
ব্রেকফাস্ট শেষে সবাই রুমে ফিরে এলে অনিক আফরিনকে বললো, তুমি ব্যাগেজ গুছিয়ে নাও, আমাদের বারোটার সময় বেরুতে হবে।
ওকে, তোমার কিছু গুছিয়ে দিতে হবে?
না, তুমি যাও।
মা তোমাদের তো আমাদের চার ঘন্টা পর ফ্লাইট, তোমার আর বাবার লাগেজ গুছিয়ে নাও, ইন্টারকম বেজে উঠাতে অনিক এগিয়ে গিয়ে রিসিভ করে হ্যালো বললো।
অপর প্রান্ত থেকে রিসেপশনিস্ট বললো, মি. অনিক, আপনার জন্য থাই এয়ারলাইনস থেকে কল। (ইংরেজিতে)।
ইয়েস, প্লিজ।
হ্যালো মি. অনিক চৌধুরি?
ইয়াস।
স্যার আপনার এবং আপনার কমপিনিয়নের ফ্লাইট টিএইচ-37 ক্যানসেল হয়েছে, এর পরিবর্তে বিকাল পাঁচটায় টিএইচ-48 এ কনফার্ম করা হয়েছে (ইংরেজিতে)।
আর ইউ সিউর?
ইয়েস স্যার।
ওহ, ওকে ধন্যবাদ (ইংরেজিতে)।
কি হয়েছেরে অনিক, অনিকের বাবা জিজ্ঞেস করলেন।
বাবা বুঝলামনা, এয়ারলাইনস থেকে কল করে বললো আমাদের ফ্লাইট ক্যানসেল করে বিকাল পাঁচটার ফ্লাইটে দিলো।
বলিস কি, ফ্লাইট নাম্বার কত?
টিএইচ-48.
এতো আমাদের ফ্লাইট নাম্বার, আশ্চর্য হয়ে বললেন অনিকের বাবা।
কিন্তু ওরা কিভাবে জানলো আমি এইখানে উঠেছি?
কি বলিস?
অনিক ইন্টারকমে ওর মার রুমে কল দিলো, আফরিন রিসিভ করলে জিজ্ঞেস করলো, আচ্ছা আমরা এই হোটেলে শিফট করেছি তা কি এয়ারলাইন্সকে আপডেট করেছিলে?
জ্বি, গতরাতে আপডেট করেছিলাম, কেন কোন সমস্যা হয়েছে?
সমস্যা না, আমাদের ফ্লাইট ক্যানসেল করে পাঁচটার ফ্লাইটে দিলো।
তাই, আচ্ছা আমি কল করে কনফার্ম হয়ে নিচ্ছি।
আমাকে জানিও।
সিউর।
কিছুক্ষণ পর আফরিন অনিকের মাকে নিয়ে অনিকদের রুমে এলো দেখে অনিক জিজ্ঞেস করলো, কি খবর?
অনিক ওরা জানালো ওদের যে ফ্লাইটে আমরা যাওয়ার কথা ছিলো, ওইটা ক্যানসেল হয়েছে, এর বদলে টিএইচ-48 এ আমেরিকার যাত্রী গুলোকে দেওয়া হয়েছে।
কারণ কি?
ওরা বললো বিষয়টা যান্ত্রিক গোলযোগ।
ওহ, এতে ভালোই হলো, এখন আমরা সবাই এক সাথেই যেতে পারবো, অনিক বললো।
হুম তুইও তো চেয়েছিলি আমাদের ফ্লাইটে যাওয়ার জন্য, আফরিন বলেছে আমাকে, বলেই অনিকের মা ছেলেকে জড়িয়ে ধরলেন।
লাঞ্চ করেই অনিক সবাইকে নিয়ে এয়ারপোর্টে হাজির হয়ে চেকইন সেরে ভিতরে প্রবেশ করলো, এয়ারপোর্টের ভিতরে ছোট ছোট ব্যাটারি চালিত গাড়ী চলাচল করছে, অনিক ওর বাবা মাকে সহ আফরিনকে তুলে দিয়ে বললো, তোমরা গেইটের ভিতরে গিয়ে বসো আমি হেঁটেই আসছি।
শুনেই অনিকের মা তরাক করে নেমে গিয়ে অনিকের বাবাকে বললেন, তোমরা যাও, আমি আমার ছেলের সায়হে আসবো।
গাড়ী চলে গেলো অনিকের বাবার অবাক চোখ দেখা যাচ্ছে দেখে অনিকের মা ছেলের এক হাত জড়িয়ে ধরে হাসতে লাগলেন, সাথে হাত তুলে টা টা দিলেন।
মা তুমিও না বেশ পারো, চল এগিয়ে যায়।
পুরা ওয়াকওয়ের পাশেই বিভিন্ন ধরণের অর্নামেন্টস, ব্যাগ – স্যুটকেইস, পারফিউম, লিকার শপ, মেইকওভার আইটেম সহ বিভিন্ন ধরণের দোকান আছে, সব গুলোই ডিউটি ফ্রি শপ।
অনিক ওর মাকে নিয়ে এগিয়ে গেলো এক অর্নামেন্ট শপে, প্রচুর ধরণের অর্নামেন্টস আছে এইখানে, অনিক ওর মাকে বললো, মা কি পছন্দ হয় দেখো।
কার জন্য, পাল্টা প্রশ্ন করলেন উনি।
কেন তোমার জন্য।
অনিকের মা বেছে বেছে দুইটা ব্রেসলেট নিয়ে সেলস গার্লকে জিজ্ঞেস করলেন কোনটা কত দাম?
সেলস গার্ল জবাবে বললো, এগুলো ২২ কেরেটের।
অনিক কোনটা পছন্দ?
মা তুমি পছন্দ করো।
কার জন্য না বললে তো কিভাবে নিই, কপট রাগ দেখালেন অনিকের মা।
তোমার জন্য আর ছায়ার জন্য, অনিক মিষ্টি হেসে বললো।
ওহ আচ্ছা, আমার এখন লাগবেনা, আসার আগেই তোর বাবা কিনে দিয়েছে, আচ্ছা তাহলে এইটাই নিই বলে একটা এগিয়ে দিলেন সেলস গার্লের দিকে।
সেলস গার্ল বললো, ১৫০০ ইউএস ডলার।
অনিক ক্রেডিট কার্ড এগিয়ে দিলে সেলস গার্ল সেইটা সহ অর্নামেন্টসটা আরেকজনকে এগিয়ে দিলো, একটু পর তা সার্টিফিকেট, সেলস রিসিট সহ ক্রেডিট কার্ড রিসিট সহ দিলে অনিক সিগনেচার করে দিয়ে ওর মাকে বললো, এইটা তুমিই দিও ছায়াকে, মেয়েটা অনেক দুঃখি, এইটা পেলে খুশি হবে।
কেন তুই খুশি হবিনা, অনিকের মা খোঁচা দিলেন।
মা তুমি এইভাবে বলছো কেন, তোমাদেরকে সব বলেছি আমি।
আরেহ তোর সাথে মজাও করতে পারবোনা, অনুযোগ করলেন উনি।
মা, বলেই অনিক মাকে জড়িয়ে ধরলো।
আচ্ছা চল আর কি কিনবি?
