
আকাশ আজ কালো, শুধু কালো না ঘন কালো। মাথার উপরে ঝুলে থাকা ঘন-কালো মেঘ বৃষ্টির হুমকি দিচ্ছে। আজ বৃষ্টি হবেই, নগর ধোয়া বৃষ্টি, স্বস্তির বৃষ্টি, আজ বৃষ্টিতে ভিজবই। ৩ দিন গোসল করি নাই,পণ করেছিলাম যে, বৃষ্টিতে ভিজেই তবে গোসল করব। সেদিন রাত ৩ টায় বৃষ্টি হয়েছিল, কিন্তু ভিজতে পারিনি। মালিক পক্ষের কড়া নির্দেষ রাত ১২ টার পর বাইরে বের হওয়া যাবেনা। তাই পারিনি।
ঈদগাহ ময়দানে আছি, ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে। খুব মনে হচ্ছে তাহাকে, এই-ত সপ্তাহ খানেক আগে যার সাথে বৃষ্টি ছুঁয়েছি। যদি যানতাম ওর সাথে বৃষ্টি ছোঁয়া দিনটিই ওর সাথে শেষ দিন তবে… ।সেদিন শুরু থেকেই ওর মুখ মলিন ছিল। কি হয়েছে জানতে চাইলে মুখ ঘুরিয়ে বলল “নাহ! কিছুনা”। এতটা ভাবিনি। কিন্তু সব শেষ বলল “আজ কিস,হাগ দুইটাই হবে!”। মুখ থেকে শুধু “কি!” ওয়ার্ডটিই বের করতে পেরেছিলাম, তার আগেই…।
আমিঃ থ্যাংকস
মিলাঃ কি জন্য?
আমিঃ এই যে তুমি…
মিলাঃ আজ তোমাকে যে কথাটি বলব তুমি মন দিয়ে শুনবে। বাসা থেকে আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। আমার এর বাইরে যাওয়ার কোন স্কোপ নেই। যদি না তুমি কিছু কর।
আমিঃ কি?
মিলাঃ যা বলছি তাই, তুমি কিছু একটা কর। প্লিজ…
মাথার উপর আকাশ ভেঙে পড়লে এতটা অবাক হতাম না, যতটা না অবাক হয়েছি ওর কথা শুনে। সেদিনই সিদ্ধান্ত নিয়েছি হয় কিছু একটা করব নয়…।অনেক চেষ্টা করেও পারিনি, ওর হবু স্বামী কানাডা চলে যাবে, তাই এত তাড়াহুড়ো। তার দুই দিন পরই বিয়ে হয়ে গেছে।
কোন কিছু না ভেবেই একটা ডিসিশন নিয়েছি এবং তা ফেইসবুকে পাবলিশ করে ছিলাম একটি শিশি, আমি, সুইসাইড নোট এবং সুইসাইড
এই শিরোনামে। লেখাটি নিম্নরূপ…
“শিশি,
আমি শিশি হলেও আমার গায়ে লেখা আছে ‘রেলেথ্রিন’। এর প্রতি লিটারে ১০০ গ্রাম সক্রিয় উপাদান ‘সাইপার মেথ্রিন’ বিদ্যমান।এটি একটি কীটনাশক। আমার গায়ে আরো লেখা আছে কেউ যদি ভুলবশতঃ এটা খেয়ে ফেলে এবং তার যথাসময়ে চিকিৎসা না দেওয়া হয় তবে তার মৃত্যু অনিবার্য।আমি সকাল থেকে চিল্লাচ্ছি দেখো তার কোন সাড়া শব্দ নেই। এটা কোন কথা! আজ দুদিন হয়ে গেলো আমাকে এভাবে এনে রেখে তিনি দিব্যি ঘুমাচ্ছেন। তর যদি মরবার হিম্মত না থাকে তবে আমাকে আনবি ক্যান?
