ইদানিং বিকেলবেলায় বারান্দায় বসে পত্রিকা পড়া আমার স্বভাব । এই সময়টাতে আগে খেলতে যেতাম ,বড় হবার পর তার মা যেতে দেয়না । এখন মা বিকেল বেলায় অনেক সময় নিয়ে চুল বেঁধে দেয় । ক্লাস নাইনে উঠার পর থেকে তার নাকি আমাকে একা ছাড়তে ইচ্ছে করেনা । এই বয়সটা নাকি আবেগের , মানুষের সাথে যত কম মেশা যায় ততই ভালো । এই কথাগুলো আমার মা রওশন আরার ।
আমাকে স্কুল থেকে আনা নেওয়া তিনি নিজেই করেন । ক্লাসের কিছু ছেলে আমার সাথে কথা বলতে চেষ্টা করে । ইদানিং আননোন নাম্বার থেকে ফোন আসার উৎপাত আসাও শুরু হয়েছে । মা এসব খুব ভালো করে খেয়াল করছেন । মা বলেছেন মেয়েরা হয়তো ছোট থাকাই মঙ্গল কিন্তু তারা হঠাৎ বড় হয়ে যায় , ঝামেলা নিয়ে আসে । আমি সম্ভবত বড় হয়ে গেছি ।
আমার মাকে ইদানিং অসহ্য বোধ হয় , সব কিছুতেই তিনি খবরদারী করেন ।
বান্ধবিরা ফোন করলে মা কথার মাঝখানে ফোন কেড়ে নিয়ে মেয়ের গলা নাকি ছেলের গলা চেক করেন । মার সাথে এই ব্যাপারগুলো নিয়ে একটা ঝগড়া করার ইচ্ছে আছে । কিন্তু মা কঠিন মহিলা । তার সাথে বেঁধে নামতে হবে খেলায় , না হলে হারানো যাবেনা ।
আতাউর ভাইকে বলতে হবে ব্যাপারগুলো নিয়ে , তিনি চমৎকার খুঁত বের করতে পারেন । তিনি আমার বড় ভাইয়ার বন্ধু , আমাদের পাশের বাসায় থাকেন । আড়ালে তাকে ডাকি খাতাউর । এই একটি মাত্র ছেলের সাথে কথা বলার সময় মা আমাকে সন্দেহ করেনা । ভাইয়ার আতাউর ভাই ছাড়া আর কোন বন্ধু নেই , তাই হয়তো । তাছাড়া তিনি আমার সাথে কথা বলেন তুই তুই করে । ছোট থাকতে খুব ভালো লাগতো , এখন তুই তোকারি করলে ভালো লাগেনা । উনাকে সেটা বলতেই উনি বিষম খেলেন , বিষম কাটানোর জন্য আমার সামনে অভদ্রের মতো সিগারেট ধরিয়ে বললেন –
সেকি রে ! তোকে তুই বলতে পারব না ?
– না , আমি এখন বড় হয়েছি , তুই বললে খারাপ লাগে
আচ্ছা , আপনি করে বলব ; ঠিকাছে ম্যাডাম ?
– উহু আপনি না , তুমি করে বলবেন প্লিজ ।
তোর কি হইসে রে ? হঠাৎ এমন চেঞ্জ ?
– কিছুনা , আপনি আমাকে তুই করে বললে আর কথা বলবেন না ।
ম্যাডাম , আপনার সমস্যা কি ?
আমার কথা শেষ , উনার কথার জবাব না দিয়েই চলে আসলাম । উনার হাতে সিগারেট , কিন্তু টান না দিয়ে তাকিয়ে আছেন । আমার খুব ভালো লাগছে এখন । এই প্রথম বড়দের মতো আচরন করলাম ।
পর্ব আকারে কিছু একটা লিখতে চেয়েছিলাম , কিন্তু হুট করে আসা গল্প হুট করেই মাথা থেকে সরে যায় , যারা পরের পর্ব চাইবেন আমি তাদের আশা দিতে পারবো না । শুভেচ্ছা ।
৮টি মন্তব্য
শুন্য শুন্যালয়
আশা দিতে হবে…পরের পর্ব চাই ই চাই…খুব ভালো লেগেছে 🙂
প্রিন্স মাহমুদ
গল্প মাথা থেকে উড়ে গেছে ।
খসড়া
লেখক পাঠককে হতাশ করতে পারে না সে শোনাবে আশারবানী। বাকি পর্ব তারাতারি।
প্রিন্স মাহমুদ
এভাবে বলেনা বন্ধু
স্বপ্ন নীলা
পরের পর্বের অপেক্ষায়,,,,,,,,,,,,
প্রিন্স মাহমুদ
কষ্ট রে কষ্ট ।
জিসান শা ইকরাম
আশা দিতে পারুমনা বললেই হলো ?
পরের পর্ব চাই
এবং তা অতি দ্রুত
অপেক্ষায় থাকলাম ।
প্রিন্স মাহমুদ
সব লিখতে পারবো কিন্তু এই গল্প পারবো না , মাথা থেকে উড়ে গেছে ভাই ।