
বহু যুগ আগে জন্মদিনের সারাদিন পেরিয়ে রাত্রি বারোটার পরেই শুরু হয়েছিলো আমার জন্মরাত। সেদিন কি করছিলাম, কি ভাবছিলাম আজ তার কিছুই স্মরণে নেই। মানুষের স্মরণশক্তি কতো অদ্ভুত! বড়ো-বড়ো ঘটনা থেকে শুরু করে তুচ্ছতম সব স্মৃতি, ভালো লাগা, মন্দ লাগা,, কতোকিছু তারা মনে রাখতে পারে, স্মরণে রাখে। অথচ পৃথিবীতে আসার মূহুর্তে কি অনুভব/উপলব্ধি করেছিলো সেটাই মনে থাকেনা! অথবা মৃত্যুর আগ মূহুর্তে কেমন লাগছে, তা-ও কি কাউকে বলে যেতে পারে?!
ছোট থাকতে পেতাম ভূতের ভয়। ভুত আছে কি নেই এতোসব বোঝার আগেই ভয় পাওয়া শুরু হয়ে গিয়েছিলো। ঠাকুমার ঝুলি থেকে বাস্তবে যেন উঠে আসতো গল্পের সব অতিশয় রাক্ষস, ভূত, দৈত্য-দানব।
কিশোরী বেলায় ধরলো অন্যরকম ভয়। প্রেমে ডোবা দৃষ্টি, উগ্রতায় ঢুলু-ঢুলু বদন , কখনো ভীষণ লাল রঙা চোখগুলো পথে-ঘাটে একা চলার সাহস দিতো না। কারো মিষ্টি-বাঁকা কথার তোরে উচ্ছন্নে যাবার ভয় গুটিয়ে রাখতো আমায় আর-সব সমবয়সী কিশোরীর মতন। দলবেঁধে হেটে যেতে আসতেও ভয়, এই বুঝি আরেকটা ঢিল কেউ ছুড়ে মারলো! ঢিল ছোড়াছুঁড়িটাও খুব ভয়ের ছিলো, হোক তা ফুলের অথবা এক লাইনে লেখা কোন চিঠির ভাঁজে জড়ানো ছোট্ট একটুকরো ইট-পাথরের।
নতুন জীবনে পা দেয়ার মুহুর্তে যে ভয়টা শুরু হলো সেটা আজও কাটেনি। দিনের পর দিন, মাস-বছর কেটে যাচ্ছে ভয়ে। নিজেকে প্রমাণ করতে করতেই। স্ত্রী-মা-ভাবী-বেয়াইন-মামী-চাচী শত-শত সম্বোধন, সম্বোধনের কর্তব্য-মর্যাদা রক্ষায় প্রচেষ্টা চলে অবিরাম। অন্যমনস্ক হবার উপায় নেই, ভয় হয় যদি নিজের অযোগ্যতা ধরা পরে যায়!
পরিবারের এক আত্মীয়ার মৃত্যু হলো। মৃত দেহটাকে গোসল দিতে গিয়ে হঠাৎ অনুভব করলাম আমি আর ভয় পাচ্ছি না। একটা সময় ছিলো যখন কেউ মরে গেলে তার লাশ দেখতে যেতেও ভয় পেতাম। আশেপাশের বাড়ির কেউ মারা গেলে প্রবল আতঙ্ক চেপে ধরতো। ঠিকমতো ঘুমাতে পারতাম না, সন্ধ্যার পর ওয়াশরুমে যেতাম ভাইবোনকে নিয়ে দলবেধে। আর রাত বেশি হয়ে গেলে পাহারাদার হতেন মা,বাবা অথবা বড়ো কেউ।
ইদানীং হারানোর ভয় পাই। স্বযতনে রাখা স্মৃতি, সাধনার প্রাপ্তি, আরাধ্য আরাধনায় যা কিছু পাওয়া সব যেন কেউ নিয়ে যাচ্ছে। অলক্ষ্যে থাকা শুভাকাঙ্ক্ষীর আক্ষেপ টের পাই। ভয় পাই তার নির্মম ইংগিত।
মানুষের মনে একেক সময় একেক রকমের ভয় বাসা বাধে। ভয়ের কারণ-ধরণ যেমনই হোক ভয়ের অনুভব বেশ তীব্রভাবে মনে-মস্তিস্কে উপলব্ধ হয়। সময়ের সাথে-সাথে কিছু ভয় দূর হয়ে যায়, আবার কিছু ভয় আরও ভয়াবহ রুপে প্রকাশিত হয়। মানুষ সেই ভয়কে জয় করে, নয়তো আত্মসমর্পণ করে। কিন্তু আসলেইকি সব ভয় জয় করা যায়? এক ভয় থেকে নিস্কৃতি পেলেও আরেক ভয় সেই স্থান দখল করে নেয়।