ইস..! আমি যদি দোকানে থাকতাম কেউ না কেউ আমাকে নিয়ে কাজে লাগায়ে দিত। অকাজের মধ্যে থাকাটা মানুষ থাকতে পারে কিন্তু আমরা জড় পদার্থ সহ অন্যরা থাকতে পারি না। অশান্তি লাগে…। আমার পিছে যারা দোকানে ছিল তাদের হয়ত অনেকের কোন না কোন কাজ জুটে গেছে। এই ছেলে..! আর কতক্ষণ ঘুমাবি? তর যদি মরতে ভয় হয় আমাকে কোথাও ফেলে রেখে দেয়। আমি প্রাকৃতিক ভাবেই কাজে লেগে যাবো। তবুও অপেক্ষা নামক এই অসহ্য যন্ত্রণা আমায় সহ্য করতে হবে না…।
আমি,
আমি শুভ্র।বড় ধরনের মানসিক দুশ্চিন্তায় ভোগছি । শুনছি আত্মহত্যা প্রবণতা নাকি একটি রোগ। এই রোগ আমার মাঝে নেই, কোনোদিন ছিল না।
একজন সুস্থ মানুষ কতটুকু দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হলে পরে আত্মহত্যার মত জঘন্য কাজ করতে চায়। এই মাত্র ঘুম থেকে উঠলাম। এই শিশির চিল্লানিতে ঘুম যেন পাতানো কোন খেলা।
ও বলছে সকাল থেকে চিল্লাচ্ছে। মিথ্যা বলছে, সেই আনার পর থেকে এখন পর্যন্ত চিল্লাচ্ছে তো চিল্লাচ্ছেই। আবার বলছে আমার নাকি মরবার হিম্মত নেই। আরে আমার যদি মরবার হিম্মত নাই থাকত তাহলে আমি কি তরে আনতাম। মরতে হলেও প্রস্তুতির দরকার। আর আত্মহত্যার মত বিষয় হলে তো আরোও। এই যেমন সুইসাইড নোট। এটা খুব ইম্পর্টেন্ট। কি জন্য আত্মহত্যা করছি? তা সবাইকে জানানো উচিত। এই জন্য সুইসাইড নোট…
সুইসাইড নোট,
আমি সুইসাইড নোট। এ যাবৎ আমার গায়ে যত লেখা হয়েছে তার মধ্যে এটিই সবচেয়ে ছোট। “আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়”।
এটা কোন কাজের কথা..! যারা সুইসাইড করে তারা আমার গায়ে কত কিছুই না লেখে। এই যেমন, কেন এই কাজ করতেছ? কার জন্য করতেছ? ইত্যাদি.. ইত্যাদি…।
সুইসাইড,
আমিতেই শান্তি। আমি সুইসাইড। এখন পর্যন্ত যারা আমাকে গ্রহন করেছে তারা খুব শান্তিতেই আছে। অনেকদিন ধরে চেষ্টা করে ছেলেটিকে বশে এনেছি। কিন্তু বুজতে পারছিনা ও দেরী করছে কেনো? ওকেই প্রশ্ন করা যাক…
সুইসাইডঃ এই ছেলে তুমি এত দেরী করছ কেনো? তোমার কি সব প্রস্তুতি শেষ?
ছেলেঃ হ্যা শেষ..! তবে একটা জিনিস চিন্তা করছি আমি যদি এই বিষ খেয়ে নেই তাতে তো আমার অনেক কষ্ট হবে, তাছাড়া লোকে আমায় চিকিৎসা করে বাচিয়ে তুলতে পারে।
সুইসাইডঃ চিন্তার কোন কারন নেই। তুমি একটি রশি আনবে এবং রশিটি ফ্যানের সাথে লাগিয়ে বিষ টুকুন খেয়ে ঝুলতে পারো। দেখবে বড় জোর এক মিনিট একটু কষ্ট হচ্ছে তারপর শান্তি আর শান্তি।
ছেলেঃ ওহ..! ভালো আইডিয়া।”
সন্ধা হয়ে গেছে। বৃষ্টি শেষে আকাশ কালো থেকে সাদা-নীল হয়ে আবারো প্রকৃতির সেই চির-চেনা রুপে ক্রমশ কালো হতে চলেছে। বাসায় ফিরার জন্য উঠতেই ফোন আসল। স্ক্রিনে দেখি নতুন নাম্বার।
হ্যালো! স্লামালিকুম
ওয়ালাইকুমুসসালাম! ভাইয়া কই আপনি?
এখন রাস্তায় আছি। আপনি কে?
