
বলেছিলো ভুল বানানে শুদ্ধ-অশুদ্ধ অক্ষরে
তিনশো তেত্রিশ দিনে লিখবে চিঠি
গুনে-গুনে নয়শো একাশি বার;
ভর দুপুরে উদোম গায়ে,
গামছা খানি জড়িয়ে কোমরে
একুশ পদ্মের মালা গেঁথে ভাসাবে পদ্মায় এই নদীর নামে,
কথা ছিলো,
ডুবু-ডুবু সন্ধ্যায় হাতে নিয়ে ছিপখানি
বসবে সেথায়
যেথায় বেধেছে বাসা জোনাকের অম্লান দ্বীপ,
চুনো পুঁটির হুড়োহুড়ি, ঘাঁগু বোয়ালের হাতছানি ভুলে ধরে আনবে মেঘে ডোবা আস্তখানা চাঁদ ;
কণ্ঠার হাড়ে হাত রেখে দিয়েছিলো নির্ভর বাণী,
দিন মাস সব গোল্লায় যাবে দিবে না ভুলতে তব মুখখানি;
সকাল-বিকাল-রাত্রি-ভোরে
মুঠোফোনে তুলবে ছবি শ’য়ে-শ’য়ে,
অক্ষমতায় বদলাবে নাম কঁচুর সনে।
কথা রাখেনি হতচ্ছাড়া
শাটডাউনের ভয় খেয়ে বসেছে গিয়ে তাল কোঠায়
মাস্ক কিনেছে নানা রঙের, হাতের মোজা ডজন খানেক,
তবুও ভয়ে সেটিয়ে থাকে, দেয়না ফোনে হাত!
দিন কাটায় বিটিভির বোতাম চেপে, ঘুমায় না সারারাত।
বলি,
এত লোকে আসে-যায়, কত-শত বাহানায়
আসতে কি পারলিনা দূরন্ত প্রেম-মায়ায়!
ভাইরাস-ভয়ে থাকবি-ই যদি দূরে পড়ে
তবে কেন মন নিলি অ-ফেরতে?
★ অ- কবিতা
২৬টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
সাবুচাঁদ!! নাম আর পাওয়া গেলো না এই দুইন্যায়? এই নামই রাখা লাগবে!
নামের যে ছিরি, তাতে কথা রাখবে কিভাবে?
চিঠি লিখলো না, ছিপদিয়ে আস্ত চাঁদ আনলো না,
( উদোম গায়ের সাবু চাঁদকে কল্পনায় যা দেখাচ্ছে না 🙂 পদ্মের মালা গাথলো না, ছবি তুললো না একটাও,
লক ডাউন বা সাটডাউন এর ভয়ে মোবাইল পর্যন্ত ধরে না!
প্রেমিক প্রেমিকার জন্য হিমালয় পর্যন্ত জয় করে ফেলে, আর এই সামান্য ভাইরাসের ভয়ে দেখা পর্যন্ত করতে পারলো না!
সাবুচাঁদ চ্যাপ্টার ক্লোজ, এর কোনো ক্ষমা নেই।
অত্যন্ত ভালো লেগেছে অ-কবিতা,
শুভ কামনা।
সাবিনা ইয়াসমিন
আহা, এভাবে বলবেন না প্লীজ।
সাবুচাঁদ আছে বলেইতো তার নামে অ-কবিতা লিখতে পেরেছি,,, আর যে যাই বলুক তার সাথে তার কিউট নামকেও আমি ভালবেসেছি 😜😜
সুপর্ণা ফাল্গুনী
সাবুচাঁদ এই অ-নামখানা কেমনে খুইজ্যা পাইলেন?বেচারা একখান কথাও রাখলো না। নয়শো একাশিখানা পত্র ওয়াও। ফ্যাশন করে আবার মাস্ক ও ডজনখানেক হাত মোজা কিনেছে তা আপনি এতো কিছু জানলেন কেমনে যদি চিঠি না লেখে, ফোন না ধরে?ট্যালিপ্যাথী নাকি! মনটি ঠিক নিয়ে গেল অ-ফেরতে । শুভ কামনা রইলো
সাবিনা ইয়াসমিন
সবাই তার নামের পেছনে কেন লেগেছেন!
কত্ত কিউট একটা নাম, আর সেও তার নামের মতোই কিউট। সে আমার আধ্যাত্মিক প্রেমিক। তার সাথে আমার খুব ঝগড়া হয়, আবার ভাব হয়ে যায়, সবই মনে মনে ☺☺
ধন্যবাদ + শুভকামনা 🌹🌹
সুপায়ন বড়ুয়া
“এত লোকে আসে-যায়, কত-শত বাহানায়
আসতে কি পারলিনা দূরন্ত প্রেম-মায়ায়!
ভাইরাস-ভয়ে থাকবি-ই যদি দূরে পড়ে
তবে কেন মন নিলি অ-ফেরতে?”
অ-কবিতা যে সুন্দর করে
লিখে রাত বিরাতে
বন্ধুর মন ফেরাতে ?
ভালই হলো। শুভ সকাল।
সাবিনা ইয়াসমিন
কাব্যিক মন্তব্যের জন্যে অনেক ধন্যবাদ দাদা।
শুভ কামনা অবিরত 🌹🌹
তৌহিদ
আহা! এ বড় অন্যায়, কথা দিয়ে কথা রাখেনি। তিনশত তেত্রিশ দিনে নয়শত একাশি চিঠি ভাবা যায়! বাকী দিনগুলি কি শুক্রবার ছুটি পড়েছিল নাকি আপামনি?
বর্শি দিয়ে চাঁদ ধরা যায়! প্লিগ এই পদ্ধতি আম্রে শেখান, আমি তাঁর কপলে ছোয়াঁবো সেই চাঁদ। আপনি বড় ভাগ্যবতী ছিলেন দেখছি। মাস্ক থাকলেও তাঁকে চিনতে পারবেন। করোনা ছুটিতে মানুষের ভীড়ে থাকলেই প্রিয়জনকে চেনাই যায়। আসবে সে নিশ্চিত।
সুন্দর একখান লেখা পড়লাম, ধন্যবাদ আপনার প্রাপ্য।☺
সাবিনা ইয়াসমিন
বর্শি দিয়ে চাঁদ ধরা যায় কিনা জানি না, তবে জানতে পেরেছি, সাবুচাঁদ এসব বলে-বলেই তার নদীকে বশে রাখে।
হাহাহা, একদম ঠিক ধরেছেন কাল পুরুষ ভাই, সে মাস্ক / মুখোস যা কিছু পরে ঘুরুক, সামনে এলে ঠিকঠিক চিনে নিবো 😇😇
ভালো থাকুন সারাক্ষণ,
আর এত সুন্দর পর্যালোচনার জন্যে অনেক গুলো থ্যাংকস 🌹🌹
তৌহিদ
আপনিও ভালো থাকুন আপু।
ফয়জুল মহী
লেখা পড়ে বিমোহিত হলাম।
সাবিনা ইয়াসমিন
সব সময়ের মতো এবারও অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার প্রাপ্তির খাতায় জমা দিলাম।
শুভ কামনা মহী ভাই,
ভালো থাকুন 🌹🌹
আরজু মুক্তা
আজ অকবিতা মন কেড়েছে।
একশো একটা নীলপদ্ম আপনার জন্য থাকলো।
সাবিনা ইয়াসমিন
একশো একটা নীলপদ্ম!!
এই মহানুভব উপহারের জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো ❤❤
আপনার ধারাবাহিক লেখা থেকে পাঠকেরা বঞ্চিত হচ্ছে, দয়া করে সেদিকেও একটু নজর দিন।
শুভ কামনা অবিরত 🌹🌹
প্রদীপ চক্রবর্তী
এতো সুন্দর সুন্দর শব্দচয়ন।
আর এতো সুন্দর লেখনী।
মুগ্ধতা রেখে গেলাম দিদি।
শুভকামনা অনেক…
সাবিনা ইয়াসমিন
শব্দ নির্বাচনে তোমার ধারে কাছেও যেতে পারি না প্রদীপ, তবে প্রশংসা পেয়ে উৎফুল্ল হলাম 🙂
অনেক ভালো থেকো
শুভ কামনা 🌹🌹
সুরাইয়া পারভীন
হায়!
