
আমি সমাজের নিন্ম স্তরের খেটে খাওয়া মানুষের একজন। আমাদের চলার পথের অনেক ভুল ভ্রান্তি আছে। এগুলোর জন্য আমাদের ও গালি শোনার প্রয়োজন নয় কি?
আমারা পুলিশকে , আমলাকে, রাজনীতিবিদকে তাঁদের আদর্শ, নৈতিকতা, চাল-চলনকে নিয়ে অনেক বাজে মন্তব্য করি, কিন্তু আমাদের চালচলন গুলি যদিও সামাজিক ভুলভ্রান্তি তাঁর পরও মানবতা ও সামাজিকভাবে বেমানান।
আমাদের মনুষত্যের সাধারণ ভুল সাধারণত সবার চোখে পড়ে।
১। রাস্তায় ঝুঁকিমুক্ত চলার জন্য ফুট ওভার ব্রিজ ব্যাবহারের জন্য।
২। ফুটপাত ব্যাবহার না করে জমিদারের বাচ্চার ন্যায় রাস্তার মাঝে দিয়ে চলা।
৩। মোটর সাইকেল ফুটপাতে চালান।
৪। ট্রাফিক সিগনাল না মানা।
৫। সময়কে বাঁচাতে গিয়ে জীবনের ঝুঁকি নেওয়া।
পথচারীকে চলতে না দিয়ে যেন-তেন গাড়ী চালান।
এভাবেই আমরা রাস্তা ক্রসিং করি। ছি! আমরা আবার অন্যের অন্যায়কে ঘৃণা করি কিভাবে?
৬। এলোমেলো গাড়ী চালান ও পার্কিং করা।
ফুট ওভার ব্রিজ আমারা ব্যাবহার না করার দরুন জিবনপাত ঘটতে পারে যে কোন মুহূর্তে। দেখুন যারা ব্রিজ ব্যাবহার করছে তাঁরা খারাপ না যারা জীবন ঝুকি নিয় দুর্ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে তাঁরা। নিজ নিজ অবস্থান থেকে নিজে নিজে শুধরান ভাল হবে।
৭। আইনকে শ্রদ্ধা না করা।
৮। রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশকে সহায়তা না করা।
একজন ট্রাফিক পুলিশ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় মানুষের সাহায্যে নিয়োজিত থাকে। একজন ট্রাফিক পুলিশ প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ ঘন্টা দায়িত্ব পালন করে থাকে।
৯। নিজে অন্যায় করে পুলিশকে নিজ উদ্যেগে ঘুষ দিতে যাওয়া।
১০। দ্রুত যাওয়ার জীবন বাজি রেখে ঝুঁকি নেওয়া কত টুকু ইজ্জতের কাজ।
১১। একঘণ্টা পরে গেলে খুবই ক্ষতি?
একটি কাহিনী বলি। একদিন এক ভদ্র ব্যাক্তি বলেছে,” আমি জাপান থেকে ঢাকায় গাড়ীতে ঘুরছি বন্ধুর গাড়ীতে, পান্থপথের একজায়গায় ট্রাফিক গাড়ী আটকাল । ট্রাফিক গাড়ী কেস এবং রিকুইজিশন করবে। কারণ হিসেবে গাড়ীর রং পাল্টানো হয়েছে। গাড়ীর ভিতর থেকে ড্রাইভারকে ২০০০/= টাকা দিয়ে ছেড়ে দেয়ার জন্য তাগিদ। জাপান ফেরত ভদ্রলোক বেকুবের মত লক্ষ্য চুপ। পড়ে জানান মালিক কাগজ করতে গেলে অনেক খরচ ও ঝামেলা। ” এখন আমার প্রশ্ন অপরাধী কে? রং করতে যদি ৫০,০০০/= বা ১০০,০০০/= যায়, কাগজ করতে ৫০,০০০/= গেলে খুব লজ। নিজেদের ফ্রেসন পরিবর্তনে মজা ও সুখ খুজে আর কাগজ করতে কারপন্য।
একজন পথচারীর উচিত মানবিক দিক দিয়ে সব সময় রাস্তায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে সাহায্য করা। অন্যের নিকট থেকে চাইতে হলে নিজেকেও ঠিক সেভাবে বিলাতে হবে নিজের মনুসত্য।
২৭টি মন্তব্য
সঞ্জয় কুমার
ছবি গুলো খুব সুন্দর মানিয়েছে লেখার সাথে ।
মোঃ মজিবর রহমান
ধন্যবাদ সঞ্চয়দা।
শিশির কনা
এমনই তো হয়। হতে থাকবে।
মোঃ মজিবর রহমান
হোক না কেন ক্ষতি কি ?