জ্ঞান হবার পর থেকে কেন জানি না এই রাতটা এলেই আমি অন্যমনস্ক হয়ে পরি। সারাদিনের আনন্দ, সমস্ত দিনের ভালোবাসার প্রাপ্তিময় সারাক্ষণ গুলো একে-একে ভেসে উঠে মনে-চোখের পর্দায়। আর কি পাবো এমন রাত, আগামীকালও কি বেঁচে থাকবো সবার দোয়া-ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে? নাকি চলে যেতে হবে অনুভূতিহীন কোনো জগতে…
সোনেলা পরিবারের প্রতি আমার যত ভালোবাসা, আকুলতা সবই সোনেলার সোনালী বন্ধুদের জন্যে। তারা ভালোবাসা উজাড় করে দিয়েছিলেন বলেই, আমি সোনেলাকে ভালোবাসতে পেরেছি। সবার প্রতি ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা জানাই আজকের এই দিনে। ভালো থাকুক সোনেলার সবাই। সোনেলার নিরন্তর সফলতা কামনা করি।
৩৭টি মন্তব্য
ফয়জুল মহী
খুব সুন্দর অনুভূতিশীল লেখা । ভালো লাগলো I
সাবিনা ইয়াসমিন
প্রায় সব সময় আপনার উপস্থিতি দেখি। প্রথম মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ মহী ভাই,
ভালো থাকবেন, শুভ কামনা 🌹🌹
মোঃ মজিবর রহমান
জিবনের জন্মদিনের অনুভুতি, জিবনের চাওয়া পাওয়া ও অতীত ভবিষসত সন্মান মর্জাদা ধরে রাখায় দুস্কর। তা অতি নিপুনতার সহিত তুলে ধরেছেন।
জন্মহোক যেমন তেমন কর্ম হোক মর্যাদা
সমপর্ক সবার সাথে হোক না মধুর ব্যবহারটা
জিবনবোধে সকল দুর্সংকট কেটে হোক মধুময়
ভালবাসার সম্পর্কটা থাকুক নদীর মত বহতা।
সাবিনা ইয়াসমিন
অনেকদিন পর আমার পোস্টে আপনার কমেন্ট পেলাম মজিবর ভাই। ব্লগে আপনাকে দেখে খুশি হয়েছি। নতুন লেখা দিন। ভালো থাকুন।
শুভ কামনা 🌹🌹
মোঃ মজিবর রহমান
হ্যা আপু, সময় ও সার্বিক পরিস্থিতি আমাকে সোনেলা থেকে দুরে রেখেছে। ভাল আছি সুস্থ ও আছি। আপনি ও ভাল থাকুন।
সাবিনা ইয়াসমিন
আলহামদুলিল্লাহ। দোয়া করি ভাই, আল্লাহ তাআলা আপনার দিনগুলো সুরক্ষিত করুন। আমীন।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
জন্ম রাতের অনুভুতি নিয়ে নিটোল সুন্দর আর প্রাণবন্ত লেখা।
শুভেচ্ছা।
সাবিনা ইয়াসমিন
ধন্যবাদ ভাইজান।
ভালো থাকুন সব সময়, শুভ কামনা 🌹🌹
প্রদীপ চক্রবর্তী
দারুণ অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ দিদি।
শুভ জন্মদিন বারবার ফিরে আসুক আপনার মাঝে।
সুখে শান্তিতে থাকুন।
এ প্রার্থনা করি ঈশ্বরের কাছে।
সাবিনা ইয়াসমিন
তোমাকে ধন্যবাদ প্রদীপ।
ভালো থেকো, শুভ কামনা 🌹🌹
ইঞ্জা
আমি এখনো ভূতে ভয় পাই, ভূতের নাম শুনলেই আমি কয়েক মাইল দূরে, বাবার অকাল মৃত্যু আমাকে মৃত ব্যক্তির প্রতি শ্রদ্ধা এনে দিয়েছে, এরপরেও ভূতে চরম ভয় আমার এখনো।
আপনার একান্ত অনুভূতি পড়ে আমার খুব ভালো লাগলো আপু।
সাবিনা ইয়াসমিন
ভুতের ভয় এখন আর পাই না ভাইজান। মাঝে মাঝে পারিপার্শ্বিক বাস্তবতা ভুতের চাইতেও ভয়াবহ মনেহয়। কাছের মানুষদের মৃত্যু আমাদের মনের ভয় দূর করে দেয়। তখন অন্যের লাশ দেখে খুব বেশি ভয় লাগেনা, বরঞ্চ মৃতের পরিবারদের স্বজন হারানোর ব্যাথাটা অনুভব করে মন ভারী হয়ে পড়ে।
ভালো থাকুন ভাইজান। শুভ কামনা 🌹🌹
ইঞ্জা
কঠিন সত্য বললেন আপু, এমন অনুভব সবার থাকা উচিত।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
জন্মটাই একটা রহস্য লাগে আমার কাছে আর মৃত্যু সেতো সবচেয়ে বড় রহস্য। কেমন করে আসে , বড় হয় , মায়ার বাঁধনে আবদ্ধ হয়ে কোথায় হারিয়ে যায়! এই হারিয়ে যাওয়াটাই অস্বাভাবিক লাগে। প্রাণী জীবনটাই রহস্য আর অস্বাভাবিক মনে হয় । খুব ভালো লিখেছেন অনুভূতি গুলো। আরো অনেক জন্মদিন আসুক এই শুভ কামনা রইলো। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন
সাবিনা ইয়াসমিন
শুনেছি জন্ম মৃত্যু বেঁচে থাকার মাঝেই আছে সৃষ্টি জগতের রহস্য। আমরা নগন্য মানুষ, নিজেদের নিয়তির রহস্য অনুধাবন করার ক্ষমতাই রাখি না, সম্পূর্ণ জীবনের রহস্য কেমন করে জানবো 🙁
আপনার সুন্দর মতামত ও শুভেচ্ছার জন্যে আন্তরিক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন সারাক্ষণ। শুভ কামনা অনেক অনেক 🌹🌹
আলমগীর সরকার লিটন
বেশ অনুভূতির কথা ভাল লাগল সেসময় তাই হতো
সাবিনা ইয়াসমিন
কোন সময় কি হতো বুঝিনি লিটন ভাই।
ভালো থাকুন। ধন্যবাদ ও শুভ কামনা 🌹🌹
সুরাইয়া পারভীন
আমি বরাবরই হেরে যাওয়া মানুষ তাই এতো শত ভয় আমাকে জড়িয়ে রাখে না। কিছু পাওয়ার নাই কিছু হারাবারও নেই। ভূতে হয় পাই না। যা বিশ্বাস করি না তা নিয়ে মাথা ঘামায় না। সবাই বলে জ্বীনকে সাথে নিয়ে আমার বসবাস। অনেক বার দেখতে চেয়েছি জ্বীনকে দেখতে পাইনি।তাই এ নিয়ে মাথা ব্যথা নেই। মৃত্যু ভয় সেটাও নেই।কারণ যে কোনো সময় মরতেই হবে। এটাই সত্য চিরন্তন সত্য
ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সবসময় আপু❤️
সাবিনা ইয়াসমিন