আমায় চিনবেননা। আমি মিলার ফ্রেন্ড। আপনার সাথে দেখা করা জরুরী।
ফোনে কি বলা যায় না?
আসলে মিলা আপনার সাথে দেখা করতে চায়।
ওকে! কোথায় আসতে হবে?
……………………
প্লিজ আমায় ভুল বুঝবেনা। যা হবার তাহা তো হয়েই গেছে। আমরা দুজন পরিস্থিতির শিকার।
ওঁ!যা হবার তাহা তো হয়েই গেছে, যা হবার তাহা তো হয়েই গেছে, যা হবার তাহা তো হয়েই গেছে।
কি বিড়বিড় কর?
না! কিছু না। কবে যাচ্ছ কানাডা?
আগামি সপ্তাহে। ফেইসবুকে এসব কি লেখছ?
জানিনা।
প্লিজ! হেঁয়ালি ছাড়। বাস্তবতাকে মেনে নিতে হবে।…(কান্না)
এখানে কাঁদার কি আছে। আমি তো মেনেই নিয়েছি, তবে তোমার কি হয়েছে?
ফেইসবুক পাগল আমি। আজ যা ঘটেছে তা নিয়ে ফেইসবুকে কিছু লিখতে হবে। লিখেই ফেললাম
“একি নায়াগ্রার ঘন্টায় ৪০ মাইল বেগে আছড়ে পড়া কোন জলপ্রপাত
একি খাঁখাঁ রোধে লোম ফাটা কোন অণুর আর্তনাদ!
.
একি গাজী পাম্পের কৃষকের টিপ দেয়া জলের ধারা!, সাথে হাঁসি!!
এ কি হতে চলেছে? বলেছিলাম যাদের ছেড়ে আমি প্রাণে বাচি!
.
তার হাতে থাকা রূমালটি ভিজে জবজবা
আমার সাথে থাকা টিস্যু পেকেটটিও শেষ, ইস! আমার সাত টাকা!”
তিন মাস গত হল। এই তিন মাসে ফেইসবুক, টুইটার সহ সব কিছু থেকে অবসর নিছিলাম। কারো সাথে যোগাযোগ পর্যন্ত হয় নাই। আজ ঘুম থেকে উঠে মোবাইলে দেখি একটা মেসেজ। ওপেন করতেই স্ক্রিনে দেখি…
“vaiya ami nitu, milar frnd. ek shoptah holo mila bashay ase. canada jawar mash-kanek pore ki jani jamela hoisa, akhon se bashay. tader divorce hoye gese.ei kotha apnake bolte nised korese . vaiya apni ekta phone diyen . it’s urzent”
………………………………………………………….সমাপ্ত……………………………………………………………………..
৩৬টি মন্তব্য
প্রহেলিকা
শুরুতেই জানতাম শেষে বাংলিশে একটা ম্যাসেজ থাকবে। পেলামও বটে। \|/
ফেইসবুকীয় একটা ফ্লেভার রয়েছে গল্পে। ভালো
গাজী বুরহান
মানতেই হবে আপনি কত আভিজ্ঞ?
ফেইসবুকীয়টা মনে হয় একটু বেশিই হয়ে গেল?
নীলাঞ্জনা নীলা
গল্পটা একেবারেই অন্যরকম। ভালো লেগেছে।
সুই+সাইড=সুইসাইড, আচ্ছা সুঁইয়ের সুতা+ সাইডের ফ্রন্ট=সুতাফ্রন্ট এমন শব্দ কেন নেই পৃথিবীতে? 😀
গাজী বুরহান
ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগল। ভাবছিলাম কিছুটা আলোচনা-সমালোচনা করবেন !
সুই+সাইড= সুইসাইড হলে
সুঁইয়ের সুতা+ সাইডের ফ্রন্ট=সুতাফ্রন্ট হতেই পারে। হবেনা কেন? আর যদি এমন না থাকে তবে আমরা বাংলা একাডেমির সাথে যোগাযোগ করব। রবিঠাকুর যদি নতুন শব্দ যোগ করতে পারেন তবে আমরা কেন নয়? 🙁
নীলাঞ্জনা নীলা
সমালোচনা করার সাধ্য আমার আছে নাকি!!!
