
রাতের আঁধারে আলোর খেলা। এ আলো যেন আকাশ ফুঁড়ে বের হয়ে যেতে চাইছে। এতো আলো কেউ চায়নি। যে আলো বাবা মাকে সন্তানহারা করে। বোন কে করে ভাইহারা। বৈধব্যের কাঠগড়ায় দাঁড় করায় প্রিয়তমা স্ত্রীকে। সন্তানের কাছ থেকে কেড়ে নেয় বটবৃক্ষ পিতাকে। পুড়িয়ে দেয় হাজারো স্বপ্ন। কি দরকার এত আলোর। কেউ তো চাইনি আলো। তারচেয়ে আঁধার অনেক ভালো ছিল।
জ্বলছে সীতাকুন্ড, জ্বলছে চট্টগ্রাম।
সীতাকুণ্ডের ভয়াবহ দুর্ঘটনা প্রমাণ করলো মানবতা এখনও মরে যায় নি। হারিয়ে যায়নি হৃদয়ের উষ্ণতা। তাইতো এক সুরে গেয়ে উঠি মানুষ মানুষের জন্য। এখনো অঙ্কুরিত হয়ে বেঁচে আছে মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা। সীতাকুণ্ডের অগ্নিকাণ্ডে এগিয়ে এসেছে সকল স্তরের মানুষ। আহতদের রক্তদানের জন্য স্বইচ্ছায় এগিয়ে এসেছে হাজারো মানুষ।
আমাদের ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ভাইয়েরা, নিজের জীবন বিপন্ন করে উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছেন। খবরে প্রকাশ ফায়ার সার্ভিসের নয়জন উদ্ধার কর্মী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে। মানবতার এমন উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত আর কোথায় পাব।
চারদিকে যখন নৈতিকতার অবক্ষয়। হতাশার সাগরে ভাসছি আমরা। তখন এক চিলতে আলো এসে আবার ধরা দিল। মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা একেই বলে। একের বিপদে আরেকজনের মন চাপা কান্নায় ভরে উঠে। বেঁচে থাকুক মানবতা। বেঁচে থাকুক মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা।
এ ভয়াবহ দুর্ঘটনা যারা মারা গেছেন তাদেরকে আল্লাহ জান্নাতবাসী করুন। যারা আহত হয়েছেন তাঁরা তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন। আহত ও নিহতদের পরিবারের সকলকে আল্লাহ ধৈর্য ধারণ করার শক্তি দান করুন। আবারো মানবতার জয় হলো। এ মানবতা বেঁচে থাকুক যুগ যুগ ধরে।
ছবি সংগ্রহ-নেট থেকে।
২০টি মন্তব্য
সাবিনা ইয়াসমিন
নিঃসন্দেহে এটি স্মরণকালের ভয়াবহ অগ্নি দুর্ঘটনা। আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রার্থনা করি তিনি যেন দুর্ঘটনায় আহতদের দ্রুত সুস্থতা দান করেন, নিহতদের জান্নাতবাসী করেন। চট্টগ্রামবাসীরা মানবতার সর্বত্তম নিদর্শন রেখেছেন, তারা প্রমাণ করেছেন মানুষ মানুষের জন্য।
হালিমা আক্তার
সত্যি আপা চট্টগ্রামবাসী মানবতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। আল্লাহ এ বিপদ থেকে সবাইকে হেফাজতে রাখুন। শুভ কামনা রইলো। শুভ রাত্রি।
নাজমুল আহসান
এখানে ঘটনার চেয়ে দুর্ঘটনা ঘটে বেশি।
এ এক মৃত্যুপুরী। এ এক দুর্ঘটনার জনপদ।
হালিমা আক্তার
সত্যি বলেছেন একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। কারো কোন দায়বদ্ধতা নেই। শুভ কামনা রইলো।
আলমগীর সরকার লিটন
প্রতি বছরে বছরে এরকম ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে বড় দুঃখজনক
আল্লাহ্ সবাই কে জান্নাত বাসি করুন আমিন———–
হালিমা আক্তার
সত্যি দুঃখ জনক ঘটনা। আল্লাহ সবাইকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুন। শুভ কামনা রইলো।
মোঃ মজিবর রহমান
যাইঘটুক আল্লাহ আহতদের দ্রত সুস্থ করে দিন। আমিন।
হালিমা আক্তার
আমাদের দোয়া করা ছাড়া কিছু করার নেই। আল্লাহ যেন আহত দের দ্রুত সুস্থ করে দেন। শুভ কামনা রইলো।
মুক্তা ইসলাম
জানিনা কি মন্তব্য করব? এত এত প্রাণ, এত এত জীবন, হাজারটা স্বপ্ন, জীবন যোদ্ধাদের তীল তীল করে গড়ে ওঠা সংসার, সম্পর্ক সব এক মুহূর্তে পুড়ে ছাঁই হয়ে গেল! আমার সোনার বাংলা এখন মৃত্যুপুড়ী হয়ে গেছে। কোথাও এতটুকু স্বস্তির নিঃশ্বাস নেয়ার নির্ভয় নেই। তবুও এতটুকু শান্তি যে এখনও মানবতা বেঁচে আছে। যাকে অবলম্বন করে নতুন করে বাঁচার লড়াই করা যায়। জয় হোক মানবতার।
হালিমা আক্তার
চারিদিকের বাতাস প্রিয় হারানোর কান্নায় ভারী হয়ে আছে। প্রতিদিন ঘটছে একের পর এক দুর্ঘটনা। নির্বাক হয়ে যায় মুখের ভাষা। আল্লাহ আমাদের সকলকে হেফাজতে রাখুন। চমৎকার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো। শুভ সকাল।
বোরহানুল ইসলাম লিটন
ভীষণ দুঃখজনক ঘটনা আপু!
