#অবসর সময়ে কি করিস?
*আমার কাছে অবসর সময় বলতে কিছু নাই। আমি এটাকে জীবনের পরম না , চরম লগ্ন বলি। আর জীবনের চরম লগ্ন আমি বই পড়ি, প্রেমিকার সাথে ঘুরোঘুরি করি।
#বই পড়িস? হাহাহা… বই কি কেঁউ পড়ে? বই কি পড়ার জিনিষ?
*তাহলে বই দিয়ে মানুষ কি করে?
#শুন! বই হল ছোটদের খেলনার জিনিষ। এসএসসি অথবা ইন্টারমিডিয়েট ছাত্রদের ঘাঁটাঘাঁটির জিনিষ। তুই বই পড়বি ক্যান? লাইফটারে ঞ্জয় করবি। বুঝলি? ঞ্জয়
*ঞ্জয় মানে কি?
#এঞ্জয় এঞ্জয়!! আচ্ছা তুই কি হলে লাইফে ধন্য মনে করতি?
*ডক্টর ফাস্টাসের মত শয়তানের কাছে যদি জ্ঞানের বিনিময়ে আত্মা বিক্রি করতে পারতাম। তিনি অনেক সময় চেয়েছেন, আমি শুধু ছমাস সময় চাইতাম।
#হাহাহা… তুই তো দেখি পুরো পাগল! জ্ঞান কি ওইটারে বলে? হাহা…
*তাহলে তর কাছে জ্ঞানের সংজ্ঞা কি?
#মনে কর হঠাৎ পৃথিবী ধ্বংস হয়ে গেল, সব মানুষ মরে পচে শেষ। বাকি থাকলি তুই, তখন যে কাজ করে তুই বাচতে পারবি সেই কাজই হচ্ছে আসল জ্ঞান। যাকে আমরা বলি অভিজ্ঞতা লব্ধ জ্ঞান।
*ও আচ্ছা! এইটারেই বুঝি জ্ঞান বলে?
#হুম! আচ্ছা এখন সময় তর কীভাবে কাটে?
*এই তো লেখাপড়া করে, বন্ধুদের সাথে আড্ডায় সময় চলে যায়।
#তুই কি বোকা নাকি রে? এখন সময় কাটাবি হেঁটে হেঁটে। যেমন আজ আমি হাঁটা শুরু করছি, প্রায় চার ঘণ্টা হল হেঁটেছি। আর এখন রাস্তার মাঝে তর সাথে গল্প করছি। সেই ব্রিজের উপর থেকে ৬৯০ টাকার জুতা ব্রিজের দুদিকে দুইটি ফেলে দিয়ে খালি পায়ে হাঁটা শুরু করছি। এখনো শেষ হয়নি।
*এত আবর্জনার মাঝে খালি পায়ে ?
#আরে যখন দেখবি হাঁটতে হাঁটতে পায়ে মানুষের বিষ্ঠা বা ‘গু’ লেগে গিয়েছে তখন তুই বিষ্টার উপরে লাফিয়ে লাফিয়ে বলবি “জীবনের পরম লগ্ন করনা হেলা……”
*তুই সিগারেট খাস?
#আরে না, আমি নিকোটিন গ্রহণ করি। তর তো নিকোটিনের অভাবে শরীরের এই বেহাল দশা। আচ্ছা তুই খাস কি?
*কি আর খাবো? ৮/১০ টা বাঙ্গালির মত ভাত খাই।
#হাহা… এখনো বাঙ্গালি রইয়া গেলি। শুন! সকালে ঘুম থেকে ওঠে মোড়ের মামার দোকানে গিয়ে চা দিয়ে ব্রেকফাস্ট শুরু করবি। লাঞ্চ করবি বট গাছের নিচে বসে নিকোটিন শুন্যে ভাসিয়ে দিয়ে। ডিনার করবি আরেকটা সিগারেট দিয়ে।
*দোস্ত আমার যেতে হবে, চললাম।
#উক্কে!!!
২১টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
চরম লগ্ন কোনটা? নিকোটিন গ্রহন করার ঐ লগন্টা?
গাজী বুরহান
মনে হয় নিকোটিন গ্রহণ করার সময়টা।
শুন্য শুন্যালয়
রম্য না কইয়া এইটারে দার্শনিক বিভাগে দিলে কেমুন হয়? ;?