তবে নতূন শব্দ অভিধানে যোগ করার মতো যথেষ্ট জ্ঞান আছে বলিয়াই মনে করি। সাধু-চলিত ভাষা মিশ্রণে কিসের দোষ উহা দেখিবার লাগিয়া এইভাবে লিখিতেছি। বলুন ঠিক করিনি? 😀
গাজী বুরহান
নতুন শব্দ অভিধানে যোগ করতে পারেন অথচ সমালোচনা করার মত সাধ্য নাই। হাহা…
আপনি কক্ষনো ভুল করতে পারেন না। একদম ঠিক ঠিক :@
শুন্য শুন্যালয়
লেখাটা ভালো ছিলো। লেখার সাথে শেষের অংশের সংযুক্তির কারন বুঝতে পারিনি, কেন তাড়াহুড়া করেছেন, সেটা বুঝিনি।
শিশি, আমি, সুইসাইড নোট, সুইসাইড সবাই আলাদা করে যেভাবে বলেছে, তার ভাবনাটি বেশ লেগেছে, সুইসাইড নোটে এই একটি লাইনই লেখে বেশিরভাগ যদ্দূর জানি। অনেক কথাই বলার থাকে, সবশেষে অভিমান নিয়েই সবাই চলে যায় বলেই হয়তো আর কিছু বলার থাকেনা।
ভুল ধরতে বললে সবার আগে বানানের দিকেই নজর যায় আমার, প্রচুর ভুল বানান আপনার লেখায় যা আপনি আরেকটু মনোযোগ দিলেই ঠিক করতে পারেন। শুভকামনা।
গাজী বুরহান
শেষের অংশের সংযুক্তির কারন বুঝতে পারেননি? কি আজিব একটা মন্তব্যে হুদাই সমালোচিত হলাম। সিনিয়র ব্লগার দের ডাগর ডাগর চোখ দেখে ভয় পেয়ে গেছি। বিষয়টা ভিন্ন খাতে নেয়ার জন্যই এত তাড়াহুড়ো।
সুইসাইড নোটগুলো সব কি রকম যেন।
আমি তা জানি বানানে প্রচুর ভুল থাকবেই আমার। যতই ভালো করে লেখলেখি করি ভুল থেকে যায়। দু-চারটে যদি ধরে দিতেন। উপকৃত হতাম।
শুন্য শুন্যালয়
গাজী ভাই, সিনিয়ারদের ডাগর ডাগর চোখ দেখেছেন, এইবার সিনিয়ারদের ডাগর ডাগর দু-একটা পরামর্শ মনে রেখে দেখেন। ফুটনোট একটা লেখার আবহ চেঞ্জ করে দিতে পারে, আপনি খুব সিরিয়াস একটা লেখা লিখে নীচে ফান কিছু একটা ফুটনোটে দিয়ে দিলেন, সেটা যেমন ফানি ওয়েতে সবাই নেবে, আবার ঠিক উল্টোটাও হতে পারে। এত কিছু বলার কারন এইটাই যে, আপনার লেখাটা বেশ ভালো লেগেছে। একটা পোস্টের আলোচনা সমালোচনা সেই পোস্টেই থাকবে, থাকুক সেইটাই আমরা সবাই চাই।
আপনি জানেন বানানে আপনার প্রচুর ভুল থাকবেই, হয়েই তো গেলো সমাধান। এবার তাহলে নিজেই সমাধান করে ফেলুন। আর আমাকে বলছেন কেন তা কিন্তু আমি বুঝতে পারছি, আমাকে দিয়ে আরেকবার লেখাটা পড়াতে চাইছেন, আমি অবশ্য বানান ভুল বের করতে খুবই লাইক করি, যদিও নিজের লেখায় বানান ভুল নিজেই খুঁজে পাইনা 😀
ভেজতে–ভিজতে
নির্দেষ–নির্দেশ
ইম্পর্টেন্ড-ইম্পর্টেন্ট
প্যাকেট—ইত্যাদি, ইত্যাদি।
ভাই আমি ভয়ে আছি, আল্লাই জানে নিজে কয়টা ভুল কইরা আসলাম 🙁
কিছু মনে নিয়েন না ভাই। হ্যাপ্পি ব্লগিং 🙂
গাজী বুরহান
ডাগর ডাগর পরামর্শে ডুগুর ডুগুর হইয়া গেলাম!!
