বর্তমান সময়ের জাতীয় পত্রিকাগুলোতে সাহিত্য পাতার বিস্তর চাহিদা।অনেকেই নিয়মিত পত্রিকা পড়েননা,কিন্তু শুক্রবার এলেই পত্রিকা পড়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে ওঠেন।
ঝকঝকে প্রচ্ছদে জ্বলজ্বল করছে গল্প,কবিতা, উপন্যাস,প্রবন্ধ,জীবনী
,রম্য,নাটক,ইতিহাস,ভ্রমন কাহিনী আরো কতো কি।
শুক্রবারের পত্রিকাগুলোতে সাহিত্যের জন্য অতিরিক্ত চার থেকে আট পাতা সংযোজন করা হয়-সাথে শিল্পিত আর্টের কারুকাজ তো থাকেই।
এটা অবশ্যই সাহিত্য চর্চার জন্য খুব ভালো উদ্দেশ্য পথেয়।কারণ,লেখকে
রা এ থেকে বেশ ভালোই সন্মানী লাভ করতে পারেন।একেকটি লেখা প্রকাশের জন্য ৪০০-১০০০ টাকা লেখক সন্মানী প্রদান করা হয় পত্রিকা হতে।এতে অবশ্যই তরুণেরা অনুপ্রাণিত হন। আমি কিছুদিন আগে সাম্প্রতিক দেশকাল পত্রিকা হতে ৮ শত টাকার সন্মানী পেয়েছিলাম দু’টি কবিতার জন্য।পেয়ে ভালোই লেগেছে।এখনো অনেক তরুণ তরুণী ধারনা রাখেনঃপত্রিকায় লেখা প্রকাশ করার জন্য টাকা দিতে হয়।তাহলে সেই কনসেপ্টটা ক্লিয়ার করে দেই।সাহিত্য বিষয়ক লেখা প্রকাশের জন্য পত্রিকাকে টাকা দিতে হয়না,বরং লেখককে পত্রিকা হতে সন্মানী প্রদান করা হয়।তবে সাহিত্য বহির্ভূত বিষয়ের জন্য টাকা দিতে হয় কলাম ভিত্তিক।
.
এখন আসি সম্পাদকদের দায়িত্ববোধে।
বেশিরভাগ সম্পাদকই গ্রুপ স্মৃষ্টির আয়োজনে নিমগ্ন।একটা বিষয় লক্ষ্য করে দেখবেন,ঘুরে ফিরে ৫০/৬০/কিংবা ৭০ জনের লেখাই বারবার প্রকাশিত হচ্ছে সমস্ত পত্রিকা জুরে।
এর অর্থ হলো,আপনি যতো ভালো সাহিত্য রচনা করুননা কেনো,লেখা প্রকাশের শর্ত সেটা নয়,আপনাকে অবশ্যই সম্পাদকের পরিচিত কেউ হতে হবে এবং এর সাথে ভালো সাহিত্য রচনা করতে হবে। এরা সাধারণত অপরিচিতদের লেখা প্রকাশ করতে ইচ্ছুক নন। ওনাদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলতে হবে,তাহলেই আপনার লেখা নিয়মিত প্রকাশিত হবে।আর আপনি যদি তেমন মানসিকতার মানুষ না হন তাহলে লেখা প্রকাশিত হওয়ার আশা বাদ দিয়ে দিন।বাংলাদেশের জাতীয় পত্রিকাগুলো সাহিত্য নিয়ে বিজনেস করেনা এটা ঠিক-তবে দলাদলির মতো জঘন্য গ্রুপিংটা খুব ভালোই চলে ওখানে,লবিং ইস্যু তো আছেই।
এসব ভেবে আত্নবিশ্বাস হারিয়ে ফেলার প্রশ্নই আসেনা।কারন শুদ্ধ স্বচ্ছ সাহিত্য চর্চার জন্য নির্জনতাই যথেষ্ট।জীবনানন্দ দাশকেও এমন পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়েছিলো নির্জন সাহিত্য চর্চার মাধমে।ওনার জীবদ্যশায় অল্প কিছু সংখ্যক লেখা পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছিলো।তাও আবার অল্প জনপ্রিয় পত্রিকাগুলোতে।সেই তিনি এবং তেনার মতো শত শত লেখক কালজয়ী হয়েছেন,যদিও পত্রিকা সম্পাদক প্রকাশকদের কাছ থেকে উপেক্ষিত হয়েছেন বারবার।
