ওহে ভবেশ!
তুমি এখনও বসে?
তোমার অরুনিমা তোমায় ভুলেছে সেই কবে!
তুমি এখনও বসে কি ভাব একাকী?
কি আঁক এখনও দিগন্তের ওপারে?
ও পারে কিছু নেই।
এইতো ডুবে গেল সূর্য
দেখলে তুমি নিজেই
অথচ এখনও তুমি বসে!
ওঠো ভবেশ, ওঠো।
তোমারও যে ঘর আছে!
অরুনিমা তোমার পর হয়েছে।
গোধুলি – সেও তো রাত নিয়ে এলো যে!
এবার তো তুমি ওঠো।
ওঠো ভবেশ, ওঠো।
দেখোনি কি তু্মি দিনের শেষ?
এইতো পাতা – ঝরছে এখনও
তোমারই সামনে, পাশে!
অথচ তুমি এখনও বসে!
তুমি দেখছো সাগর, দিঘি।
কেনা জলটাও দেখো একবার!
কেটে রাখা ইলিশে গন্ধ থাকেনা
তুমিই দেখেছো ফ্রিজে।
রুটিতে ফাঙ্গাস তুমি নিজেও দেখেছো।
লোহায় মরিচা – সেও তো তুমিই বলো!
অথচ তুমি এখনও বসে!
ওঠো ভবেশ, ওঠো।
সবকিছুরই এক্সপাইরি থাকে
আমরা মাপি সময়ে।
সময়ও একদিন থেমে যাবে কোথাও
ভালোবাসা তখন দূর-বহুদূর!
অচল পয়সা কেবলই ধাতু এখন
ফেরাউন – সে কেবলই লাশ।
অরুনিমা তোমার ঠিক কাছাকাছি তেমনি
কেবল সময়ে তার বসবাস।
ওঠো ভবেশ, ওঠো।
জীবন তোমার পড়ে আছে ঢের
তার মতো করে ছোটো।
ওঠো ভবেশ, ওঠো।
_________________________________________
উৎসর্গঃ লেখাটি উৎসর্গ করছি সোনেলা পরিবারকে যেখানে এসে আমি ডিসেকশন করার চেষ্টা করছি ভালোবাসার নানা ডাইমেনশন। স্পেশাল মেনশনিং আমাদের সহব্লগার নীলাঞ্জনা নীলা আপুকে, যাঁর লেখা আমাকে একটু একটু করে পাঠক বানিয়ে তুলছে।
৪৯টি মন্তব্য
আবু খায়ের আনিছ
ভালো লাগল।
অরণ্য
ধন্যবাদ ভাইয়া।
অলিভার
ভবেশদের এই আটকে থাকা সময় কি চলমান সময়ের সাথে আদৌ দৌড়তে পারে অবশেষে?
ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম 🙂
অরণ্য
আমি বিশ্বাস করি তারা পারে। তবে এও ঠিক অনেকেই পারেনা। আমার এ ভবেশ পারবে বা তাকে পারতেই হবে এই ধারনা থেকেই তাকা এতো ডাকাডাকি – ওঠো। আমি স্বপ্ন দেখি ভবেশ যেন পেরে যায়। 🙂
লীলাবতী
ওঠো ভবেশ, ওঠো।কিন্তু ভবেশ উঠতে পারেনা।বললেই ওঠা যায় না।এখানে জড়িয়ে আছে মায়া।যে মায়ার কোন মেয়াদ নেই। মেয়াদ সীমাহীন।
ভালো লেগেছে লেখা অরণ্য ভাইয়া।এমন লেখা লেখুন আরো।আপনাকে একটু পড়তে চাই।
অরণ্য
আপনার মন্তব্য পড়ে দুই মেরুর দুই গান মনে পড়ল।
প্রথমটা এরকম…
“মায়াবিনী দেখেছি যে তোমায়
দিশেহারা করেছো যে আমায়
তুমি নিজেই নিজেরই তুলনা
বলো কি করে ভুলব তোমায়?”
পরেরটা এরকম…
“আর কোন কথা শুনতে না চাই
চাইনা শুনতে কোন কারণ
জোছনা রাতকে জানিয়ে দিলাম
তোমাকে আমার নেই প্রয়োজন।”
ভবেশ পরেরটা যেন গেয়ে ওঠে। 🙂
লিখব। 🙂
ভাল থাকবেন।
ব্লগার সজীব
একান্ত অনুভূতি কবিতায় বেশ ভালো লাগলো।লীলাবতী দিদির সাথে একমত ‘মায়ার কোন মেয়াদ নেই। মেয়াদ সীমাহীন।’
অরণ্য
ধন্যবাদ সজীব। শুধু আপনি নন, আরও অনেকেই লীলাবতীর সাথে একমত হবেন। কিন্তু আমার কথা হলো তাহলে আমরা কেন কাউকে বলতে শুনছি “নাহ! ওর জন্য মায়া একদম উঠে গেছে”?