পরবর্তীতে ফুটনোট এড়ানোর চেষ্টা করব। আলোচনা সমালোচনা থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকুম!! ;?
হাহা..!! 🙂 প্রিয় লেখকদের দিয়ে নিজের লেখা পড়ানোর মজাই আলাদা।
বানানসব ঠিক করে আসছি আমি। এতো বড় একটা কাজ (বানান ভুল ধরে) কইরা দিলেন, আমি কি মনে করব? থ্যাংকস (y)
সিকদার
সাধারন গল্প ……………………………শুধু মাত্র অসাধারন হয়ে উঠে লেখকের লেখনির গাঁথুনিতে । গল্পের ঘটনা বহু চর্চিত অনেকেই লিখেছে । কিন্তু অন্য রকম ফোকাসে লেখার কারণেই হয়ে উঠেছে ভিন্ন রকম।
গাজী বুরহান
আপনাকে থ্যাংকস দেয়ার আগে নিজেকে থ্যাংকস দিতে খুব ইচ্ছে করছে!! ;(
ক্যামনে কি?
এতু!! ভালো লিখলাম ক্যামনে???
ধন্যবাদ আপনাকে। পড়ার জন্য+মন্তব্যের জন্য।
মৌনতা রিতু
ভাগ্যভালো বৃষ্টি তিনদিন পরে হলেও এসেছে!
গল্পে গল্প ভালো।
ব্লগে এক আধটু এমন হয়। এটা কোনো ব্যাপার না!
শুভকামনা রইল।
গাজী বুরহান
সবই আমার কপাল!! ^:^
ভাগ্য ভালো গল্পটি আগে লেখা ছিল!!
থ্যাংকস
মিষ্টি জিন
তিন দিন গোসল করে নাই .. ইইইই.,
শিশি,সুইসাইডনোট, সুইসাইডের আত্মকথন সব মিলিয়ে ভালো লেগেছে ।
ভাল থাকবেন।
গাজী বুরহান
ইইইই!! নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখবেন আপ্পি। বুঝতেই পারছেন কত বড় হাপিস!!
সব মিলিয়ে ভালো লেগেছে যেনে ভালো লাগল। আপনিও ভালো থাকবেন।
ইকরাম মাহমুদ
শিশি এর কথন ভালো লেগেছে। লেখায়, ভাবনায় বৈচিত্র্য অাছে।
গাজী বুরহান
শিশির তো অনেক পাওয়ার! ;( তাই সে একটু…
থ্যাংকস ভাইয়া ।
আবু খায়ের আনিছ
ভিজতে, তাকে, তাহাকে, কর, করো এগুলো ঠিক করা প্রয়োজন। সাধু চলিত এগুলোও। যদিও আমি নিজেই ভুলের ভান্ডার।
পরিক্ষার ব্যবস্ততার জন্য একটু ছুটিতে আছি, কাল কে যেন বলল আপনার পোষ্টের কথা । রাতেই পড়েছিলাম।
গল্প লিখেছেন, বেশ ভালো। একান্ত অনুভূতি থাকায় নিজের জীবনের সাথে জড়িয়ে গিয়েছে। সুসাইড এর পজেটিভ দিক তুলে ধরার কোন যৌক্তিকতা নেই। আত্মহত্যার যে বর্ণনা করেছেন তাতে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
সমাজে খারাপ প্রভাব ফেলে এমন বিষয়গুলো সুক্ষ্মভাবে উপস্থাপন করতে হয়, বিষের যে বর্ণনা দিয়েছেন নাম সহ আমি বলছি আপনার লেখা না পড়লে এটা আমি জানতাম না। আমার মত অনেকেই জেনেছে। সুতরাং এইগুলো অন্যভাবে বুঝিয়ে দিলে ভালো হতো। বাংলায় একটা প্রবাদ আছে না, বউ পিটিয়ে জি শিক্ষা দেওয়া। তাই করবেন প্রয়োজনে। (লেখার ক্ষেত্রে, :D) )
অন্যদের পোষ্টে কি হয়েছে , বলতে পারছি না, যেহেতু ব্লগে নাই দুইদিন তাই দেখা হয়নি। তবে যৌক্তিকতা, আর নিজস্ব মতামত আপনি ব্যাক্ত করতে পারেন, আর সেটা কৌশল অবলম্বন করে।
শুভ কামনা।
গাজী বুরহান
প্রথমে ধন্যবাদ জানাই ভাইয়াকে এ জন্য যে, এত ব্যস্ততার মাঝেও যে পড়লেন + এ বিশাল মন্তব্য করলেন। ধন্যবাদ জানাই যে আপনাকে ইনফর্ম করেছে। ভুলগুলো সব টিক করার চেষ্টা করব।
লিখেছি, তবে গল্প বলে চালায়া দিতে ভয় পাচ্ছিলাম। তাই একান্ত অনুভূতি+ করেছি। আসলে গল্পের প্রয়োজনে সুইসাইড বিষয়ে লিখেছি বাট এর যে পজেটিভ দিক তুলে ধরেছি তা তখন চিন্তা করিনি। ভবিষ্যতে এ রকম হবে না।
সুন্দর সাজেষ্ট। অনুসরণ করার চেষ্টা করব। আবারো ধন্যবাদ এত ব্যস্ততার মাঝেও পড়ার জন্য।
আবু খায়ের আনিছ
শুভ কামনা।
গাজী বুরহান
-{@
ব্লগার সজীব
লেখায় ভিন্নতার স্বাদ পেলাম। লেখুন এমন ভিন্ন ধারার গল্প। ফেইসবুকে সব বমি করতে হবে, নইলে পেট ফেটে মরে যাবার সম্ভাবনা আছে।
যেমন, ১। উফ এ কেমন পিপড়া, কামড়ে আমার পাছা ফুলিয়ে দিয়েছে, হাগু করতে সমস্যা 🙁 ২। স্বামীর সাথে সামান্য ঝগড়ার সাথে সাথেই লিখতে হবে, জীবনে চরম ভুল করে ফেলেছি বিয়ে করে, আগে বুঝলে বিয়েই করতাম না। ৩। বিদায় ফেইসবুক, সবাই ভাল থাকুন। ( কিছুক্ষন পরে পর উকি দিয়ে দেখতে হবে কে কি লিখছে। একদিন পরেই আগের স্ট্যাটাস বেমালুম ভুলে গিয়ে ‘ কেমন আছো বন্ধুরা?’ …………
অপার্থিব ভাইয়ার পোষ্টে আমিও যাচ্ছিলাম প্রায়, আপনার এই পোষ্ট পড়া না হলে অবশ্যই যেতাম।
বাসা থেকে আমার বিয়ে টিক (ঠিক) হয়ে গেছে। স্কুপ > স্কোপ।
গাজী বুরহান
চেয়েছিলাম রসাত্মক কিছু এড করতে, কিন্তু পারিনি। ফেইসবুক আছে বলেই তো আমাদের এখন গ্যাসের সমস্যা হয়না।:p তাঁর আগেই ফেইসবুকে প্রসব করি/ উগ্রে দেই।
হাহা…
ফেইবুককে বিদায় দিয়ে ক্ষণিক পরে উকি দেয় কটা লাইক পড়েছে। কে কি লিখছে! 🙂
থ্যাংকস ভাইয়া। ভুলগুলো সব শুধরে নিচ্ছি।
ইলিয়াস মাসুদ
কীটনাশকের ক্ষমতা শুভু শরীরকেই মন থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়া,মণ কে না,মন হত্যা করি আমরা নিজেই আজস্র বার।।
আমি এটাকে গল্প-ই বলবো,আপনি গল্প বলতে গিয়ে প্রত্যেককে যে ভাবে নিজেস্ব করে বলিয়েছেন তা আমার কাছে খুব ভাল লেগেছে,এটা একটা খুব সাধারন গল্প কিন্তু এই পৃথিকরণ টা গল্পের একটা ভিন্ন স্বাদ দিয়েছে এটা দারুণ,একজন লেখকএর লেখা-ই লেখক কে সৃষ্টি করে,লিখতে থাকুন মন প্রান খুলে দেখবেন নিজেই কখন যেন নিজের তুলনা হয়ে গেছেন, অনেক অনেক শুভ কামনা ভাইয়া।
কেন?
