মানুষের কত ইতিহাস যে চাঁপা পরে থাকে। প্রকাশ না হলে তা কেউ জানতেই পারেনা। প্রায় সবারই কিছু ইতিহাস আছে যা অপ্রকাশিত। সাহসের অভাবে বা সুযোগের অভাবে তা প্রকাশ করতে পারেন না অনেকেই। আমার সাহস আছে প্রকাশ করার 🙂 সুযোগ করে দিয়েছে সোনেলা 🙂 সাহস এবং সুযোগ দুটোই যখন আছে তখন কেন প্রকাশ করবো না আমি?
ক্লাস সিক্স এ পড়ার সময়ে ঘটে গেলো আমার জীবনের একটি বড় দুর্ঘটনা। ছেলেদের আর মেয়েদের স্কুলের রাস্তা একটিই। উচ্চ ক্লাসে পড়ুয়া ছাত্রদের দেখতাম গার্লস স্কুলে পড়ুয়া বড় আপুদের দেখে সিটি বাজাতো মুখে। আপুরাও দেখতাম সিটি শুনে হেঁসে লুতুপুতু 🙂 কি যে ভাল লাগতো আমার এই সিটি বাজানো। আমারও ইচ্ছে হত সিটি বাজাই। মুখে এক আঙ্গুল ভাজ করে দিয়ে কত যে ফু ফু ট্রাই মেরেছি, কাজের কাজ কিছুই হতো না। মুখের লালায় আঙ্গুল ভিজে যেত শুধু। এরপর দু হাতের আঙ্গুল দিয়েও কত চেষ্টা করেছি। বাজাতে পারিনি সিটি।
প্রিয়ঙ্কার বাসা আমাদের বাসার তিন বাসা পরেই। এত সুন্দর লাগতো ওকে যেন পুতুল একটি। ক্লাস ফোরে পড়ত তখন প্রিয়ংকা। ইশ প্রিয়ংকার জন্য যদি একদিন সিটি বাজাতে পারতাম, ও হেঁসে দিত, আর আমার জীবন ধন্য হয়ে যেতো 🙂 একদিন স্কুলে যাচ্ছি, আমার একটু সামনেই প্রিয়ংকা। জানি সিটি বাজাতে পারবো না, তারপরেও আঙ্গুল ভাঁজ করে জিহ্বার নীচে নিয়ে দিলাম এক ফু। বিকট শব্দে সিটি বেজে উঠলো 🙂
চমকে তাকালো প্রিয়ংকা আমার দিকে, এবার নিশ্চয়ই হেঁসে দেবে 🙂 আমি দু-কদম লাফ দিয়ে ওর প্রায় কাছে পৌঁছুলাম। প্রিয়ংকার পাশেই সিনিয়র এক আপু হাঁটছিলেন, ক্লাস টেন এর হবেন। প্রিয়ংকা হাসি তো দিলই না, ঐ আপুকে বললো , আপু আপনাকে সজু সিটি দিয়েছে। আপু থমকে দাঁড়ালেন, হাত দিয়ে ইশারা করাতে কাছে গেলাম। হঠাৎ আমার কানটা ধরে এমন মোচর দিয়ে বললেন, বেশী পাকনা হয়েছো না? আর যদি কোনোদিন সিটি বাজাও তোর কান ছিড়ে ফেলবো। কানের মোচড়ে আমি চোখে জোনাক দেখছিলাম তখন। নিষ্ঠুর প্রিয়ংকা হেসেছিল ঠিকই তবে আমার সিটি শুনে নয়, আমার কানে মোচড় দেখে 🙁
আর কোনোদিন সিটি দেইনি আমি। আচ্ছা সিটি বাজালে কি হয়? ঐ আপু আমার সিটি শুনে আমার উপর রাগ করলেন কেন? বড় ভাইরা যখন সিটি বাজান তখন তো তিনি ঠিকই হাসেন। সিটির মধ্যে কি সুর আছে? যা আমি দিতে পারিনি? সিটিতে আনন্দ আর সিটিতে রাগ কেনো?
