
নীহারিকা,
আমার এপিটাফে লেখে দিও সঙ্গমের ইসতেহার।
চুম্বনে মেপে নিবো প্রতি বর্গ ইঞ্চি পিক্সেলের দৈর্ঘ্যপ্রস্থ।
সহস্র কাল ধর কোষেরা ছাদনা তলায়
কাক ভেজা হয়ে দাঁড়িয়ে থাক,
পূর্বপুরুষের রাসলীলার অভিশাপে।
আমার সমাধীর জায়গা নির্ধারণ নিয়ে হোক ত্রয়োদশ জাতীয় সংশোধনী।
তুষার শুভ্র পদ্ম পাপড়ি উপর প্রলয় নিত্য করায়
এ আমার রাজদন্ড।
অতি মাত্রায় সরল আলাপে বসি চলো
জুডি শিকাগোর ডিনার পার্টিতে।
কনকচাঁপা রংয়ের শরীরী অবয়বে
কালিদাস,জয়দেবের কলমে লেখে ফেলি
তোমার সিঁথির পথে স্বর্গ যাওয়ার কাব্য গাঁথা।
নিউরনের মাঠ জুড়ে চৈত্রের ফাটল হয়ে উঠুক
সরস জমিন, পুয়াতি পল্লিবালার ভাতের হাঁড়ির মতো।
নীহারিকা,
মই বিছিয়ে দেই তোমার দোখের কাজলের মহাকাব্যিক লাইন থেকে আইলাইনারের কার্নিশে।
নীহারিকা আঁচ করতে পার?
প্রতি বার পা তুলতে তুলতেই আমার ফুড়িয়ে যাচ্ছে একেকটা জনম।
উঠে এলাম তোমার নিউরন গ্রন্থিতে,
তোমার গত জনমের কোন স্মৃতি নেই।
তাই সমাধী হোক আশ্রয়ী চোখের আঙ্গিনায়।
তারকাটা টান টান এপারে এপিটাফ ওপারে সঙ্গম।
৬টি মন্তব্য
জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব
ভালো লাগল পড়ে
শুভকামনা রইল
নাজমুল হোসেন নয়ন
ভালোবাসা রইল আলম ভাই
সুপর্ণা ফাল্গুনী
চমৎকার ইসতেহার। অনেক দিন পর আপনার লেখা পেলাম। একরাশ শুভেচ্ছা ও শুভকামনা
নাজমুল হোসেন নয়ন
শুভেচ্ছা নিবেন। ইসতেহারের খোঁজেই নির্বাসিত ছিলাম।
আরজু মুক্তা
ভালো লাগলো কবিতা
নাজমুল হোসেন নয়ন
শুভেচ্ছা নিবেন