
ফটোগ্রাফীর শুরুটা ছিলো শখের বসে। ধীরে ধীরে নেশায় পরিণত হয়। একজন ফটোগ্রাফারের ছবিটাই শুধু ফ্রেমে ভেসে উঠে। অথচ ছবির পিছনের গল্পটা কেউ জানে না বা ফটোগ্রাফার বলতে চায় না। একটি ভালো মানের ছবির শট নিতে, যে পরিশ্রম ও ধৈর্য্যের প্রয়োজন তা সবার অজানা থেকে যায়। আমি ফটোগ্রাফী শুরু করি ওয়াইল্ডলাইফ দিয়ে। প্রথমে পাখির ছবির জন্য কাজ শুরু করি। পাখির ছবি তোলার সময় বন্যপ্রাণীর দেখা পেলে ছবি তুলতাম। কিন্তু বন্যপ্রাণীর জন্য কখনই সময় দেই নাই। পাখির ছবি তুলতে যেয়ে পাখি সম্পর্কে সম্যক ধারনা ও পরিচিতি মুখস্থ হয়ে যায়। পাখির জন্য বন-জঙ্গল, হাওর-বিল, নদী-নালা এবং উপকূলে ভ্রমন আমার মনে প্রশান্তি এনে দেয় । বাংলাদেশের এমন কোন হাওর বা নদী বা উপকূল নেই যেখানে ভ্রমন করি নাই। যদিও আমাদের দেশে ফটোগ্রাফী থেকে আয়ের কোন সুযোগ নেই। তারপরও ফটোগ্রাফীতে আমার সুখ হচ্ছে মনের শান্তি। এই সুখ ও শান্তি খুঁজে পেয়েছি ভ্রমনে ও ফটোগ্রাফীতে। যা আমাকে সবসময় তরুন ও সুস্থ্য রাখতে সাহায্য করে। এই হলো আমার ফটোগ্রাফী জগতে আসার পিছনের গল্প।
short nosed vine snake বা লাউডগা সাপ।
গত ২০ ও ২১ সেপ্টেম্বর সাপ্তাহিক ছুটির দিন থাকায় সাতছড়ি বনে যাই । এবার পরিকল্পনা নিয়েই সাতছড়ি ভ্রমন করি। এখন বাংলাদেশে প্রতিটি জায়গায় সাপের ডিম থেকে বাচ্চা বের হয়ে প্রকৃতির সাথে মিশে আছে। সাপ সম্পর্কে একটু না বললে আপনাদের ধারনা হবে না। সকল প্রাণী জন্ম নেবার পর মা-বাবা ছানাদের লালন পালন করে। শুধু সাপ হচ্ছে তার ব্যাতিক্রম। সাপ ডিম থেকে বের হবার পর তার খাবার তাকেই খুঁজে খেতে হয়। যার জন্য বিষধর সাপের বাচ্চা ডিম থেকে মুখ বের করার পরই তার বিষ চলে আসে। কারন তাকে খাবার খুঁজতে হলে যে কোন শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে। তাই একদিনের বিষধর বাচ্চাটি কামড় দিলে মৃত্যুর আশাংকা থাকে।
আমরা অনেকের ধারনা সাপ মানেই বিষধর। আসলে কি তাই? আমাদের ধারনা নেই বলে এমনটি মনে হয়। আমাদের দেশে ৩৯ প্রজাতির সাপ পাওয়া যায় তার মধ্যে ৭০% ভাগ সাপ নির্বিষ। কামড় দিলে মানুষ বা কোন প্রাণী মারা যাবে না। তারা নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য কামড় দেয়। আর সাপে কামড় দিয়েছে এটা ভেবেই দূর্বল হৃদয়ের মানুষ হৃদরোগ যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যায়। আর বাকি ৩০% ভাগ সাপ বিষধর। এর মধ্যে কয়েকটি আছে কামড় দিলে দশ হাত পর্যন্ত যাওয়ার আগেই মৃত্যু অনিবার্য। আর বাকিগুলি ফলস বা অভিনয় কামড় দেয় অন্তত পক্ষে ৮-১০ বার। যখন সে বুঝতে পারে তার আত্মরক্ষার কোন সুযোগ নাই তখন সে বিষ ঢেলে দেয়। সাপ কামড়ালেই মানুষ বা প্রানী মারা যাবে এমনটি নয়। বিষধরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর হচ্ছে- King Cobra , Rasel Viper, Red necked snake, short nosed vine snake, pit viper সহ আরো কয়েক প্রজাতির সাপ।
