
“আমি তোমার জন্য এসেছি-(পর্ব-৬৬)
পিচ্চি প্রিয়া শান্ত হও ওনারা মেহমান চিৎকার করলে, ওনারা বলবেন মেয়েটা দুষ্টু! তুমি তো লক্ষী মেয়ে।আরাফের কথা শুনে প্রিয়া লজ্জিত ভাবে বললো সত্যি আমি লক্ষি মেয়ে! তাহলে তোমরা সবাই জোরে জোরে কথা বলো।-গুন্ডা ছেলে!- বলো পিচ্চি প্রিয়া।-আমি গল্প শোনব, তুমি গল্প বলো বলেই প্রিয়া চোখ বন্ধ করলো,- শ্রেয়া আরাফকে ইশারা করলো।তার সাথে শ্রেয়ার পরিচয় নিয়ে বলতে, -প্লীজ বলো ওনাদের সবার সবটা জানা দরকার।আরাফ সবাই জানে তুমি একজন ভালো মানুষ, আমাকে বিয়ে করা নিয়ে সবার মনে হাজারটা প্রশ্ন।আজ সবাইকে জানিয়ে দাও তোমার কোন দোষ নেই,- মনোয়ারা বললেন বল বাবা আমরা সব জানতে চাই! বলো আরাফ শোনে যদি প্রিয়ার মনের কষ্টটা কমে বললেন রিতা ভাবী।
-পিচ্চি প্রিয়া তুমি ঘুমিয়ে পড়ছো?- না গল্প না বললে আমার ঘুম আসবে কি করে? শোন তাহলে আমার জীবনের গল্পটা বলি,, তুমি আমার চিরকুটের জবাব দিলে না। রাগ,অভিমানে,কষ্টে বাংলাদেশ ছেড়ে জাপানে চলে গেলাম।পুরনো ব্যবসাটা রিহানের সাথে নতুন করে শুরু করি। পাশাপাশি একটা চাকরি নেই বলেই আরাফকের চোখ ছলছল করে ওঠে।তারপর বলো প্রিয়া তাড়া দেয় আরাফকে..শ্রেয়া শুরু করে ৬ বছর আগের কথা সেদিন ছিলো সোমবার। আমি জাপান মেডিকেল কলেজে পড়াশোনা করি কলেজ থেকে ফিরেই আমি দৌঁড়ে বড় ভাই রিহানের রুমে আসলাম। ভাইয়া আগামী বৃহস্পতিবার আমাদের কলেজে সাংস্কৃতিক অনুষ্টান আছে আমি সেখানে গান গাইব।
তোমাকে যেতেই হবে বলেই শ্রেয়া রিহানের গলা জড়িয়ে ধরল।রিহান শ্রেয়ার হাতটা নামিয়ে সামনে এনে বসাল, বাহ্ তুই গান করবি তাহলে তো একবার যেতেই হয়।আমার বোন যখন বলছে তাহলে বৃহস্পতিবার তোর মেডিকেল কলেজে যাব, শিওর। শ্রেয়া খুশিতে ইয়াহু বলেই লাফিয়ে উঠল,পরক্ষনেই লজ্জায় চুপ হয়ে গেল।সোফায় কেউ একজন বসে আছে নীল ট্রী শার্ট, নীল প্যান্ট, সাদা ট্রাই পড়া কালো সো এক সুর্দষন পুরুষ।
চোখ জোড়া বড্ড মায়াবী,অপূর্ব সুন্দর, বয়স আনুমানিক ৩০-৩৫ হবে একজন যুবক বসে আছে।এতক্ষন এখানে কি হচ্ছে তাতে তার কিছু যায় আসে না, আপন মনে কিছু ফাইল সাইন করে যাচ্ছে।শ্রেয়া অবাক হলো যে রাস্তায় হেঁটে গেলে চারপাশ নিরব হয়ে যায় সবার দৃষ্টি থাকে শ্রেয়ার দিকে। মেডিকেল কলেজের কুইন নামে সবাই তাকে চিনে, ভালোবাসে এতটাই শ্রেয়া অষ্টাদশী সুন্দরী।যে কারো চোখের পলক পড়ে না অথচ এই ছেলেটা চেয়েও দেখল না আমাকে..!তবে শ্রেয়া অনেক্ষন ধরে আরাফকে চেয়ে দেখল এত সুন্দর পুরুষ সে জীবনে প্রথম দেখল।প্রথম দেখাতেই শ্রেয়া আরাফের মাঝে মন হারাল,ভাইয়া ওনি কে?