আপনার এই কেন সংযুতি টা আমার খুব ভাল লেগেছে, এখানে এক প্রকার মেনে নেওয়া আছে,যেভাবে আমরা প্রিয়জনদের কাছে আত্মসমর্পন করি,মা বাবার কাছে ভাইবোনদের কাছে ঠিক তেমন, আবার পাশা পাশি মেনে নেওয়া আর মনে নেয়া কি এক? রবি ঠাকুরের এই কথা টুকু আমার খুব প্রিয়।
একটা সময় আমার খুব এমন হত,খুব প্রিয় মানুষদের সাথেও বিবাদে জরিয়ে পরতাম,অন্যের পছন্দকে সন্মান করাটা সব সময়-ই হয়ে উঠত না,আমার যুক্তি আমাকেই অস্থীর করে তুলত,পরে আমার আপছন্দের বিষয় গুলো এড়িয়ে যেতে শুরু করলাম,তার অনেক পরে নিজেকে আবিস্কার করলাম সব লেখায় লেখা না, সব কথায় কথা না,তেমন সব যুক্তিও যুক্তি না। আমি অযথা-ই যেন সকল ক্ষেত্রে ঢুকে পরছি…………হাহাহাহা।
আমি কোন দিন কোথাও লিখি না,এমন কি আমার ফেসবুকেও শত শত লেখা লেখে লক করে রাখা,এসব লেখা আমার নিজের জন্য অবসরে নিজেকে পড়াতে ভাল লাগে, সেই আমি সোনেলাতে লিখি,কেন জানেন? সোনেলায় একমাত্র বাংলা ব্লগ আমার দেখা,যেখানে মনে হয়েছে আসাধারন মানুষ সবাই লেখে, কোন নোংড়ামি নেই,একে যেন অন্যের পরিবারের মত, একজনের মতা মতকে অন্যজন দারুণ সন্মান করে, সবার সাথে মিশে যান,দেখবেন খুব ভাল লাগবে।
আপনার প্রথম এই লেখাতে আমি মুগ্ধ ।
গাজী বুরহান
কীটনাশকের ক্ষমতা শুধু শরীরকেই মন থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়া,মন কে না,মন হত্যা করি আমরা নিজেই অজস্র বার।। (একদম খাঁটি কথা)
গল্পের! এত গভীরে যাই নি। লিখতে গিয়ে যা মনে হল তাই লিখছি। ভালো লেগেছে যেনে ভিষণ খুশি ;(
প্রিয় কবির কথা শুনায়ে দিলেন, ভালো লেগেছে। আসলে সেই প্রথম থেকে চেষ্টা করেই যাচ্ছি সোনেলা পরিবারে সদস্য হওয়ার জন্য। খুব তাড়াহুড়ো ছিল। তাই মনে হয় ঝটলা পেকেছে।
আপনার সাথে এই যায়গায় মনে হয় আমার ভিষণ মিল!! আপনার কাছ থেকে শিক্ষা নিতে পারি।
আপনার লক করা লেখাসব একে একে সোনেলায় পাবলিশ করবেন। আমরাও পড়তে চাই, যানতে চাই।
ইয়েস!! সোনেলা এ জন্য আমার প্রিয়। ধন্যবাদ আপনাকে…
কৃতজ্ঞতা নেবেন -{@
অনিকেত নন্দিনী
ব্লগে ঢুকতেই নাকে গন্ধ এসে ঠেকলো। খুঁজেই পাচ্ছিলামনা এতো গন্ধ কোত্থেকে আসছে। শেষে এখানে এসে দেখলাম গন্ধের উৎস এই ব্লগ! তিনদিন গোসল না করে থাকলে গা থেকে গন্ধ বের হবে না তো কী হবে? রাত তিনটা হোক আর বিকেল তিনটা, এই লেখা চোখে পড়ার সাথে সাথে গামছা-তোয়ালে নিয়ে বাথরুমে ছুট দিবেন। আবার ব্লগ ঢুকে গন্ধ পেলে খবরই আছে! :@
শিশি থেকে শুরু করে সুইসাইড নোট পর্যন্ত কথা বলছে! ফ্যান কথা বলেনি কেনো? ফ্যানে ঝুলে পড়ার কথা যেহেতু উল্লেখ আছে, ফ্যান আর এক টুকরো রশিও তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করতে পারতো। জীব জড় সবাই কথা বলতে পারলে ব্যাপারটা কেমন দাঁড়াতো? – লেখা পড়ে ভাবছিলাম। ;?
