অন্ধকার।
মেন্সট্রুয়াল হাইজিন ডে (http://menstrualhygieneday.org/) সামনে রেখেই এ আয়োজন – জানো ও জানাও।
২৮টি মন্তব্য
ইমন
ভালো লাগলো পুষ্ট টা পড়ে। 🙂
অরণ্য
ধন্যবাদ ভাইয়া।
শুন্য শুন্যালয়
খুব ভালো শেয়ারিং। লিখেছেনও ভালো। সামাজিক জড়তা আর অন্ধকার আসলেই দূর করতে হবে। পিরিয়ড সম্পর্কে অজ্ঞতার কারনে অনেকেই নানাবিধ সমস্যায় ভোগে। দেশে থাকতে আমি বেশ কিছু স্কুলে এ বিষয়ে সেশান নিয়েছিলাম। আমি দেখেছি ওদের জানবার অনেক আগ্রহ। অল্প কিছু সময় খরচ করলেই সচেতনতা অনেক বাড়ানো সম্ভব। অনেক বেশি প্রচার চাই মিন্সট্রুয়াল হাইজিন নিয়ে।
ধন্যবাদ আপনাকে অরণ্য।
অরণ্য
হুম। ঠিকই বলেছেন। আমি শুধু বলার চেষ্টা করছি “জানো ও জানাও”।
ধন্যবাদ আপনাকে।
জিসান শা ইকরাম
এসব বিষয় সহজ আলোচনা হলেই ভালো
এটি প্রকৃতিক এবং স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া
আমরা এসব আলোচনায় লজ্জা পাই।
পোষ্ট ভালো লেগেছে।
ডায়েরী গেলো কই ?
অরণ্য
থ্যাঙ্কস্ জিসান ভাই।
ডায়েরী এখনও আমার ভাগ্নির কাছে। ব্যস্ততার আর যাওয়া হয়নি সেদিন।
কিন্তু, ডায়েরীটা নিয়ে আসব সোনেলায়।
ভাল থাকবেন।
খেয়ালী মেয়ে
আমাদের সমাজে ঋতুকালীন স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে সাংঘাতিক রকমের এক সংকোচবোধ কাজ করে ছোট্ট সে বালিকা এবং তার পরিবারের মধ্যে—এই সংকোচবোধ ঘুচাতে হবে, অনেক বেশি জানতে হবে, জানাতে হবে–সমাজে মেন্সট্রুয়াল হাইজিন প্রচারনা বাড়াতে হবে…
ধন্যবাদ এমন সচেতনতামূলক পোস্টের জন্য…
অরণ্য
ধন্যবাদ খেয়ালী মেয়ে।
জানতে হবে, জানাতে হবে।
অনিকেত নন্দিনী
নিঃসন্দেহে সাহসী উদ্যোগ।
লজ্জা, জড়তা, ভয় কাটিয়ে সবাইকেই এগিয়ে আসতে হবে। শুধুমাত্র ঋতু সম্পর্কিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা জ্ঞানের অভাবেই কত মারাত্মক অসুখে ভোগে কতশত নারী।
অরণ্য
ধন্যবাদ আপনাকে। (y)
লীলাবতী
সামাজিক জড়তা আর অন্ধকারকে ত্যাগ করতেই হবে।এমন পোষ্ট আরো প্রয়োজন।
অরণ্য
ঠিক বলেছেন। আমরা চেষ্টা করছি। ঢাকায় কিছু কাজ করছি। এবার ঢাকার বাইরে যাবার প্ল্যান করছি। ধন্যবাদ আপনাকে।
আশা জাগানিয়া
সামাজিক কুসংস্কার অজ্ঞতা লজ্জার কারনে এ বিষয়টি আমরা সজতনে পরিহার করি।এটি সবার জানা এবং জানানো উচিত।
অরণ্য
ধন্যবাদ আপনাকে। সচেতনতা পরিবার থেকে বাড়াতে পারলে বেশ কাজের হতে পারে।
শুন্য শুন্যালয়
আরে আপনার লেখা দেখি একটা স্লোগান হয়ে গেছে। দারুন 🙂
আমরা মোনালিসায় বলবো, এইটা আমাদের সোনেলার অরণ্য ভাইয়ের লেখা। লেখাটা আপনার চুরি করেছেন। 😀
অরণ্য
যদি স্লোগান হয় ভালোর তরে, তো হোক তা। আমি শুধু জাগাতে চেয়েছি মাত্র। আমিও মানুষকে বলছি – জানো ও জানাও।
লেখাটি চুরি হয়নি, নিশ্চিত থাকুন। 😀
তবে সোনেলার কেউ যদি মোনালিসায় বা অন্য কোন ফোরামে গিয়ে বলে ওঠে “ইনি আমাদের সোনেলার অরণ্য ভাইয়া”, তাহলে তা অরণ্যের বাড়তি পাওয়া হবে। আমিও কোন কোন ক্ষেত্রে সোনেলার, সোনেলার অনেকের লেখার রেফারেন্স দেই।
ধন্যবাদ শুন্য।
নীলাঞ্জনা নীলা
হাজার বছরের সংস্কার এই লজ্জার পিছনে কাজ করে।কবে যে আমরা এসবকে স্বাভাবিক হিসেবে গ্রহন করবো?
অরণ্য
নীলা আপু, আমি আশাবাদী। সময় বদলাচ্ছে। মানুষ আবিষ্কার করছে, জানছে ও জানাচ্ছে। আপাতত বিহেবিয়্যার লেভেলের কিছু পরিবর্তনেই আমি খুশি। আমি জানি এটিটিউড লেভেলে পরিবর্তন আসতে একটু সময় নেবে, কিন্তু তা হবে।
“Feel PROUD to be a WOMAN, the most beautiful thing God created.”
ব্লগার সজীব
এমন কথা গুলো সহজ হয়ে যাক।আপনার লেখাটি কোথায় জানি দেখেছি।কোন পত্রিকায় কি এটি এসেছে?বা বিজ্ঞাপনে? মনে করতে পারছিনা।
অরণ্য
ভাই সজীব, আপনার মন্তব্য পড়ার মাঝপথেই একটা গান বেজে উঠল। গানের লিঙ্কটা পরে শেয়ার করছি।
হুম! আপনি ঠিকই দেখেছেন। বিজ্ঞাপনে – মোনালিসা এবং মোনালিসা উইমেন্স ক্লাবের আধা পৃষ্ঠা বিজ্ঞাপনে। সে হতে পারে মে ২৮ -এর কালের কন্ঠে কিংবা মে ২৯, ৩০ এর বাংলাদেশ প্রতিদিনে। বাংলাদেশ প্রতিদিনে আগামীকালও যাবে। আশাবাদ – মানুষের জড়তা ভেঙ্গে তারা বলতে শুরু করুক ঋতুকালীন নানা ইস্যু নিয়ে। গুগলের যুগে মানুষ জানুক ও জানাক।
চলুন, এবার গানটি শুনি।
https://www.youtube.com/watch?v=cQpwzx–68s
ভাল থাকবেন।
মিথুন
দ্বিধা, ভয় সব মাড়িয়ে দুপায়ে
বলে ওঠো – আমি পারি।(y)
অন্ধকার, জড়তা দূর হয়ে যাবে একদিন, সেদিন দূরে নয়। এই দিনটির কথা তো জানতামই না। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া…………
অরণ্য
মিথুন, পরের মন্তব্যটি আপনাকেই লেখা।
অরণ্য
“অন্ধকার, জড়তা দূর হয়ে যাবে একদিন, সেদিন দূরে নয়।” – কথাটি বেশ ভাল লাগলো। আমার মেয়ের বয়স ৮ বছর। আমি চাই ও আগেই জানবে তার পিরিওডকালীন নানাকিছু যেন ও খুব সহজেই নিতে পারে তার প্রথম পিরিওডকে এবং তা ম্যানেজ করতে করতে নিজের মত করে। আমি কল্পনা করি মেয়েরা তাদের প্রথম পিরিওডকে তারা তাদের “Day of Womanhood – the day she turned to a Woman from a girl” হিসাবে সেলিব্রেট করবে। অনেক জাতিতে প্রথম পিরিওড হলে তাকে পারিবারিকভাবে সেলিব্রেট করা হয় – রীতি একটু আলাদা হতে পারে।
আপনার কথাটিই আবারও লিখতে ইচ্ছে করছে।
“অন্ধকার, জড়তা দূর হয়ে যাবে একদিন, সেদিন দূরে নয়।”
ধন্যবাদ আপনাকে।
স্বপ্ন
সহজ সত্যকে আমরা লজ্জায় আবৃত করে ফেলি।
অরণ্য
লজ্জা ভাল, তবে লজ্জায় নুয়ে পড়া ভাল নয়। সময় বদলাচ্ছে এবং আমরা এগিয়েও যাচ্ছি। কথা বলতে হবে এবং বলানোর পথ তৈরি করতে হবে। আরেকটি ব্যাপার আমার কাছে বেশ গুরুত্ব বহন করে – স্বপ্ন দেখা এবং স্বপ্ন দেখানো।
ভাল থাকবেন।
মেহেরী তাজ
কিছুদিন আগ পর্যন্ত ও এই বিষয় টা আমার গোপনীয় আর লজ্বার মনে হতো। কিন্তু এখন আমি জানি এটা মোটেই তেমন কিছু নয়। ভালো একটা বিষয় শেয়ার করেছেন ভাইয়া।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
অরণ্য
জেনে খুবই ভাল লাগলো। এবার পালা সাধারণের মাঝে তা ছড়িয়ে দেয়া। জ্ঞান ও আত্মবিশ্বাস বিলি করলে তা নাকি আরও বেশি প্রখর হয় – বাড়ে। (y)
অরণ্য
লোদডোন থল. ভড \|/ ঊইইজাজগ্ :T