
কাঁচটা কি নিরেট কাঁচ?
এপার ওপার ভেদ করে আলো আসে -যায় যখন তখন!
এক গ্লাস জল পড়ে আছে নিথর নি-রঙা! চাইলেই মুখচ্ছবি দেখা যায়!
ও ছবিতে বাহারি রঙের প্রলেপ লেপ্টে থাকা- কতগুলো ভাণ ভাঙছে গড়ছে নাটিকা!
যবনিকার পদপ্রান্ত বিশাল লম্বা! ধরাছোঁয়ার নেই ঠিকানা।
যাপিত কড়চায় কে আর খোঁজে বাহারি রঙের বাক্য?
শ্বাশ্বত নিয়মের ধারাপাতে এ্যালুমিনিয়ামের হাড়িতে টগবগে ফুটন্ত শাদা ভাতের উপচে পড়া টানাপোড়েন!
সকালটা পেরোলেই বাড়ন্ত নুন,পেঁয়াজের ব্রেকিং নিউজে চোখ জ্বলে!
চালের চেয়ে ডালের বাড়ন্তপনায় উদ্ধত অ-নিয়মের চাতাল।
এখানে বিত্তের মধ্যাবর্তে খাবি খায় চুনোপুঁটি মাছেদের ফুলকো!
এ্যাকুরিয়ামের জলাধারে
সোনালী মাছেদের জলকেলী!
সেখানেও নিরেট কাঁচের প্রাচীর ঘেরা অনুশাসন!
আলোর ঘুর্ণাবর্তে ঠুনকো কাঁচের বাহারি রকমারী
মূল্যায়ন!!
২৩টি মন্তব্য
সাবিনা ইয়াসমিন
কাঁচময় কাব্য। বৃত্তবন্ধি জীবনটা একটা ঝকঝকে তকতকে অ্যাকুরিয়ামের মতই। বাইরের থেকে সব দেখা যায়, কিন্তু বোঝার উপায় নেই কিছুই। ভাসমান জীবন রঙ্গীন মাছগুলোকে যেভাবেই দেখি সকাল / বিকেল / রাত, একই রকম লাগে। আচ্ছা, মাছেরা কি জানে তাদের গায়ের রঙের নাম? নাকি অন্যের দেয়া নাম আর রঙেই তাদের পার করতে হয় নিজেদের জনম?
বন্যা লিপি
আমাদের কথাই ভেবে দেখো? জন্মের পর থেকেই আমরা কারো না কারো দেয়া নাম নিয়েই নিজেদের পরিচয় প্রতিষ্ঠা করে যাচ্ছি! রঙিন ওইসব মাছেরা সমুদ্রতল থেকে কাঁচঘেরা ঘোরটোপে বন্দী হলো অন্যের দেয়া নাম নিয়েই তো!
এই তো জীবন!!!
সাবিনা ইয়াসমিন
আমিও সেটাই ভাবছি। কাঁচ-বন্দি জীবন আর আমাদের বৃত্ত-বন্দি জীবনের খুব একটা তফাৎ নেই। আ্যকুরিয়ামে আনার পর প্রত্যহ নিয়ম করে ওদের পানিটা বদলে দিতে হয়, আর আমাদের পাল্টে নিতে হয় নিজেদের নিয়ম। কিন্ত ব্যাক্তি বস্তু সব একই থাকে,,, তাই না?
বন্যা লিপি
আমাদেরই পাল্টাতে হয় নিয়মের ছাঁচে নিজেদের উল্টে পাল্টে! এই পাল্টানোটাও হতে হয় একেবারে ধরাবাধা নিয়মের ধারাপাতে।নইলে সোনালী মাছের মতো নিঃশ্বাস হারাতে হয় অকালে।
ভাবতে গেলে দেখো, জীবনের এই চক্রাকারে ঘূর্ণাবর্তেই গড়ে নেয়া আশা, স্বপ্ন, প্রেম,মায়া,মমতা নিত্যনৈমিত্তিক নুন,চাল,ডাল,পেঁয়াজের ঝাঁঝই মূলত আমাদের অভ্যাসে অভ্যস্থতায় জড়িয়ে আছি।
এই তো নিয়মের সঠিক ধারাপাত!
তাইনা?
