
তারচে বেশি কিছুঃ-
করিনি ক্ষমা
দিইনি সাজা
কাঁচা মাটির উনুন জ্বালি
বাড়ুক ভেজা আগুনের শিখা
আকাশ ব্যেপে এবার উঠুক কালো ধোঁয়া।
গিরগিটিঃ-
সমস্ত রং চুরি করে রং বদলায়
হাসি অথবা সহজ জীবনের জলাঞ্জলি দিয়ে
আমরা কেবল আজীবন ফাঁসির আসামী
বাস্তবতার জেলখানায়।
গোপন চাঁদঃ-
সময়ের তীক্ষ্ণ ধারালো চোখ
গোপন অভিলাষ
ব্যতিরেক বিতণ্ডার ডামাডোল
শীর্ণ চাঁদও শরীরে মেখে নেয় অ-নামাঙ্কিত কালো পাহাড়ের দাগ!আষাঢ় কিংবা শ্রাবণের বর্ষাফলায় গেঁথেই যায় অবলীলায়
উঠোনের হাঁটুজলে বিচরণ করা মুখবন্ধ মাছ…..
নির্বোধ জলঃ-
হয়ত পৌঁছতে পারতাম মাঝামাঝি কোথাও!
নয়ত খুব কাছের কোনো একটা দুটো সিঁড়িতে!
আমায় টান দিলো মিথ্যে স্বপ্নের আতঙ্কিত ডাকাডাকি।
অসমাপ্ত গল্পের পৃষ্ঠা ছিঁড়ে ছিঁড়ে এখন আগুন ধরাই ভিজে স্যাঁতস্যাঁতে মাটির চুলায়।পর্যাপ্ত জলের অভাবে পাশের নদীতে স্থির ছিলো স্রোত। কেবল ভুলের খালে জোয়ার ছিলো নির্বোধ।
২৬টি মন্তব্য
রিতু জাহান
আপু,, এটাকে অনুকবিতা করে দিন।
দেখতে পড়তে ভালো লাগবে।
তাছাড়া এলোমেলো লাগছে।
যেমনঃ
একঃ
তারচে বেশি কিছুঃ
করিনি ক্ষমা
দেয়নি সাজা
কাঁচা মাটির উনুন জ্বেলে
বাড়ুক ধীরে আগুনের শিখা ভেজা উনুন গলে
আকাশ ব্যেপে উঠুক ধোঁয়া কালো কিছু,,
দুইঃ
গিরগিটিঃ
সমস্ত রং চুরি করে রং বদলায় ক্ষণে ক্ষনে
হাসি অথবা সহজ জীবনের জলাঞ্জলি দিয়ে
আমরাই কেবল আজীবন ফাঁসির আসামী
বাস্তবতার জেলখানায়।
তিনঃ
গোপন চাঁদঃ
সময়ের তীক্ষ্ণ ধারালো চোখ।
চারঃ
গোপন অভিলাষঃ
ব্যতিরেক বিতণ্ডার ডামাডোল
শীর্ণ চাঁদও শরীরে মেখে নেয় অ-নামাঙ্কিত কালো পাহাড়ের দাগ!
আষাঢ় কিংবা শ্রাবণের বর্ষাফলায় গেঁথেই যায় অবলীলায়
উঠোনের হাঁটুজলে বিচরণ করা মুখবন্ধ মাছ,,,,
পাঁচঃ
নির্বোধ জলঃ
হয়ত পৌঁছতে পারতাম মাঝামাঝি কোথাও!
নয়ত খুব কাছের কোনো একটা দুটো সিঁড়িতে!