যারা আপনজন হারিয়েছে তাদের দুঃখ পরিমাপ করার মতো
পরিমাপক হয়তো পৃথিবীতে নেই
তবুও পাশে দাঁড়িয়ে মানুষ কিছুটা হলেও প্রমান করেছে আজও মানবতা বেঁচে আছে।
আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা জানবেন সতত।
হালিমা আক্তার
আপনজন হারানোর কোন সান্ত্বনা হয় না। যার যায় সেই শুধু বুঝতে পারে, কতটা দহনে হৃদয় পুড়ে। আমরা শুধু সান্ত্বনার বাক্য দিয়ে যেতে পারি। একে অপরের বিপদে এগিয়ে আসতে পারি। এভাবেই মানবতা বেঁচে থাক। শুভ কামনা রইলো। শুভ সকাল।
ছাইরাছ হেলাল
সকল বিদেহী আত্মার একান্ত শান্তি কামনা করছি।
সময়োচিত লেখাটির জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
হালিমা আক্তার
আমীন। আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। অনেক দিন পর আপনার দেখা পাওয়া গেল। আপনার লেখা খুব মিস করছি। শুভ কামনা রইলো। আশা করি শীঘ্রই আপনার লেখা পাবো।
রোকসানা খন্দকার রুকু
আমাদের আহা উহু করাই যেন কাজ হয়ে গেছে কিছুদিন পরপর। আর ভালো লাগে না।।
হালিমা আক্তার
আসলেই এগুলো আর ভালো লাগে না আপা। তবু ও মেনে নিতে হয়। তবে চট্টগ্রামবাসী মানবতার যে সোপান তৈরি করেছে তা প্রশংসনীয়। শুভ কামনা রইলো আপা।
রিতু জাহান
আমি আসলে আজকাল এমন সব ঘটনা, লেখা এড়িয়ে যাই, কারণ আমি নিতে পারি না।
খুব পেইন হয় বুকে। নিঃশ্বাসে কস্ট হয়। এমন সব সময় আজকাল বান্ধবীদের সাথে টুকটাক দুষ্টুমিতে যেনো মেতে উঠি। বুঝতে পারি আমি বাস্তব জ্ঞান শূন্য হয়ে যাচ্ছি। কিন্তু আমাকেও যে বাঁচতে হবে!
এইযে বাঁচার আকুতি,, একটুকরো নির্মল নিঃশ্বাসের আকুতি, তা কেনো হারাচ্ছে একটু একটু!
একসময় আমি খুব লিখতাম।
আসলে কি লিখে কিছু হয়!! টনক কি নড়ে তাদের? সৃষ্টিকর্তা থাকেন ঐ ভদ্রপাড়ায় (টাকায় যারা ভদ্র, নরপিশাচদের ভদ্রপাড়া)
আমার শব্দেরা আজকাল থমকে যায়,,,
হালিমা আক্তার
প্রথমেই ধন্যবাদ জানাচ্ছি সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আশা করি আবার লেখায় ফিরে আসবেন। লিখে হয়তো কিছুই হবে না। তবু মনে হয় কিছুটা দায়ভার থেকে যায়। তাই লেখা। একটুখানি নির্মল বিশুদ্ধ বাতাসের অপেক্ষায় আমরা সবাই। সেই বাতাস কোথায়। এখন তো মিশে আছে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড। যতক্ষণ প্রাণ আছে লড়াই করে টিকতে হবে। ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো।
রিতু জাহান
এমন সব মানবতায় মনুষ্যত্ব এগিয়ে যাক,,
হালিমা আক্তার
এগিয়ে যাক মানবতা। বেঁচে থাকুক মনুষ্যত্ব। জাগ্রত হোক নৈতিক বোধ।