
ঘোরাফেরার নেশাটা আমার অনেক পুরোনো। সুযোগ পেলেই বনে বাদাড়ে ঘুরে বেড়াই, পাখি দেখি, ফুল দেখি, আর মাঝে মাঝে ছবি তোলার চেষ্টা করি। ইচ্ছে করে পাহাড়ে হেলান দিয়ে নীল আকাশ দেখি, ইচ্ছে করে ঘাস ফুলদের সাথে চুপি চুপি কথা বলি, ইচ্ছে করে সাগর, নদী খাল-বিলে সাতার কাটি রাজহংসের মতো। ইচ্ছে করে ঝুম বৃষ্টির আলিঙ্গনে মনের ভেতর সজীবতার সৃজন করি। ইচ্ছে করে বাংলার প্রতিটি ইঞ্চি মাটির সুবাস নেই।
ইচ্ছেগুলো কতটা সফল হবে জানিনা, তবে সংসারের যাতাকল থেকে সুযোগ পেলেই আমি হারিয়ে যাই আমার ইচ্ছে ভুবনে। সেই সাথে আমার দেখা সৌন্দর্যকে ধরে রাখার জন্য তুলে রাখি অঢেল ছবি, আর সেই ছবিগুলো নিয়েই আমার “একদিনের ভ্রমণ আর কিছু ছবি” নামক সিরিজটা শুরু করলাম।
(নরসিংদীর শিবপুর, বেলাবো থানাও কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরের কিছু অংশে ঘোরাঘুরির ছবি নিয়া আজকের পোষ্ট।)
(২) নরসিংদীর শিবপুরের আশ্রাফপুরে নাকি গায়েবী জামে মসজিদ আছে সেটা দেখতে গিয়ে মসজিদের গেইটে এই লেখাটা পেলাম।
(৩) এটাকে কেন গায়েবী মসজিদ বলা হয়েছে জানা হলো না।
(৪) আশ্রাফপুর গ্রামের একটা সোনালী ধান ক্ষেত।
(৫) একটা বিশাল দীঘি।
(৬/৭) দীঘির মাছের পাহাড়াদার পানকৌড়ি পাখি।
(৮) এগুলো সব ধর্ম জাল।
(৯) দুটো চিলের উড়াউড়ি প্রতিযোগিতা।
(১০/১১) এটা ফরিদপুরের মাজার, না আটরশি না। কুলিয়ারচরের ফরিদপুর ইউনিয়নে যার অবস্থান।
(১২) এসব মাজারে সময় কাটানোর জন্য এগুলো কিনতে হয়।
(১৩) মাজারগুলোর এমন সুযোগ সুবিধাগুলো কিন্তু বেশ। ইচ্ছে করলেই আপনি এখানে রান্নাবান্না করে খেতে পারেন।
(১৪) মা ও শিশু।
(১৫/১৬) আমরা বাড়ি থেকে রান্না করা খাবার নিয়ে গিয়েছিলাম, একটা ফাঁকা জায়গা দেখে সেসব গলাধঃকরণ করে ফেলি 🙂
(১৭) পাশেই ছিল এমন ছোট পানার বিশাল বন।
(১৮) আর মাঝে মাঝেই এমন উঁকিঝুঁকি মারছিলো ছোট পানার ফুলেরা।
(১৯) কচুরি পানার ফুলেরা তো সর্বদাই বিরাজমান।
(২০) সুর্য্যি মামা ডুবতে বসেছে, এবার ঘরে ফিরতে হবে।
১৭টি মন্তব্য
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ইস কতদিন পর ছবি দেখতে পেলাম। ৪,৫ আর ৯ নং ছবিটা অনেক অনেক বেশি সুন্দর। দারুন মুহুর্ত ক্যামেরায় বন্দি করেছেন। অফুরন্ত শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর আরো বেশি বেশি ঘোরাঘুরি করে আমাদের জন্য এমন চমৎকার ছবি ব্লগ উপহার দিবেন
কামাল উদ্দিন
জীবনটা এখন আগের থেকে অনেক জটিল হয়ে গেছে আপু, সময় আর মনের সুযোগ দুটোরই বড় অভাব। দোয়া করবেন আমার জন্য।
সাবিনা ইয়াসমিন
কচুরিপানার ফুল দেখলাম বহুদিন পর। অনেক আগে এই ফুলগুলো সরাসরি দেখতে পেতাম, এখন ডোবা নালা থাকলেও এই ফুলের দেখা পাওয়া যায় না।
ছবির কথা –
গায়েবী মসজিদ/ মাজারের কথা প্রায়ই শোনা যায়, দেখাও যায়। ভেবে অবাক হই এইসব জনশ্রুত গায়েবী স্থাপত্য গুলোর সাথে বাস্তবিক ভাবে নির্মিত স্থাপনার মাঝে কোনো পার্থক্য থাকে না কেন! গায়েবী মানেতো অলৌকিক ব্যাপার স্যাপার হওয়ার কথা 🤔🤔
৬ নং ছবি টা বেস্ট 🙂
১৩ নং – নিজের মতো করে রান্নাবান্নার সুযোগ কি সব মাজারেই আছে? নাকি নির্দিষ্ট কিছু মাজারে এই সুবিধা দেয়া হয়? আমি কয়েকটি মাজার ঘুরে দেখেছি, কিন্তু এমন ব্যবস্থা কোথাও পাইনি।
সিরিজ চলুক, শুভ কামনা রইলো কামাল ভাই 🌹🌹
কামাল উদ্দিন
কচুরী পানার ফুলে সত্যিই একটা অন্য রকম সৌন্দর্য্য থাকে, ওটা দেখলে মনটা ভালো হয়ে যায়। বিশ্লেষণী মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা আপু।
আরজু মুক্তা
কুচুরিপানা ফুলের নীলটা অসাধারণ। আর আপনাদের খাওয়ার দৃশ্য চমৎকার।
ছবি ব্লগ চলুক আনকমন ছবি নিয়ে।
শুভ কামনা ভাই
কামাল উদ্দিন
এমন ক্ষেতে খামারে বসে খাওয়াটা সতয়িই উপভোগ্য হয়, ভালো থাকবেন আপু।
আলমগীর সরকার লিটন
বেশ কয়েকদিন পর আপনার তুলা ছবি দেখলাম কামাল দা
কামাল উদ্দিন
হুমম, ব্যস্ততা আমাকে দেয় না অবসর…..কেমন আছেন লিটন ভাই?
রোকসানা খন্দকার রুকু
আপনার ছবি ও ভ্রমন দেখে ঘুরতে লোভ হয়। অসাধারণ ছবি ও জায়গা।
শুভ কামনা সবসময়।
কামাল উদ্দিন
এখন আর অতটা সময় পাইনা আপু, আমার মাঝে মাজে নাভিশ্বাস উঠে যায়, ভালো থাকবেন সব সময়।
ছাইরাছ হেলাল
অনেক দিন পরে হলেও আপনার ছবি দেখে ভাল লাগলো।
তবে কেন যেন মনে হচ্ছে(ভুল হতে পারে) এবারে ছবি তোলায় আপনার মন ছিল না।
পাহারাদার পানকৌড়ি কথাটি সুন্দর হয়েছে।
ভাল থাকবেন, একটু উঁকিঝুঁকি দেবেন।
কামাল উদ্দিন
আপনি ঠিকই ধরেছেন ভাই, এখন আর অতোটা মনোযোগি হতে পারছিনা। উঁকিঝুঁকি দিতে চলে এলাম বড় ভাই।
হালিমা আক্তার
গায়বি মাজারের কথা শুনেছি আসলে এটা কতটুকু বাস্তব। ধর্মভীরু মানুষের মন নিয়ে খেলার কত কৌশল। কচুরিপানার ফুল গুলো অসাধারণ। শুভ কামনা।
কামাল উদ্দিন
গায়েবি বললে মানুষকে আকর্ষণ করা যায়, তাছাড়া ধর্মীয় বিষয়ে ভয়ে লোকজন সঠিক কথাটাও বলতে চায় না। এটা নিয়ে অনেকে ব্যবসা চালিয়ে যায়…….শুভ কামনা জানবেন আপু।
হালিম নজরুল
ভ্রমণের লোভ ছোট থেকেই। ভাল লাগল।
কামাল উদ্দিন
করোনা তো সব ভ্রমণই স্তব্ধ করে দিলো, কেমন আছেন নজরুল ভাই।
উর্বশী
ভ্রমন পিপাসু ও প্রকৃতি কে সাথে করে বন্দী করে নেয়া , যার সুবাদে আমরা সুন্দর চোখ জুড়ানো ছবি গুলো দেখে স্বস্তি পাই।প্রকৃতির কাছে যাওয়া হয়না।কিন্তু যেতে ইচ্ছে হয় শতভাগ। কিছু মানুষ ধর্মের নামে আড়ালে ব্যবসা করে।এই গায়েবী মসজিদ তার বাইরে নয়।তারা সঠিক নিয়ম না মেনে অনিয়ম কেই নিয়ম বানিয়ে চালিয়ে দেয়। শুভ কামনা রইলো।