বাইরে বৃষ্টি।
বেশ আগেই সন্ধ্যা নেমেছে, বৃষ্টিস্নাত ঝাপসা কাচের ওপারের দ্রুত সরে যাওয়া দোকানগুলির আলো, বাসের জানালার পাশে বসে থাকা কণার কাছে, ছবির মত মনে হয়।
আজকাল কত কিছু-ই তো মনে হয়!
জানালা দিয়ে দমকা বাতাসের এক আউলা ঘূর্ণি, বুকে করে সুগন্ধি বয়ে নিয়ে আসে। এক পলকে বিবশ মন ধীরে ধীরে আরো প্রগলভ হয়ে উঠে।
সুগন্ধি তেল মানুষটির খুব পছন্দ ছিল!
কেয়োকার্পিণ! কাধ অবধি নেমে যাওয়া ব্যাক ব্রাশ করা চুল ছুঁয়ে ছুয়ে, আশপাশ টা সুঘ্রাণে মুখর করে প্রিয় মানুষটি ওর হাত ধরে যখন হেটে যেত, জীবনটাকে কেন জানি সম্পুর্ণ মনে হত কণার কাছে!
বাস ভর্তি পুরুষদের দিকে তাকিয়ে, ঘ্রাণের উতসমূল খুঁজে ফেরে এক বিষন্ন নারী। বিভিন্ন অবয়বের এক একজন পুরুষ। কিন্তু ইদানিং এরা কেবলি পুরুষ, কেন জানি এরা মানুষ হতে চায় না এক ‘সিংগেল মাদারের’ সামনে।
প্রিয় মানুষ যখন স্বেচ্ছায় পলাতক চাঁদ, পুরুষেরা তখন মানুষ হয়ে উঠবে কেন?
১২টি মন্তব্য
রিমি রুম্মান
কেয়োকার্পিণ … অনেকদিন পর মনে পড়লো।
শেষ লাইনটি বেশি ভাল লেগেছে।
ভাল থাকুন সবসময়। শুভকামনা…
মামুন
ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনিও ভাল থাকুন।
ইনজা
অসাধারণ লিখেন আপনি। 🙂
মামুন
ধন্যবাদ ভাই।
অনেক উৎসাহ পেলাম। ভাল থাকুন।
মোহাম্মদ আয়নাল হক
সত্যিই অসাধারন। দাদা আপনার লেখা।
মামুন
ধন্যবাদ প্রিয় ভাই আমার।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
ছোট পরিসরে সুন্দর বিষয়বস্তু ভাল লেগেছে -{@
মামুন
ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা রইল।
আবু খায়ের আনিছ
সিঙ্গেল মাদার কনসেপ্ট আমাদের মত দেশে গ্রহণযোগ্যতা পায় না, আর পাবে বলেও মনে হয় না।
ভালো লিখেছেন।
মামুন
আপনার সাথে সহমত পোষণ করছি।
সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
নীলাঞ্জনা নীলা
এতো ভালো কিভাবে লেখেন? দারুণ!
মৌনতা রিতু
দারুন সুগন্ধিতে ভরে গেল মন। সেই অনেক ছোটবেলা থেকেই ওই কেয়োকার্পিন তেলের সুগন্ধির সাথে পরিচিত।
ভাল লাগল কবিতাটা।