ও আচ্ছা তোমাকে এর সাথে পরিচয় করিয়ে দেই।আরাফ দোস্ত! এবার সুর্দশন যুবকটা মাথা তুলল বলল দোস্ত বল।রিহান শ্রেয়ার দিকে ইশারা করে বললো এ আমার একমাত্র বোন শ্রেয়া।আর শ্রেয়া ও আমার দোস্ত আরিয়ান চৌধুরী আরাফ,আমার ব্যবসায়ীক বন্ধু।শ্রেয়া হ্যালো বলে আরাফের দিকে হাত বাড়াল আরাফ শ্রেয়ার সাথে হাত মেলাল না।
হাই কেমন আছেন?জ্বী ভালো।আপনি কেমন আছেন?আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো, বলেই আরাফ কাজে মন দিল।আরে দোস্ত শ্রেয়া আমার ছোট বোন তুই শ্রেয়াকে তুমি করে বলবি।ওকে পরে দেখা যাবে।রিহান বলতে শুরু করলো শ্রেয়া জানিস আরাফ বাংলাদেশী আমি আরাফ জাপানের মাল্টিন্যাশনাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে একসাথে পড়াশোনা করেছি।ওয়াও তাই নাকি! ওনি বাঙ্গালি খুব ভালো তো। হ্যাঁ আরাফ বাঙ্গালী আমরা পরবর্তীতে একসাথে পিএইচডি ডিগ্রি করেছি,আরাফ বাংলাদেশে কিছুদিন ছিলো তারপর এখানে এসে আমার সাথে ব্যবসায় জয়েন করে।
তাছাড়া আরাফ জাপানে একটা ভালো কম্পানিতে চাকরিও করে অনেক ভালো একজন মানুষ।দোস্ত এবার থাম, একটু কাজ করি বলেই আরাফ মুচকি হাসল।স্যরি দোস্ত তোর গুন গুলো আমার বোনকে জানিয়ে দিলাম হা হা হা হা।আচ্ছা শ্রেয়া।জ্বী ভাইয়া।তুমি ভিতরে যাও ফ্রেশ হও আমরা কাজটা শেষ করি।ওকে ভাইয়া বলেই শ্রেয়া চলে গেল মানুষটা যেমন সুন্দর তার পরিচিতিটা আরো সুন্দর, হাসিটার তো তুলনা হয়না।
তবে রাতে আর ঘুম হলো না রাতের ঘুম ওই সুর্দশন যুবক কেড়ে নিল।প্রিয়া কোল বালিশ জড়িয়ে এপাশ ওপাশ করছিলো কিন্তু ঘুমাতে পারছে না। রাইসা দেখ তো শ্রেয়া ঘুমাল কিনা! রাইসা রিহানের স্ত্রী ভালোবেসেই ওরা বিয়ে করছে ৩ বছর হলো।রাইসা শ্রেয়াকে নিজের বোনের মতো স্নেহ করে, আচ্ছা দেখছি বলেই রাইসা ওঠে দাঁড়াল।ড্রইং রুমের ঠিক পাশের রুমেই শ্রেয়া থাকে তার পাশে ড্রাইনিং রুমের দিকে গেল রাইসা।দরজা খোলা ছিলো রাইসা ভিতরে ঢুকল
শ্রেয়া কি হয়েছে, বিছানা এলোমেলো কেন?ভাবী বসো বলেই বিছানা ছেড়ে উঠে বসল শ্রেয়া।রাইসা বিছানায় পা তুলে বসল, শ্রেয়া রাইসার কোলে শুয়ে পড়ল।রাইসা পরম মমতায় শ্রেয়ার মাথায় হাত বুলিয়ে দিল শ্রেয়া এখনো যে ঘুমালে না?ভাবী রিহান ভাইয়ার বন্ধু আরাফকে দেখেছো?হ্যাঁ দেখেছি তো মাঝে মাঝে ব্যবসায়ী কাজে তোমার ভাইয়ার কাছে বাসায় আসে। আরাফ ছেলেটা দেখতে কেমন? লম্বা,চওড়া,দেখতে সু-পুরুষ,উচ্চতা প্রায় ৬ফুট হবে। আর?যেকোন মেয়ে তাকে দেখা মাত্রই প্রেমে পড়বে বলেই হি হি হি হি করে হাসল রাইসা।
রাইসা শ্রেয়াকে প্রশ্ন করলো তুমি তাকে কোথায় পেলে?ভাবি বিকালে ভাইয়ার রুমে দেখলাম, কথাও হয়েছে খুব ভালো লাগছে।রাইসা হাসলো রাত অনেক হয়েছে তুমি ঘুমিয়ে পড়ো সকালে কথা হবে।শ্রেয়ার মাথাটা বালিশে রেখে রাইসা ওঠে দাঁড়াল,, Good noght ভাবী বলেই শ্রেয়া চোখ বন্ধ করলো। Good night শ্রেয়া বলে রুমেই লাইট সুইচ অফ করে রাইসা দরজার পর্দা ঠিক করে চলে আসল।
শ্রেয়া চাইলেও আরাফকে চোখ থেকে সরাতে পারছিলো না,ওই মুচকি হাসিটা লেগে আছে মনে।কেটে গেল কয়েক মাস শ্রেয়া বুঝতে পারল সে আরাফকে ভালোবেসে ফেলছে রাইসা ভাবিকে কথাটা জানায়।রাতের খাবারের পর রিহান ঘুমাতে গেল,রাইসা ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসে বললো আচ্ছা শ্রেয়া তো ডাক্তারী কোর্স শেষ করবে ওর বিয়ের ব্যাপারে কিছু ভাবছো।
১বছর বাকী শেষ করুক পরে দেখা যাবে,আরে শোননা আগে থেকেই দেখতে হয় ভালো ছেলে সব সময় পাওয়া যায় না।রিহান এবার নড়ে চড়ে বসল তুমি ঠিকই বলছো! আচ্ছা কাল থেকেই শ্রেয়ার জন্য ছেলে দেখা শুরু করবো।রাইসা এবার রিহানের পাশে বিছানায় বসল ছেলে দেখবে মানে!হাতের কাছেই তো একজন ভালো সুর্দশন পাত্র আছে তার কাছেই বোনের বিয়ের প্রস্তাব পাঠাও।রিহান অবাক হয়ে জানতে চায় আমার হাতের কাছে সুর্দশন ছেলে আছে?কে সে?কেন তোমার হ্যান্ডসাম বন্ধু আরিয়ান চৌধুরী আরাফকে আমাদের শ্রেয়ার জন্য বিয়ের প্রস্তাব পাঠাও।নাহ্ রাইসা এটা হয়না।
কেন হয় না,আমাদের শ্রেয়া কম কিসে! দেখতে সুন্দরী শিক্ষিকা, আমাদের সম্পদের অর্ধেক অংশীদার।রাইসা সম্পদ, সৌন্দর্য দিয়ে সবকিছু হয় না আরাফ একজনকে ভালোবাসে বাংলাদেশে। মেয়েটার নাম প্রিয়া ক্লাস নাইনে পড়ে, বয়স কম তাই বিয়েটা হচ্ছে না প্রিয়া এস.সি.সি পাশ করলেই ওদের বিয়ে হবে।আরাফ আমাকে সবটা বলছে, এখন তুমি বলো! সবকিছু জানার পর আমি কি করে আরাফের সাথে শ্রেয়ার বিয়ের প্রস্তাব দিব।রাইসা বললো সব তো শোনলাম তোমার বোন শ্রেয়া আরাফকে ভালোবেসে ফেলছে গতকাল আমাকে জানিয়েছে তাই তোমাকে বললাম।
সবটা শোনে রিহানের মনটা খারাপ হয়ে গেল শ্রেয়ার যখন ১০ বছর বয়স। তখনি এক রোড এক্সিডেন্টে মা,বাবা দুজনেই মারা গেলেন। তখন থেকেই শ্রেয়াকে কোন কষ্ট পেতে দেই নাই বাবা মা,ভাই যাই বল শ্রেয়ার সবটা আমি।ওর চাওয়ার আগে সব আবদার পূরন করেছি শ্রেয়ার এই চাওয়াটা পূরন করা সম্ভব না বলেই রিহান চোখ মুছল।রাইসার চোখেও পানি চলে আসল শ্রেয়াকে মানাব কি ভাবে! তুমি চিন্তা করো না আরাফের চেয়ে ভালো ছেলে আমি শ্রেয়ার জন্য খোঁজে আনব বলেই রিহান, রাইসাকে শান্তনা দিল।
৪ মাস পর আবার আরাফের সাথে শ্রেয়ার দেখা হয় রিহানের ব্যবসার অর্ধেক মালিক হওয়াতে।কিন্তু আরাফ কাজের বাইরে একবার এর জন্যও শ্রেয়াকে চেয়ে দেখে নাই।ব্যবসায়ী আলোচনা ছাড়া বাড়তি কোন কথাও বলে না,শ্রেয়া ভালোবাসার পাশাপাশি জেদ করে।পৃথিবীর যেকোন কিছুর বিনিময়ে হলেও এই অহংকারী আরাফকেই বিয়ে করতে হবে।কয়েকদিন পরেই শ্রেয়া….
