
আমি ও স্বার্থপর। রোজ ঘুমুতে যাওয়ার আগে ভাবি, কাউকে কষ্ট দিবোনা, কেউ কষ্ট দিলে নিবোনা। সকাল হলেই দিতে যদি ও কার্পণ্য করি, নিতে দু’হাত পেতে রাখি। রোজ ভাবি ক্ষমা নিব এবং দিব, তা-ও হয়না, আত্মঅহম এসে বাধ সাধে। রোজ ভাবি, ভালোবাসার ভালোবাসাকে ভালোবাসব,কিন্তু ঈর্ষা দলা পাকায়, কষ্টের মেঘ জমে বুকের বাঁ পাশে। আমি আর স্বচ্ছ হতে পারিনা। দিনশেষে আমার ভেতর সেই স্বার্থপরই ঘুমায়।
তারপর ভাবি আচ্ছা নাহয় কষ্টই পাব এর চেয়ে বেশিত নয়। কষ্ট যে প্রতিদিন, প্রতিমুহূর্তে একবার করে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দেয় সে বোধকে আমি কাজে লাগাতে পারিনা। অতঃপর আমি স্বার্থপরের পাশাপাশি কাপুরষ হয়ে কুণ্ডলী পাকিয়ে একফোঁটা ঘুমের জন্য হাহাকার করি। ঘুম আসে বা না আসে আমি হাত পেতে থাকি, অবশেষে হয়তো নিদ্রা দেবী সুপ্রসন্ন হন। আমি স্বার্থপর, কাপুরষ, ভিখিরি হয়ে ঘুম থেকে জেগে উঠি। গ্লানির বোঝা কাঁধে চেপে কাজে – অকাজে সময় ক্ষেপণ করে,ঝুলিতে অকর্মণ্য খেতাব যোগ করে রাতের ব্ল্যাকহোলের দিকে ধাবিত হই ঘুমের লোভে। অতঃপর আমার প্রাপ্তির ঝুলি ভরে কতগুলো দুর্নীতিগ্রস্থ শব্দে।
অথচ আমার নির্বাণ হওয়ার কথা ছিল।
৬টি মন্তব্য
হালিমা আক্তার
স্বার্থপর কিছু টা হতে হয়। মাটির তৈরি মানুষ। নিজের জন্য নয়, জীবনের জন্য কিছু হিসাব করে চলতে হয়। বরাবরের মতো চমৎকার লেখা। শুভ রাত্রি।
খাদিজাতুল কুবরা
হয়তো আপনার কথাই ঠিক আপু।
অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন আপু
বন্যা লিপি
স্বার্থ+পর= ০
আমার কাছে ব্যাপারটা এরকম। যাকে স্বার্থপর বলে গাল দেব,,,,ভেবে দেখি; এটা গালাগালি নয়, বরং প্রশংসা। পরের স্বার্থ দেখাটাকেই স্বার্থপর। নিজ স্বার্থ ছাড়া বুঝিনা তাঁকে কি করে স্বার্থপর বলা যায়? তাঁকে আসলে কোন বিশেষণে ফেলতে হয়! আমি তাও জানি না।
লিখে যাও যত অনির্বানের নির্বাচিত পঙ্তি।
ভালবাসা রইল।
খাদিজাতুল কুবরা
সুন্দর বলেছেন আপু।
উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
ভালোবাসা রইল
রোকসানা খন্দকার রুকু
“অকাজে সময় ক্ষেপণ করে,ঝুলিতে অকর্মণ্য খেতাব যোগ করে রাতের ব্ল্যাকহোলের দিকে ধাবিত হই ঘুমের লোভে। অতঃপর আমার প্রাপ্তির ঝুলি ভরে কতগুলো দুর্নীতিগ্রস্থ শব্দে।”- এভাবে যদি শব্দের খেলাহয় তো সমস্যা কি? হোক, চলুক!!!
খাদিজাতুল কুবরা
অনেক ভালোবাসা রইল বন্ধু।