
বৃষ্টিতে ভিজে সংসদের সপ্তম অধিবেশনে যাচ্ছি!
কেবল চুমুর প্রস্তাব পাশ করার জন্য।
আজও হাজার হাজার প্রেমিক রাজপথে, জনসম্মুখে চুমুর দিব্যি খাওয়ার তাগিদে কারাগারে।
কেউ নির্বাসনে।
কেউ আবার যাবৎজীবন কারাবন্দী।
তোমার মায়াবী ঠোঁটে, তোমার কমল গালে কি এমন লুকিয়ে আছে, প্রিয়তমা?
যেখানে চুমুর দিব্যি খেলে কারাবন্দী হতে হয়।
কখনো ফাঁসির রজ্জুতে ঝুলতে হয়।
কখনো আবার বস্তাবন্দী রক্তাক্ত লাশ সাগরের জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয়।
একবারও কি তোমার মন কাঁদেনা।
কেন তুমি এতো পাষাণ!
কাঁটাতার, ব্যারিকেড পাড়ি দিয়ে যে প্রেমিক তোমাকে ভালোবাসে।
তুমি তাকে শিকল পরাও।
কেবল তোমার ঠোঁটে চুমু খাওয়াতে।
আজ আমি যাচ্ছি সংসদে,
তিনশত পঞ্চাশ জন সংসদসদস্যের সম্মুখে এ প্রস্তাব পাশ করার জন্য।
সে সাথে অপেক্ষায় আছে হাজারো প্রেমিক।
কেবল অপেক্ষা।
এ প্রস্তাব পাশ করার জন্য আমি নিজের জীবন দিতে রাজী।
চুমুতে ভালোবাসা লুকিয়ে আছে যে প্রেমিক জানেনা সে প্রেমিক নয় বরং সে কামুক!
তুমি আজ আমার পথ রুদ্ধ করে রাখতে পারবেনা।
পারবেনা আমায় তোমার নৌ, বিমান আর পদাতিক ও অশ্বারোহী বাহিনী দিয়ে আটকাতে।
বিরোধী দল এর প্রতিবাদ করতে চাইলে আমি একাই এদের বিরুদ্ধে লড়াই করব!
তবুও ভয় নেই।
চুমুর দিব্যি, পাশ করবই আজ সংসদে!
ভয় নেই
প্রয়োজনে আমি অনশনে যাব।
কেবল ভালোবাসার জন্য প্রিয়তমার ঠোঁটে চুমু খাওয়ার তাগিদে।
চুমু হোক কবিতার মতো সুন্দর,
যেখানে স্বাদের পূর্ণতা থাকে।
চুমু হোক কামিনী ফুলের মতো সুগন্ধিময়,
যেখানে নির্যাস স্পর্শতা পাওয়া যায়।
কেবল অপেক্ষা, প্রিয়তমা।
একদিন চুমু হবে সর্বাঙ্গীণ।
এই যুগেই তোমার ঠোঁটে চুমুর দিব্যি খেয়ে দেখিয়ে দেবো চুমু গণতান্ত্রিক।
চুমুতেই লুকিয়ে আছে অগাধ ভালোবাসা।
মা যেমন তার সন্তানের কপাল ছুঁয়ে চুমু খায়,
প্রেমিক পুরুষ যখন তার প্রিয়তমার ঠোঁট ছুঁয়ে চুমু খায় তখন সৃষ্টির সুন্দরতা বর্ধিত।
আমার কাছে প্রেম মানে প্রতিমূর্তি স্বরূপ।
তাকে সাজাতে হয়, রূপ দিয়ে হয়।
আবেগ ব্যতীত মনের মিলনে যে প্রেম সৃষ্টি হয় সে প্রেম চিরন্তন ও সর্বাঙ্গীণ।
তেমনি প্রিয়তমার ঠোঁটে চুমু হোক চিরন্তন ও সর্বাঙ্গীণ।
এ নির্যাস ও নিষ্পাপ চুমুর জন্য আমি কাঁটাতারের সীমান্ত অতিক্রম করতে পারি।
আর তোমার ঠোঁটে, হাতের রেখায় চুমু খেয়ে দেখিয়ে দেবো ভালোবাসার কাছে চুমু সীমান্তহীন।
সেইদিন তুমি এক তোড়া গোলাপ ও রজনীগন্ধা দিয়ে আমায় অভিবাদন জানাবে।
মুক্তি পাবে কারাবন্দী হাজারও প্রেমিক পুরুষ।
এবং সংসদে, নির্বাচনে গণভোটে পাশ হবে চুমু সর্বাঙ্গীণ।
কেবল অপেক্ষা!