উপরে প্রথম ছবির সাপটি হচ্ছে- Ornet flying snake বা ‘কাল নাগিনী’। নাম তার ‘কাল নাগিনী’ অথচ নির্বিষ একটি সাপ। শত কামড় দিলেও মানুষ বা কোন প্রাণী মরা যাবে না।
দ্বিতীয় ছবির সাপটি মারত্মক ভেনাম বা বিষধর সাপ। যার নাম short nosed vine snake বা আঞ্চলিক ভাষায় লাউডগা। সাপ সম্পর্কে যতটুুকু জেনেছি ও পড়েছি এই হলো মোটামোটি সাপের বর্ণনা।
এবার আসি মুল গল্পে।
আগেই বলেছি একটি পরিকল্পনা নিয়ে সাতছড়ি আসি। বেশ কয়েক বছর ধরে সাপ নিয়ে কাজ করা ও ছবি তোলার শখ জাগে। সময় ও সর্প বিশারদ না পাওয়ায় আগ্রহটা তেমন নাড়া দেয় নাই। অবশেষে এবার পরিকল্পনা করি এই মৌসুমে সাপের ছবি না তুলি তবে আরেকটি বছর গত হয়ে যাবে। তাই দুই দিনের সাপ্তাহিক ছুটিতে চলে যাই সাতছড়ির গহীন বনে।
সর্প বিশারদ প্রসেনজিৎ ত্রিপুরাকে সঙ্গে নিয়ে রাতে বেরিয়ে পড়ি সাপ খুঁজতে। প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা ধরে হাঁটতে থাকি আর দুই ধারে ঝোপ-ঝাড়ে সাপ খুঁজতে খুঁজতে গহীন বনের ভিতর প্রবেশ করি। রাত তখন ৮টা বাজে। শুনশান বন। কোন সাড়া শব্দ নেই। হাতে টর্চ লাইট ধরে বনের ভিতর সামনের দিকে আগাচ্ছি। মাঝে মাঝে মাটিতে লাইট ধরতে হচ্ছে। কারন গরমের দিনে সাপ মাটিতে চলে আসে ঠান্ডার জন্য। বনের ভিতর প্রচন্ড গরম। এরই মাঝে দেখা পেলাম Fish cat বা মেছো বাঘ। দৌড়ে বনের ঝোপের ভিতর ঢুকে পড়লো। আমাদের পায়ে হাই বুট। তার উপর জিন্সের প্যান্ট। হাতে স্নেক স্টিক। এই পোষাকের অর্থ হচ্ছে নিজেদেরকে সাপের কামড় থেকে রক্ষা করা। কারন মাটিতে সাপ থাকলে অন্ধকারে দেখা যাবে না। সাপ প্রথম কামড় দেবে যদি তার শরীরে বা লেজে পায়ের চাপ পড়ে। মাটিতে থাকা সাপ পায়ে কামড় দেয়। তাই নিজেদের নিরাপত্তা মাথায় রেখেই বনে ঢুকতে হয়।
বনের রাস্তা ধরে হাঁটতে হাঁটতে short nosed vine snake বা লাউডগা সাপের দেখা পেলাম। বনের ভিতর পানি ভরা একটি গর্তের পাড়ে লতার ডালে জড়িয়ে আছে। সঙ্গে সঙ্গে বেশ কয়েকটি ছবি নিলাম। তারপর সাপটিকে স্নেক স্টিক দিয়ে ধরে আনলাম। একটা জিনিষ লক্ষ্য করলাম যে কোন সাপের মাথায় স্পর্শ করলে সাপটি চুপ হয়ে যায়। তার নড়াচড়াও স্থির হয়ে উঠে। সাপটিকে যখন স্নেক স্টিক দিয়ে ধরে আনা হয় তখন বার বার ছোবল দেবার জন্য শোঁ শোঁ শব্দ করছিলো। প্রসেনজিৎ মাথায় স্পর্শ করার সঙ্গে সঙ্গে স্থির হয়ে যায়। পড়ে ওর কাছ থেকে এই বিষয়ে আরো সম্যক জ্ঞান নেই।
জীবনের প্রথম কোন সাপকে হাত দিয়ে স্পর্শ করলাম। তাও আবার বিষধর সাপ। সেদিনের রাতের কর্মটি ছিলো আমার কাছে সম্পূর্ন এ্যাডভেঞ্চার মূলক। যেমন আনন্দ পেয়েছি সঙ্গে তেমন ভয়। ছোট বেলা থেকেই যে কোন চ্যালেঞ্জিং কাজে নিজেকে হারিয়ে ফেলতাম। কিশোর বয়সে দুঃসাহসিকতার সাথে অনেক কাজ করেছি। ফটোগ্রাফীতে নিজেকে জড়িয়ে সেই দুঃসাহসকে কাজে লাগিয়ে বীরদর্পে এগিয়ে যাচ্ছি। যেকোন চ্যালেঞ্জিং কাজকে আপন করে নিতে খুব ভালো লাগে। সবসময় নিজের ভিতর দোলা দেয় কখন কাজটি সফলতার সঙ্গে শেষ করতে পারবো।
আজ এই পর্যন্ত থাকুক। পরবর্তীতে কোন নুতন ভ্রমনের ঘটনা নিয়ে আবার হাজির হবো।
সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। যেন সুস্থ্য থেকে কাজগুলি শেষ করতে পারি। নতুন নুতন পাখি নিয়ে আপনাদের সঙ্গে থাকতে পারি।
আপনাদের কাছে বিশেষ অনুরোধ রইলো কেউ সাপ মারবেন না। সাপ প্রকৃতিতে খুব উপকারী একটি প্রাণী। সাপকে আঘাত না করলে সাপ তেড়ে আসবে না। তাই নিজেদের বাড়ির আঙ্গিনায় ঝোপ-ঝাড় পরিস্কার রেখে সাপ থেকে নিরাপদে থাকুন।
সাবই ভালো থাকুন ও সুন্দর থাকুন।
২৯টি মন্তব্য
ইঞ্জা
মনে আছে কি ভাই জিজ্ঞেস করেছিলাম, “শুধু কি পাখি, নাকি জীব জন্তুরও ছবি তুলেন?”, মনে আছে নিশ্চয়, সেই হিসাবেই বলি আমি আনন্দিত যে আপনি জীব বৈচিত্রের উপর এখন থেকে ইন্টারেস্ট নিচ্ছেন, বিষয়টি আমার খুব ভালো লাগলো ভাই, ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সাথে আপনার প্রথম সাপ নিয়ে লেখাটি শেয়ার করার জন্য, আরও কিছু জানবার আশায় অপেক্ষায় রইলাম। 😊
শামীম চৌধুরী
জ্বী ভাইজান মনে আছে। ধন্যবাদ আপনাকে সবসময় সঙ্গে থেকে উৎসাহ দেবার জন্য। ভালো থাকবেন ভাইজান।
ইঞ্জা
ভালোবাসা জানবেন ভাই, জানেন তো আমি আপনার এক ভক্ত। 😊
তৌহিদ
লেখাটি পড়ছি আর গা শিউরে উঠছে! আপনার এহেন সাহসিকতারর জন্যই সোনেলার পাঠকগন এত সুন্দর তথ্য সমৃদ্ধ একটি লেখা পেলো।
ভাইজান আপনি সোনেলার প্রাণ। প্লিজ নিয়মিত আসুন। আপনাকে খুব মিস করি।
শামীম চৌধুরী
অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো আদরের ভাইটির জন্য। আসলে সময় ও ব্যাস্ততার জন্য সব সময় নিয়মিত আসা যায় না। সোনেলার প্রাণ আমরা সবাই। একক কোন প্রাণ বলতে সোনেলাতে কিছু নেই। সোনেলা হচ্ছে আমাদের পরিবার। আর আমরা সেই পরিবারের সদস্য বা সদস্যা।আর সোনেলার উঠোনে আমাদের জড়ো করেছে সেই প্রাণগুলিকে। তোমাদের ভালোবাসা স্নেহ ও শ্রদ্ধা আামাকে অভিভুত করেছে এই উঠোনে। আমি এখনও জীব বৈচিত্র নিয়ে শিক্ষানবীশ। কাজ করে যাচ্ছি এই আশায় যে একদিন না একদিন সফলতা আসবেই। সবার দোয়া চাই। আর সোনেলার জন্মদিনে রইলো শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
তৌহিদ
আপনি আমাদের মুরুব্বি ভাইজান। আপনার উপস্থিতি আমাদের প্রত্যেকের মনে আনন্দ অনুভব হয়। লেখা নিয়েই আসতে হবে এমনটা নয়। লেখায় উৎসাহ মুলক মন্তব্য করেও আপনার ভালোবাসা প্রাপ্তি একান্ত কাম্য আমাদের।
