যুদ্ধ ! যুদ্ধ!! যুদ্ধ!!! কথা শুনলেই কেমন গা শির শির করে উঠে।যে কোন অবস্হাতেই একজন গণতন্ত্রকামী যুদ্ধকে না বলবে।কারন যুদ্ধ কোন কল্যায়ন করতে পারেনা যুদ্ধ কেবল ধ্বংসকে আহবান করে।তার পরও যুদ্ধ বাধে কিংবা বাধায়,কারো প্রয়োজনে কারো বা অপ্রয়োজনে।’৭১ এর আমাদের স্বগোত্রীর সাথে যুদ্ধ করতে হয়েছিল সময়ের প্রয়োজন সেই যুদ্ধ ছিল আমাদের অস্তিত্ত্বের যুদ্ধ।যেই কোন যুদ্ধে সবচেয়ে বড় অপরাধী হল মীরজাফর চরিত্রের কিছু জারজ সন্তান যারা স্বদেশী হয়েও দেশ মাতৃর ক্ষতি করে।ঐ সমস্হ জারজদের সহযোগীতা ছাড়া প্রতিপক্ষ কিছু করতে পারেনা।কথায় বলে ঘরের ইদুরে বান কাটলে ঘর রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়ে।ভাবতে অবাক লাগে কি করে ওরা নিজের স্বদেশী ভাইদের ক্ষতি করে।একবারও কি ভাবেনা আহারে যাকে আমি ক্ষতি করব তাদের কতইনা মহব্বত ছিল,ছিল নিরীর পরিচয়।আসলে ওরা মানুষ নয় মানুষরূপী নর পশু।
যুদ্ধাপরাধীর বিচার ৪২ বছর পর হলেও শুরুতো হয়েছে এর জন্য আওয়ামীলীগ সরকার প্রসংসার দাবীদার।কসাই কাদের মোল্লার রায় যখন ফাসি হলনা তখন শাহবাগের প্রজন্ম চত্ত্বরের জন্ম হতে হয়েছিল কিন্তু কেনো?যাদের নামে গণ হত্যা আর ধন-সম্পদ লুণ্ঠনের অভিযোগ প্রমানিত হয়েছে তাদের রায় মৃত্যুদন্ড হবে না এটা কেমন রায় কেমন আইনের ধারা?এর জন্য জনতাকে রাস্তায় নামতে হবে, তাহলে কি ধরে নেবো এখনও এদেশে পাক-প্রেতাত্ত্বারা বিদ্যমান!সাফ কথা হত্যার বদলে হত্যা তার উপরে গণ হত্যা ,ধর্ষন ,লুণ্ঠন এ রায়তো দুধের শিশুও বলবে ফাসি চাই।সত্যি বলতে কি যুদ্ধাপরাধীর যেটা শুরু হয়েছে এর পক্ষে না আওয়ামিলীগ না বি এন পি আমার মনে হয় কেহই মন থেকে রাজী ছিল না।কারন এখানে ভোটের একটা ব্যাপার রয়েছ।যা দুদলই শংকিত।নতুবা যুদ্ধাপরাধীর বিচারে রায় কেনো সর্বচ্চো রায় ফাসি হবে না আর এর জন্য কেনোইবা আমাদের রাজ পথে নামতে হবে?সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার হলো ১৯৫ জন চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীকে ঐ পারে পাড় করে দেয় আমাদের দেশের রাজনিবীদরা।বর্তমান সরকার যেখানে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ক্ষমতায় সেখানে আমাদের কেনো যুদ্ধের সাজে সাজতে হবে?।ভোটের চিন্তা বর্তমান সরকারও করেছে তাই এ বিচার ক্ষমতার শেষ লগ্নে জনগণের ভোটের কথা চিন্তা করে নির্বাচনী ইসতেহার বাস্তবায়নে নাম মাত্র শুরু করেন।যার জন্য রায় কার্যকর নিয়েও আমরা শংকিত। এ সরকার সময় পাবেন কি পাবেন না আর অন্য সরকার এলে এ ধারা অব্যহত থাকবে কি না এ নিয়ে আমরা চিন্তিত।যদিও বি এন পি বলছেন তারা আরো মানসম্মত বিচার করবেন।এ জাতি ‘৫২,৬৯,৭১,অবশেষে ‘৯০ আন্দোলন করেছে দেশ মাতৃর তরে।আর কত আন্দোলন করবো,আর কত মায়ের কূল খালি হবে,আর কত ফুল অকালেই ঝড়ে যাবে বলতে পারেন আমাদের বিজ্ঞ রাজনিতীবিদরা।শুধু আপনাদের জাতীয় ইস্যুতে ঐক্যতার প্রয়োজন।বাস এইটুকুই আমাদের এনে দেবে সকল সমস্যার সমাধান।
৭টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
লেখাটির সাথে দ্বিমত পোষণ করছি ।
মা মাটি দেশ
ধন্যবাদ স্যার,দ্বিমতটা খুলে বললে এ ছাত্র কিছু শিখতে পারত।
জিসান শা ইকরাম
স্যার বলায় তীব্র প্রতিবাদ —-
দেখার পার্থক্য শুধু
বলবো 🙂
মা মাটি দেশ
সরি.স্যার সম্ভোধনটা মন থেকেই বলেছিলাম শ্রদ্ধা/ভালবাসায়।কারন এ লাইনে আমি নতুন ,আমার ভূল হবে এটাই স্বাভাবিক তাই চেয়েছিলাম একটু সাজেসনস।আবারও দুঃখিত আপনাকে কষ্ট দেবার জন্য।আমার লেখার ভালো মন্দ দিক দেখা ও সমালোচনা করার বিশেষ অনুরোধ রইল।
খসড়া
মতামতটা আমার আপনার থেকে বেশ দূরে। যাক বিতর্ক হবেই এই লেখায়। কারন প্রতিটি মানুষই আলাদা। আমি বলি আরও একটু বিস্তারিত জানুন একটু কৌশলি হন। চিন্তা করুন।
মা মাটি দেশ
ধন্যবাদ।
তৌহিদ
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে চলবে।