.
ছবিঃ সংগৃহীত
১৬টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
সংসদে অবশ্যই পাস হোক এটি,
কে আছে রুখবে একে?
অনেক অনেক ভালো লেগেছে কবিতা।
শুভ কামনা।
প্রদীপ চক্রবর্তী
গণভোটে পাস হোক !
আপনার ভালোলাগা আমার প্রাপ্তি।
সাধুবাদ,দাদা।
সাবিনা ইয়াসমিন
স্নেহ মায়া, ভালোবাসা আর অফুরান প্রেমের বহিঃপ্রকাশ ঘটে চুমু দিয়ে, চুমুর সাথে। সন্তানের কল্যানে, গুরুর পদতলে অথবা প্রেয়সীর আলিঙ্গনে একটি চুমু যেন হাজারো যুদ্ধজয়ের তৃপ্তি এনে দেয়। চুমু নিয়ে দারুণ লিখেছো।
শুভ কামনা 🌹🌹
প্রদীপ চক্রবর্তী
সত্যিই!
চুমুতে স্নেহ, মায়া মমতা, ভালোবাসা জড়িয়ে আছে।
আপনার মতামত ভালো লাগলো।
একরাশ শুভেচ্ছা রইলো, দিদি।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
বাহ্ চুমু নিয়ে সংসদে ভোটাভুটি! অসম্ভব ভালো লেগেছে কবিতা। চুম্বন হোক প্রেমের , ভালোবাসার, স্নেহের চাবিকাঠি। যা দিয়ে সহজেই জয় করা যাবে রণক্ষেত্র, বদলে যাবে পরিবেশ, সময়। সুন্দর আর পবিত্রতায় ভরে উঠবে পৃথিবী। ভালো থাকুন নিরাপদে থাকুন
প্রদীপ চক্রবর্তী
হ্যাঁ, দিদি।
তা গণভোটে পাস হোক সংসদে।
যথার্থ মতামত।
ভালো লাগলো।
ভালো থাকবেন।
আরজু মুক্তা
সংসদে পাশ হয়ে আসুক। চুমুতে অশালীন কিছু নেই। আবেগ ভালোবাসা আরও বাড়ে।
ব্যতিক্রম ভাবনার প্রকাশ ভালো লাগলো
প্রদীপ চক্রবর্তী
একদম, দিদি।
একরাশ শুভেচ্ছা রইলো।
রোকসানা খন্দকার রুকু
এ বাবা প্রদীপ দেখছি চুমু বিশারদ হয়ে গেছে! এমন করে আবেদন নিবেদনে পাশ না হয়ে পারেই না। আমার পূর্ণ ভোট আপনার পক্ষে কারন আমার কাছেও মনে হয় যে প্রেমিক চুমু দিতে জানে না সে কামুক।
শুভ কামনা রইলো।
প্রদীপ চক্রবর্তী
বেশ!
আপনার পূর্ণ সহমতে নিশ্চয় গণভোটে চুমু পাস হবে।
সাধুবাদ,দিদি।
হালিমা আক্তার
সংসদে ভোট দিব। প্রস্তাবনা আনা হোক। অনুপম ভালোবাসার গনতান্ত্রিক রূপ পাক। ভিন্নধর্মী কবিতা। ভালো লাগলো। শুভকামনা।
প্রদীপ চক্রবর্তী
সাধুবাদ আপনাকে।
আপনার ভালোলাগা আমার প্রাপ্তি।
হালিম নজরুল
ভালোবাসার বিল উত্থাপন হোক।
পাস হোক বিল।
প্রদীপ চক্রবর্তী
সাধুবাদ, আপনাকে।
ভালো থাকবেন, দাদা।
তৌহিদুল ইসলাম
প্রথম লাইনটাই মারাত্মক! পুরোটা পড়ে সত্যিই মুগ্ধ হলাম দাদা। আইন করে সকল দাবীদাওয়া পাশ করা হোক।
শুভকামনা সবসময়।
প্রদীপ চক্রবর্তী
আপনার মুগ্ধতায় আমি প্রাপ্তিধন্য।
একরাশ শুভেচ্ছা নিবেন, দাদা।