দেখি চলো পাশের পার্ফিউমের শপে।
দুজনেই পার্ফিউমের দোকানে গিয়ে কয়েকটা পার্ফিউম নিয়ে ফিরে চললো গেইটের দিকে, একটা গাড়ী আসতে দেখে অনিক হাত দেখিয়ে দাঁড় করিয়ে নিজেরা উঠে বসলো।
…….. চলবে।
ছবিঃ গুগল।
সোনেলার জন্মদিনে সোনেলার মডারেটর, এডমিন সহ সকল ব্লগারকে জানাই অফুরন্ত শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।
শুভ জন্মদিন প্রাণ প্রিয় সোনেলা, ভালোবাসি তোমায়।
২৮টি মন্তব্য
মোঃ মজিবর রহমান
দারুন লাগল ভাইয়া।
ইঞ্জা
😍
মোঃ মজিবর রহমান
💥ফুলের তোলা খুব পছন্দ হয়েছে ভাইসাব❤
ইঞ্জা
ধন্যবাদ অফুরান ভাই। 😊
মোঃ মজিবর রহমান
মায়ের ইচ্ছ@ আফ্রিন কে কিছু গিফট দেওয়া, তা আর হল না। অনিকের মন জানা মায়ের জরুরি।
ইঞ্জা
সত্যি তাই, নাহলে ছেলেকে বিয়ে করাবেন কি করে? 😊
মোঃ মজিবর রহমান
ঠিক আমি বলতে চাইলাম বলে দিলেন।
আগামি পরবের অপেক্ষায় অয়েট।
ইঞ্জা
শুভেচ্ছা ভাই।
শিপু ভাই
সোনেলার সারথি…. শুভেচ্ছা নিন
ইঞ্জা
ভালোবাসা 😍
তৌহিদ
সোনেলার জন্মদিনের শুভেচ্ছা রইলো দাদা। আজকের দিনে আপনার এই লেখা পড়ে সত্যিই আনন্দিত হলাম। ছায়ার জন্য কেনা উপহারটি কি ছায়া সোনেলাকে দেবে? একবার বলেই দেখুননা।
কার্ডটি কিন্তু দারুণ হয়েছে! ☺
ইঞ্জা
ধনবাদ অবিরত ভাই, ছায়া কি করবে তাতো ছায়া ছাড়া কেউই জানেনা, দেখা যাক কি হয়।
ভালোবাসা নিবেন। 😊
মনির হোসেন মমি
চমৎকার ভাবে গল্প এগুচ্ছে…দেখা যাক ছায়া কতটা কাছে টানতে পারেন অনিকের পরিবারকে। চলুক
শুভেচ্ছা সহ সোনালী শুভ কামনা।
ইঞ্জা
অপেক্ষা এখন সেটারই, ছায়া কতটুকু টানতে পারে অনিকের পরিবারকে, বাকিটা হবে ইতিহাস, ধন্যবাদ ভাই। 😊
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকেও শুভেচ্ছা এই জন্মদিনে।
দেখি ক্যারেট এবার কোথায় কতদূর যায়।
এত্ত সুন্দর কার্ড ক্যামনে বানান কে জানে!
ইঞ্জা
😊 ভাইজান ক্যারেট কই যাবে তা তো বুঝতেই পারছেন আর কার্ড ভালো লেগেছে যেনে আনন্দিত হলাম। 😊
শবনম মোস্তারী
শুভেচ্ছা ভাইয়া।🌹
আজকের পর্বটা অনেক ভালো লাগলো।
কার্ডটা পছন্দ হয়েছে।😊
ইঞ্জা
ধন্যবাদ অনিমেষ প্রিয় আপু, আপনাদের পছন্দ লেগেছে মানেই অনেক বড় প্রাপ্তি। 😊
নিতাই বাবু
সোনেলার সাথে আছি। আছি আপনার সুলেখিত লেখনীর সাথে। চলুক!
ইঞ্জা
প্রার্থনায় রাখবেন দাদা। 😊
সাবিনা ইয়াসমিন
উপহারের কথা শুনলেই আমার ভালো লাগে। কে কাকে দিবে ওটা আর মাথায় রাখিনা। একটা উপহারের মানে অনেক বিশালতা বহন করে।
সোনেলাকে উপহার দেয়া কার্ডটা কিন্তু দারুন হয়েছে। এমন উপহারের যোগ্যই সোনেলা ব্লগ 🙂
মুঠো মুঠো ভালোবাসায় সমৃদ্ধ হোক আমাদের প্রিয় উঠোন। সোনেলার জন্মদিনের শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা ভাইজান।
🌹🌹
ইঞ্জা
আহ উপহার কার না পছন্দ, মেয়েদের বেলায় তো কথায় নেই, ধন্যবাদ আপু আপনাদের সবার কার্ডটি পছন্দ করেছেন। 😊
আরজু মুক্তা
শুভেচ্ছা কার্ডটি চমৎকার হয়েছে।সোনেলা এগিয়ে চলুক আগামীর পথে।
ইঞ্জা
সোনেলা শুভেচ্ছা আপু।
রেজওয়ান
😇অনেকদিন পর পর্ব পেলাম। ভাল লাগছে গল্পটা। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাইজান👌
ইঞ্জা
লিখছি, দ্রুতই দেবো।
রেজওয়ান
অপেক্ষায় রইলাম ভাই🥰ভাল থাকুন সব সময়✌
ইঞ্জা
ধন্যবাদ। 😊