
দুর্নীতি প্রতিরোধ নিয়ে বর্তমানে প্রশাসন এবং অনলাইন এক্টিভিস্টদের নড়নচড়ন চোখে পড়ার মত। আমি বিশ্বাসকরি এটা চালু থাকলে নিকট ভবিষ্যতে দুর্নীতিবাজ লুটেরাদের দিন ঘনিয়ে আসছে নিশ্চিত। তবে অনলাইনে অনেকে দেশকে নিয়ে বিরুপ মন্তব্যও করছেন। দেশ নিয়ে আজেবাজে কথা শুনতে আমার ভালো লাগেনা। আমি বুঝিনা তারা কি ইচ্ছেকৃত দেশকে হেয় প্রতিপন্ন করে নাকি না বুঝেই এসব করে?
দেশ থেকে দুর্নীতি একদিনেই প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। যুগে যুগে দুর্নীতির যে বীজ বপন হয়েছে তার শেকড়সহ গাছটিকে উপড়ে ফেলা অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার। তবে সম্ভব তখনই যখন আমরা একটা নির্দিষ্ট ছকে এগোবো। হাম্বিতাম্বি করে কিছুই হয়না। আজ একজন ধরা পড়লো সবাই চিল্লাফাল্লা করলাম, দু’দিন পরে সবাই চুপ মেরে গেলেন আবার, আসলে এভাবে হবেনা। ফলে যারা স্বার্থবাজ সুযোগসন্ধানী তারা সুযোগ পেয়ে যায় বাঁকা কথা বলার।
যারা এসব নেতিবাচক কথা বলেন তাদের উদ্দেশ্যে কিছু প্রশ্ন-
১. এদেশে দুর্নীতি বিরোধী টাস্কফোর্স আছে? – উত্তর হলো আছে।
২. এদেশে দূর্নীতিবাজরা সবসময়ই দলীয় পরিচয়েই দুর্নীতি করে এটা প্রমাণিত মানেন?- হ্যা মানি।
৩. যেকোন দুর্নীতিবাজ ধরা পড়ার আগ পর্যন্ত দলীয় নেতা, দেশের সাংবাদিক, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গোয়েন্দা সেল সহ সংশ্লিষ্ট সকলেই সব জেনেও কি এক অজানা কারনে নিশ্চুপ থাকেন। দুর্নীতিবাজদের পরিচয় জনসম্মুখে এলে তখন সকলেই সরব হয়ে ওঠেন কেন? – উত্তর নেই, জবাব চাওয়ার এবং জবাব দেয়ার এখতিয়ার আমার আপনার কারোরেই নেই। তাই আমরা নিশ্চুপ।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- দূর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। তবে দেশ থেকে দুর্নীতি দূর করা খুব সহজ নয়। তিনি ঠিকই বলেছেন। আসলেও সহজ নয়, কারন হচ্ছে ৩ নম্বর পয়েন্ট। এর উত্তর পাবার জন্য প্রধানমন্ত্রী নিজেও দীর্ঘদিন অপেক্ষায় আছেন।
এখন বুঝতে পারছেন সমস্যাটা কোথায়? তাই নিজের আয়ত্বে থাকা নির্দিষ্ট জনবলকে আগে কলুষমুক্ত করার বিকল্প নেই। তবেই দুর্নীতিবাজদের জড় উপড়ে ফেলা সম্ভব। আমরা গলাটিপে ধরবো আর একদল এসে তাকে বাঁচানোর জন্য মুখে পানি তুলে দেবে তাতো হতে পারেনা।
এসব একটু ভেবে দেখবেন কি?
২৩টি মন্তব্য
সুপায়ন বড়ুয়া
সুন্দর লিখলেন ভাইজান।
সমস্যা মাথায় আর মগজে।
দুর্নিতীবাজরা বড়ই দুরন্ধর। সবাই জানে কে দুর্নিতী করে
কে করে না। অকাট্য প্রমান লাগে।
আর কাল কোট পড়া লোক গুলো দাঁড়িয়ে যায়।
একজন প্রমানিত চোর যুগের যুগ কোর্টেই কাটাই দিল আর রাষ্টের কি পরিমান সময় অর্থ অপচয় হলো।
জাতির খুনীদের বিচার করতে ২১ বছর লাগলো সমস্থ রাষ্ট শক্তি পিছনে থাকার পরও।
ঐ যে কালো কোট পরা লোক। যাদেরকে দুর্নিতী বাজ আর খুনীরা পালে।
ভাল লাগলো। শুভ কামনা।
তৌহিদ
প্রমাণ থাকা সত্বেও যখন একজন দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি বুক উঁচিয়ে চলাফেরা করেন আদতে সেটা চোখে লাগে দাদা। যারা এদের আশ্রয়দাতা তারা থাকে ধরাছোঁয়ারর বাইরে। দলীয় পরিচয়ে ব্যক্তি দুর্নীতি করেন আর দোষ হয় দলের। অথচ দলের সে চিহ্নিত ব্যক্তিরা আড়ালেই থেকে যায়।
ভালো থাকুন দাদা।
প্রদীপ চক্রবর্তী
সব দলে সব যুগে দুর্নীতিবাজরা আছে।
আর তাদের মাত্রা বেড়েই চলছে।
তাদের মধ্যে অনেকেই সরকারের নাম করে নিজের ফায়দা লুটছে। আর এদেরকে একসাথে সমূলে উপড়ে দেওয়া সম্ভব হবে না। তারজন্য বেশ সময়ের প্রয়োজন। এ সময়ের সাথে প্রশাসন সর্বদা সজাগ থাকতে হবে।
কখনো কখনো দেখা যায় যে দুর্নীতিবাজরা টাকা দিয়ে প্রশাসন ও আইনকে গোগ্রাস করে ফেলে।
এর দায়ভার কার উপর?