আমার বড় আপুর কাছে জিজ্ঞেস করেছিলাম, আপু সিটি বাজালে কি হয়? আপুর উত্তর ‘কি হবে আবার, কিছুই তো হয় না’। বাসায় আম্মু প্রেসার কুকারে রান্না করেন, মুরগীর মাংসে চার সিটি, গরুর মাংসে ছয় সিটি দরকার। রোজই তো প্রেসার কুকারে সিটি শুনি, কিছুই তো হয় না। ‘
কিছুই যখন হয়না, তাহলে আপু আমার কানে মোচড় দিলেন কেন? ;(
ইচ্ছে থাকা সত্বেও আমার আর সিটি দেয়া হয়নি 🙁
৭৮টি মন্তব্য
খসড়া
আহারে হৃদয় ছেদক প্রিয়াংকা। যুগে যুগে প্রিয়াংকারা সজীবদের শুষে শুষে সজীবতা গ্রাস করে নিজেদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করছে আর সজীবেরা শুকনো পাতার মত মর্মর শব্দেগুঁড়ো হচ্ছে। গুঁড়ো হয়ে চা পাতার মত চা হয়ে আবার প্রিয়াংকাদের ঠোঁটের স্পর্শ নিয়ে তাদের উদরে ঢুকছে। আহা রে সজীব হায় সজীবতা।
জিসান শা ইকরাম
” যুগে যুগে প্রিয়াংকারা সজীবদের শুষে শুষে সজীবতা গ্রাস করে নিজেদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করছে আর সজীবেরা শুকনো পাতার মত মর্মর শব্দেগুঁড়ো হচ্ছে। ” :D)
:D)
ব্লগার সজীব
ভাইয়া আপনি হাসছেন? 🙁
আবু খায়ের আনিছ
আমিও হাসলাম। :D) :D) :D)
ব্লগার সজীব
আনিছ ভাইয়া ;(
শুন্য শুন্যালয়
আপু, ক্লাসিক মন্তব্য 😀
গুঁড়ো হয়ে চা পাতার মত চা হয়ে আবার প্রিয়াংকাদের ঠোঁটের স্পর্শ নিয়ে তাদের উদরে ঢুকছে, এইটা সজুরে জ্বইলা পুইড়া আবারো ছারখার করে দেবে 😀
ব্লগার সজীব
আমার হৃদয় ছেদারক কাহিনী পড়ে হাসেন আপনি শুন্য আপু? তাও বত্রিশটি দাঁত দেখিয়ে 🙁
অনিকেত নন্দিনী
যুগে যুগে প্রিয়াংকারা এমনি করেই সজীবদের সজীবতা হরণ করেছে। সেই সাথে নষ্ট করেছে সিটি বাজিয়ে বালিকাদের মুখে হাসি ফোটাবার অমিত সম্ভাবনা। আইজকা বুজলাম, কিয়েরলাইগ্যা সজু মাইয়া পটাইতে পারেনা। ;(
ব্লগার সজীব
নন্দিনী আপু, কোথায় ছোট ভাইকে একটু দোয়া করে দিবেন, তার কষ্টে কষ্টিত হবেন, তা না করে সবাই আমাকে নিয়ে উপহাস করছেন 🙁 আমি কি এমন বড় বোনদের চেয়েছিলাম? ;(
ব্লগার সজীব
আপু প্রিয়ংকারা এত নিষ্ঠুর হয় কেন? 🙁 আপনি ঠিকই বলেছেন।
জিসান শা ইকরাম
কি অবস্থা আমাদের সজু ভাইয়ের, জীবনে আর সিটি দিতেই পারলো না।
আপনি তো এখন সাবালক হয়েছেন, ব্লগের আপুদের সিটি দিয়ে দেখতে পারেন,
তাহলেই বুঝতে পারবেন কত আমে কত জুস 🙂
শুন্য শুন্যালয়
সজু বাইয়া, জিসান ভাইয়ারে লগে নিয়া নিয়েন, অন্যের দুইটা খাঁড়া কান থাকতে, আপনি ক্যান কষ্ট করবেন? 🙂
ব্লগার সজীব
কি যে বলেন আপু ? :p
জিসান শা ইকরাম
কি বললেন? গরররররররর গরররররররর @শুন্য
শুন্য শুন্যালয়
কি হইছে চ্যাতেন কিল্লাই? আপনার কান খাঁড়া না? :p
জিসান শা ইকরাম
না, আমার কান ল্যাপ্টাইন্যা ……
ব্লগার সজীব
