কোথাও জলের শব্দ নেই –
কোথাও টুপটাপ ঝরেনা শিশির,
কোথাও কান্না নেই –
আবছায়া জলের দাগ কেবলই।
কোথাও আলো ছিলো একদিন –
আজ ছোপছোপ হলেদেটে বিলীনপ্রায়
ক্ষতচিহ্ন ধূসর প্রেক্ষাপটে জমছে শুধুই।
কোথাও কি বাজছে নূপুর
মীনকুমারীর চোখের কোনে
জলের ফসিল জমা হল নাকি ?
জলের ওযে বুক জ্বলে যায়; তুমুল তৃষ্ণায়
শঙ্খনাদে মেঘডমরুর বিপুল নিনাদে
ডাকছে ডাকছে জল, শোনেনি জলের পাখি।
কোথাও ক্রন্দন ছিলো একদিন
কোথাও তুমুল হাসির বান,
আজ কোথাও ক্রন্দন নেই।
ছবি : আমার তোলা
১৪টি মন্তব্য
অরণ্য
একটা ঘুরে দাঁড়ানো হৃদয় দেখতে পেলাম। ভাল লাগলো। (y)
সাইদ মিলটন
ঘুরে দাড়াতেই হয়, বেঁচে থাকার দায় বড় দায় 🙂
জিসান শা ইকরাম
তুমুল তৃষ্ণায় জলের বুক জ্বলে যায়- ভয়ানক অবস্থা
কিভাবে লেখেন এমনি করে ?
আলো আসবেই একদিন……… আমি আশাবাদী মানুষ 🙂
সাইদ মিলটন
আলো আসবেই … হ্যাঁ দাদা আলো তো আসবেই , অবিমিশ্র আঁধার বলে কিছু নেই যে – হয়তো অন্য কোথাও, অন্য কোনখানে
ছাইরাছ হেলাল
অনেকদিন পর এই লেখা পড়লাম।
জল পাখিটিকে তেইল্লাচুরার ভয় দেখালে কেমন হয়!
সাইদ মিলটন
হাহাহাহাহা তেইল্যাচুরার ভয় 😀 ভালো বলছেন দাদা
শুন্য শুন্যালয়
আকন্ঠ পিপাসায় পাখি খোঁজে জল, পাখির ডানা দিয়ে শুন্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলা জলবিন্দু না পেলে জলের মেটেনা পিপাসা…গল্পটা আধেকই থাকে…
সাইদ মিলটন
যেহেতু আকাশ অপার এবং জলবিন্দু বাষ্প হয়ে শুন্যে মিলায় – সেহেতু জলের অসম্পূর্ণতাই সম্পূর্ণ করে গল্পকে 🙂 কে সারা সারা
মরুভূমির জলদস্যু
ভালো লাগলো
সাইদ মিলটন
ধন্যবাদ 🙂
মেহেরী তাজ
কেমন এক কান্না কান্না লেখা। এমন কেন ভাইয়া ?
সাইদ মিলটন
নাহ , কোথাও ক্রন্দন নেই তো 🙂
প্রহেলিকা
সবটাই সুন্দর তারপরও প্রথম স্তবকটি বেস্ট। বেশ লেখেন আপনি সাইদ ভাই।
লীলাবতী
কিছুটা অতৃপ্তি থাকবেই,এটিই তো আমাদের বাঁচতে শেখায়।আপনার কবিতায় নেশা লাগে 🙂