
সকালে নাস্তা করতে হোটেলে ঢুকলাম। হোটেলে ঢুকেই দুইটা রুটি, একটা ডিম আর এক প্লেট ডালভাজি অর্ডার করলাম। ওয়েটার বললো মামা কিচ্ছুক্ষণ অপেক্ষা করুন রুটি ভাজা শেষ হয়নি। কেবিনে বসে ফোন টিপছিলাম, হঠাৎ একটা মেয়ে এসে বললো – ‘এক্সকিউজ মি প্লিজ’ আমি কী এখানে বসতে পারি? অামি কিছুটা অদ্ভুত কণ্ঠে বললাম হ্যাঁ, বসুন। মেয়েটা আমার গা ঘেঁষে বসলো। অামি মোবাইলে গেইম’স খেলছি যখন ওয়েটার অামাকে নাস্তা দিতে এলো মেয়েটা ওয়েটারকে বললে এই যে শুনুন, এই স্মার্ট বয়টাকে যা দিয়েছেন আমাকেও তাই দেন। ওয়েটার ‘ওকে মেম’ বলে চলে গেল। আমি মেয়েটিকে পাত্তা দিচ্ছি নাহ! রুটিগুলো ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাচ্ছি। মেয়েটা আমার খাওয়া দেখে বিব্রত হয়ে বললো, আপনি কী গাধা? একটা সুন্দরী মেয়ে পাশে বসে আছে আর আপনি গবগব করে খাচ্ছেন! কী অদ্ভুত কাণ্ড আপনার। আমি এবার স্বজোড়ে বললাম আপনি কি আমাকে চিনেন? অনেক্ষণ ধরে লক্ষ্য করলাম আপনি আমাকে বিরক্ত করার চেষ্টা করছেন! দয়া করে বলবেন প্লীজ আপনার সমস্যাটা কী? মেয়েটা আমার কথা শোনে মুখের উপর বলে দিলো ‘আই লাভ ইউ’ আমার তো হুঁশ নাই, সরোষ চোখে তাকিয়ে অাছি মেয়েটির দিকে। অনেক্ষণ তাকিয়ে থাকার পর একটু রেগে মেখে বললাম আপনি কী আমার সাথে ফাজলামো করছেন ? দেখেন এমনিতেই মন মেজাজ খুব খারাপ! প্লিজ অামাকে ডিস্টার্ব করবেন না। এবার মেয়েটিও রেগে গেল, খপ করে অামার শার্টের কলার চেপে ঠোঁটদুটি চোখের সামনে এনে ভয়ানক কণ্ঠে বললো ওই শালা একশোবার ডিস্টার্ব করবো তাতে তোর কি? চুপ করে বসে থাক! নড়াচড়া করলে জায়গা মত মেরে দেব। আমি তো ভয়ে প্রায় ঘেমে যাচ্ছি। ওর কথা শোনে নাস্তা ভেতরে যাচ্ছেনা! মনে মনে প্রার্থনা করছি মাবুদ আজ কার ফাঁদে পড়লাম। আমাকে রক্ষা করো, এই খাটাস মেয়ের হাত থেকে অামাকে বাঁচাও। মেয়েটা অামার অবস্থা দেখে একটু মুচকি হাসছে।