ভাইয়া কেউ কিন্তু বলছেন না সিটি বাজালে কি হয় 🙂 আমি তো সাবালকই, ব্লগের কোন আপুকে সিটি দেয়া যায়, যদি একটু গাইডলাইন দিতেন :p
জিসান শা ইকরাম
কেউই বলবে না সিটি বাজালে কি হয়, সবাই এমন ভাব নিবে যে ভাজা মাছটিও উলটে খেতে পারেনা 🙂
ব্লগার সজীব
তাই তো দেখছি ভাইয়া 🙁
ইলিয়াস মাসুদ
হাহাহা খুব মজা পেলাম, সত্যি-ই তো এসব লিখতে সাহস লাগে……. :D)
ব্লগার সজীব
এবং এসব লিখতে যে সাহস দরকার তা আমার আছে 🙂
শুন্য শুন্যালয়
:D) প্রেশার কুকারে তো রোজই সিটি শুনি কিছুই তো হয়না। চার সিটিতে মুরগী আর ছয় সিটিতে গরুর মাংশ? 😀
প্রেশার কুকারে প্রেশার বাড়লে সিটি হয় আর পোলারা সিটি দেয় ক্যানু ভাভু বাইয়া? অন্তরে প্রেশার বাড়লে? 😀
সিটি শুনলে আপুরা হাসে শুধু প্রিয়ংকাই কিচ্ছু বুঝলোনা। কইলজা থুক্কু কান জ্বইলা গেলো টানে, আহারে।
আরেকবার ট্রাই মাইরা দেখবেন নাকি ভাভু বাইয়া, এখন তো দিন বদলাইছে, আপুরা হাসতেও পারে সিটি শুনে।
ইচ্ছে চাপায় রাখা ঠিক না।
মজার পোস্ট দেয়া আপনার বদভ্যাস হয়ে দাঁড়াইছে, এরপর আপনার দুঃখের পোস্ট পড়লেও সবাই দাঁত কেলাবে 🙂
এই যেমন আমি কেলাইলাম 😀
ব্লগার সজীব
হ্যাঁ আপু, চার সিটিতে মুরগী আর ছয় সিটিতে গরুর মাংশ। আমার আম্মু, আপু রোজই এই সিটি শোনেন, কিছুই তো হয়না।
ছেলেরা সিটি দেয় মেয়েরা হাসে তাই, কিন্তু সিটির মাঝে কি আছে যে হাসতে হবে? আপু বলেননা প্লিজ, সিটি শুনলে মেয়েরা কেনো হাসবে? ট্রাই তো মারতেই চাই, কিন্তু সিটি শিখতে হবে আবার, আর কাকে মারবো সিটি? কাউকেই তো পাইনা 🙁
দাঁত কেলানোও আপনার বদভ্যাস হয়ে গিয়েছে মনে হয়, নইলে খসড়া আপু আর জিসান ভাইয়ার কমেন্ট গিয়ে দাঁত দেখান যে 🙁
ছাইরাছ হেলাল
ছোট বেলা থেকেই পাকনা ট্রেনিং নিয়েছেন।
এখন আর চিন্তাইয়েন না,
সোনেলা আছেনা!! সিট্টি চলবে।
ব্লগার সজীব
পাকনা আর হলাম কোথায়? তার আগেই তো কানমলা 🙁 সোনেলায়ও তো ভরসা পাচ্ছি না ভাইয়া, সিটি বাজিয়ে আবার কি ঝামেলা হয় কে জানে? 🙂
ছাইরাছ হেলাল
এখানে ঝামেলা নেই,
আমরা তো আমরাই, সিট্টি চলবে।
ব্লগার সজীব
ওস্তাদে বলছে দূরে বসে বাজাতে 🙂
মৌনতা রিতু
এই পোষ্টটা পড়ে এতো হাসলাম,কি বলব।আমার উনি ভাববে নিশ্চয়ই আমি ফোন প্রেম করছি।সকালে হেঁটে এসে এতো হাসালেন!ধন্যবাদ তাই প্রাপ্য।আমার ছেলেও এখন ক্লাস সিক্সে, তাই ভয়ও আছে।তাও যায় ঠিক গার্লস্ স্কুলের সামনে দিয়ে।
মৌনতা রিতু
ও হ্যাঁ লেখাটা প্রিয়তে রাখলাম।
ব্লগার সজীব
আমার লেখা প্রিয়তে !! এত আনন্দ রাখি কোথায় আপু? -{@
ব্লগার সজীব
এত আনন্দ দিতে পারছি আপনাকে, ভাইয়াকে। আমার চেষ্টা তাহলে সফল আপু।
মেহেরী তাজ
শিষ্য সেই বড় আপুটা অনেক পচাঁ! এবার থেকে সিটি দিবে অনেক দূর থেকে! সে ডাকলেও কাছে যাবে না! বরং উলটা ঘুরে দিবা দৌড়। উক্কে????