আমায় টান দিলো মিথ্যে স্বপ্নের আতঙ্কিত ডাকাডাকি।
অসমাপ্ত গল্পের পৃষ্ঠা ছিঁড়ে ছিঁড়ে এখন আগুন ধরাই ভিজে স্যাঁতস্যাঁতে মাটির চুলায়
পর্যাপ্ত জলের অভাবে পাশের নদীতে স্থির ছিলো স্রোত।
কেবল ভুলের খালে জোয়ার ছিলো নির্বোধ।
আমার অযাচিত ভুলের জন্য ক্ষমা করবেন আপু।
শব্দের ভাবনাগুলো চমৎকার তাই এমন করে সাজালে বুঝতে সুবিধা হতো পাঠকের।
বন্যা লিপি
আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে @রিতু জাহান।আমি এমনটাই চাই ব্লগে সব পাঠকের ক্ষেত্রে লেখার ভালো লাগা মন্দ লাগা নিয়ে সরাসরি মতামত দেয়া। একটা টাইট আলিঙ্গন রইলো আপনার জন্য। আপনি যেভাবে সময় ব্যয় করলেন আমার লেখা নিয়ে এমন যদি আগেও হতো! হয়ত আরো কিছু সহযোগিতা পাওয়া যেত লেখা উন্নয়নের জন্য। আন্তরিক কৃতজ্ঞতা রইলো।
অযাচিত ভুল বলে এই মহান পরামর্শকে কলুষিত করবার ভুল আমার মনে তো জায়গা নেই।
ত্রিস্তান
দুটোই খুব ভালো লাগলো। অ-লেখা হলেও লেখাটা ভীষণ চিত্তাকর্ষক।
বন্যা লিপি
ত্রিস্তান, আপনি অন্যের মন্তব্যের ঘরে মন্তব্য করলেন কেন? আগে তার জবাব দেন। তারপর আপনার মন্তব্যের জবাব দেব।
বন্যা লিপি
@রিতু জাহান। আমি দেখলাম আপনি যে বিষয়ের দিকে লক্ষ করে বলেছেন এমন হলে ভালো লাগত!…. আমার লেখার ফরমেটটাই আসলে এটা। শিরোনামটা দেখুন! অ-লেখা” প্রত্যেকেরই একটা নিজস্ব লেখার ভঙ্গি থাকে, এটা আমার, প্রত্যেকটা লাইন যখন আপনি পড়বেন, তখন ভেঙে ভেঙেই অনুভব নিয়ে পড়বেন, কোথায় কতটুকু বিরামে কেমন করে যাবেন! যেমন প্রতিটি শব্দ লেখার সময়ে আমি যেমনটা ভেবে বসাই শব্দ! আমি চাই পাঠক পড়ার সময়ে সেই বোধটুকু সঞ্চয় করুক। আপনার সাজানোটাও ভালো হয়েছে। দুটোই দু’ভাবেই এখানেই রইলো।
আপনাকে ধন্যবাদ আবারো।
শুভ কামনা।
সুরাইয়া পারভীন
আকাশ ব্যেপে এবার উঠুক কালো ধোঁয়া
আর সেই কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যাক সমস্ত মিথ্যে ছলনা আর কপটতা।
বিনা কারণে বিনা অপরাধে
বাস্তবতার জেলখানায় কয়েদী হয়ে
বিভৎস যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে
কাটিয়ে দিতে হয় একটা জীবন…
বন্যা লিপি
হুমম…. শুভ কামনা তেমার জন্য নিরন্তর।
রোকসানা খন্দকার রুকু
গিরগিটির চরিত্রই হলো রং বদলানো। অন্যকে অপরাধী করে যাওয়া।
কিছু অযাচিত ভুলের জন্যই আমরা আজীবন অপরাধী, আসামী হয়ে থাকি। তবে এটাও জীবনের একটা অংশ।
শুভ সকাল।
বন্যা লিপি
সবকিছুই তো জীবন থেকে নেয়া, হোক আপনার, আমার কিংবা অন্য কারো। সবই জীবনেরই অংশ।
শুভময় হোক। জীবন সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে মোরা পরের তরে।
রেজওয়ানা কবির
আকাশে কালো ধোঁয়া উঠার সাথে সাথে আমাদের জীবনের অংশের সবকিছু কি মুছে যায় নাকি ঢেকে যায় জানি না হয়ত সাময়িকভাবে দেখা যায় না কিন্তু ধোঁয়া শেষ হলে আবার ফিরে আসে পুরনো রুপে যত অভিনয়,অনাচার কিংবা কপটতা।
মাঝে মাঝে জীবনটাই জেলখানা মনে হয়, এই জেলখানায় কত কিছু বিসর্জন দিতে হয়! আমার কাছে মনে হয় আমরা প্রত্যেকেই কোন না কোনভাবে কয়েদী হয়েই পথ চলি।
আর গিরগিটি,এই শব্দ শুনলে আমার ভিতর অন্যরকম ফিলিংস চলে আসে, সেটা হলো,মানুষ যখন গিরগিটির মত রুপ বদলায় তখন সেইসব গিরগিটি রুপী মানুষদের কাছ থেকে যে যন্ত্রনা পাই সেটা আজীবনেও ভোলা যায় না। এই গিরগিটিরা অনেক সময় নষ্ট করে দেয়।
শুভকামনা সবসময় আপু।
বন্যা লিপি
ফিচারের ছবিটা দেখে কয়েক লাইন লেখার তাগিদ এলো মনে। ছবিটা চেয়ে নিয়েছি একজন শখের ছবিগ্রাহকের কাছ থেকে। তাই গিরগিটি লেখার জন্ম।
আমি আসলে প্রথাসিদ্ধ কবিতা লিখতে পারিনা সবসময় বলে আসছি।আমি যাই লিখি জানা-শোনা- দেখা থেকেই গটগট করে লিখে যাই। কি লিখি, না লিখি নিজেও জানিনা। আপনাদের লেখাগুলো ভালো লাগে বলে যখন মন্তব্যে বলেন! একজন লেখক হিসেবে তখন কৃতজ্ঞতায় মন ভরে ওঠে।
আমাকে কষ্ট পোহাতে হয় মানুষের শুনিয়ে যাওয়া কষ্ট। আমি তা থেকেও লেখার উপাদান পেয়ে যাই। তাই বলে নিজের কষ্ট নেই তা বলছি না! মানুষ সবচে ধনশালী নিজের কষ্ট লুকাতে। কি বলেন ঠিক বলছি কিনা?