এদিকে সরকার ও প্রশাসনকে বেশ সজাগ থাকতে হবে। তা না হলে কোনকিছু সম্ভব হবে না।
.
পয়েন্টের মাধ্যমে যথার্থ উপস্থাপন দাদা।
তৌহিদ
দুর্নীতিবাজদের কোথাও ঠাঁই নেই। দলে কিংবা প্রশাসনের সবার সচেতন হতে হবে। দ্বায়ভার নেয়ার সময় কাউকেই খুঁজে পাওয়া যায়না আবার তলে তলে ভাগবাটোয়ারা সবাই করে।
ভালো থাকুন দাদা। মন্তব্যে ভালোলাগা রইলো।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
সবাই সবকিছু জেনে শুনে ও চুপ থাকে তার কারণ বললে কোনো লাভ হয়না উল্টো নিজেকেই বিপদে পড়তে হয়। আইনের ফাঁক বলুন আর রাজনৈতিক ছত্রছায়াই বলুন এদের বিচার হয়না। আমরা ও কিছু দিন লাফালাফি করে থেমে যাই কারণ এসব বিষয় নিয়ে বছরের পর বছর পড়ে থাকা যায় না। পরবর্তীতে এসব দুর্নীতিবাজরা আরো বেশি সহিংসক হয়ে উঠে । আমাদের অবস্থা হচ্ছে শাখের করাত। আইনকে পরিপূর্ণ শক্তিশালী হতে হবে, সঠিক প্রয়োগ করতে হবে, নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিতে হবে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য তাহলে হয়তো কিছুটা কমানো যেতে পারে এসব দুর্নীতি। আর পরিবার , সমাজকেও তাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। যেকোন দূর্নীতিই সমূলে উৎপাটন করা সম্ভব যদি এমনটা করা যায়। এখানে সবার ই দায়িত্ব পালন করতে হবে। শুভ কামনা রইলো
তৌহিদ
একদম ঠিক আপু। এরা পার পেয়ে যায় বলেই পরবর্তীতে আবারো দুর্নীতি করে। থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। লুটেরাদের কঠিন শাস্তি চাই।
মন্তব্যে অনেক ভালোলাগা রইলো।
ছাইরাছ হেলাল
দুর্নীতি দুর্নীতিই , তা সে যে ই করুক না কেন,
এই অবস্থাটি যতদিন পোক্ত না হবে তত দিন এর থেকে মুক্তি নেই ।
অবশ্য এ ঝড় থেমে গেল বলে , আসবে নুতন ইস্যু , সামান্য অপেক্ষা মাত্র।
তৌহিদ
এদেশে এক ইস্যু ঢাকতে আর এক ইস্যু তৈরি করা হয়। আসল অপরাধী পার পেয়ে যায় তাতে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই।
খাদিজাতুল কুবরা
দুর্নীতি নিয়ে লেখাটি পড়লাম।
আমি অবশ্য রাজনীতি বুঝিনা।
তবে সবদলেই ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতিবাজদের মদদ দেওয়া কিছু লোক থাকে দেখেছি।
এই জায়গাগুলো দলের পঁচা অঙ্গ দুর্নীতিবাজদের সাথে এদেরকেও বিচারের আওতায় আনা দরকার।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
সময়োপযোগী লেখার জন্য
তৌহিদ
দুর্নীতি বুঝতে রাজনীতি বোঝা লাগেনা আপু। আপনি যেটা বললেন ক্ষমতার অপব্যবহার সেটা রুখতে পারলে অনেকাংশেই দুর্নীতি কমে যাবে।
সুন্দর বলেছেন। ধন্যবাদ।
মাছুম হাবিবী
এদেশ থেকে দুর্নীতিবাজদের তাড়াতে হলে সরকারের কঠিন আইনের সহযোগিতা কঠুর ভাবে কাম্য। দুর্নীতিবাজ ধরলাম, জেলে দিলাম, ছেড়ে দিলাম এসব চাটুকতা বন্ধ করতে হবে। যে অন্যায় করবে এবং দেশের সম্পদ আত্মস্বাদ করবে তাকে কোনো কারণ ছাড়াই শাস্তি দেয়ার ব্যবস্থা করা উচিৎ। একজন দুর্নীতিবাজ দেশ এবং দেশের মানুষের জন্য ভয়ানক দুর্যোগের মত।
তৌহিদ
হুম ভালো বলেছ ভাই। এটা কার্যকর করা অবশ্য কঠিন তবে অসম্ভব নয়।
সুন্দর বলেছ। ধন্যবাদ।
মোঃ মজিবর রহমান