সাবিনা ইয়াসমিন
হ্যা, ঠিক তাই 😊
আরজু মুক্তা
আসলেই চুনোপুঁটি বেড়ে গেছে।
ভালো লাগলো।স্বচ্ছ কাচের ভিতর অস্বচ্ছতা।
বন্যা লিপি
এখানে বিত্তের মধ্যাবর্তে খাবি খায় চুনোপুঁটি মাছেদের ফুলকো!
এ্যাকুরিয়ামের জলাধারে
সোনালী মাছেদের জলকেলী!……..
যদিও এখানে বোঝাতে চেয়েছি “মধ্যবিত্তে’র জীবন পরিক্রমার দিক।
সেই তুলনায় এ জীবনে চুনোপুঁটি র সংখ্যাই তো বেশি হবার কথা।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত হলাম আপু!
নুর হোসেন
সকালটা পেরোলেই বাড়ন্ত নুন,পেঁয়াজের ব্রেকিং নিউজে চোখ জ্বলে!
চালের চেয়ে ডালের বাড়ন্তপনায় উদ্ধত অ-নিয়মের চাতাল।
-বাস্তবতার চরম বহিঃপ্রকাশ হৃদয়ের গহীন থেকে বেরিয়ে আসা সত্যতা।
ভালো লাগলো প্রিয় লেখিকা।
বন্যা লিপি
আপনার ভালোলাগলো জেনে উৎসাহিত হলাম। শুভেচ্ছা শুভ কামনা রইলো।
নুর হোসেন
ধন্যবাদ, শুভ কামনা রইলো।
ইঞ্জা
খুব ভালো লাগলো আপু, বিমোহিত হলাম।
বন্যা লিপি
অনুপ্রেরনা পেলাম ভাইজান।
কৃতজ্ঞতা জানবেন শুভেচ্ছা সহ।
ইঞ্জা
শুভেচ্ছা আপু
সুরাইয়া পারভিন
এখানে বিত্তের মধ্যাবর্তে খাবি খায় চুনোপুঁটি মাছেদের ফুলকো!
এ্যাকুরিয়ামের জলাধারে
সোনালী মাছেদের জলকেলী!
সেখানেও নিরেট কাঁচের প্রাচীর ঘেরা অনুশাসন!
বাস্তবতার চমৎকার বহিঃপ্রকাশ। মধ্যবিত্তের করুন পরিনতি। চমৎকার উপস্থাপন
বন্যা লিপি
এখানেই ভেদাভেদটুকু স্পষ্ট! চুনোপুঁটি আর সোনালী মাছের, জল কাঁচের বৃত্তবন্দি জীবন।
প্রেরনা পেলাম মন্তব্যে। শুভেচ্ছা সহ কৃতজ্ঞতা জানবেন।
সুপায়ন বড়ুয়া
কাঁচ দেয়ালে রেখোনা বন্দী
সোনালী দিনের আলো !
বিচ্ছুরিত হবেই . ভালোই হলো
বন্যা লিপি
অশেষ ধন্যবাদ জানবেন।
ইসিয়াক
কাঁচ কাব্যে ভালো লাগা।
বন্যা লিপি
সঞ্চিত রইলো আপনার ভালোলাগাটুকু।
কৃতজ্ঞতা রইলো।
ছাইরাছ হেলাল
ঠুনকো কাঁচের দেয়ালের ওপারে বাহারি মাছ যতই রঙয়ের আলো ছড়াক
সময়ের ঘূর্ণাবর্তে সবই হারাবে চোখের নিমিষে।
অনেক সুন্দর লেখা এটি।
বন্যা লিপি
” অনেক সুন্দর লেখা এটি।”
এমন মন্তব্যে সত্যিই মনে হয়,” কিছু একটা হয়তো লিখা হয়েছে তবে””!!
অজস্র কৃতজ্ঞতা সহ ধন্যবাদ।
জিসান শা ইকরাম
বৃত্তবন্দী মানুষ আর কাচবন্দী মাছ একই,
অনেক সুন্দর একটি কবিতা।
বন্যা লিপি
এমনই তো মনে হলো ভাবতে গিয়ে, কাঁচ বন্দি মাছ আর বৃত্তে ঘেরা জনজীবন!
মন্তব্যে আরো উৎসাহ/ আগ্রহ বাড়ে, আরো ভালো কিছু লেখার।
স্রদ্ধাসহ কৃতজ্ঞতা।