আবারও প্রমাণিত হলো
কেউ কথা রাখে না, কেউ কথা রাখেনি।
সে সুনীল বাবুর বষ্টমীই হোক কিংবা সাবিনা আপু সাবুচাঁদ
তেত্রিশ বছরই হোক কিংবা তিনশো তেত্রিশ দিনই হোক
কেউ কথা রাখে না, কেউ কথা রাখেনি
সাবিনা ইয়াসমিন
প্রিয় কবি, আপনার মুল্যবান মতামত পেয়ে আপ্লুত বোধ করছি। জ্বী, আপনি যথার্থই বলেছেন, কেউ কথা রাখে না…. কথা দেয় কেবল কথার বস্তাটিকে হালকা করার জন্যে ( একটু নিজেরটাও যোগ করলাম )
ভালবাসা নিরন্তর ❤❤
শামীম চৌধুরী
ভর দুপুরে উদোম গায়ে,
গামছা খানি জড়িয়ে কোমরে
একুশ পদ্মের মালা গেঁথে ভাসাবে পদ্মায় এই নদীর নামে,
সাবিনা আপু, আপনার এই চরনগুলি আমাকে নিয়ে গেল সেই পদ্মার পাড়ে। খুব ভাল লেগেছে কবিতাটি। আপনার সব লেখাই আমার পছন্দের। ভালো থাকুন আপু।
সাবিনা ইয়াসমিন
প্রথমেই অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি শামীম ভাই।এমন অনুপ্রেরণা আর আন্তরিকতা দিয়ে বলেন বলেই লিখতে পারি।
খুব ভালো থাকুন,
শুভ কামনা অবিরত 🌹🌹
হালিম নজরুল
নয়শ এগারো বার!
এত চিঠি!
সাবিনা ইয়াসমিন
বলেছিলো এতগুলোই লিখবে। এখন আমারও মনে হচ্ছে সংখ্যায় ঘাপলা ছিলো, কারণ সে এখনো একটা চিঠিও লেখেনি 🙁
সুন্দর মন্তব্যর জন্যে ধন্যবাদ নজরুল ভাই,
শুভ কামনা 🌹🌹
মাহমুদুল হাসান
অ-ফেরতে মন নিতে পেরেছে বলেই আসার প্রবণতা কম।
সাবিনা ইয়াসমিন
হতে পারে! কেই-বা এত বুঝেসুঝে!!
পড়ে মন্তব্য করার জন্যে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
শুভ কামনা আপনাকে 🌹🌹
ছাইরাছ হেলাল
সাবুচাঁদ কে মনে হচ্ছে মাহা মাহা চুর!
চোরের সর্দার! কত্তবড় সাহস!
বেজায়গায় চুরির মহরত!
কেউ কথা রাখে না, সেটো আমাদের জানা কথা
কত কত অপেক্ষা প্রহর কেটে যায় নিঃশব্দ জাগরণে,
তার হিসেব কেউ পায়নি, পাবেও না।
সাবিনা ইয়াসমিন
দার্শনিকের মতো কমেন্ট দিলেন! নাকি জ্যোতিষী শাস্ত্রেও ডিগ্রী নিয়েছেন তা অবশ্য জানতে চাচ্ছি না। শুধু এইটুকু গননা করে দিন প্লীজ
সাবুচাঁদ চোর ছিলো কোন-কালে?
ছাইরাছ হেলাল
অ-ফেরত মন নিয়ে পালিয়ে গেলে তাকে সাধু বলা যাবে না,
সে মহা মহা ‘চুর’ প্রাণের অলিন্দে।