যাক আমার মতে সিটি দিতে পারা টা একটা ক্রেডিট। 🙂
ব্লগার সজীব
ওস্তাদ কত দিন পরে আপনাকে দেখলাম, কত যে মিস করি আপনাকে 🙁 আপনি আসেন না নিয়মিত, আর আমাকে একা পেয়ে সবাই চেপে ধরে, আমার কেউ নেই 🙁
ওস্তাদ কানমলায় সব ভুলে গিয়েছি, সিটি দিতে পারিনা আর। তবে দেয়ার খুব ইচ্ছে আমার। কাউকে দিলে দূর থেকে দেবো। আপনার পরামর্শ মাথায় তুলে রাখলাম 🙂
মেহেরী তাজ
হ্যা অনেক দিন পরে এলাম।
কি তুমি একা? আমার শিষ্য সোনেলায় একা? দুদিন আমি ব্লগে ছিলাম না বলে তোমার সাথে যে অন্যায় হয়েছে তার বিচার হবে হবেই? কে কে কে তোমার সাথে নাইনসাফি করলো নাম টা একবার খালি বল তারপর দেখো!
ব্লগার সজীব
কেউ আমাকে পাত্তাই দেয় না, সবাই আমাকে পিচ্চি পাচ্চা ভাবে 🙁
মোঃ মজিবর রহমান
সজীব ভাইয়া কোন সিটি বাজাত বড় ভাইয়েরা
লন্ডন সিটি,
ঢাকা সিটি
মাকাইনা সিটি
ধুর কত নাম আসে!
সিটি দিলে কানে মোচড় খাওয়া যায় জানেন না সজু ভাইয়া।
গুড গুড গূড
ব্লগার সজীব
আপনি তো অনেক সিটির নাম দিলেন ভাইয়া 😀 এসবের একটিও না 🙂
মোঃ মজিবর রহমান
সিটি দিলে কানে মোচড় খাওয়া যায় জানেন না সজু ভাইয়া চোখে জনাক দেখা যায়!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
ব্লগার সজীব
যে প্রক্রিয়ায় কানমলা খেয়েছি তা ছিল অত্যন্ত লজ্জার 🙁
মোঃ মজিবর রহমান
লজ্জা হলেইত অপমান হয়নি!