নীলাঞ্জনা নীলা
আমি ভক্ত হয়ে গেলাম অরণ্য ভাইয়ার লেখার।
এখন তো মনে হচ্ছে আমি কেন লিখলাম?
‘ওঠো ভবেশ, ওঠো।
তোমারও যে ঘর আছে!
অরুনিমা তোমার পর হয়েছে।
গোধুলি – সেও তো রাত নিয়ে এলো যে!’
‘দেখোনি কি তু্মি দিনের শেষ?
এইতো পাতা – ঝরছে এখনও
তোমারই সামনে, পাশে!
অথচ তুমি এখনও বসে!
তুমি দেখছো সাগর, দিঘি।
কেনা জলটাও দেখো একবার!’
‘ওঠো ভবেশ, ওঠো।
জীবন তোমার পড়ে আছে ঢের
তার মতো করে ছোট।’———আচ্ছা এটা কি ‘ছোট’ নাকি ‘ছোটো(দৌঁড়)’?
কবিতা নয় এটি, এটি-ই জীবন। (y) (y) -{@ অসাধারণ!
অরণ্য
নীলা আপু, এ দৌড় – ছোটো। ঠিক করে নিলাম। 🙂 থ্যাঙ্কস।
ফিরব আবার। 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
(y) -{@
অরণ্য
আপনি লিখে কোন ভুল করেননি। পাঠক কেউ হাইপার হয়ে গেলে, সে পাঠকের দোষ। 🙂
নীতেশ বড়ুয়া
(y) 🙂
অরণ্য
ধন্যবাদ ভাইয়া। 🙂
জিসান শা ইকরাম
জীবন থেকে নেয়া নয়ত?
ভালো লিখেছেন।
অরণ্য
ধন্যবাদ জিসান ভাই।
‘নয়ত’ বলছেন কেন, এ তো জীবনেরই ছায়া! 🙂
নীলাদ্রি
অসাধারণ লিখেছেন, খুব ভালো লেগেছে….
অরণ্য
ধন্যবাদ আপনাকে। লেখাটি আমারও খুব ভাল লাগছে। 🙂 মনে হলো অনেকদিন পর ‘ভাবে’ লিখলাম।
ভাল থাকবেন।
ব্লগার সজীব
ডিসেকশন করে কি পেলেন,জানতে ইচ্ছে করছে।
অরণ্য
এই যে এই লেখা! ভবেশকে আবিষ্কার করা – তাকে একটু নাড়িয়ে দেয়া। 🙂 ভাল থাকবেন সজীব। কিপ গোয়িং উইথ ইয়র লাফটার। (y)
রিমি রুম্মান
ভালোলাগা নিয়ে পড়লাম। শুভকামনা রইলো। -{@
অরণ্য
ধন্যবাদ রিমি রুম্মান। আপনার জন্যও অনেক শুভকামনা রইলো।
খেয়ালী মেয়ে
দারুন কবিতা (y)
ওঠো ভবেশ, ওঠো।
সব ভবেশ কি শেষ পর্যন্ত উঠে দাঁড়াতে পারে ;?
অরণ্য
আমি বিলিভার। আমার কাছে ভবেশ পারে। আমি সেকারণে বলিও তাই। ‘আমতা আমতা’ বিশ্বাস ভাল না। 🙂
ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার অদ্ভুত প্রেমের গল্প শেষটাও পড়েছি। ও নিয়ে ওখানেও কিছু লিখব হয়তো। ভাল লিখেছেন।
একটা গান উঁকি দিচ্ছে… আমাকে ভাবায় সুকুমার রায়…
https://www.youtube.com/watch?v=JO2aXG1fPSg
খেয়ালী মেয়ে
গুড…আমতা আমতা বিশ্বাস আসলেই ভালো না…….
অক্ষর ছুটে অক্ষর যায়,আমাকে ভাবায় সুকুমার রায়…সুন্দর গান (y)
অরণ্য
🙂
খেয়ালী মেয়ে
এক্সপাইরি অফ লাভ এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ভালোবাসা এ ২টা নাম দেখে জানতে ইচ্ছে করছে ৪ আগস্ট এমন কোন দিবস ছিলো নাকি ;?
অরণ্য
আমি দেখেছি একই জিজ্ঞাসা আপনি নীলা আপুকেও করেছেন। নীলা আপু সুন্দর জবাব দিয়েছেন। আমি না হয় অন্যভাবে বলি?
কখনও কি এমন হয়েছে আপনার যে আপনার দুই বন্ধু বা চেনা মানুষ একসাথে যাচ্ছেন, ধরুন রিক্সায়। কোন কথা নেই। আপনি মনে মনে একটা গান গাচ্ছেন। কিন্তু অবাক ব্যাপার আপনার পাশের জন হুট করে সেই গানটিই গেয়ে উঠল একইসাথে! আমার অনেকবার হয়েছে এরকম। আমার কাছে মনে হয়েছে কোন কসমিক ব্যাপার স্যাপার এর সাথে জড়িত। ;?
এমন হতে পারে ৪ তারিখে এমন কোন কসমিক ওয়েভ পৃথিবীর কাছাকাছি বয়ে গেছে। প্রথমে তা বেশি করে ছুঁয়েছে নীলাঞ্জনা নীলা আপুকে। তার কিছুক্ষণ পরেই ছুঁয়েছে আমাকে। ব্যস, দুজনেই ভালোবাসার মেয়াদ সম্পর্কিত দুটি লেখা লেখা ফেললাম। তবে উনার লেখা আমাকে আরেকটি লেখা লেখতে উৎসাহিত করেছে, আপনি তাও বলতে পারেন।
কি, ঠিক আছে? 🙂
খেয়ালী মেয়ে
ও আচ্ছা বুঝলাম…
আমরা খুব শীঘ্রই তাহলে আরো একটা লেখা পাচ্ছি..
অরণ্য
লেখা তো যে কোন সময়েই হয়ে উঠতে পারে। তবে আমি বলেছি এই লেখাটি নিয়ে। মেয়াদোত্তীর্ণ ভালোবাসা পড়ার সাথে সাথেই আমার মনে হলো কিছু একটা যেন আমার লেখার আছে।
ভাল থাকবেন।
খেয়ালী মেয়ে
🙁
শুন্য শুন্যালয়
আপনি তো আপনাকে অন্যভাবে চেনালেন আজ। চমৎকার লেখা। কাছে থেকেও যারা সময়ে বসবাস করে তাদের জন্য ভবেশ তার আবেশ ছেড়ে নিজ বেশে ফিরে আসুক। যদিও ভবেশরা ওঠে না। হিসেবী ভবেশের জন্য অপেক্ষার হিসেবনিকেশ সবসময়ই এলোমেলো। ভালোবাসার এক্সপাইরি বুঝতে ভবেশকে কবি হতে হবে।
দারুন। এত ভালো লেখা নিয়ে এত কম লেখা ঠিক না।
অরণ্য
প্রথমে ধন্যবাদ এমন সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ভালোবাসার মেয়াদ নিয়ে ভাবনাটা আপনিই তুলেছেন কোন এক লেখার মন্তব্যে। সাথে সাথে পিক করেছে নীলা আপু। আমিও দেখলাম ব্যাপারটা ভারি ইন্টারেস্টিং। এর মধ্যে দেখা হয়ে গেল ভবেশের সাথে। ভবেশকে যেভাবে বসে থাকতে দেখলাম নদীর ধারে, তাতে ওর জন্য মায়া হলো একটু। ভাবলাম বন্ধুটিকে আমার জাগানো উচিৎ। আমি ছাড়া আর তেমন কেউ নেই যে ওকে বলবে “ভবেশ ওঠো”। ভবেশের পাশে বসলাম, ওকে বোঝাবার চেষ্টা করলাম। তারপর দেখলাম কি যেন একটা দাঁড়িয়ে গেছে সেই ‘ডাকাডাকি’। এই হলো অরণ্যের লেখা। ভবেশ মাথা নেড়েছিল – সে উঠবে। তখন সন্ধ্যা অনেক ঘনিয়ে এসেছে।
আপনাদের প্রশংসা পেয়ে এখন মনে হচ্ছে ভালই লিখেছি – একটু আলাদা। 🙂
ভাল থাকবেন।
স্বপ্ন
এক্সপাইরি অফ লাভ!! ভাবছি শুধু ভাবছি এখন।ভালোবাসার সময় চলে গেলে কি হবে?লেখা চমৎকার লেগেছে ভাইয়া।
অরণ্য
এভাবে না ভাবাই ভাল। এতো বেশি ভাবতে গেলে ভালোবাসার হাফলাইফ কমে যেতে পারে।
লীলাবতী
লেখাটিতে অন্য এক অরণ্য ভাইয়াকে খুঁজে পেলাম (y) -{@
অরণ্য
কেউ কেউ বলে প্রতিদিনই নাকি আমরা একটু একটু আলাদা মানুষ। আমি তা মানি। যে আবহাওয়ায় অরণ্যকে দেখলেন এর জলবায়ুও অনেকটা তাই। আপনি কোন অরণ্যকে খুঁজে পেলেন জানতে পারলে ভাল হত। 🙂
ভাল থাকবেন।
মিথুন
আমার কবিতা পড়লে আবার সব পাঠক দূর দূর করে পালাবে 🙂
ভালো লাগার মত অনেক শব্দ পেলাম, কেনা জল, ফেরাউন লাশ। কবিতার আবহটা দৃশ্যের মত ভাসছে, কবি স্বার্থক……
অরণ্য
খুব ভাল বলেছেন “আমার কবিতা পড়লে আবার সব পাঠক দূর দূর করে পালাবে”। ;? আপনার ‘অসমাপ্ত ছবি’ ঘুরে এসেই বলছি খুব ভাল বলেছেন। 😀
ভাল থাকবেন।
মেহেরী তাজ
ভাইয়ায়ায়ায়ায়ায়া ভালো লেগেছে…..
ব্লগে এসে আপনাকে না পেয়ে একটু খারাপ লাগছিলো। কিন্তু খুজতে গিয়ে আপনার লেখা পেয়েই গেলাম।
অরণ্য
এটি খুব ভাল কথা যে তোর ভাইয়ার লেখা তোর ভাল লেগেছে। 🙂
তোকে একটা মজার কথা বলি। আমি চিঠি যুগ পেয়েছি। আমার মা মাঝে মাঝে বলত “বাবা, চিঠি তো লিখতে পারিস। না হয়, মাঝে মাঝে পোস্ট কার্ডেই লিখিস।” আমি বলতাম “মা, আমার জন্য কখনও ভাববে না। যদি আমার চিঠি না পাও, তবে ধরে নেবে তোমার ছেলে খুব ভাল আছে। এতো ভাল তখন আমি থাকি যে তোমাকে লিখতেও ভুলে যাই।” তোর ভাইয়াটা তো এমনই। আমাকে না পেলে জানবি আমি বেশি ভাল আছি – তোদের খোঁজ নেবার সময়ও নেই। মাকে আমার সালাম দিস। বলিস “ভাইয়াটা এবার একটু বদলাবে মনে হয়, তুমি একটু বাতাসে ফুঁ দিয়ে দিও।” মা কি বলে জানাস তো। ভাল থাকিস। দেখে শুনে চলিস। সময়কে সময় দিস। তুই ভাল কিছু করলে সময় তোকে জড়িয়ে অনেক হাসে। তুই দেখতে পাস? দেখিস তুই দেখতে পাবি। 🙂
ইমন
সারমর্ম : ওঠো ভবেশ, ওঠো। -{@
অরণ্য
সারমর্মে আমি কখনও কাউকে ১০ এ ১০ পেতে শুনিনি বা দেখিনি। তবে ইন্টারমিডিয়েটে ‘সমুদ্রের প্রতি বারণ’ কবিতার ভাব সম্প্রসারণে শিক্ষক মহাশয় অতি খুশিতে বলেছিলেন “যাও, তোমাকে ১০ এ ১০ দিয়ে দিলাম”। আপনাকেও আমি কৃপণ শিক্ষকদের মতো ১০ দিলাম না ইচ্ছে করেই। এখানে আরেকটি কথা আমি বলতে চেয়েছিলাম “সাম লাভস আর এস্কপায়ার্ড বাট উই ডন্ট নো”। 🙂
নীতেশ বড়ুয়া
কবিতায় ডাইমেনশন-আহা!
আদিগন্ত অপেক্ষারত ভবেশের সাথে শেষান্তে এসে ছুটে চলার ডাইমেনশন!
বেশ বেশ ভবেশ 😀
অরণ্য
হুম! ঠিক তাই।
বেশ বেশ বেশ নীতেশ! 😀 (নীতেশ দা) 🙂
ভাল থাকবেন নীতেশ দা।
ব্লগার সজীব
আপনার জন্য IDM এর লিংক দিয়েছি আমার পোষ্টে।কাজ করবে।
অরণ্য
গ্রেট! 🙂 (y)
অরুনি মায়া
অরুনির সাথে মিশে আছে মায়া। তাই অরুনি ভুলে গেলেও অরুনিমা কে ভোলা যায়না।
মায়া বড় সাংঘাতিক ,,,,,,,
অরণ্য
তা বটে। 🙂