লেখায় ফেসবুকীয় প্রভাব যেমন জোরালো তেমনি আরো একটা ব্যাপার জোরালো ভাবেই তার উপস্থতি জানান দিচ্ছে। সেইটা কী বলে আর ঝামেলা না পাকাই। ঝুটঝামেলা ভাল্লাগেনা। 🙁
এই ব্লগে যোগদানের পর দীর্ঘদিন ঘাপটি মেরে ছিলাম। লেখা শুরু করার পর চুপ করে দেখতাম অন্যদের পোস্ট আর মন্তব্যের ধরণ কেমন। দেখে দেখে মোটামুটি একটা ধারণা হয়ে গেলো। তারপর লিখে ফেললাম এইটা: https://sonelablog.com/ব্লগারের-নির্ঘন্ট/
সময় পেলে পড়ে দেখতে পারেন আর মনে চাইলে এই পোস্ট থেকে শেখা জ্ঞান কাজেও লাগাতে পারেন। 😀
হ্যাপ্পি ব্লগিং।
অ. ট. আমার নাম তালিকার একদম শেষে! বিশাল রকমের মাইন্ড খাইসি। 🙁
গাজী বুরহান
হাহা!! উৎকট পিচ্চিটার কাছ থেকে একশ হাত দূরে থাকবেন। তবে দাঁড়ান! গোসল করতে হবে না, ব্লগ স্প্রে দিয়ে দিচ্ছি!! :D)
শিশি থেকে শুরু করে সুইসাইড নোট পর্যন্ত কথা বলাইয়াছি। কিন্তু ফ্যানকে কিচ্ছু জিগাইলেই গুথ গুথ করে!! :@ অনেক চেষ্টা করেও তাঁর বক্তব্য উপস্থাপন করতে পারি নি। তবে রশির জবানবন্দী নেয়া যেত!! ^:^ এমনিতেই যা শব্দ দূষণ, শুধুমাত্র গাড়িকে কথাবলার অধিকার দেয়ায় এই অবস্থা!! ;? এখন বুঝেন জড়-পদার্থদের কথা শুনতে পারলে ব্যাপারটা কি দাঁড়াতো? ;?
ঝুট-ঝামেলা তবে আপনার ব্লগে গিয়েই পাকাই। আমার এ নিরিহ ব্লগ খানিকে অত্যাচারিত করবার কোন মানে হয়না!!
আপনার নাম তালিকার শেষে কেন? এর উত্তর দিতে গেলে আপনার সাথে ঝগড়া হবেই। তাই ঝামেলা না পাকাই!! 🙁
ইঞ্জা
ভালো লেগেছে গল্পটা বা একান্ত অনুভূতিটা, শুভেচ্ছা রইল।
গাজী বুরহান
বলতে পারেন গল্পের একান্ত অনুভূতি! 🙁 কৃতজ্ঞতা নিবেন। লিখায় ভুল্টুল থাকলে নির্ভয়ে!!! বলবেন। উপক্ত্রিনান্বিত হব।
উপকৃত+তরান্বিত=উপক্ত্রিনান্বিত!!! (রবি ঠাকুর গত রাত্রে স্বপ্নে বলে দিয়েছিলেন!!! \|/)
ইঞ্জা
^:^
গাজী বুরহান
;(
মেহেরী তাজ
লেখা সুন্দর হয়েছে……!
ভুল ধরারর কাজ টা যেহেতু কয়েকজন ভাইয়া আপুকে দিয়েছেন। ভুল উনারায় ধরুক…..
গাজী বুরহান
আমি হয়ত বলেছিলাম, চিন্তা করে রেখেছি এদের এদের দায়িত্ব দিব। কিন্তু পরে দোটানায় পড়ে গিয়েছিলাম। নির্দিষ্ট কাউরে দায়িত্ব দিই নি। তবে আমার যে কোন লিখায় ভুল ধরতে পারেন। ভালো থাকুন
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
গল্প ভালো লেগেছে ভাইয়া।
Apni khub valo golpo likhen. Kivabe paren vaiya!
গাজী বুরহান
লজ্জা দিয়েননা ভাইজান।