ব্লগার সজীব
অপমানিত হইনি আবার ? 🙁
অনিকেত নন্দিনী
সিটি বাজানো খুব সোজা কাজ না। স্কুল কলেজে পড়ার সময়ে কত্তো চেষ্টা করেছি সিটি বাজাতে! পারিনি। 🙁
ব্লগার সজীব
আপনি কি ছেলেদের প্রতি সিটি বাজানোর ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন? কিন্তু সিটি বাজালে কি হয় আপু? বলবেন প্লিজ 🙂
অনিকেত নন্দিনী
আমার উদ্দেশ্যও প্রায় তোমার মতোই ছিলো তবে একধাপ এগিয়ে আরকি! বারান্দায় দাঁড়িয়ে সিটি বাজিয়ে লুকিয়ে থাকা আর ওদিকে বেচারা সিটি পেয়ে ঘাড় বেঁকিয়ে উৎস খুঁজতে খুঁজতে উষ্টা খেয়ে পতনোন্মুখ হবার দৃশ্য দেখা। :D)
ব্লগার সজীব
আপনি দেখি দুষ্টের শিরোমণি একজন আপু 🙂
অরুনি মায়া
আসলেই বড় আপুরা খুব নিষ্ঠুর হয়। তারা এইভাবেই ছোট ভাইদের কান ধোলাই দেয়। কেন আদর করে একটু মাথায় হাত বুলিয়ে দিলে, বা গাল টা টিপে দিলে বা গালে লিপস্টিকের ছাপ বসিয়ে দিলে কি এমন ক্ষতি হয়।
নাহ বোঝেনা তারা কিছুতেই বোঝেনা 🙁 ।
কেঁদোনা ছোট্ট ভাইয়া, আমি আছিনা। আমি কিন্তু খুব ভাল বড় আপু। শিষ বাজালে একটুও কান ডলা দিবনা :p
ব্লগার সজীব
আপনার মত কেউ ভাবেনা আপু, আপনি তো মহান একজন আপু 🙂 গালে লিপস্টিকের ছাপ? লজ্জা পেলাম আমিই এখন :p
আচ্ছা কখনো কোন আড্ডায় আপনার সাথে দেখা হলে আপনার কাছে এসেই সিটি বাজাবো 🙂 আপনি এত ভালো কেন আপু?
অরুনি মায়া
হা হা হা সোনেলায় একমাত্র আমিই তোমার দু:খ বুঝলাম ভাইয়া। বাকি আপুরা সুযোগ পেলেই কানটি চেপে ধরে। দু:খিজনে সেবা করা সওয়াবের কাজ।
:p
ব্লগার সজীব
আচ্ছা তাহলে আপনাকেই সিটি দেব, এত মায়াবতী আপনি, কষ্টিতের কষ্ট বোঝেন 🙂
সিকদার
অরুনি আপুর মন্তব্য পড়ে আমি সিটি প্র্যাকটিস শুরু করে দিয়েছি । 😀
অরুনি মায়া
দেখবেন সাবধান, সব আপু কিন্তু অরুনি আপুর মত মায়াবতী নয় 🙂
ব্লগার সজীব
সাবধান থাকবেন সিকদার ভাই, আপনাকে সিটি বাজাতে অনুমতি দেননি মায়াপু 🙂
আবু খায়ের আনিছ
সিটি বাজান সোনেলায়, কেউ কিছু বলবে না, বরং সবাই উৎসাহিত করবে আবার সিটি বাজানোর জন্য। খেয়াল রাখবেন আবার যেন কোন বড় আপুর কানে না পৌছায়। হা হা হা
আবু খায়ের আনিছ
ছবির কথা বলতে ভুলে গিয়েছিলাম, কথার সাথে ছবিগুলোর মিল লেখাকে আরো আনন্দদায় করেছে।
ব্লগার সজীব
ধন্যবাদ ভাইয়া। এই কৃতিত্বে দাবীদার আমি একা নই, আমার অতি প্রিয় একজন লেখা পড়ে ছবি গুলো খুঁজে দিয়েছেন 🙂
ব্লগার সজীব
সেই বড় আপুর ভীতিটা রয়ে গিয়েছে মনের মাঝে ভাইয়া 🙁 সোনেলার বড় আপুদের মাঝে ঐ আপুও থাকতে পারে 🙁
আবু খায়ের আনিছ
:D) :D)
ধন্যবাদ আপনার সেই প্রিয়জনকেও।
নাসির সারওয়ার
কি মুশকিল। এতো বাক স্বাধীনতার উপরে হস্তক্ষেপ! না না, সিটি বাজানো চলবেই। এই সিটির সব তথ্য আমাদের জানতেই হবে। এটা কানমলা খাবার মত সুস্বাদু হতেই পারেনা। তার চেয়ে চার ছয় সিটির খাবার অনেক ভালো।
আমি একটু আদটু পারতাম। দেখি জালাই দিয়ে যাতে সঙ্গী হতে পারি। তবে আপুদের কাছে না দূরে গিয়ে কর্মটা হবে, তার দায়ভার আমার নয় কিন্তু…।।
ব্লগার সজীব
আমি সেই যে কানমলা খেয়েছি, আর সিটি বাজানোর চেষ্টাই করিনি 🙁 এমন জোরে কানে মোচড় দিয়েছিলেন উনি, আর একটু হলেই কানই ছিড়ে যেতো আমার 🙁 ভাইয়া সিটি বাজালে কি হয়?
আপুদের কাছ থেকে দূরে গিয়ে বাজাবেন ভাইয়া, বলা যায়না, সেই আপু এখানেও থাকতে পারেন 😀
নাসির সারওয়ার
সিটি বাজালে কি হয় –
এর দুটো বিপরীত ধর্মী প্রতিক্রিয়া আমরা জানি
১) হি হি করে হাসা
২) কানমলা
এবং এই ক্রিয়া দুটো শুধু আপুরাই করতে পারেন। অতএব, আপুরাই তার রহস্য আমাদের জানাবেন। অন্যথায়,
—– বাঁশডলা ——-
ব্লগার সজীব
কিন্তু কেন তারা এই প্রতিক্রিয়া দেখাবেন? সিটিতে কি তাঁদের মনে দুই ধরনের আগুন জ্বালিয়ে দেয়? প্রেসার কুকারের সিটিতে তো তারা এমন প্রতিক্রিয়া দেখান না ভাইয়া। আপুরা কেন এটি করেন, তা মনে হয় জানাবেন না 😀
সিকদার
সিটিতে অনেক কিছুই হয় । যেমন ছয় সিটিতে গোশত রান্না হয় । হঠাত সিটিতে সজীব প্রিয়াংকার কোমল হাতের কা্নমলা খায় ।কৈশোরের সেই সিটিতে বুড়া বয়সে (?) সোনেলায় ব্লগ লেখা হয় । :D)
ব্লগার সজীব
জি অনেক কিছুই হয় 🙂 তা আমি যে বুড়া তা আপনি জানলেন কিভাবে ভাইয়া? 😀
ভোরের শিশির
সিটি হচ্ছে ‘সিটি বাসের’ মতো। জায়গা পেলে প্যাঁপুঁ শুনতেও আরাম তা না হলে বিরক্ত হয়ে গালাগালি…
অতএব সজু বাইয়া সিটি বাজানোর আগে নিজের জায়গা করে নাও :p
ব্লগার সজীব
:D) :D) :D) খুবই মজা পেলাম, সিটি হচ্ছে সিটি বাসের মত। আমার নিজের কোন জায়গাই নেই শিশির ভাইয়া 🙁
ভোরের শিশির
আরে বাসের পর বাস আসে, ততএব ধৈর্য্য ধরলে জায়গা হপেই, সিটিও বাজবেই 😉 তবে নিজের প্রেমিকা ফ্রেম করার পরে 😉
ব্লগার সজীব
আমার তো প্রেমিকাই নেই 🙁
শুন্য শুন্যালয়
এক শব্দের নানারকম ব্যবহার আছে, যেমন একটা শিশুকে দেখে ফ্লাইং কিস দেখলে সেটা হয় ইনোসেন্স, মাঠের প্রিয় খেলোয়ারকে দেখে ফ্লাইং কিস দিলে সেটা ভালো লাগার প্রকাশ, প্রেমের ব্যাপার নয়, আর যদি বয়ফ্রেন্ড রে দেই, তাইলে তো ইয়ে মানে বুঝতেছেনই।
মাংসের সিটি আর ঠোঁটের সিটির ব্যবহারও তেমনি। আর কারে দিছেন হেইডাও ব্যাপার। আপুদের হাসির উপরে এত্তো লোভ বুঝি পিচ্চি বেলা থাইক্কাই? 🙂
ব্লগার সজীব
কিস আর সিটি সমার্থক নাকি? এটি এই প্রথম জানলাম। তাহলে সিটি দেয়ার চিন্তা বাদ। নাউজুবিল্লাহ, আমি ভালো পোলা না আপু? সিটি আর কাউকে দেয়া হবে না 🙂
শুন্য শুন্যালয়
