
বহুদিন আকাশ দেখা হয়নি
গাঙচিলেরা ও এদিকে ডানা মেলে উড়েনি বহুদিন
জানালার কার্ণিশে ঘুমুতো যে জালালি পায়রাগুলি
ধান খুঁটে খেতে গিয়ে তারা ও আর ফেরেনি।
ঋতু বদলে আজ নাকি হেমন্ত এসেছে দূর পাহাড়ের বুকে; কিংবা আমার নাগালের বাইরের ঘাসের ডগায়,
লোকমুখে শুনেছি শুধু টের পাইনি।
উত্তুরে হাওয়ায় কার আগমনী বার্তা ভেসে বেড়ায়
কোন আবহ সঙ্গীত শিষ বাজায় কান পেতে শুনিনি,
শীতের ভয় কাটেনি আজও।
ঐ যে কথায় বলে, ” ঘর পোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে ভয় পায়। ”
সেই যে অলক্ষুনে কোনো এক পৌষের শেষরাতে
নীমিলিত নয়নে দেখেছিলাম সর্বনেশে উষ্ণীষ আবেশ,
বিবসনা মন উষ্ণতা পেয়ে ভুলে গেছিলো দিন ক্ষণ,
অবচেতনেই পরিযায়ী সুখ ফিরে গেছে নীড়ে
পরক্ষণেই প্রাসাদ জুড়ে নেমে এলো নিস্তব্ধতার বিদীর্ণ চিৎকার….
এখানে কেউ নেই, ছিলো না কস্মিনকালে ও
হিম ঠান্ডায় হিস্টিরিয়া আক্রান্ত হলে আদরের চাদর নেই,ওমের পরশ নেই!
আছে কেবল দৃষ্টিভ্রম আর মায়া!
জীবনের মূল ফটকে টাঙানো সাইনবোর্ডটি কেবল কাগুজে সম্পর্কের সাফাই।
আত্মা সেখানে নিজের আততায়ী।
সুখীমুখ প্রোফাইলটি ও খেটেখুটে এডিট করা; ‘সত্যি’ সেখানে নিরেট প্রশ্নবোধক!
মন জুড়ে শানবাঁধানো পুকুর ঘাট, শ্রবণেন্দ্রেরীয় জুড়ে যুগল জলকেলির শব্দ কুহক,
চোখের ভারি বর্ষণে দুঃখের কর্ষণে রক্তাভ পদ্ম শাপলারা ফুটে আর ঝরে বুকের নিটোল দীঘিতে।
চারিদিক ভেসে যায় বন্যায়, উদ্বাস্তু হতে আর বেশি বাকি নেই; তবুও গ্রীষ্ম, বর্ষা ও শরতের বন্দনায় আজকাল সময় কাটাই।
হিম হিম ঠান্ডার আঁচ পেলেই শীতের ভয়ে কুঁকড়ে যাই।
বসন্ত হারিয়েছে কৈশোরের বেভুল অপগর্ভে এক শোকগাঁথা লিখে।
সেই থেকে পলাশ কৃষ্ণচূড়ারা ফিকে রঙ ফিরে পেতে রোজ বসে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে।
আমি বলি যা করছিস কর বাপু আমায় ছেড়ে দে,
আমি আর নেই কোন কিছুতে ।
কিচ্ছুটি চাইবার নেই ঋতুমতী পৃথিবীতে।
৮টি মন্তব্য
মোঃ মজিবর রহমান
উত্তরীয় বায়ে ভিতু কেটে
আসুক ওমের উষ্ণ ফুটে
ঘটুক সমাহার আনন্দময়
যায় যাক সময় উষ্ণময়তায়।
খাদিজাতুল কুবরা
শুভকামনার জন্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। ভালো থাকবেন ভাইয়া।
মোঃ মজিবর রহমান
আপনিও ভালো থাকুন।
আলমগীর সরকার লিটন
চমৎকার অনুভূতির প্রকাশ কবি আপু অনেক শুভেচ্ছা রইল
খাদিজাতুল কুবরা
আন্তরিক ধন্যবাদ লিটনদা
মনির হোসেন মমি
জীবন মনে শেষ পর্যন্ত এমনি।একটা সময়ে কোন কিছুই আর তার নিজের মনে হয় না।অথচ চলে যাচ্ছে কত ঋতু।
সুন্দর ।।
খাদিজাতুল কুবরা
ঠিকই বলেছেন মমি ভাইয়া। পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।
হালিমা আক্তার
জীবন তো এমনি। কখনো বয়ে যায় দক্ষিনাবায়ু আবার কখনোবা প্রবেশ করে উত্তরে বায়ু। কৃষ্ণচূড়ায়ও রাঙেনা বসন্ত। অসাধারণ অনুভূতির ছোঁয়া। ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো।