গত দুদিন আগে ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ডে একজন  করোনা নেগেটিভ রোগীর কাছে তাঁর পুত্রবধূর লেখা চিঠিতে রোগী এবং রোগীর পরিবার এই দুর্যোগকালীন সময়ে উভয়ের অপেক্ষার এক করুণ আর্তি উঠে এসেছে।

দেশের প্রায় সবগুলো হাসপাতাল নিয়েই অভিযোগ আছে তবে অন্যসবগুলোর মত এই বিলাসবহুল  হাসপাতালগুলোর ক্ষেত্রে তো অন্তত সরঞ্জামাদি বা সেবাদানকারীদের নিয়ে অভিযোগ থাকার কথা নয়। পর্যাপ্ত অর্থ নিয়েই এ হাসপাতালগুলো সেবা দেয়। তবে কেন তাদের এই অবহেলা?
তদন্তে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে-
১। করোনা ইউনিটটি হাসপাতালের মূল ভবনের বাইরে ছিল এবং নিম্নমানের উপাদানে কোনোরকমে তৈরি করা হয়েছিল।
২। দুর্ঘটনাকালে করোনা ইউনিটে রোগী ছিল কিন্তু কোনো ডাক্তার, নার্স বা আয়া ছিল না।
৩। হাসপাতালটিতে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র মেয়াদোত্তীর্ণ ছিল।
৪। আলোচ্য চিঠির প্রাপক রোগীর দ্বিতীয়বারের মতো করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসা সত্বেও হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাচ্ছিলো না, ডাক্তারের সইয়ের অপেক্ষায় প্রহর গুনে।

টার্গেট যখন হয় শুধুই ব্যবসা, তখন সেবাটাকেও পুরোমাত্রায় ব্যবসায়িক দৃষ্টিতেই দেখা হয়। সেবা, রোগী, চিকিৎসা, জন্ম, মৃত্যু এগুলোর সবগুলোকে ছাপিয়ে মূল বিষয় হয়ে দাঁড়ায় একটাই শব্দ ‘টাকা’।
আর ছোঁয়াচে করোনা ‘চাচা আপন প্রাণ বাঁচা’ অবস্থার সৃষ্টি করে সে ব্যাপারটিকেও পুরো মাত্রায়ই উলঙ্গ করে ছেড়েছে।

১০৫৯জন ৯৬৪জন

৯টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