আমরা আমাদের মনকে নানা সময়ে-কারণে অনুভূতিহীন করে ফেলি। একটা সময় নিজেকেই নিজের কাছে পাথর মনে হয়। কিন্তু আসলেইকি তাই হয়? মায়া-কর্তব্যবোধ কিছু না কিছু অবশিষ্ট রয়েই যায় নিজ নির্মিত পাথর মনে। মনকে পাথরে পরিনত করা সহজ নয়। হয়তো আপনার মনে হচ্ছে আপনি পেরেছেন। কিন্তু একজন যিনি আমাদের সৃষ্ট করেছে, তিনি পাথরেও ফুল ফোঁটান, কঠিন পাথরের বুক চিরে বইয়ে দেন সুশীতল ঝর্ণাধারা।
ভালো থাকুন সুরাইয়া,
শুভ কামনা ❤❤
সুরাইয়া নার্গিস
সবমিলিয়ে চমৎকার লিখছেন মিষ্টি আপু, কি মন্তব্য করবো ভেবেই পাচ্ছি না।
জীবনের প্রতিটা স্তর সুন্দর ভাবে ফুঁটিয়ে তুলেছেন লিখনিতে।
আবারও শুভ জন্মদিন মিষ্টি আপু।
সাবিনা ইয়াসমিন
ধন্যবাদ নার্গিস।
শুভ কামনা অবারিত 🌹🌹
সুপায়ন বড়ুয়া
“আগামীকালও কি বেঁচে থাকবো সবার দোয়া-ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে? নাকি চলে যেতে হবে অনুভূতিহীন কোনো জগতে…”
ভয় থেকে ভালবাসা আবার হারানোর ভয়
যদি ভালবাসা হারিয়ে যায়
সত্যিই তো জন্মরাতের অনুভুতি
অসম্ভব ভাললাগার অনুভুতিগুলি শেয়ার করার জন্য
ধন্যবাদ শুভ কামনা।
বারে বারে আসুক ফিরে
জন্মদিনের ক্ষন গননা।
সাবিনা ইয়াসমিন
ধন্যবাদ দাদা।
ভালো থাকুন, শুভ কামনা 🌹🌹
নিতাই বাবু
জন্ম বারের নিয়ে নিজের একান্ত অনুভূতিতে চমৎকার লিখেছেন শ্রদ্ধেয় দিদি। প্রার্থনা করি আপনার জীবনে এই শুভ জন্মদিন বারবার ফিরে আসুক। আপনার জীবন আনন্দময় জীবনের সারাবেলা।
সাবিনা ইয়াসমিন
ধন্যবাদ দাদা,
ভালো থাকুন, শুভ কামনা 🌹🌹
ছাইরাছ হেলাল
বেশ গুছিয়ে কত কথাই না বলে গেলেন অবলীলায়। আসলে প্রতিটি ক্ষণে ক্ষণেই আমারা আমাদের হারাচ্ছি
নির্দিষ্ট পরিনতির দিকে, তাও জীবন গড়িয়ে যায় নিজ নিজ গতিতে, আমাদের উপলক্ষ্য করে।
ভূত- ফুত পার করে বেশ ফুরফুরা হচ্ছেন মনে হয়।
সাবিনা ইয়াসমিন
ভূত-বর্তমানের চক্রে ঘুরতে ঘুরতেই পৌঁছে যাবো অজানা ভবিষ্যতের অবধারিত দরজায়, এটাই আমাদের নিয়তি।
ভালো থাকুন মহারাজ। শুভ সকাল 🌹🌹
রোকসানা খন্দকার রুকু।
আপনি মানেই জীব নকলক করে পড়ার জন্য যতগুলো লেখা পড়েছি নতুন লেগেছে।এটা ভাললাগা ভালোবাসা যেটাই বলেন কিছু একটা তো বটেই। তাই তো একটি বাক্য লিখার মানুষটা আমি কতকিছু লিখে ফেললাম॥আর এটাও আমার একটা ভয়।হারিয়ে ফেলার ভয় আপনাকে কিংবা আপনার লেখা।আপু বেশি বেশি লিখুন।।।।
সাবিনা ইয়াসমিন
এত গুছিয়ে আমি লিখতে পারি না 🙂
আপনার কথাগুলো ভালো লাগলো। হারানোর ভয় গুলো আমাদের বেঁচে থাকার প্রেরণা যোগায়।
ভালো থাকুন, শুভ কামনা 🌹🌹
খাদিজাতুল কুবরা
আপু জীবনের নিগুঢ় ভয় পারবো তো ?