রেজওয়ানা কবির
আমাকে কষ্ট পোহাতে হয় মানুষের শুনিয়ে যাওয়া কষ্ট, কথাটায় কি যেন রেখে গেলেন আপু,মানে খুব মনে ধরলো। আর একদম ঠিক বলেছেন আমরা সবাই কোন না কোন কষ্ট নিয়ে বাঁচি আর লুকিয়েই রাখতে চাই। আমি সেটা নিজেও করি। কি দরকার প্রকাশ করে,,,, এতে তো আর কষ্ট কমবে না।।।
বন্যা লিপি
@ রেজোয়ানা কবির, এরপরে একটা কথোপকথন নিয়ে আসব, অনেক আগে লিখেছিলাম, ওটাতে আছে কিছু এই শুনিয়ে যাওয়া কষ্ট নিয়ে কিছু কথোপকথন।
বিশেষ করে আমরা নারীরা কষ্ট লুকানো শিখে গেলে অন্যদের কাছে বাহবা পাওয়া যায় ঢেরবেশি। নইলে সমাজ সংসারে ঝড় ওঠে…….
রেজওয়ানা কবির
ঠিকআছে আপু, অপেক্ষায় থাকলাম।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আমাদের চারপাশে অনেক গিরগিটি ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে মুখোশের আড়ালে। এদের বৈশিষ্ট্য ই হলো রঙ, ঢং, চরিত্র বদল ক্ষণে ক্ষণে। এ জীবন বন্দী জেলখানা – বিনা অপরাধে প্রতিনিয়ত শাস্তি পাচ্ছি। মরণের পরে ই মুক্তি মিলবে এ শাস্তির, কষ্টের থেকে । শুভ কামনা রইলো
বন্যা লিপি
আমি প্রতিনিয়ত ভেঙে পড়ি এইসব আশপাশের গিরগিটি মার্কা মানুষ দেখে দেখে। আমি বড় হব কবে দিভাই? গরলের মত বেঁচে যাওয়া হয়না বলে আমি রাইটার ব্লকে পড়ি হরদম। এসবই সেই ব্লকেরই ফসল।
আরজু মুক্তা
এটা অনুকবিতা না। অনুকবিতা হতে হলো ওর সারমর্ম লাইনগুলোতে শেষ হবে। আপনার কবিতা কিছুটা থিমেটিক। চাইলেই বাড়ানো যায়।
শেষেরটা ই চমক। জীবনের প্রতিচ্ছবি।
ভালোবাসা সবসময়
বন্যা লিপি
আহ্…… এরেই কয় কবিতার মাস্টারনি। সার্জারি করে ছাড়লো থিমেটিক কায়দাটা ধরে ফেলেছে যাথার্থ। ভালবাসা ফুম্মা।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
জীবন ঘেঁষা সুন্দর লেখা — “আমরা কেবল আজীবন ফাঁসির আসামী
বাস্তবতার জেলখানায়”।
বন্যা লিপি
অশেষ কৃতজ্ঞতা আপনার প্রতি। আমি জীবনবোধ তাড়িত এক পোড় খাওয়া মানুষ। আমাকে যা নাড়া দ্যায় তাই নিয়েই শব্দ সাজাবার দুর্দান্ত সাহস দেখাবার চেষ্টা।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
আপনার সৎ এবং সাহসী উচ্চারণের জন্য অশেষ ধন্যবাদ — “আমাকে যা নাড়া দ্যায় তাই নিয়েই শব্দ সাজাবার দুর্দান্ত সাহস দেখাবার চেষ্টা”।
বন্যা লিপি
@ মঞ্জুরুল আলম চৌধুরি, আপনার প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা। দোয়ায় রাখবেন আমাকে।
হালিমা আক্তার
করিনি ক্ষমা
দেয়নি সাজা–অনুপম শাস্তি। গিরগিটির ধর্মই রং পালাটানো । সমাজের মুখোশধারীরা মুখোশ এঁটে থাকবে। আমরা ওদের চিনি। যেহেতু মুখোশধারী তাই কিছু নাই করিতে পারি। শুভ কামনা অবিরাম।
বন্যা লিপি
আমার একটা উক্তি আছে….” আমার কোনো মুখোশ নেই…. তবু আমি টেনে ছিঁড়তে পারিনা মুখোশ…. এ আমার ব্যর্থতা।
শুভ কামনা রইলো।
প্রদীপ চক্রবর্তী
এসব গিরিগিটি মার্কা মানুষ থাকবে আশেপাশে।
তাদের এড়িয়ে চলতে হবে।
এমনকি সাবধান থাকতে হবে।
.
এ যেন লেখায় এক অবয়ব প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে।
যথার্থ লিখেছেন, দিদি।
বন্যা লিপি
গিরগিটি চেনার প্যারামিটার খুব দরকার। কিনতে পাওয়া গেলে আমারে জানাইও প্রদীপ। সতর্তা অবলম্বনে সাহায্য হবে।
অবয়ব আছে সেইসব গিরগিটি মার্কা বর্ণচোরদের।
ভালো থেকো প্রদীপ।