নিতাই বাবু
ফটোগ্রাফ এবং ফটোগ্রাফি বা ফটোগ্রাফার নিয়ে আগে তেমন ধারণা আমার ছিল না। আপনার সুলেখিত লেখনী পড়ে এবিষয়ে অনেককিছু জানা হলো। পোস্ট পড়ে নিজের গা-ও ছমছম করতে শুরু করলো। ছমছম করার কারণ হলো আপনার দুর্দান্ত সাহসিকতা দেখে। আপনার লেখা পড়ে টিভিতে দেখা দৃশ্যগুলো মনে পড়তে লাগলো। সত্যি আপনার সাহসের প্রশংসা করতে হয়।
শুভেচ্ছা জানবেন।
শামীম চৌধুরী
ধন্যবাদ দাদাভাই।
আপনি সব সময়ই আমাকে উৎসাহ দিয়ে আসছেন। আপনার ও আপনাদের উৎসাহ ও ভালোবাসা আমাকে এত দূর নিয়ে এসেছে। দুঃসাহসিক কাজকে সব সময় চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে থাকি। ভয় থাকলে এ কাজগুলি করা যায় না। সব সময় মাথায় কাজ করে জন্মেছি যখন মৃত্যু তখন আসবেই। হোক না সেটা কোন দুঃসাহসিক কাজের মাঝে।
ভালো থাকবেন দাদাভাই্
শুভেচ্ছা রইলো সোনেলার জন্মদিনে।
মনির হোসেন মমি
ওরে বাপরে সাপ!!! জেনে নিলাম এমনটি আর অযথাই বলা যাবে না কিন্তু কাল নাগিনীর যদি বিষ না থাকে তবে এর নামটি এর জনপ্রিয় কেন?আমরা ভাইটিকে নতুন ভাবে চিনছি।আপনার গবেষনায় আপনি সফল হন এই কামনা রইল।
শামীম চৌধুরী
নামেই যে সব কিছু নয় তার প্রমান এই কাল নাগিনী। হা হা হা…!! অনেক ধন্যবাদ মমি ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকে পাখি গ্রাফার বলেই মেনেছি/জেনেছি,
এখন আপনার কায়কারবার দেখে ভয় পাচ্ছি,সাপ খুব ডরাই কিন্তু।
গভীর রাতে বনে সাপ খুঁজতে যাওয়া ভাবলেও কিরাম জানি লাগে।
তবে আপনার হিরোইজম দেখে ভালই লাগে এ বয়সেও সময়কে পেছনে ফেলে।
আপনি তো সাপ বিশারদ হয়ে গেছেন।
দেখুন আপনার কথা নিয়ে বলছি, পাঠক বা দর্শক শুধু প্রকাশিত সত্যটুকুই দেখে/পড়ে/উপলব্ধি
করে তৈরির পেছনের কাজ টুকু অজ্ঞাত থেকেই যায়।
অবশ্যই আপনার জন্য শুভকামনা, এগিয়ে যাবেন বৃহৎ সফলতার দিকে।
আমরা আপনার সাথেই থাকব সাধ্যানুযায়ী।
শামীম চৌধুরী
সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ হেলাল ভাই। সাপকে ভয় পাবার কিছুই নেই। কোনদিন যদি সরাসরি দেখা হয় তবে সঙ্গে করে নিয়ে যাবো আপনাকে। হাত দিয়ে সাপ ধরে আমার গলায় পেঁচিয়ে দিবেন। হা হা হা।
জিসান শা ইকরাম
সাপ সম্পর্কে আপনার লেখায় অনেক কিছু জানলাম।
যেহেতু সাপ চিনি না, তাই কোনটা বিষধর, আর কোনটা বিষধর নয় তাও বুঝবো না,
৭০% সাপে বিষ নেই, ৩০% সাপে তো আছে, চিনিই না যখন, তখন সব সাপই এক আমার কাছে।
তবে সাপ মেরে ফেলার বিরোধী আমি, প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় যে কোনো প্রাণীরই দরকার আছে।
আপনার সাপের ছবি তোলার এডভেঞ্চার আমাকে আসলেই অবাক করেছে।
কতটা শখ এবং নেশা থাকলে এই ধরনের ভ্রমন করে মানুষ তা ভাবছি।