…..চলবে।
২১টি মন্তব্য
আলমগীর সরকার লিটন
একে বারে ফাঁটিয়ে লেখেছেন আপু
অনেক শুভেচ্ছা রইল——-
সুরাইয়া নার্গিস
শুকরিয়া দাদা।
আপনার সুন্দর মন্তব্যে আবেগ আপ্লুত হলাম দাদা, আপনাদের উৎসাহ্ পেলে খুব ভালো লাগে।
ভালো ভাবে উপন্যাসটা শেষ করার ইচ্ছা আছে, আপনাদের এমন মন্তব্যে অনুপ্রেরনা পাই।
পরের পর্ব পড়ার অনুরোধ রইল দাদা।
ভালো থাকবেন,
শুভ কামনা রইল।
নিতাই বাবু
যাক, বাঁচা গেলো! আগের পর্ব পড়ে মনে হয়েছিল প্রিয়াকে ভূতে ধরেছিল! কিন্তু না, গল্পের প্রিয়া এখন সুস্থ। সত্যি “আমি তোমার জন্য এসেছি” গল্পটা পড়ে ভালো। আগামীর অপেক্ষায় থাকলাম।
সুরাইয়া নার্গিস
ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় দাদা।
প্রিয়া পুরাপুরি সুস্থ না তবে আরাফ, শ্রেয়ার বিয়ের গল্প শুনার পর দেখা যাক কি হয়।
প্রিয়াকে নিয়ে আরো কয়েকটা পর্ব হবে, শেষ পর্যন্ত পড়ার আমন্ত্রন রইল।
ভালো থাকুন, শুভ কামনা রইল।
ইঞ্জা
বেশ রোমান্টিক আজকের গল্পটা আপু, গল্পের বিরামচিহ্ন গুলো একটু বুঝে শুনে দিয়েন, এতে গল্পের শ্রী বৃদ্ধি পাবে, গল্প চমৎকার ভাবে এগিয়ে চলেছে, এতো বড় গল্প আগে ব্লগে আমি দেখিনি, এগিয়ে যান আপু, সাথে আছি।
সুরাইয়া নার্গিস
ধন্যবাদ ভাইজান।
জ্বী অবশ্যই খেয়াল রাখব,গল্পটা এত বড় হবে বুঝতে পারি নাই। সবার উৎসাহে লিখে ফেলছি, সুন্দর মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম।
দোয়া রাখবেন ভাইজান, পরের পর্ব পার আমন্ত্রন রইল।
ভালো থাকুন,
শুভ কামনা রইলন।
ইঞ্জা
শুভেচ্ছা ও শুভকামনা আপু
ফয়জুল মহী
৬৬ পর্বে এসে পড়েছে । পাশাপাশি বই করার জন্য গুছিয়ে রাখুন সুবিধামত যেন বই করতে পারেন । জাস্ট মারভেলাস ।
সুরাইয়া নার্গিস
ধন্যবাদ ভাইজান।
গল্পটা বই প্রকাশ করার ইচ্ছা আছে, ইনশাল্লাহ্ আগামী বই মেলায় চেষ্টা থাকবে।
ভাইজান ৬৮ তম পর্বটা পড়ার অনুরোধ থাকবে, ওই পর্বে আপনার একট্ চরিত্র আছে।
পরের পর্ব পড়ার আমন্ত্রন রইল।
ভালো থাকুন,
শুভ কামনা রইল।
সুরাইয়া পারভীন
বাহ্ দারুণ তো
অসুস্থতার জন্য অনেক গুলো পর্ব মিস করেছি
এই সুদর্শন আরাফ এক প্রিয়াতেই এখনো আটকে আছে!!
সুরাইয়া নার্গিস
ধন্যবাদ আপু।
আপনার সুন্দর মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম, আপু আপনি উপন্যাসের শুরু থেকে ছিলেন।
হঠাৎ পাইনি খুব মিস করতাম, সুস্থতা কামনা করছি।
আপু ৬৭ তম পর্বে উপন্যাসের একটা চরিত্রে আপনার নাম আছে, আশা করি পড়বেন।
ভালো থাকবেন, শুভ কামনা রইল।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
শ্রেয়া আর আরাফ কিভাবে পরিচিত হলো জানতে পারলাম। এগিয়ে যাচ্ছেন দারুন ভাবে। খুব ভালো লাগছে আপু। শুভ কামনা রইলো
সুরাইয়া নার্গিস
ধন্যবাদ আপু।
সুন্দর মতামতে আবেগ আপ্লুত হলাম,আর কয়েক পর্ব লিখলে শেষ হবে।
প্রথম থেকে আপনার উৎসাহ্ পেয়ে এই পর্যন্ত এসেছি,কৃতজ্ঞতা রইল দিদি।
ভালো থাকুন, শুভ কামনা রইল।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
বাহ, বেশ — ৪ মাস পর আবার আরাফের সাথে শ্রেয়ার দেখা হয় রিহানের ব্যবসার অর্ধেক মালিক হওয়াতে।কিন্তু আরাফ কাজের বাইরে একবার এর জন্যও শ্রেয়াকে চেয়ে দেখে নাই।ব্যবসায়ী আলোচনা ছাড়া বাড়তি কোন কথাও বলে না,শ্রেয়া ভালোবাসার পাশাপাশি জেদ করে।পৃথিবীর যেকোন কিছুর বিনিময়ে হলেও এই অহংকারী আরাফকেই বিয়ে করতে হবে।
ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ।
সুরাইয়া নার্গিস
ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় ভাইজান।
আপনার প্রতিটা মন্তব্যে আমাকে ভালো লেখার প্রতি অনুপ্রেরণা যোগায়।
সুন্দর মতামতে আপ্লুত হলাম ভাইজান, গল্পের ৬৮-৬৯ তম পর্বে আপনার নামটা আসবে।
আমার লেখা যারা নিয়মিত পড়েছেন সবার নাম কোন না পাওয়া গিয়েছে, আপনাকে একটা চরিত্রে রেখেছি।
অবশ্যই পড়বেন আগেই অনুমতি নিয়ে রাখলাম।
পরের পর্ব পড়ার অনুরোধ রইল ভাইজান।
ভালো থাকুন,
শুভ কামনা রইল।
সুপায়ন বড়ুয়া
শ্রেয়া আরাফের রোমান্স ও একতরপা। একি ঘটনার পুনরাবৃতি শুধু পাত্র একজন পাত্রী দুইজন। আগে আরাপ একতরফা নিবেদন করত এখন শ্রেয়া করে।
ভালই লাগলো। শুভ কামনা।
সুরাইয়া নার্গিস
ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় দাদা।
আরাফ একতরফা ভালোবেসে পায়নি, শ্রেয়া কিন্তু ঠিকই আরাফকে জয় করে নিয়েছে।
প্রিয়া যখন আরাফকে চাইল তখন আরাফ অন্য কারো হয়ে গেল।
পরের পর্ব পড়ার আমন্ত্রন রইল দাদা।
ভালো থ্কবেন,
শুভ কামনা রইল।
মনির হোসেন মমি
চলুক লেখা।পাল্টাপাল্টি প্রেমের ইতি কথা।ভাল লাগছে ।চলুক।
সুরাইয়া নার্গিস
ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় ভাইজান।
আপনার প্রতিটা মন্তব্যে আমাকে ভালো লেখার প্রতি অনুপ্রেরণা যোগায়।
সুন্দর মতামতে আপ্লুত হলাম ভাইজান, গল্পের ৬৮-৬৯ তম পর্বে আপনার নামটা আসবে।
আমার লেখা যারা নিয়মিত পড়েছেন সবার নাম কোন না পাওয়া গিয়েছে, আপনাকে একটা চরিত্রে রেখেছি।
অবশ্যই পড়বেন আগেই অনুমতি নিয়ে রাখলাম।
পরের পর্ব পড়ার অনুরোধ রইল ভাইজান।
ভালো থাকুন,
শুভ কামনা রইল।
মনির হোসেন মমি
অবাক হচ্ছি সোনেলার প্রতি আপনার ভালবাসা দেখে।এ যাবৎ আপনার মত সোনেলা ব্লগারদের নিয়ে কেউ লিখেননি।ধন্যবাদ আপনাকে।আর হ্যা অবশ্যই লিখবেন আমাকে নিয়ে।
সুরাইয়া নার্গিস
ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় ভাইজান।
ব্লগে লেখার শুরু থেকে সবার কাছ থেকে এতবেশি ভালোবাসা, উৎসাহ্ পেয়ে আমি মুগ্ধ।
তাই সবাইকে নিয়েই লিখছি, বইটা প্রকাশ করবো আর সবার নামটা গুলোও থাকবে।