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- দূর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। প্রধান্মন্ত্রী চাইলেই সব হবেনা। তার অনৈতিক রাজনোইতিক নেতাকর্মী যদি না সততার সহিত রাজনিতি ও মানবিক গুনে গুনাম্বিত না হয়।
কিন্তু বাস্তব হল কেউ শাস্তি পায়না। যেমন ঃঃ
জনপ্রতিনিধি- এদের যদি সব সম্পত্তি ক্রোক ও বাজেয়াপ্ত করে তবে বুঝতাম।
সরকারী বিভিন্ন কর্মকর্তাগণ দুর্নিতি করলে জাস্ট সাময়িক বরখাস্ত পরবর্তি আবার মামার জোরে আবার স্বপদে বহাল নতুবা প্রমশন লয়া নতুন উদ্যমে কাজ শুরু।
আর বর্তমানে ক্ষমতার মোহে সব অন্যায় মেনে নিচ্ছে সরকার প্রধান।
যা মন্ত্রী মহাসয়গণ নির্বাচনী প্রচারে বলেই ফেলে ক্ষমতায় না থাকলে দেশে ছাড়া হতে হবে। এরাই বোঝে যা অন্যায় করেছি জনতাও প্যাদানি দেবে পা থেকে মাথা।
দুর্নিতি রোধ সহজ না। কারোন মামা খালুকে স্বপদে রাখা চাই। এই আত্বীয়করণ সব খাইছে।
বি এন পি ক্ষমতায় থাকাকালিন তারা তাদের দলের লোকজনকে চাকরি দিয়েছে টাকা অথবা টাকা বিহিন কিন্তু আওয়ামি মাদার চোদরা টাকা নিয়েই দলের কর্মি বা সমর্থকদের চাকরি দেইনি বেশি টাকার লোভে জামাত বা বি এন পি কেই চাকরি দিয়েছে।
দেশে যুগ যুগ ধরে আওয়ামি মতাদর্শি আছে তাদের কেয়ারবকরেনি। করেও না।
টাকার বিনিময়ে এম পি বক্রি হয় সেই সরকারে আর বেশি আশা করা যায়না। কারন টাকার বিনিময়ে এম্পি টাকা উ
উঠানোর এম পি হয়।
এইসব নিয়া বলতেও আর ইচ্ছা হয়না। কারণ কার রোশানলে পড়ি ভালর মুল্যনাই। দলের হাতে মার খেতে চাইনা।
তৌহিদ
আপনার মন্তব্যের সাথে সহমত পোষণ করছি ভাই। আজকাল ভালো কিছু বললেও রোষানলে পড়তে হয়। আর এতেই অপরাধী পার পেয়ে যায়।
মন্তব্যে অনেক ভালোলাগা রইলো।
মোঃ মজিবর রহমান
ধন্যবাদ তৌহিদ ভাই। আমার বংশে অন্য কোন দল ভোট চাইতে আসেনা। আবার আমাদের বংশে কেউ সরাসরি রাজনিতিও করেনা। জাস্ট ভোট ব্যাংক।
কিন্তু বিপদে দলের প্রয়জনে এম পি প্রার্থি আসে প্রয়জন শেষ হলে সবাই বিদায়।
সঞ্জয় মালাকার
দাদা রাজনীতি তেমন একটা বুঝিনা, তবে
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- দূর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স,এর উত্তরটা খুঁজে পাইনা।
ধন্যবাদ দাদা।
তৌহিদ
তিনি ঠিকই বলেছেন তবে যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত তাদের আরও সচেতন হতে হবে।
ভালো থাকুন দাদা।
মাহবুবুল আলম
মুখে মুখে জিরো টলারেন্স বললে হবে না তৌহিদ ভাই। কাজে প্রমাণ দেখাতে হবে।
দলে কারা নতুন নতুন ফ্রাঙ্কেনস্টাইন তৈরি করছে ? এদের গডফাদার কারা? এদের খুঁজে বের করে শুদ্ধি অভিযান না চালাতে পারলে
জিরো টলারেন্সের কথা বলে লাভ নেই।
কষ্টে কথাগুলো বললাম।
শুভেচ্ছা জানবেন।
তৌহিদ
রাইট ভাই, সহময় পোষন করছি। দায়িত্বপ্রাপ্ত সবাররই আরো সচেতন হতে হবে।
ধন্যবাদ ভাই।
আতকিয়া ফাইরুজ রিসা
দুর্নীতি ঘুণপোকার মতো। বিশ্লেষণটা ভালোই লেগেছে। প্রশ্নগুলোও যথার্থ। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত জবাবটা কে দিবে?
তৌহিদ
এই জবাব কেউ খোঁজেনা বলেই দুর্নীতি কমছেনা। ভালো থাকুন।
আরজু মুক্তা
আইন আর তার কঠোর প্রয়োগ দরকার
তৌহিদ
অবশ্যই আপু। ধন্যবাদ।