
আমি কুটনো কাটি, বাটনা বাটি।
রোজ সময় করে ৫-৮ বাস ধরি,টিউশন করি,
আমি ব্যাস্ত।
দেশ-রাজনীতি আমার কাছে পঁচা টমেটো,মরা মাছের চোখ।
উন্নয়ন সে তো আমার কাছে বারন্ত পলট্রি মুরগী
একটু বেশি হলেই যেনো শ্বাস নিতে কষ্ট হয়,
এতো কিছু ভাবি না,
চুপচাপ থাকতেও পারি না।
তাই প্রতিনিয়ত গাছ,লতা-পাতা,অবয়বহীন এক ছায়া পুরুষ কে আরাধনা করে লিখে যাই,
রাজনীতি নিয়ে আমি ভাবি না।
আমার রক্ত জাগে,তবে মস্তিষ্ক শীতল
নদীর মতো সচ্ছ,তাই চুপ থাকি
তবে আমি ভাবি আমার অনাগত সন্তান নিয়ে
যদি আমার রক্তধারা পায়
যদি চিৎকার করে উঠে,
যদি শুকুনের ঘুম ভেঙ্গে যায়
আমি প্রচন্ড ভয় পাই।
আমি ঠিক বুঝি না,
আমার মস্তিষ্ক ঠিকঠাক কূলায় না।
স্বাধীনতার পূর্ব পরিবেশ/পরিস্থিতি বা যুদ্ধরত সময় কিংবা বর্তমান সময় কোনটা আমার জন্য নিরাপদ?
আমার সন্তান কি এ মাটিতে আসবে?
আচ্ছা যদি আমার পুত্রের বুক চিরে কলিজা বের করে নেয়।
যদি আমার শিশু কন্যার যোনি ছিরে রক্ত ঝরায়!
আচ্ছা,যদি সেই প্রাণহীন পরুষ
কখনো ধরা দেয়!
দারিদ্র্যের কষাঘাতে বা চরম বেকারত্বে
স্বামী হওয়ার পাপ হেতু নিজেকে বিসর্জন দেয়?
ওফ আর ভাবতে পারছি না……………….
আচ্ছা,সেসব অনেক পরের কথা,
আমি এখন বর্তমান নিয়ে ভাবছি।
আসলে ভাবতে চাইছিলাম না,
কিন্তু ঐ যে বললাম আমার রক্তে জোয়ার বয়;
থাক যা বলতে এলাম,
ভিন্ন মতের জন্য কি আমায় বলি দেয়া হবে?
ঠিক যেমন আমার সন্তানকে বলি দেয়া হয়েছে।
হুম,আমার সন্তান
আবরার!
আমার সন্তান।
আমি মাতৃরূপে তাকে গ্রহণ করলাম।
আচ্ছা, মা হিসেবে জানতে চাই,
বাংলাদেশ কি তোমাদের মতো কুলাঙ্গারের কাছে বর্গা দেয়া?
তোমারা কি সমস্ত ভালো মন্দের ঠিকাদারি নিয়ে বসে আছে?
এতো দায়-দায়িত্ব কে দিলো?
আচ্ছা এতই যদি দায়,
তবে আমার দারিদ্র্য নিশ্চুপ কেন?
আমার অসহায়ত্বে জরবস্তু কেন?
এতোই যদি ভাবো তাহলে মাসের পর মাস/দিনের পর দিন আমার সন্তান যখন অনাহারে/অর্ধাহারে থাকে তখন কোথায় থাকো তোমরা?
আচ্ছা,আমার সন্তানের চিন্তার জগৎ এ অনাধিকার প্রবেশের সাহস কে দিলো?
এতো ভয়?
আচ্ছা,তারা কি জানে না কতোটা পরিশ্রম, কতোটা ভালোবাসা,কতোটা যত্নে আমি বিন্দু,বিন্দু ঘামে গরে তুলেছি আমার সন্তানকে,
আমার পুত্রের ২১ টি বসন্ত কেটেছে আমার ছোট কুটিরে………….
আমি তাকে দিয়েছি চিন্তার স্বাধীনতা,তকে শুনিয়েছি তার পূর্ব পুরুষের শিকল ভাঙ্গার গল্প কথা।
হুম,আমার কোল জুরে আবার আসবে এক দলা মংস পিন্ড।
আমি আমার তোতাইকে আবার অ/আ শিখাবো।
আবার চেঁচাবে
আমি আবার বলি দিব।
২৭টি মন্তব্য
ইঞ্জা
মন্ত্রমুগ্ধ হলাম, অসাধারণ নির্মাণশৈলি, সুনিপুণ লিখণী।
ইঞ্জা
স্বাগত জানাই আপনাকে সোনেলার উঠোনে, আজ থেকে আপনি এই ব্লগের, এই উঠোনের, এই পরিবারের সদস্য, আপনি লিখুন আপনার মনের মাধুরি মিশিয়ে, কোন সমস্যা হলে এডমিনগণকে জানাতে দ্বিধা করবেননা প্লিজ।
শুভেচ্ছা আপু।
সাখিয়ারা আক্তার তন্নী
ধন্যবাদ,
তৌহিদ
সোনেলার উঠোনে স্বাগতম। প্রথমেই এত সুন্দর একটি লেখা নিয়ে এলেন পাঠকের মাঝে সত্যিই চমৎকৃত হলাম। মাতৃত্বের দায় অস্বীকার করার উপায় নেই। সংসারে একজন নারীকে কতশত দায়িত্ব নিতে হয় এরপরেও সে অবহেলিত। যারা নারীকে বলি দেয় তারাও কোন না কোন নারীর সন্তান এটাইবা ভুলি কিভাবে?
ভালো লিখেছেন, লিখুন নিজের মতন করে।
সাখিয়ারা আক্তার তন্নী
শুভেচ্ছা নিবেন,
চাটিগাঁ থেকে বাহার
আবরারের ঘটনায় মায়েরা দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়েছে সন্তানকে বলি দিতে হবে বলে। সন্তানকে জটার থেকে মাটি, মাটি থেকে পা পা হাটি। অতঃপর জুনিয়র স্কুল, সিনিয়র স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, এ কি চাট্টিখানি কথা। সেই ২০/২১ বছরের সাধনাকে তোমরা মাত্র কয়েক ঘন্টায় নিঃশ্বেষ করে দিচ্ছো?
সাখিয়ারা আক্তার তন্নী
ধন্যবাদ
বন্যা লিপি
স্বাগতম এখানে।এ পরিবারের একজন সন্মানিত সদস্যা হয়ে থাকুন আমাদের সবার সাথে।
প্রথম লেখাতেই মনমাত করে দিলেন। চমৎকার করে প্রকাশ করলেন। বর্তমান প্রেক্ষাপট।
আবরার আমাদের মতো মায়ের সন্তান।
আমার কোল জুড়ে আবার আসবে একতাল মাংসপিন্ড……
আবার বলি দেবো…. সোচ্চারিত প্রতিবাদ।
সাখিয়ারা আক্তার তন্নী
অনেক ভালোবাসা নিবেন,
নিতাই বাবু
আববারের মা রোকেয়া কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘ছেলে আমার খুবই শান্ত ছিল। সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতো। কারা আমার নিরীহ ছেলেকে মারলো তা খুঁজে বের করতে হবে। তাদের শাস্তি দিতে হবে।’
সোনেলা উঠোনে আপনাকে স্বাগত।
সাখিয়ারা আক্তার তন্নী
শুভেচ্ছা রইলো,
আকবর হোসেন রবিন
ব্যতিক্রম স্বাদের লেখা। পড়ে ভালো লাগলো। শুভেচ্ছা রইল।
সাখিয়ারা আক্তার তন্নী
ধন্যবাদ,
ছাইরাছ হেলাল
সময়ের সাহসী উচ্চারণ।
সাধুবাদ আপনাকে।
সাখিয়ারা আক্তার তন্নী
অসংখ্য ধন্যবাদ
সঞ্জয় মালাকার
চমৎকার রচনাশৈলী, মন্ত্রমুগ্ধ পড়ে বেশ ভালো লাগলো।শুভ কামনা।
সাখিয়ারা আক্তার তন্নী
শুভেচ্ছা নিবেন,
জিসান শা ইকরাম
সোনেলার উঠোনে স্বাগতম আপনাকে।
প্রতিবাদী লেখা এমনও হয় ধারনা ছিলনা আমার,
লেখাটি অত্যন্ত ভালো লেগেছে।
নিয়মিত লেখুন এবং অন্য লেখকদের লেখা পড়ুন।
শুভ কামনা।
সাখিয়ারা আক্তার তন্নী
ধন্যবাদ,
শবনম মোস্তারী
স্বাগতম।
ভীষণ ভালো লাগলো।
সাখিয়ারা আক্তার তন্নী
ধন্যবাদ আপনাকে,
সাবিনা ইয়াসমিন
সোনেলা পরিবারে আপনাকে স্বাগতম।
চমৎকার লেখাটিতে একরাশ ভালোলাগা রইলো।
শুভ কামনা 🌹🌹
সাখিয়ারা আক্তার তন্নী
ভালোবাসা নিবেন,
আকবর হোসেন রবিন
কতো প্রশ্ন ছুড়েঁ দিলেন! ওরা কি পারবে এসব প্রশ্নের জবাব দিতে! ওদের কি সেই বোধটুকু আছে।
লেখাটা ভালো লেগেছে। শুভকামনা।
সাখিয়ারা আক্তার তন্নী
ধন্যবাদ,
ওদের এই বোধ থাকলে আমাকে বোধয় আর লিখতে হতো না।
এখানে হয়তো অন্য একটা হার না মানার
গল্প থাকতো।
সুরাইয়া পারভিন
চমৎকার উপস্থাপন।
কে দিলো এতো দায়-দায়িত্ব
নিলিই যখন দায়িত্ব
কোথায় ছিলি যখন অনাহারে ছিলো আমার সন্তান
সাখিয়ারা আক্তার তন্নী
হুম,
অন্ন দেয়া ছারা সমস্ত দায় দায়িত্ব নিতে সমহিমায় বলিয়ান এ জগৎ।
শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।