
আপনি রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। সামনে পিছে ধোঁয়ার কুণ্ডলী। আপনার দম বন্ধ হয়ে আসছে। শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু কিছু বলতে পারবেন না। বলতে গেলে উল্টো আপনাকে দু’ চারটে কথা শুনিয়ে দিবে। কপাল ভালো হলে আরো ভালো কিছুও ঘটে যেতে পারে। মানে মানে নাক চেপে ধরে চলে যাওয়া শ্রেয়।
পাবলিক বাসে কোথাও যাচ্ছেন। স্বয়ং চালক সাহেব সিগারেট ফুঁকছেন। পাবলিক বাসে চড়বেন আর সিগারেটের ধোঁয়া খাবেন না, তাই কি হয়। আপনি কিছু বলতে গেলেই বলবে। পাবলিক বাসে উঠছেন কে। গাড়ি একটা কিননা যাইতে পারেন না। কিছু বলতে গেলেই মহাবিপদ। বিপদ বাড়ানোর দরকার কি।
প্রকাশে ধূমপান নিষিদ্ধ এবং আইনত অপরাধ। বেশ কিছুদিন আগে প্রশাসন কিছু কঠোর ব্যবস্থা পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে প্রকাশ্যে ধূমপানের পরিমাণ কিছুটা কমেছিল।
আপনার বাড়ির আশেপাশে কোথাও গাঁয়ে হলুদ, কিংবা বিয়ের অনুষ্ঠান হচ্ছে। কখনো কখনো কানে তালা লাগার জোগাড়। আপনার বাসায় রোগী অথবা পরীক্ষার্থী আছে। তাতে কি। আনন্দ ফুর্তি তো দু একদিন করতেই পারে।(তবে এ সমস্যা আগের চেয়ে কিছুটা কম মনে হয়)।
ফুটপাত তুমি কার। না, এটা কোন ছবির নাম নয়। তবে একটি ছবির গানের কথা মনে পড়ে গেল। ” রাস্তাঘাট কারো নয় কেনা, পথ চলতে যে জানে না”। ফুটপাত আপনার কেনা নয়। অতএব ফুটপাত ছেড়ে হাঁটুন। অনেক দোকানীরা ফুটপাতের অনেকাংশ দখল করে নেয়। আবার কোথাও কোথাও ফুটপাত হচ্ছে অর্ধ টয়লেট।
প্রতিদিন সকালে অফিসে যাওয়ার সময় যখন দৃষ্টি আকর্ষণ করে। দুই পাশের কিছু কিছু দোকান ঝাড় দিয়ে রাস্তার মাঝখানে ময়লা জমা করে রাখে। অথচ রাতের বেলা সিটি কর্পোরেশনে পরিচ্ছন্ন কর্মীরা রাস্তা ঝাড় দিয়ে গেছে। পরিষ্কার রাস্তা কে অপরিচ্ছন্ন করতে একটুও বাধেনা।
ও লিখিত বিষয়গুলোর কোনটি নিয়মের মধ্যে পড়ে না। তবু সেই অনিয়ম গুলোই এখন নিয়মের অভ্যাস পরিণত হয়ে গেছে। বিষয়টি মনে হয় এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে-
আমি যাহা করি, তোমার কি আসে যায়
তুমি তোমার মতো চলো হে ভাই। গুড বাই, গুড বাই।
ছবি সংগ্রহ-নেট থেকে।
১২টি মন্তব্য
বোরহানুল ইসলাম লিটন
আইন এবং প্রয়োগকারী পরিষদ যদি নড়বড়ে হয়
এহেন ভোগান্তির শিকার হবারই কথা!
আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা জানবেন সতত।
হালিমা আক্তার
আইন প্রয়োগ এর পাশাপাশি নিজেদের ও সচেতনতা থাকা প্রয়োজন। অন্যের ক্ষতি হয় এমন কিছু করা উচিত নয়। শুভ কামনা রইলো।
আলমগীর সরকার লিটন
সৃষ্টিগত ভাবে আমাদের অভ্যাস খারাপ
যারফলে বদঅভ্যাসগুলো ছাড়তে পারে না
নতুন নতুন অভ্যাস তৈরি করছে————–
হালিমা আক্তার
এগুলো ছাড়বে কি করে। আমরা কখনো অপরের কথা ভাবি না। শুধু নিজের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকি। শুভ কামনা রইলো।
বন্যা লিপি
আসলে এই অনিয়মের নিয়মগুলোই এখন জনজীবনে স্বাভাবিকতায় স্বাভাবিক হয়ে গেছে। আমাদের পিঠে কুলো আর কানে তুলো দিয়ে বাঁচতে অভ্যস্থ করে তোলা হয়েছে ইচ্ছের বিপরীতে।
হালিমা আক্তার
চমৎকার বলেছেন। এগুলো মেনে নিয়েই চলতে হচ্ছে। আন্তরিক ধন্যবাদ। শুভ কামনা রইলো।
খাদিজাতুল কুবরা
খুব গুছিয়ে লিখেছেন আপা আমাদের নিত্যাকার সমস্যাগুলো। সবার সুমতি সুবোধের উদয় হোক।
ভালো থাকুক আমাদের চারপাশ।
হালিমা আক্তার
অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো। শুভ রাত্রি।
মো: মোয়াজ্জেম হোসেন অপু
তৃতীয় বিশ্বের দেশে এইসব অনিয়ম মেনে নিয়েই আমাদের জীবন। সুন্দর লিখা।শুভকামনা রইলো
হালিমা আক্তার
অশেষ ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো।
মোঃ খুরশীদ আলম
দেশের আজ প্রধান সমস্যা কি তা কি আপনি জানেন?
হালিমা আক্তার
জানি না বলেই জানতে চাচ্ছি। ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো।