ওরা আমার মুখের ভাষা কাইরা নিতে চায়!
এই ক্ষোভ থেকেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাঙালীদের স্বাধীনতা আন্দোলনের বীজ বপিত হয়েছিলো।
অবশেষে অধিকার আদায়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আমরা স্বাধীন হয়েছিলাম।
আর মাতৃভাষার জন্য আমাদের এই ত্যাগকে সম্মান জানিয়ে সারা পৃথিবীর মানুষ এখন ২১ শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে পালন করছে।
এ জয় আমাদেরই।
সেই সুত্র ধরেই আগামী বছরের প্রথম দিন পাঁচটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ( আদিবাসী) শিশুদের মাতৃভাষায় শিক্ষা লাভের পথ উন্মুক্ত হতে চলেছে। স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৫ বছর পর চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, সাদরি ও গারো এই পাঁচটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ২৪ হাজার ৬৪১ জন শিশুর জন্য প্রাক-প্রাথমিক স্তরের ৫১ হাজার ৭৮২ কপি বই মুদ্রণ করা হয়েছে। মাতৃভাষার বই ছাপানোর ক্ষেত্রে চাকমাদের বই তাদের নিজস্ব বর্ণমালায়। গারোদের আচিক ভাষা হলেও তাদের বর্ণমালা নেই। তারা মূলত রোমান বর্ণমালায় পড়ে বলে তাদের বই হবে রোমান বর্ণমালায়। মারমাদের বই মারমা ভাষায় হলেও নিজস্ব বর্ণমালা না থাকায় বই হবে বাংলা বর্ণমালায়। ত্রিপুরাদের ভাষা ককবরক। তবে তাদের বইও হবে বাংলা বর্ণমালায়। সাদরি জনগোষ্ঠীর ভাষা সাদরি হলেও তাদের বইও হবে বাংলা বর্ণমালায়। পরবর্তী শিক্ষা বর্ষ থেকে পর্যাক্রমে প্রাথমিক ও প্রাক-প্রাথমিক স্তরে অন্যান্য আদিবাসী শিশুরাও মাতৃভাষায় শিক্ষা লাভের সুযোগ পাবে।
জানা গেছে, ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য শান্তিচুক্তিতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিশুদের মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা লাভের অধিকার থাকলেও গত দুই দশক তা ছিল স্বপ্ন। সংবিধানে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী মাতৃভাষায় শিক্ষা লাভের অধিকারের কথা বলা হয়েছে। বিষয়টি জাতিসংঘেও স্বীকৃত। তার পরেও এতদিন দেশের আদিবাসীদের জন্য ছিল এটি কেবলই স্বপ্ন। শেষপর্যন্ত নানা প্রতিকূলতা ডিঙিয়ে সে স্বপ্ন পূরণেই এবার তা বাস্তবে রুপ লাভ করতে চলেছে। এছাড়া শিক্ষা সহায়ক হিসেবে ৫০০টি শিক্ষা উপকরণও বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে।
জয় বাঙলা…
১৮টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
খুবই ভাল একটি খবর এটি।
মাতৃ ভাষায় শিক্ষা লাভ সব মানুষের অধিকার।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
এটা অবশ্যই আরো একটি অর্জন আমাদের। ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে ২১শে ফেব্রুয়ারিকে যে কারণে সম্মানিত করা হয়েছে, সেদিক বিবেচনায় এটি খুব জরুরী ছিলো।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
হ্যাপী নিউইয়ার । -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
বাহ! এতোদিনের স্বপ্ন ওদের স্বার্থক হতে চললো। নিজের মাতৃভাষায় পড়ালেখায় যতোটা আনন্দ পাওয়া যায়, অন্য ভাষায় ঠিক সেই রকম আনন্দ নেই। সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আর রুবা’পু তোমার কাছে তো কৃতজ্ঞ এমন অনেক খবর যা চোখে পড়েনা, কিন্তু তুমি তুলে ধরো।
ধারাবাহিক পোষ্টটা কি থামিয়ে দিলে আপু?
ভালো থেকো।
Happy New Year -{@
মারজানা ফেরদৌস রুবা
ধন্যবাদ। না গো, থামিয়ে দেইনি, সাময়িক বিরতি। চলে আসবো।
হ্যাপী নিউইয়ার । -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
রুবা’পু এসো এসো লেখা নিয়ে এসো
নতূন বছরে
শুরু করো নতূন করে
তোমার থেকেই জানি ইতিহাস
ও রুবা’পুরে। 😀
ভালো থেকো, সুস্থ থেকো।
Happy New Year 2017 -{@
মোঃ মজিবর রহমান
সরকারের নিকট ক্রিতজ্ঞহ যে তাঁরা সকল ভাষাকে মুল্যায়ন করেছে। আপনাকেও শুভেচ্ছা যে এই পোস্ট শেয়ার করেছেন। সকালে খবর শুনে চোখে জল এসেছিল যে অনেকদিনের অনেক মানে তিনটি ভাষায় এবার বাংলাদেশে প্রাইমারী স্কুলের ছেলেদের নিকট যাবে এবং এই ভাষা সম্পর্কে , সংস্কৃতি, সব জানা যাবে।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
চোখে পানি আসার একটাই কারণ, দেশপ্রেম।
হ্যাপী নিউইয়ার । -{@
মোঃ মজিবর রহমান
আপনাকেও শুভেচ্ছা২০১৭। -{@
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
শুভ কামনা নৃগোষ্টিকে।শুধু আইন করলে কিংবা বাস্তবায়ন করলেই চলবে না এটাকে ধরে রেখে চালিয়ে যেতে হবে যে সরকারই আসুক। -{@
মারজানা ফেরদৌস রুবা
সেটাই। বিরোধিতার কারণে বিরোধিতা- এই সংস্কৃতি থেকে বের হতে না পারলে দেশ এগুবে না।
হ্যাপী নিউইয়ার । -{@
মৌনতা রিতু
সত্যি, খুবই ভাল এক উদ্যোগ। প্যত্যোকটা এলাকারই একটা ভাষার নিজস্ব টান আছে। আছে কিছেটা ভিন্নতা। আমরা ঘরে ছোট বেলা থেকেই এই মাতৃভাষায় কথা বলতে শিখি। অনেকে বাচ্চাদের দেখি শুদ্ধ ভাষায় কথা বলতে শেখায় অন্যদের সামনে। কেন যেন আমি এখনো সেই খুলনার গ্রামের ভাষা ছাড়তে পারিনি। সবার সামনে একি ভাবেই কথা বলি।
তোমার লেখার ভিন্নতাই তুমি। তোমার পরিচয় এই তুমিতেই।
আমার শ্রদ্ধা ও ভালবাসা নিও। নতুন বছরের শুভেচ্ছা রইল।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
-{@
মৌনতা রিতু
ও হ্যাঁ, এটা তো ক্যাডেটে আসার মতো একটা প্রশ্ন। ভাল তথ্য দিলে আপু। আমি স্কিন শর্ট দিয়ে রেখেছি। মেমনকে পড়াতে হবে। দোয়া করিও এই ছয় তারিখ ওর পরীক্ষা।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
তারমানে আগামীকাল। ভালো হোক পরীক্ষা দোয়া রইলো।
ইঞ্জা
খুব ভালো নিউজ, তাদের জন্য রইল নিরন্তর শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
-{@ শুভেচ্ছা নিরন্তর।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
তারমানে আগামীকাল। ভালো হোক পরীক্ষা।