জয় চলে যাওয়ার পর অর্পিতা প্যাকেট টা খুলল ।
প্যাকেটা কয়েক টা স্তরে প্যাক করা ।
প্রথমটা খুলেই পেল একটা আধো ফোটা গোলাপ ফুল তাতে ছোট করে একটা চিরকুট লেখা । শুভ জন্মদিন অর্পা ।
দ্বিতীয় টাতে কয়েকটা কফি ক্যান্ডি আর একটা ক্যাটবেরি ।
তৃতীয় টা খোলার পড় অর্পিতার চোখ ছানাবড়া!!!
একি আমার হারিয়ে যাওয়া ডায়রী !!
ও নিশ্চয়ই ডায়রীটা পড়েছে । এ কথা মনে হতেই ওর মুখ লজ্জায় লাল হয়ে গেল । মনেমনে ভাবল কোন কিছুই আর দুজনের কাছে অজানা থাকল না ।
আজ অর্পিতা কে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেবে । নার্স বুয়া সবারই মন খারাপ । অর্পিতার একটা সহজাত গুণ ও সহজেই মানুষের সাথে মিশতে পারে আপন করে নিতে পারে ।
জয় আগামী কাল ঢাকা চলে যাবে । যাওয়ার আগে আগে অর্পিতার সাথে একবার দেখা করবে । এবার আর অর্পিতাকে আসতে বলবে না ও নিজেই ওদের বাড়ি যাবে ।
হ্যালো রাজু
হ্যাঁ দাদা বলেন ।
আজ বিকালে তোমাদের বাড়ি আসছি । অর্পিতাকে বললবা না । ওকে সারপ্রাইজ দিব ।
ঠিক আছে ।
বিয়ের আগেই শ্বশুর বাড়ি যেতে জয়ের একটু লজ্জা ই লাগছে ।
বিকালে মিলন আর জয় অর্পিতার বাড়িতে উপস্থিত ।
অর্পিতা প্রথমে মিলন কে দেখেই অবাক
মিলন ভাই!!!
কখন আসলেন !! আমি তো বিশ্বাস ই করতে পারছি না ।
এই মাত্র । আমাকে দেখেই এ অবস্থা আর একজন তো এখনো বাকি ।
কে?
ও বুঝেছি নিশ্চয়ই জয়ও এসেছে ।
হুম মহারানি বান্দা হাজির । কিন্তু এত খুঁশি হওয়ার কিছু নেই আমি আপনার সাথে নয় । মাসিমার সাথে দেখা করতে এসেছি ।
পাশের ঘর থেকে অর্পিতার বাবার কন্ঠ শোনা গেল ।
রাজু পাশের ঘরে কে কথা বলছে রে ??
চলবে………চলবে……
৬টি মন্তব্য
খসড়া
অর্পিতা তোমাতেই সমার্পিতা।
সঞ্জয় কুমার
ভালোই বলেছেন ।
অলিভার
সিরিজ গল্প!!!!
দ্রুত পোষ্ট করবেন দয়া করে। মজার আংশে এসে হুট করে “চলবে..” লেখাটা ভালো দেখায় না :p
সঞ্জয় কুমার
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ । ইচ্ছা থাকলেও দ্রুত গল্প দিতে পারছি না বলে দুঃখিত ভাল থাকবেন
জিসান শা ইকরাম
সুন্দর ভালোবাসার কাহিনী এগিয়ে চলছে —
চলুক ।
সঞ্জয় কুমার
অবশ্যই চলবে ধন্যবাদ ।