দার্শনিক বিভাগ নাই, তাতে কি হইছে, খুলতে কমু মডুগো। ডক্টর ফাস্টাস কিডা? মুই এতো কম জানি কেনু? 🙁
গাজী বুরহান
হুহুহু ঐটা দার্শনিক হইব। মডুগো কমু অতিসত্বর যেন তারা ব্যবস্থা নেয়। ডক্টর ফাস্টাস কিডা আই তো জানিনা।
মোঃ মজিবর রহমান
খায়নের ইচ্ছে নায় খাবো।
গাজী বুরহান
গোল্ড লিফ খায়েন, আরাম পাবেন।
মোঃ মজিবর রহমান
অরে বাবা যে ধক সইবেনা।
চার চেয়ে মনে হয় সুইচ তিপা দিলেই চলব।
গাজী বুরহান
মজা পাইলাম। ভাইয়া, আপনার যাহা খুশি!
মিষ্টি জিন
অবসর সময়ে আবোলের তাবোল করে ভালই সময় কাটিঁয়ে দিলেন। 😀
ভাল থাকুন।
গাজী বুরহান
সময় ভালো যাচ্ছেনা, খুব খুব খারাপ। দোয়া চাই, স্রষ্টা যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ করে দেন। মনে হয় লাইফটাই আবোলতাবোল হয়ে গেছে।
নীলাঞ্জনা নীলা
রম্য!!! 😮
এটা যদি রম্য হয়, তাহলে সিরিয়াস কোনটা? ;?
গাজী বুরহান
আপু!!
ওইটা সিরিয়াস রম্য। মানে রম্য কিন্তু সিরিয়াস। যেইটা ধরে নিতে পারেন।
নীলাঞ্জনা নীলা
আচ্ছা বুঝলাম।
প্রহেলিকা
ঘু বানান ভুল হৈছে ঘু বানান ভুল হইছে। বিষ্টা বানানটাও ভুল হইছে।
এই ঘু আর বিষ্টা থেকে বানান ভুলের কারণে গন্ধ ছড়াবে না। গু আর বিষ্ঠা হতে হবে। তাইলে মজা হবে।
গাজী বুরহান
দুনিয়ার যত থ্যাংকস আছে সব একসাথে আপনাকে। প্লীজ ভুল ধরেই যাবেন। থ্যাংকস থ্যাংকস…। (y)
ক্রিস্টাল শামীম
আবোলতাবোল ও বুঝি এমন হয়। খুব দারুন আবোলতাবোল (y)
গাজী বুরহান
আবোলতাবোল আরো ভালো হত, তবে যদি শরীর সুস্থ থাকত। দোয়া চাই।
অপার্থিব
হিমু আর হিমুর বাপের কথোপকথন বলে মনে হচ্ছে !
গাজী বুরহান
হাহা হিমুরে চিনলেও হিমুর বাপকে চিনিনা। আচ্ছা ওর বাপেও কি হলুদ পাঞ্জাবি পরে? খালি পায়ে হাটে?
মৌনতা রিতু
আবর্জনার মাঝে শুধু এই বিষ্ঠাই লাগল পায়ে !
রোম্য হইছে ;? বুঝতাছি না।
পৃথিবীরসব মানুষ মরে গেলে সেই অভিজ্ঞতা শুনব কেডা !
হিমু পড়া বাদ দেন। মাথা আউলাইয়া যাইতে পারে।
গাজী বুরহান
আপু…
বাঙ্গালির কাজই হল অপরের খাওয়া আর রাস্তার পাঁশে ……… করা। আবর্জনার মাঝে বিষ্ঠা থাকবেই থাকবে।
কি ট্যাগ লাগামু চিন্তা করতে করতে অবশেষে রম্যটাই লাগিয়ে দিলাম। তাতে কেঁউ গিলুক অথবা না গিলুক। মাইন্ড খাইয়েন না । আমি অলরেডি হিমু হয়া গেছি। ওই হিমুটা এনালগ ছিল। তাঁর মোবাইল ছিল না, ল্যাপটপ ছিলনা। যেহেতু আমার মোবাইল না থাকলেও ল্যাপটপ আছে তাই আমি “আধুনিক হিমু!!”