তারপর অামার হাত ধরে টেনে বের করে নিয়ে গেল অামার বাসার দিকে। অামি তো পুরাই অবাক এই মেয়ে অামার বাসাও চিনে! এবার কিছুটা স্তত্বি পেলাম ভাবলাম হয়তো অামার খুব কাছের কেউ তাই অামার সাথে এরকম দুষ্টুমি করছে। অামিও মেয়েটির পিছু পিছু হাঁটছি, বাসায় ঢুকতেই মা এসে মেয়েটিকে জড়িয়ে ধরে নাকে মুখে চুমু খাচ্ছেন আমি নির্বাক দেখে যাচ্ছি শুধু। তারপর, মা অামাকে জিজ্ঞাস করলেন কিরে ওরে চিনতে পারছিস তো? অামি মাথা নেড়ে বললাম নাহ চিনতে পারিনি কে ও? মা হাসতে হাসতে বললেন আরে গাধা তুই যখন ক্লাস এইটে পড়তি আমরা যে চট্রগ্রাম ছিলাম। তোর রাহুল আংকেল ছিলেন নাহ উনার মেয়ে লিজা। তোরা তো এক সাথে স্কুলে যেতি খেলা করতি সবকিছু ভুলে গেলে নাকি? আজ ও আমাদের বাড়িতে বেড়াতে এসেছে। অবশ্য আমি নিজেই বলিনি ও যে আজ আমাদের বাড়িতে আসছে। তোকে সারপ্রাইজ দিতে চেয়েছিলাম! আমিতো এবার ভাব নিয়ে বললাম হেহে এখন চিনতে পারছি অার তার জন্যইতো বলি ওর দাঁত দুইটা বাঁশের মত কেন? হাহাহা—
ক্রেজি ফ্রেন্ড
১৩টি মন্তব্য
আরজু মুক্তা
ক্রেজি, ঢুকে, ফাজলামো,স্বস্তি বানান গুলো ঠিক করবেন।
শুভকামনা
ছাইরাছ হেলাল
গল্পের প্লট সুন্দর, কিন্তু বানান এমন হলে পাঠক পালিয়ে যাবে।
একটি খেয়াল দিন।
মাছুম হাবিবী
ভাই আসলে আমি দুঃখিত, লেখাটা এডিট করার আগেই চাপ গেলে চলে গেছে। তারপর আর ঠিক করতে পারিনি। লেখাটা ডিলেটও দিতে পারিনি।
জিসান শা ইকরাম
আপনার লেখার উপরেই সম্পাদনা আছে। সম্পাদনায় ক্লিক করে সম্পাদনা করে হালনাগাদ করুন।
মনির হোসেন মমি
হা হা হা
অবশেষে সমস্যা দাতে গিয়ে ঠেকল।
তৌহিদ
মাছুম ভায়া সিলডি ভাষা এইখনত চইলতন ন!! আর হ্যা গল্পের প্লট সুন্দর ছিলো। লেখা এডিট করতে সম্পাদনাতে ক্লিক করো, এরপর লেখাতে ক্লিক করে এডিট করে ভিজুয়াল ক্লিক করে নীচে প্রকাশিত ক্লিক করলেই কিন্তু ওকে!
কত্ত সহজ প্রসেস তাইনা?
ইঞ্জা
হয়ত দেরি করে ফেলেছি এরপরেও আমার পক্ষ থেকে জানাই স্বাগতম সোনেলার উঠোনে, লেখাটি বেশ মজার, ভালোও লাগলো বেশ, মনে হচ্ছে আপনি সিলেটের, লেখাতেও সেই আঞ্চলিকতা এসেছে দেখছি, আশা করি আগামীতে এই সমস্যা আসতে আসতে কমে যাবে, লিখে যান আপু, আমরা সাথে আছি।
সাবিনা ইয়াসমিন
@এম ইঞ্জা ভাইজান, মাছুম সাহেব আপু না ভাইয়া হবেন। 😁
ইঞ্জা
😃😄😄😄
ইঞ্জা
ধন্যবাদ আপু। 😂
জিসান শা ইকরাম
বেশ মজাদার হয়েছে ।
সাবিনা ইয়াসমিন
বাঁশ দাঁত দেখেও কিশোর বেলার বান্ধবীকে চিনতে পারেননি ? আপনার দেখছি কোনো গতি নেই, হাহাহাহা। গল্প ভালো হয়েছে।
আরও লিখুন। শুভ কামনা 🌹🌹
সঞ্জয় মালাকার
চমৎকার লিখেছেন ভালো লেগেছে।