নিজের উপর অর্পিত সকল কর্তব্য পালন করতে।
সত্যি জীবনের প্রতিটি ধাপে মানুষকে নিজেকে প্রমান করতে হয়।
এতো ভালো লাগলো আপনার একান্ত অনুভূতি যেন আমার মনের কথা লিখেছেন।
অনেক শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
সাবিনা ইয়াসমিন
সুন্দর মতামতের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ খাদিজা আপু। ভালো থাকুন সারাক্ষণ। শুভ কামনা 🌹🌹
তৌহিদ
আপনার লেখায় শুধু আপনাকে নয় আমাদের বাঙ্গালি নারীদের যাপিত রুপ খুঁজে পেলাম। অবলীলায় কতসুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন।
তবে আমার কাছে জন্মদিন মানে জীবন থেকে একটি বছর চলে যাওয়া। আগামী বছর কেমন যাবে সেই চিন্তায় সদা অস্থির।
ভালো থাকুন আপু। শুভকামনা ও শুভেচ্ছা অফুরান।
সাবিনা ইয়াসমিন
আমার কাছেও তেমনই মনেহয়। একটা জন্মদিন চলে আসা মানে হলো সঞ্চিত আয়ু থেকে একটা বছর নিঃশেষ হয়ে যাওয়া, অথচ আমরা জানি না হাতে আর কতটা আয়ু বাকি!
ধন্যবাদ ভাই। ভালো থাকুন, শুভ কামনা 🌹🌹
জিসান শা ইকরাম
জন্মের সময়ের অনুভুতি কেউই প্রকাশ করতে পারেনা, কারন অনুভুতি যে কি তখন তা সে জানেনা। দারুন এক ফাইন্ডিংস – জন্ম এবং মৃত্যুর সময়কার অনুভুতি মানুষ প্রকাশ করতে পারেনা।
ছোট বেলা থেকে বর্তমান বেলা পর্যন্ত ভয়ের বিভিন্ন পর্যায় এবং রূপ দেখালেন। ভুতের ভয় আমারো ছিল প্রচন্ড, ( গোপনে বলি- এখনো কিন্তু তা আছে ভিতরে ), কিশোরী, বিয়ের পরের বেলায় সব মেয়েদেরই আপনার মত এই ভয়টা থাকে।
আপনি মৃতদেহ গোসল করান! আপনাকেই তো এখন ভয় পাচ্ছি।
ইদানিং হারানোর ভয় পাচ্ছেন। এটিও ভুতের ভয় এর মত একসময় জয় করে ফেলবেন আশাকরি। বিধাতা হারানোর ভয় দুর করে দিক।
আমরা আপনাকে পেয়ে অনেক অনেক ধন্য এবং গর্বিত।
জন্মরাতের এমন পরিপুর্ন অনুভুতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
লেখার মাঝে আপনাকে খুঁজে পাওয়া গেলো।
জন্মদিনের আনন্দে উড়ুন সারা বছর।
শুভ কামনা।
সাবিনা ইয়াসমিন
ভয়কে জয় করতে করতেই একদিন দিন ফুরিয়ে আসে। ছোটোবেলা থেকে জীবন সায়াহ্নে পৌঁছাতে পৌঁছাতে আমরা ভয়ের একেকটা স্তর পাড়ি দেই।
মৃতদেহের গোসল নিজের আত্মীয়-পরিবার থেকে হলেই ভালো, তাই অংশ নিই। নিজের মানুষের মৃত্যুতে ভয় কাজ করে না।
ভালো থাকুন, ধন্যবাদ ও শুভ কামনা 🌹🌹
আরজু মুক্তা
শুভ কামনা। সুস্থ থাকুন। ভালো থাকুন।
এ পর্যন্ত সবাই যে ভালো আছি, এটাই নিয়তি।
সাবিনা ইয়াসমিন
সবাই ভালো থাকুক, সুস্থ এবং নিরাপদে থাকুক জীবনের শেষদিন পর্যন্ত, সৃষ্টিকর্তার কাছে এমনই প্রার্থনা করি।
ভালো থাকবেন আপু, ধন্যবাদ ও শুভ কামনা 🌹🌹