লেখা ভালো লেগেছে খুব।
অপেক্ষায় আছি পরের লেখার জন্য,
শুভ কামনা।
তৌহিদ
বিষধর সাঁপ আমিও চিনতে চাই।
শামীম চৌধুরী
ভাইজান সেটা তো নামকরনে ও সাপ দেখে চিনতে হবে। কোনটা বিষধর আর কোনটা নির্বিষ। যেমন short nosed vine snake সাপটি বিষধর। না দেখে চিনবে কেমনে? একবার সাথে চলো বিষধর ও নির্বিশ সাপ নিজের চোখে দেখে আসবে। আর গলায় মালা পড়বে।
শামীম চৌধুরী
ধন্যবাদ জিসান ভাই লেখাটি পড়ার জন্য।
জিসান শা ইকরাম
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই,
এত ভালো নিজস্ব অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ একটি লেখার জন্য।
প্রদীপ চক্রবর্তী
অজানা কিছু জানলাম।
সোনেলায় এসে আপনাকে পেয়ে ধন্য মনে করছি দাদা।
এতো ভালো অজানা তথ্য তুলে ধরছেন।
আপনার সফলতা সবসময় কামনা করি।
শামীম চৌধুরী
আপনাকে পেয়েও আমি সুখী দাদা ভাই। ভালো থাকবেন।
সাবিনা ইয়াসমিন
সাপকে আমি ভীষণ ভয় পাই। পারতপক্ষে সাপ থাকতে পারে এমন কোনো জায়গা বা ছবি/ মুভি কিছুই দেখিনা 🙁
আপনার লেখাটি মনে থাকবে। চেষ্টা করবো সাপকে ভয় না পেতে। পারবো কিনা জানিনা।
শুভ কামনা 🌹🌹
শামীম চৌধুরী
সাপকে ভয় পাবার কিছু্ই নেই। সাপ বধির ও অন্ধ। সে তার জিহবার মাধ্যমে সব কিছু জানতে বা বুঝতে পারে। শত্রুর গতিবিধি ও নিজেদের রক্ষা করা সবই সে নাকের গন্ধ দিয়ে করে থাকে। সাপ কোন অবস্থাতেই মানব ক্ষতিকর নয়। শুধু মাত্র চলাফেরা করার সময় একটু সাবধানে চলাফেরা করলেই সাপের দংশন থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। সাপকে আঘাত না করলে সাপ দংশন করে না।
তাই আপু নিশ্চিন্তে সাপকে স্পর্শ করতে পারবেন। যদি মাথাটা ধরতে পারেন।
মোস্তাফিজুর খাঁন
🤗 সাপ খুব একটা ভয় পাই না ।
কালকে রাতে (২৫ সেপ্টেম্বর) একটা সাপের ওপর পা পড়েছিল । হালকা ভয় পেয়েছি, যদি কামড়ে দিতো !!!
আপনার লেখাটা পড়ে অনেক কিছু জানতে পাড়লাম । ভাইজান ।
সবাই অবাক হলেও আমি কিন্তু খুব মজা পেয়েছি ।
কত মজাই না হতো, যদি আপনার সাথে বনে ঘুরে সাপ খুঁজে ছবি তোলার দৃশ্যটা উপভোগ করতে পারতাম !!! ☺ 🐍
শামীম চৌধুরী
সময় করে একদিন সাথে চলেন।
মোঃ মজিবর রহমান
চ্যালেঞ্জিং কাজ তারাই পারে যারা খুব সাহসি ও বুদ্ধিমান এটা আমার উপলদ্ধি।
আপয়ানার লেখায় বা ভ্রমনে যাই বলি ছবি তোল@ সখের কিন্তু বিশধর সাপের ছবি আবার সাপের সনংে হাত দুয়ে স্পরশ আমার ভয় গা সম সম করতে ছে।
আল্লাহ আপনাকে সুস্থ ও আরো কাজ করার তৌফিক দিক।
শামীম চৌধুরী
আমীন।
মোঃ মজিবর রহমান
সুম্মা আমিন
আরজু মুক্তা
বাপরে পায়ের তলা শিরশির করছে। ভালো লাগলো এ্যাডভেনঞ্চার কাহিনী।
শামীম চৌধুরী
ধন্যবাদ আপু।
কামাল উদ্দিন
দুর্দান্ত, এমন একটা ফটোগ্রাফি এডভেঞ্চার করতে পারলে ভীষণ খুশি হতাম।