একটি গাড়ীতে লেখা ছিল, খাবি খা, মরবি মর তাতে আমার কি।
জিসান শা ইকরাম
লেখার মূল বক্তব্য খুবই জোড়ালো।
আরো লিখুন।
মোঃ মজিবর রহমান
ধন্যবাদ বস।
স্বপ্ন নীলা
যা আমাদের মানা উচিত — তা আমরা মানি না——- আমরা করি তার উল্টা ——
অসাধারণ একটি পোস্ট
ধন্যবাদ গঠণমূলক একটি পোস্টের জন্য
মোঃ মজিবর রহমান
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু।
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
রিমি রুম্মান
এমন দৃশ্য দেখে আমি কেবলই বিদেশের সাথে তুলনা করি মনে মনে… আমার কেবলই ভুল হয়ে যায়…
মোঃ মজিবর রহমান
আপু আমাদের মত তো আর করতে হয়না। ভাবনাতেই আসে।
আমরা এর মাঝেই বেঁচে আছি। দীব্বি। না দেশ তো চলছেই।
ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
ঘুড্ডির পাইলট
রোড ডিভাইডার গলিয়ে যাওয়া ছবি দেখে হাসতেই আছি !
:D)
গতকাল আমার এক ছোট ভাই অঅমার সাথে ফুটওভারব্রিজ পার হলো । এটা নাকি তার জীবনে প্রথম ওভারব্রিজ পার হওয়া । শুনে অবাক হলাম !
মোঃ মজিবর রহমান
হাসি আসবেই। আমরা তো আমরাই।
মেহেরী তাজ
আমরা নিজেরা ভালো না হলে কেউ এসে আমাদের ভালো করবেনা।
মোঃ মজিবর রহমান
হুম, মাস্তানি।
মোঃ মজিবর রহমান
আমারা আমাদের মতই চলব
বনলতা সেন
সচেতন হব বলে মনে হয় না। ছবি আর লেখা মিলিয়ে বেশ ভালই হয়েছে।
মোঃ মজিবর রহমান
হ্যা, দিদি ঠিক বলেছেন।
শুভেচ্ছা রইলো।
খেয়ালী মেয়ে
উল্টোপথে চলাটা যেন আমাদের কাছে ১টা জন্মগত অধিকার হয়ে দাঁড়িয়েছে 🙁 🙁
মোঃ মজিবর রহমান
হুম ঠিক বলেছেন।
নিজেকে গালি দেন ঠিক হয়ে জাবেন।
একদিন ঘটনা, আমি আমার মেয়েকে বললাম, খাওয়ার সময় টি ভি দেখতে হয় না। যথারীতি আমি আমি একদিন টি ভি দেখছি আর খাচ্ছি, মেয়ে বলল, তুমি খাচ্ছ আর টি ভি দেখছ কেন? ” আমি দ্রত সুইচ অফ করলাম। তাঁর নিকট আমি নিতি গত ভাবে পরাজিত।
এভাবেই আমরা বন্দি হতে পারি।
ভাল থাকুন।
ছাইরাছ হেলাল
ছবি কই পাইলেন ?
সচেতনতামূলক লেখা পড়ে ভল লাগল। চলুক।
মোঃ মজিবর রহমান
হেলাল ভাই, ডিজিটাল কল্যাণে। আর কালেকশন।
ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
লীলাবতী
সব কিছুতে অব্যাবস্থা ভাইয়া। এটিই মনে হয় আইন এখন।
মোঃ মজিবর রহমান
এই আর ।
আমরা চলছি আর চলছি কোন পরিবর্তন নাই।
শুন্য শুন্যালয়
কি আর বলবো ভাইয়া? এতো সোজা সাপটা বললে কি চলে? আমি ছাড়া দুনিয়ার সবাই খারাপ।
আপনার পোস্টে বরাবরই ভালো লাগা।
মোঃ মজিবর রহমান
আমি এরকমই দিদি।
এভাবেই বেড়ে উঠেছি।
মাঝে মাঝে খারাপ হয়ার চিন্তা করি পারিনা।
ধন্যবাদ ।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
খুব সুন্দর করে গুছিয়ে সমাজের অসঙ্গতি গুলো তুলে ধরেছেন।বেশ ভাল লেগেছে।সবার আগে আমাদের সচেতন হতে হবে।
মোঃ মজিবর রহমান
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