কিস আর সিটি এক হবে কেন? 😮 আমি বলেছি এক জিনিস ভিন্ন সময়ে, ভিন্ন বয়সে ব্যবহারের পার্থক্য থাকে। সজু যদি এখন এক পিচ্চি প্রিয়ংকাকে সিটি দেয়, সেও হাসবে, কেউ কানমলা দেবেনা, কিন্তু সজুর চ্যাট বক্সের কাউরে দিয়া দেখুক কি হয়।
আর খায়েস যখন হইছেই তখন সোনেলায় ব্লগারদেরও ট্রাই কইরা দেখতে পারেন, এক আপু তো রাজি হয়েছে, বাকিগুলোর দায়দায়িত্ব আমি নিতে পারুম না 🙂
ব্লগার সজীব
সিটিতে কি হয় আসলে এটি বুঝতে চেয়েছিলাম আমি। যা বুঝেছি তা হচ্ছে, এটি আনন্দদায়ক একটি কর্ম, যা দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য ব্যবহৃত হয়, মন মানসিকতা ভাল থাকলে শ্রবণকারী আনন্দিত হন। সিটি একটি নির্দোষ আনন্দের বহিঃপ্রকাশ।
আপনার মন্তব্যটি একবারে বুঝতে পারিনি, মন কিছুটা বিক্ষিপ্ত তাই মনযোগ দিয়ে পড়া হয়নি মন্তব্য 🙂 এখন বুঝতে পেরেছি আপু।
নীলাঞ্জনা নীলা
সিটি তো আমি বাজাতে পারিনা। কতো চেষ্টা করেছি একটা সিটি বাজানোর।
ভাগ্য ভালো বাজাইনি, তা নইলে চড় খেতে হতো।
ভাভু বাইয়া এটা ঠিকনা কেন আপনাকে চড় দিলো ওই আপু? এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা উচিৎ।
ব্লগার সজীব
আপনাকে কে চড় দিবে আবার? আপনি সিটি বাজালে তো ছেলেরা মহা উৎসাহে সিটি বাজাতে থাকতো। কে প্রতিবাদ করবে দিদি? আমার তো কেউ নেই 🙁
নীলাঞ্জনা নীলা
ভাভু বাইয়া আমি আছি \|/
ব্লগার সজীব
নীলাপু এই প্রথম, এই প্রথম কেউ এমন ভাবে বললো’ আমি আছি ‘। আবেগে আমি কাইন্দালাইছি 🙁
লীলাবতী
আহারে প্রিয়ংকা পাজি মেয়েটা আমার এত লক্ষি ছোট ভাইয়াটার হৃদয় এইভাবে ছিদ্র করে ফেলছিল? আমার মনেহয় সিটি মানে, আয় চল যাইগা, এই টাইপের কিছু হবে, আমারে অবশ্য কেউ কোনদিন সিটি দেয়নাই, তাই জানিনা ভাইয়া।
এক কান মোচড়ে পেছন ফিরলে চলবে? একবার না হাসিলে দেখো শতবার, নেক্সট টাইম বড় আপুরেই সিটিটা দিয়ে দেইখো। 😀
ব্লগার সজীব
লীলাপুউউউউউউউউউউউউ, কত্ত দিন পরে আপনাকে দেখলাম 🙂 আমাদের রেখে কোথায় কোথায় থাকেন আপনি? একটুও মনে পড়ে না আমাদের? সিটি মানে’ আয় চল যাইগা’ :D) এই কথাটা মনে ধরেছে 🙂 আমার কানে যে আপু মোচড় দিয়েছে, ঐ আপু তাহলে ভেবেছে আমি তাকে আয় চল যাইগা বলেছি :p এখন তো আমি বড় হয়েছি, বড় আপুদেরই দিতে হবে 🙂
লীলাবতী
আমাকে আবার দিও না, আমার আবার ছোটদের কান মলা দিতে ভাল লাগে :D)