বাংলাদেশের সবখানেই এই অবস্থা বিরাজমান। পরিচিতি বা আত্মীয়স্বজন না হলে আর এগোনো যায় না। সমস্যাটা এখানেই থেকে যায়। তাই ওইসব আশা মন থেকে বাদ দিয়ে ঝেরে ফেলেছি, আরও অনেক আগেই।
সময়োপযোগী পোস্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ভালো বলেছেন।একসময় শুক্রবারের সহিত্য সাময়িকী পড়ার জন্য উদ্গ্রীব থাকতাম। তখন অনেক ভালো লাগতো।
এখন আর ভালো লাগেনা।এখন কিছু কিছু লেখা পড়লে মনে হয় মামা -চাচার জোরে সাহিত্যের মান অনেকাংশেই কমে গেছে।
১৬টি মন্তব্য
মোঃ মজিবর রহমান
আপনার উপস্থাপনা একটি সাইটে ভালই হয়েছে।
এখন সাহিত্য পত্রিকায় অনেক বিসয়ে অনেক রকম অরথ হয়। অবশ্য জাতীয় ভাবেই হচ্ছে। তাও আপনি তুলে ধরেছেন।
ভাল লাগ্ল।
মাসুদ চয়ন
ধন্যবাদভাই
নিতাই বাবু
বাংলাদেশের সবখানেই এই অবস্থা বিরাজমান। পরিচিতি বা আত্মীয়স্বজন না হলে আর এগোনো যায় না। সমস্যাটা এখানেই থেকে যায়। তাই ওইসব আশা মন থেকে বাদ দিয়ে ঝেরে ফেলেছি, আরও অনেক আগেই।
সময়োপযোগী পোস্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
মাসুদ চয়ন
ধন্যবাদ দাদা
নাজমুল হুদা
অসাধারণ, অনুপ্রেরণামূলক ও শিক্ষণীয় একটি লেখা।
আজকাল মামা খালু ছাড়া যেমন চাকরি হয় না , তেমনেই লেখাও প্রকাশ হয় না। 😢
মাসুদ চয়ন
ধন্যবাদ প্রিয়
মাছুম হাবিবী
যাক এই লেখাটা পড়ে একটা ভুল ধারণা ভেঙেছে। আমি মনে করতাম পত্রিকায় লেখা দিতে টাকা লাগে। াজ ক্লিয়ার হলাম ভালো লেখার কদর এখনো দেশে অাছে।
আরজু মুক্তা
সবখানেই লবিং!!
মাসুদ চয়ন
সত্যিই আপু
রাফি আরাফাত
খুবই ভালো লাগলো। অন্যরকম, অন্যরকম চিন্তা। সব মিলে ভালো কিছু পড়লাম ভাই।
ভালো থাকবেন
মনির হোসেন মমি
যে দেশে সাহিত্য পদ পেতে হলে টাকা আর ঐ মামার জোর লাগে সে দেশে সাহিত্য কেনা বেচাটা স্বাভাবিক। ভাল লাগল।
মাসুদ চয়ন
ধন্যবাদ দাদা
শবনম মোস্তারী
ভালো বলেছেন।একসময় শুক্রবারের সহিত্য সাময়িকী পড়ার জন্য উদ্গ্রীব থাকতাম। তখন অনেক ভালো লাগতো।
এখন আর ভালো লাগেনা।এখন কিছু কিছু লেখা পড়লে মনে হয় মামা -চাচার জোরে সাহিত্যের মান অনেকাংশেই কমে গেছে।
মাসুদ চয়ন
সত্যিই আপু
তৌহিদ
আপনার লেখাটি সত্যি ভালো লাগার মত। সুন্দর একটি বিষয়কে উপস্থাপন করলেন মাসুদ ভাই।
শাহরিন
নতুন বিষয় জানলাম। এই বিষয়ে কোন ধারনা ছিল না। আশাকরি অনেকেই উপকৃত হবেন। ধের্যের কোন বিকল্প নেই। চেষ্টা চালিয়ে গেলে একদিন সফলতা আসবে।